সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ট্রিমকার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) মাধ্যমে অনেকেই এই অ্যাপে যুক্ত হয়ে লাইভ চ্যাট করছেন ও খেলছেন অনলাইন জুয়া। এর মাধ্যমে দেশ থেকে প্রতিদিনই কোটি টাকার বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই ফাঁদে পড়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি সর্বস্বান্ত হয়েছেন। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহেও।
পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) বুধবার জানিয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যমে মুদ্রা পাচারের এই কারবারে যুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।
এটিইউ এবং সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্ট্রিমকার অ্যাপ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও ভিপিএনের মাধ্যমে ব্যবহার করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক বাংলাদেশি এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন। সেলিব্রেটি ও তরুণীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা। তাদের অনেকেই এই অ্যাপের মাধ্যমে তরুণীদের ঘনিষ্ঠ হতে গিয়ে চাকরির টাকা খুইয়ে চলেছেন। ফলে বিপুল অঙ্কের রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।
এটিইউ-এর সাইবার ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, নিষিদ্ধ স্ট্রিমকার অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনই কোটি টাকার বেশি পাচার হচ্ছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যারা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, এমন একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সাভার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয় বিধায় বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করবে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে যারা অর্থ পাচার করছেন তাদের অন্যতম মাসুদ আর খান এজেন্সির মালিক মাসুদ রানাসহ অন্তত ছয়জন, যারা সবাই পলাতক রয়েছেন। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
তদন্তে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, স্ট্রিমকার অ্যাপের ইউজার হওয়ার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বা অর্থ স্থানান্তরের অনলাইন প্লাটফর্ম পেপালের মাধ্যম টাকা নিয়ে থাকেন এজেন্টরা। সেখানে ইউজাররা প্রবেশ করে অসংখ্য হোস্ট আইডিধারী তরুণী ও সেলিব্রেটির সঙ্গে লাইভে কথা বলার সুযোগ পান। এসব হোস্টের মধ্যে কেউ গান শোনান। কেউ কবিতা শোনান। এজন্য তাদের উপহার হিসেবে দিতে হয় বিন্স নামের ভার্চুয়াল মুদ্রা, যে মুদ্রা মোবাইল ব্যাংকিং বা পেপালের মাধ্যমে কিনতে হয়। এই অ্যাপে ছয় ধরনের জুয়া খেলার সুযোগ রয়েছে। হোস্টরা নানা কৌশলে ইউজারদের সেই জুয়ার বোর্ডে নিয়ে যান।
বাংলাদেশি ইউজারদের অধিকাংশই প্রবাসী শ্রমিক, যারা সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকেন। প্রবাসী এই শ্রমিকদের কাছে অবসরে সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে লাইভে কথা বলার জনপ্রিয় মাধ্যম এই অ্যাপ। দেশীয় ইউজাররা ভিপিএনের মাধ্যমে এই অ্যাপ ব্যবহার করেন।
অ্যাপটির বৈশিষ্টের বর্ণনা দিয়ে কর্মকর্তারা জানান, এ এটি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও ও অডিও স্ট্রিমিং সোশ্যাল অ্যাপ। বৈশ্বিক বন্ধুত্বের প্লাটফরম হিসেবে এই অ্যাপ দিয়ে ভিডিও প্রচার ও ভিডিও চ্যাট করা যায়। বিশ্বজুড়ে বন্ধুত্ব করা যায়।
এই অ্যাপের ইউজার বাড়ানোর জন্য অনলাইনে অসংখ্য বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে প্রতারক চক্র। যেমন- ‘অনলাইন থেকে ঘরে বসেই টাকা কামান। ইনকাম করুন প্রতিদিন এক হাজার টাকা। সময় নষ্ট আর নয়, সাথে সাথেই পেমেন্ট। আগ্রহ থাকলে অবশ্যই আমার ইনবক্সে join লিখে পাঠান।‘
কোনো কোনো বিজ্ঞাপনে বলা হয়, we are hiring broadcaster. Who can do: Talkative Live, Lipsing woth music, Reciting poem, singing, Gossiping.
আবার কোনো কোনো বিজ্ঞাপনে থাকে, ঘরে বসে টাকা ইনকামের সুযোগ শুধুমাত্র লাইভ করে। মাসে মাত্র ১৫ দিনে ৪০ ঘণ্টা লাইভ করে আয় করুন হাজার হাজার টাকা।
আগ্রহীদের শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়, মাসে ১৫ দিনে ৪০ ঘণ্টা লাইভ করতেই হবে। কথোপকথনের অভ্যাস থাকতে হবে। নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তির অভ্যাস থাকতে হবে। লাইভগুলো হবে অনেকটা ফেসবুক লাইভের মতো। বেতন নির্ধারিত হবে আইডিতে ‘জেমস’ কয়েন জমা হওয়ার ওপর।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘স্ট্রিমকার’ অ্যাপটিতে দুই ধরনের ভার্চুয়াল কারেন্সি থাকে। এদের একটিকে ‘বিন্স’ আরেকটিকে ‘জেমস’ বলা হয়। ইউজাররা হোস্টের (সুন্দরী তরুণী) সঙ্গে কথোপকথনের সময় ‘উপহার হিসেবে’ ভার্চুয়াল কারেন্সি ‘বিন্স’ দিয়ে থাকেন। এই উপহার আসলে বাধ্যতামূলক। ইউজারের বিন্স তরুণীর আইডিতে জমা হওয়ার পর সেটি জেমস হিসেবে বিবেচিত হয়। এক বিন্স সমান এক জেমস। এ ক্ষেত্রে এক লাখ জেমসের দাম ৬০০ টাকা ধরা হয়।
এই অ্যাপে এজেন্সি দুই ধরনের। বিন্স এজেন্সি ও হোস্ট এজেন্সি।
বিন্স এজেন্সি
বিন্স এজেন্সিগুলো অ্যাপের অ্যাডমিনের কাছ থেকে বিন্সগুলো কিনে থাকে। পরে সেগুলো তারা ইউজারদের কাছে সরবরাহ করে। দেশে বর্তমানে ১০-১২টি বিন্স এজেন্সি রয়েছে, যাদের মধ্যে তিন-চারটির বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।
কর্মকর্তারা জানান, মুদ্রা পাচারে জড়িত এই এজেন্সিগুলোর সম্পর্ক রয়েছে।
হোস্ট এজেন্সি
একটি হোস্ট এজেন্সির অবশ্যই ১৫টি সক্রিয় হোস্ট আইডি থাকতে হয়। না থাকলে হোস্ট এজেন্সি হিসেবে অনুমোদন দেয় না স্ট্রিমকার অ্যাপের অ্যাডমিন।
এটিইউয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে ২০০ থেকে ৩০০ হোস্ট এজেন্সি রয়েছে, যাদের প্রত্যেকের ১০০ থেকে ৪০০ পর্যন্ত সক্রিয় হোস্ট রয়েছে। সেই হিসাবে দেশে বর্তমানে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ হোস্টিং করছে। ইউজার আছে লক্ষাধিক।
দুই ধরনের আইডি: একটি ইউজার আইডি, আরেকটি হোস্ট আইডি।
ইউজার আইডি
যেকোনো ব্যক্তি ইউজার আইডি খুলতে পারেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার কিংবা গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। বিন্স কিনে এবং তা উপহার হিসেবে সরবরাহ করে একজন পুরুষ কিংবা নারী একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন; সময় কাটাতে পারেন হোস্টের সঙ্গে।
হোস্ট আইডি
প্রত্যেক হোস্টকে প্রত্যেক দিন অন্তত এক ঘণ্টা এবং প্রত্যেক মাসে অন্তত ৪০ ঘণ্টা লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থাকতে হয়। এই সময়ের স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে একজন হোস্টকে ন্যূনতম ‘পেমেন্ট’ পাওয়ার জন্য ২০ লাখ জেমস উপহার হিসেবে পেতে হয়।
পেমেন্ট সাইকেল
যুক্তরাষ্ট্রের বংশোদ্ভূত জিমি নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন এই অ্যাপের অ্যাডমিন হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকরা রয়েছেন। এই অ্যাডমিনদের কাছ থেকে দেশীয় এজেন্সিগুলো কম দামে বিন্স কিনে থাকে। তারপর তা বেশি দামে ইউজারদের কাছে বিক্রি করে। ইউজাররা হোস্ট আইডিধারী ব্যক্তিদের সঙ্গে নানা ধরনের সম্পর্ক স্থাপনের বিনিময়ে বিন্সগুলো দেন। জুয়া খেলায়ও লাগে এই ভার্চুয়াল মুদ্রা।
বিন্সগুলো হোস্ট আইডিতে জেমস হিসেবে জমা হয়। সেই জেমস আবার হোস্ট এজেন্সির মাধ্যমে অ্যাপ অ্যাডমিনদের কাছে চলে যায়।
কর্মকর্তারা জানান, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে প্রবাসীরাও এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে কোটি কোটি টাকা খোয়াচ্ছেন। অ্যাপের মূল ইউজার প্রবাসীরা হওয়ায় রেমিট্যান্সের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই অ্যাপের ক্ষতিকর দিক থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে পারলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন।
ইউজারকে এই বিন্স কিনতে হয় এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে। এজেন্সিগুলো এক লাখ ‘বিন্স’-এর দাম নিয়ে থাকে ১০৮০ টাকা। যদিও এজেন্সি ওই এক লাখ বিন্স ১০৩২ টাকায় কেনে অ্যাপ অ্যাডমিনদের কাছ থেকে।
ভার্চুয়াল কারেন্সি কাগুজে মুদ্রায় কীভাবে স্থানান্তর হয়- এমন প্রশ্নে এটিইউয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, একটি বিদেশি ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কনভার্ট করার তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, হোস্ট তরুণীর সঙ্গে লাইভে গল্প করতে করতে প্রলোভনে পড়ে ইউজাররা বিপুল পরিমাণ বিন্স সরবরাহ করে থাকেন উপহার হিসেবে। কখনো কখনো স্ট্রিমকার অ্যাপ থেকে বেরিয়ে ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হওয়ার হাতছানি থাকে। এজন্যও বিন্স জমা দিতে হয় হোস্টের আইডিতে। যেগুলো জেমস হিসেবে গণ্য হয়ে তরুণীর মাসিক আয়ের পথ তৈরি করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, এই হোস্টরাও অ্যাপের অ্যাডমিন কিংবা এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে থাকেন। যেসব শর্তের হোস্টিংকে যে পরিমাণ অর্থ দেয়ার কথা বলা হয়, তা দেয়া হয় না। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে পুরো টাকাই হাতিয়ে নিচ্ছে অ্যাপভিত্তিক এই প্রতারক চক্র।
অ্যাপে চলে যেসব জুয়া: প্রতারক চক্রের গ্রেপ্তার সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও এটিইউয়ের নিজস্ব অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা জানান, এই অ্যাপে ছয় ধরনের জুয়া খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো- তিনপাত্তি, ক্রিকেট স্টারস, ট্রেজারহান্ট, এসকে ডার্বি, ফ্রুট লুপস, লাকি ডিপ ও বিনস ব্যাগ।
কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, শুধু তিনপাত্তির মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে প্রতি তিন মিনিটে এক লাখ টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। একই কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে যে পরিমাণ টাকা বাংলাদেশে আসার কথা তা আসছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এটিইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, অনেক প্রবাসী যুবক বিন্স কিনে ও জুয়ার ফাঁদে পড়ে তার মাসিক আয়ের পুরোটাই খুইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ বাড়ি থেকে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই চক্রের সন্ধান পাওয়ায় ও তাদের গ্রেপ্তারের ফলে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। দেশ থেকে মুদ্রা পাচারও বন্ধ হবে।
সিআইডির সাইবার ক্রাইম বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিআইজি কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, স্ট্রিমকার অ্যাপ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের আরও কিছু মাধ্যমে অর্থ পাচারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নিয়মিত ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরের কোনো মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশদ তদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া ও তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার আইনে মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।
মন্তব্য