রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি চুরির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাল্টা নির্যাতন মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
তিনি মনে করেন, রোজিনা পাল্টা মামলা করতে পারবেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। কারণ, তাকে বেআইনিভাবে পাঁচ ঘণ্টা আটক করা হয়েছে। সেখানে মানসিক নির্যাতনও করা হয়েছে।
এই গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা সত্য হলেও তাকে পাঁচ ঘণ্টা মন্ত্রণালয়ের আটকে রাখার কোনো আইনি সুযোগ ছিল না বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন তিনি।
এটি ২০১৩ সালে করা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই মনে করেন তিনি।
সোমবার বিকেলে এই গণমাধ্যমকর্মী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে গোপন নথি সরানোর অভিযোগে আটক হন। বেলা দুইটা ৫৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
রোজিনাকে থানায় নেয়া হয় রাত সাড়ে আটটার পরে। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তিনি মন্ত্রণালয়েই ছিলেন।
পরে রাত ১১টার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নিবন্ধন করে রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের যে জায়গাটা কথা বলা দরকার, সেটা হলো সাংবাদিক রোজিনাকে যে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখলেন, এই আটকে রাখার আইনি এখতিয়ার কেবল সচিব কেন, তার ওপরেও যদি হয়, মন্ত্রীও যদি হয়, তার আছে কি না। এই ধরনের কোনো আইনি এখতিয়ারই তাদের ছিল না। তারা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে আটক রেখেছেন এবং এটা ফৌজদারি অপরাধ।’
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু নিবারণ আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা বা তার অফিস যদি নির্যাতন করে তাহলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর এই নির্যাতন বলতে কেবল শারীরিক নির্যাতন হতে হবে, তা নয়, মানসিক নির্যাতনকেও আইনে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
এই আইনজীবী বলেন, ‘রোজিনার উচিত হবে এদের বিরুদ্ধে তার আইনি প্রতিকার চাওয়া।
‘আমি যদি ধরেও নেই যে রোজিনা নথি চুরিও করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল সাথে সাথে। তাকে পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখার কোনো এখতিয়ার তাদের ছিল না। তারা প্রমাণ করতেন, রোজিনা তার বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করতেন। কিন্তু তাকে নির্যাতন যখন করা হলো তিনি নিজে ভিকটিম হয়ে গেলেন। তিনি আর একিউজড (অভিযুক্ত) নন।’
জ্যোতির্ময় বলেন, ‘তিনি (রোজিনা) প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
রোজিনাকে মন্ত্রণালয়ে অবরুদ্ধ করার পরই গণমাধ্যমকর্মীরা ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন। তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হলে সেখানেও জড়ো হন সাংবাদিকরা। তারা তার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
মন্ত্রণালয়ের যে অভিযোগ
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব নথি সরানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলোতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। এর খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট প্রণয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। যেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেসব নথিপত্রের ছবি তুলেছিল, তার মধ্যে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, ‘এ সকল তথ্য জনসম্মুখে প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও বলা হয়, বিকেল দুইটা ৫৫ মিনিটে রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সচিবের একান্ত সচিবের দপ্তরে ঢোকেন। তখন একান্ত সচিব দাপ্তরিক কাজে সচিবের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সে সময় রোজিনা ইসলাম দাপ্তরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকানোর পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তোলেন।
সচিবের দপ্তরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান খান বিষয়টি দেখতে পেয়ে রোজিনাকে বাধা দেন। আর নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতে তিনি ওই কক্ষে কী করছেন, তা জানতে চান। এ সময় রোজিনা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।
অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে রোজিনার কাছ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র এবং নথির ছবি সংবলিত মোবাইল উদ্ধার করেন।
সর্বোচ্চ সাজা কী?
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে মোট চারটি ধারায়। এগুলো হলো দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, এই চারটি ধারায় সর্বোচ্চ সাজা আছে তিন বছর এবং সঙ্গে জরিমানা হতে পারে।
আরও পড়ুন:রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ৫০ কেজি ওজনের বড় আকৃতির একটি বাঘাড় মাছ।
গতকাল শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর কলাবাগান এলাকায় জেলে সিদ্দিকুর রহমানের জালে মাছটি ধরা পড়ে। নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে তার কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
জানা গেছে, জেলে সিদ্দিকুর রহমান তার সঙ্গীদের নিয়ে দুপুরে পদ্মায় মাছ ধরতে যান। তারা নদীতে জাল ফেলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে জালে একটি বড় বাঘাড় মাছ আটকা পড়ে। বিক্রির জন্য তিনি দৌলতদিয়া মাছ বাজারে নিয়ে যান। সেখানে রেজাউলের আড়তে উন্মুক্ত নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি কিনে নেন।
চাঁদনী অ্যান্ড আরিফা মৎস্য আড়তের মালিক চান্দু মোল্লা বলেন, বড় বাঘাইড় মাছটি নিলামে উঠলে আমি ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। মাছটি আমার আড়ৎ ঘরে এনে ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি। এটি বিক্রির জন্য এখন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভিডিও দেওয়া হয়েছে। কেজিপ্রতি অল্প কিছু টাকা লাভ হলেই মাছটি বিক্রি করে দেব।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কোনো গোপন বৈঠক হয়নি। এটা জাস্ট সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর গোপন বৈঠক হলে তো প্রেস রিলিজ দিতাম না। আমরাতো সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে সেটি জানিয়েই প্রেস রিলিজ দিয়েছি।’
গতকাল শনিবার বিকালে খুলনার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আপনারা প্রতিটি মন্ত্রণালয় ভিত্তিক দপ্তরগুলো ধরে ধরে রিপোর্ট করুন। কোথায় কি সংস্কার প্রয়োজন দেখিয়ে দিন।’
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনই শুধু নয়, ভবিষ্যতের সব নির্বাচন হবে উৎসবমুখর।’
জনগণ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারে সেজন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, খুলনাকে বাদ দিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। স্টেডিয়ামের উন্নয়ন সাপেক্ষে খুলনায় যাতে আবারো আন্তর্জাতিক মানের খেলা শুরু করা যায় সে ব্যাপারেও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
কোরবানির ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আবারও তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক দুদিন ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিনের ছুটি থাকছে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। এটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর।
জানা গেছে, আগামী ৬ জুলাই রোববার পবিত্র আশুরা পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি থাকবে। এর আগের দুদিন অর্থাৎ ৪ ও ৫ জুলাই (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তিন দিন টানা ছুটি পাবেন তারা। সোমবার (৭ জুলাই) কাজে ফিরবেন তারা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২৭ জুন শুক্রবার থেকে পবিত্র মহররম মাস গণনা করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ জুলাই (রোববার) পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
উল্লেখ্য, এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর আগে গত পবিত্র ঈদুল ফিতরে সরকারি ছুটি ছিল ৯ দিন।
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া এলাকার বেগুনবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন একটি টিস্যু ব্যাগ ও স্কিন প্রিন্টিং কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা কাজল মিয়া জানান, আমরা সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কারখানার মালিক মোঃ হাফিজ দাবি করেন, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে তার আল্লাহর দান স্কিন প্রিন্ট’ নামের কারখানার মেশিনপত্র, উৎপাদিত টিস্যু ব্যাগ, অফিস কক্ষ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পানি বাহী গাড়ি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও প্যাকেজিংকরণে অংসঙ্গতি থাকায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন
কিশোরগঞ্জ জেলার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রট আরিফুল ইসলাম।
এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো.আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা সংকর দাস প্রমুখ। এসময় ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার বুশরা ফুড এন্ড বেভারেজ মালিক
আব্দুল কাদিরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া নকল চিপস উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, একই এলাকার চাদনী বেকারির মালিক রুমান মিয়াকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা বিস্কুট ও কেক উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, এছাড়া ঘোড়াকান্দা এলাকার মালেক এন্ড কোং ফুড প্রডাক্টসের মালিক মো.গোলাম রহমানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা, চানাচুর খাদ্য উৎপাদন ও মোড়ক তৈরিতে অংসঙ্গতি থাকার দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, ভৈরব শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য ও নকল পণ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মালেক ফুড প্রোডাক্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা ও চেনাচুর উৎপাদনের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহৃত থাকবে বলে তিনি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান দলের ১৬ দফা ঘোষণা করেছেন। শনিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
১৬ দফা ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক(পিআর) নির্বাচন গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের নির্দেশিকা নীতিগুলোর মধ্যে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, সংসদের উভয় প্রস্তাবিত কক্ষে আনুপাতিক ভোটদান (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং বৈষম্যহীন শোষণ নিপীড়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের স্বৈরতন্ত্রকে রোধ করতে দলটি দ্রুত, মৌলিক সংস্কার, জনপ্রশাসন পুনর্গঠন, নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য এবং ‘পতিত ফ্যাসিবাদের’ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত কর্মকর্তাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।
দুর্নীতির বিচার, পলাতকদের ফিরিয়ে আনা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে।
ঘোষণাপত্রে ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ এবং যেকোনো ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্তরের স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
দলটি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, ঋণ খেলাপি এবং অপরাধীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং ধর্ম ও রাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন দলটি।
ইসলামী আন্দোলন সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং টেকসই শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনসহ শাসনব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ইসলামী মূল্যবোধ অনুশীলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ঘোষণায়।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া মো. আলমগীর হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
(২৮ জুন ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মো. আলমগীর হোসেন উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহসিনের বাড়ির মৃত চুন্নু মিয়ার ছেলে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আলমগীর হোসেন তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেন। এছাড়াও তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। সেই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন এবং তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে ফটিকছড়ি থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পেছনে কোনো উসকানি কিংবা ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আলমগীরের মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করা হবে।
মন্তব্য