× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
রোজিনাকে পাল্টা নির্যাতন মামলা করার পরামর্শ
google_news print-icon

রোজিনাকে পাল্টা নির্যাতন মামলা করার পরামর্শ

রোজিনাকে-পাল্টা-নির্যাতন-মামলা-করার-পরামর্শ
‘আমাদের যে জায়গাটা কথা বলা দরকার, সেটা হলো সাংবাদিক রোজিনাকে যে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখলেন, এই আটকে রাখার আইনি এখতিয়ার কেবল সচিব কেন, তার ওপরেও যদি হয়, মন্ত্রীও যদি হয়, তার আছে কি না। এই ধরনের কোনো আইনি এখতিয়ারই তাদের ছিল না। তারা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে আটক রেখেছেন এবং এটা ফৌজদারি অপরাধ।’

রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি চুরির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাল্টা নির্যাতন মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

তিনি মনে করেন, রোজিনা পাল্টা মামলা করতে পারবেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। কারণ, তাকে বেআইনিভাবে পাঁচ ঘণ্টা আটক করা হয়েছে। সেখানে মানসিক নির্যাতনও করা হয়েছে।

এই গণমাধ্যমকর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা সত্য হলেও তাকে পাঁচ ঘণ্টা মন্ত্রণালয়ের আটকে রাখার কোনো আইনি সুযোগ ছিল না বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন তিনি।

এটি ২০১৩ সালে করা হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই মনে করেন তিনি।

সোমবার বিকেলে এই গণমাধ্যমকর্মী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে গোপন নথি সরানোর অভিযোগে আটক হন। বেলা দুইটা ৫৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে শাহবাগ থানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

রোজিনাকে থানায় নেয়া হয় রাত সাড়ে আটটার পরে। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তিনি মন্ত্রণালয়েই ছিলেন।

পরে রাত ১১টার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নিবন্ধন করে রোজিনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের যে জায়গাটা কথা বলা দরকার, সেটা হলো সাংবাদিক রোজিনাকে যে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখলেন, এই আটকে রাখার আইনি এখতিয়ার কেবল সচিব কেন, তার ওপরেও যদি হয়, মন্ত্রীও যদি হয়, তার আছে কি না। এই ধরনের কোনো আইনি এখতিয়ারই তাদের ছিল না। তারা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে আটক রেখেছেন এবং এটা ফৌজদারি অপরাধ।’

রোজিনাকে পাল্টা নির্যাতন মামলা করার পরামর্শ
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু নিবারণ আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা বা তার অফিস যদি নির্যাতন করে তাহলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর এই নির্যাতন বলতে কেবল শারীরিক নির্যাতন হতে হবে, তা নয়, মানসিক নির্যাতনকেও আইনে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

এই আইনজীবী বলেন, ‘রোজিনার উচিত হবে এদের বিরুদ্ধে তার আইনি প্রতিকার চাওয়া।

‘আমি যদি ধরেও নেই যে রোজিনা নথি চুরিও করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল সাথে সাথে। তাকে পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখার কোনো এখতিয়ার তাদের ছিল না। তারা প্রমাণ করতেন, রোজিনা তার বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করতেন। কিন্তু তাকে নির্যাতন যখন করা হলো তিনি নিজে ভিকটিম হয়ে গেলেন। তিনি আর একিউজড (অভিযুক্ত) নন।’

জ্যোতির্ময় বলেন, ‘তিনি (রোজিনা) প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

রোজিনাকে পাল্টা নির্যাতন মামলা করার পরামর্শ
রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের অবস্থান

রোজিনাকে মন্ত্রণালয়ে অবরুদ্ধ করার পরই গণমাধ্যমকর্মীরা ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন। তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হলে সেখানেও জড়ো হন সাংবাদিকরা। তারা তার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

মন্ত্রণালয়ের যে অভিযোগ

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব নথি সরানোর অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলোতে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য ছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বলা হয়, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। এর খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট প্রণয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে প্রতিনিয়ত পত্র ও ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। যেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেসব নথিপত্রের ছবি তুলেছিল, তার মধ্যে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

বলা হয়, ‘এ সকল তথ্য জনসম্মুখে প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

আরও বলা হয়, বিকেল দুইটা ৫৫ মিনিটে রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সচিবের একান্ত সচিবের দপ্তরে ঢোকেন। তখন একান্ত সচিব দাপ্তরিক কাজে সচিবের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সে সময় রোজিনা ইসলাম দাপ্তরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকানোর পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তোলেন।

সচিবের দপ্তরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান খান বিষয়টি দেখতে পেয়ে রোজিনাকে বাধা দেন। আর নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতে তিনি ওই কক্ষে কী করছেন, তা জানতে চান। এ সময় রোজিনা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।

অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে রোজিনার কাছ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজগপত্র এবং নথির ছবি সংবলিত মোবাইল উদ্ধার করেন।

সর্বোচ্চ সাজা কী?

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে মোট চারটি ধারায়। এগুলো হলো দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানিয়েছেন, এই চারটি ধারায় সর্বোচ্চ সাজা আছে তিন বছর এবং সঙ্গে জরিমানা হতে পারে।

আরও পড়ুন:
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির মামলা: সাংবাদিক রোজিনা গ্রেপ্তার
রোজিনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ মন্ত্রণালয়ের
রোজিনা ইসলামের সঙ্গে আচরণ লজ্জাজনক: জি এম কাদের
নথি গায়েবের অভিযোগ, সাংবাদিক রোজিনা শাহবাগ থানায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
By noon

দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার আভাস

দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার আভাস

দেশের ১০ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Patients are being fraudulent at Kamlganj Upazila Health Complex NCPs central leader

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ নিয়ে রোগীদের সাথে জালিয়াতি হচ্ছে- এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ নিয়ে রোগীদের সাথে জালিয়াতি হচ্ছে- এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা

শয্যা সংখ্যা বাড়লেও সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বিপাকে ফেলছে রোগী, স্বজন ও দর্শনার্থীদের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে ছড়িয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা। সিঁড়ি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ও জানালার পাশে জমে আছে পলিথিন, পরিত্যক্ত খাবার, ব্যবহৃত সিরিঞ্জসহ নানান আবর্জনা। এসব ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় রোগী, স্বজন ও নার্সরাই জানালা দিয়ে বাইরে ফেলছেন, ফলে নিচে তৈরি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ দিয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি, ধসে পড়ছে পলেস্তার। হাসপাতালজুড়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। নামে ৫০ শয্যা হাসপাতাল হলেও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালের ১৩৬ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৮৬ জন। শূন্য রয়েছে ৫০টি পদ। সামান্য রোগ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসক ছাড়াও বিভিন্ন পদ শূন্য থাকায় সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ৭ বছর আগে এ হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজন অনুযায়ী জনবল নিয়োগ হয়নি।

রোববার দুপুরে তিনি এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই পরিদর্শনে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ। হাসপাতালটি ঘুরে দেখেন এবং রোগী, তাদের স্বজন ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন সমস্যার খোঁজখবর নেন। রোগীদের অভিযোগ শোনার পাশাপাশি চিকিৎসকদের কাছ থেকেও দৈনন্দিন কার্যক্রম ও সমস্যার কথা শোনেন তিনি। পরে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রীতম দাশ।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন যে সংখ্যক রোগী আসেন, তার তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম। পরিছন্নতাকর্মীও অপর্যাপ্ত। ৪ লাখ মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য মাত্র ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নেই। এতে চিকিৎসা সেবার মানও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় শুনে আসছি এই হাসপাতালে রোগীদের দুর্দশার কথা। তারা নানা ভাবে আমাদের জানিয়েছে। এই প্রতিষ্টানটা আমাদের প্রতিষ্টান। আমাদের ভ্যাট টেক্সের টাকা এটা চলে। শুতরাং এখানে যারা সেবাদান করছেন তাদের সবসময় মনে রাখতে হবে তাদের বেতনটা জনগনের টাকায় হয়। আমরা এখানে এসে যেটা দেখলাম ডাক্তার সহ অন্যান্য চিকিৎসক স্টাফ তেমন নেই। পাশাপাশি আরেকটা জিনিস আমরা লক্ষ করলাম,এখানে বর্তমানে যে পরিমানে জনবল আছে সে পরিমানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটা ওর্য়াডে যে পরিমান ময়লা,আবর্জনা পাশাপাশি বাতরুমে ডুকাই যায়না। রোগীরা এসে কি সেবা নিবে ভালো মানুষরাই রোগী হয়ে যাবে। যদি কোন ব্যক্তি এখানে এখানে একটা রোগের জন্য চিকিৎসা নিতে আসেন, বাসায় গেলে পরবর্তিতে আরও ৫টা রোগের ঔষধ নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করবো জেলা সিভিল সার্জন সহ সকল কর্মকর্তা এখানে এসে দেখে যান কি অবস্থা এই হাসপাতালের। দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। হাসপাতালে ঠিকমতো ঔষধ দেওয়া হয়না। সকল থেকে আমার এখানে দাড়িয়ে দেখছি তেম কোনো রোগী নাই। রেজিস্টার দেখানো হয়েছে অনেক রোগীকে ঔষধ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নাই। ঔষধগুলো কোথায় যায়? এছাড়া এই হাসপাতালে রাতের বেলা মাদকসেবন হয়, বিভিন্ন অপকর্ম হয়।একটা হাসপাতালে এসব কি? প্রশাসন সহ সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এই হাসপাতালটা নিজেই দুখছে। হাসপাতালে অনেক জায়গায় লাইট নষ্ট হয়ে থাকায় অন্ধকার থাকে। বৃষ্টি হলে হাসপাতালের বেডের উপড় পানি পড়ে। আসলে এগুলো সমাধান না হলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

প্রীতম দাশ বলেন, আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে দ্রুত স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলব, যেন এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, পরিছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই হাসপাতাল কখনো ঠিক হবে না। কারো নজর নেই এখানে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের আশেপাশে একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন হাসপাতালের দায়িত্বরন কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া ৬বছর ধরে এই হাসপাতালে আছেন। কিন্তু এই ৬বছর ধরে হাসপাতালের কোনো উন্নতি হয়নি।বরং তিনি কোটি টাকার জায়গা জমি কিনেছেন এখানে। উনার দূর্নীতি শেষ নাই।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসনাত আলী অভিযোগ করে বলেন, একমাত্র সমাধান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া ও স্যানেটারী অফিসার দুলাল মিয়াকে এখান থেকে বদলি করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

এদিকে তারেক আহমদ নামে একজন ফেইসবুকে হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে একজন সাংবাদিকের একটি পোস্টের কমেন্টে করেছেন। তিনি সেই কমেন্টে লিখেছেন মানুষের চিকিৎসার সেবাকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া। তারে নিয়া ঠিক মত নিউজ করেন সে দুর্নীতি করতেছে তার কারণে কোন এমবিবিএস ডাক্তার আসতে পারছে না, মহিলা ডেলিভারি রুম খুবই খারাপ অবস্থা এটাই নিয়ে কিছু কথা বলেন তারেক আহমদ।

দায়সারা কথা বললেন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, প্রথম শ্রেণির ডাক্তার এবং কনসালটেন্ট সহ ১৯টা পদ আছে। তার মধ্যে ৮পদে লোক আছে। বাকিগুলো খালি।

মন্তব্য

জাতীয়
Government is working on the production of vaccine in the country Fisheries Advisor

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করছে সরকার: মৎস্য উপদেষ্টা

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করছে সরকার: মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাণি থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানো মারাত্মক হতে পারে। তাই প্রাণির রোগ নিয়ন্ত্রণ করা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমরা বিশেষ কোন রোগ জানা মাত্রই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। সকল প্রাণিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা প্রাণি থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানোর চান্স দিতে চাই না।

রোববার দুপুরে রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়ার মিলনায়তনে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ মাংস, দুধ, ডিম পেতে হলে প্রাণিকে নিরাপদ ও রোগমুক্ত করতে হবে। আমরা যেহেতু ভ্যাকসিন আমদানি করি, তাই দাম বেশি হওয়ায় খামারিরা প্রাণিদের ঠিকমত ভ্যাকসিন দিতে পারে না। আমরা সকল প্রাণিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ান হেলথ কনসেপ্টের আওতায় মানুষ ও প্রাণি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, যুগ্ম সচিব মোসাম্মৎ জোহরা খাতুন, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকারসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন নিয়ে উত্তেজনা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে কর্মশালায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শিত হওয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। রোববার দুপুর রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়ার মিলনায়তনে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেন্টেশন দেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী গোলাম রব্বানী।

প্রকল্পের তথ্য-চিত্র প্রদর্শনের সময় একটি স্লাইডে প্রশিক্ষণ কর্মশালার ছবিতে হলরুমে অতিথিদের মাথার উপর শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি দেখা যায়। চব্বিশের গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী পতিত সরকার প্রধানের ছবি প্রদর্শন নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী করেন।

এ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে হতে পারে না। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হয় তবে সেটি চরম অবমাননাকর। এত মানুষের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমলে এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যিনি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেছেন, তিনি বলেছেন এটি ভুলক্রমে হয়েছে। তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মনে করছি ফ্যাসিবাদ জাস্ট চলে গেছে। ফ্যাসিবাদ অনেক রকম রূপে রয়েছে, তার প্রতিফলন নানাভাবে ঘটছে। আমরা যখন বিষয়গুলো জানতে পারছি, তাক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।

মন্তব্য

জাতীয়
Thousands of people in the absence of a bridge

একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৮নং ধাক্কামারা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর ওপর স্থায়ী সেতু হয়নি। ফলে নদীর দুই তীরে থাকা অন্তত কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আজও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে। ভরসা কেবল একটি কাঠের সাঁকো। এতে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে স্থানীয়দের।

গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন কাঠের সাঁকো পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি কার্যক্রমে পড়ছে বড় ধরনের বাধা। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি জরুরি মুহূর্তে রোগী বা গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষার সময় ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানান, একদিকে নেই গাড়ি যাতায়াতের সেতু অপরদিকে নেই রাস্তাঘাট। এ কারণে এই এলাকায় কেউ আত্মীয়তা করতে চায় না। তাই এই নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থী, কৃষক, নারী-পুরুষ সবার জীবনযাত্রায় আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। শুধু তাই নয়, এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সেতুটি হবে মাইলফলক।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বারবার দাবি জানিয়েছি, এখানে একটা স্থায়ী সেতু খুবই দরকার। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা হওয়া উচিত।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলব। এখানে যাতে স্থায়ী সমাধান হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

একটি সেতু শুধু যোগাযোগের পথ নয়, বদলে দিতে পারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির চিত্র। নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতুই বদলে দিতে পুরো এলাকার ভাগ্যচিত্র।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপির) আওতায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র কয়েকদিনের মধ্যে পাঠাব।

মন্তব্য

জাতীয়
Penalty for a lifetime of expulsion of three leaders and activists of the banned Chhatra League in Mabhaviprabi

মাভাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীকে আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

মাভাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীকে আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) সামগ্রিক শৃঙ্খলা অবনতি, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদান পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটানো এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধঘোষিত) ১৯ জন নেতা-কর্মী।

এদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে আজীবন, ১ জনকে ৫ সেমিস্টার, ৭ জনকে ৪ সেমিস্টার ও ৭ জনকে ৩ সেমিস্টার পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রিজেন্ট বোর্ডের ৪নং আলোচ্যসূচিতে ছিল বিষয়টি ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।

বাকি ১৫ জনকে তাদের অপরাধের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন মেয়াদে শান্তি এবং বহিষ্কার আদেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানায়, একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাখিলকৃত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪৭তম (জরুরি) রিজেন্ট বোর্ড সভায় ১৯ জন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৮তম সভায় পুনর্গঠিত অধিকতর তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ এবং অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত এবং সুপারিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে সাময়িক বহিষ্কার আদেশপ্রাপ্ত ১৯ জন শিক্ষার্থী দোষী প্রমাণিত হয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীল (ইএসআরএম), সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির (অর্থনীতি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাওন ঘোষ (অর্থনীতি) ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাদিক ইকবাল (পদার্থবিজ্ঞান)। সহসভাপতি রায়হান আহমেদ শান্তকে (পদার্থ বিজ্ঞানকে) ৫ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া চার সেমিস্টারে জন্য ৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- খালেকুজ্জামান নোমান (অর্থনীতি), সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র (গণিত), মো. আব্দুল্লাহ সরকার উৎস (গণিত বিভাগ), মো. আবিদ হাসান মারুফ (গণিত), রানা বাপ্পি (রসায়ন বিভাগ), মো. যোবায়ের দৌলা রিয়ন (রসায়ন), নাহিদ হাসান (ব্যবস্থাপনা)।

আরও ৭ জনকে তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- সুজন মিয়া (অর্থনীতি বিভাগ), জাহিদ হাসান (হিসাববিজ্ঞান), মো. নাঈম রেজা (অর্থনীতি), ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু (সিপিএস), মো. রিফাত হোসেন (হিসাববিজ্ঞান) বিভাগ, ইমরানুল ইসলাম (সিপিএস), মো. আনোয়ার হোসেন অন্তর (পদার্থবিজ্ঞান)।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন বলেন, নিয়মতান্ত্রিক তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যদগুলোর অনুমোদনক্রমে ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Salika Champion in Magura Interpresscab Football Tournament

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে শালিখা চ্যাম্পিয়ন

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে শালিখা চ্যাম্পিয়ন

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে মাগুরা প্রেসক্লাবকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শালিখা প্রেসক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

মাগুরা প্রেসক্লাব আয়োজিত সকল উপজেলার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কৃষিবিদ গ্রুপ ও ইম্পেরিয়াল রিয়েল স্টেট লিমিটেডের সহযোগিতায় ও মাগুরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে গত শনিবার মাগুরা স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মাগুরা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল।

মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা একটি ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। দিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে চার উপজেলার সাংবাদিকদের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশে যেন এক মিলনমেলা বসে ছিল স্টেডিয়াম।

এ খেলায় অংশ নেন ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল বয়সের সাংবাদিকরা। প্রতি উপজেলা থেকে ২০ জন করে সাংবাদিক এ আয়োজনে অংশ নেন।

মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম ও টুর্নামেন্টের উদ্বোধক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক কৃষিবিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল। এছাড়া মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাগুরা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক শাহিন আলম তুহিন, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল ও শালিখা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব মিয়া।

প্রথম সেমিফাইনালে মাগুরা প্রেসক্লাব ৪-০ গোলে শ্রীপুর প্রেসক্লাবকে পরাজিত করে। অপরদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শালিখা প্রেসক্লাব ১-০ গোলে মহম্মদপুর প্রেসক্লাবকে পরাজিত করে। খেলা শেষে সাংবাদিকদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন , মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের এমন আয়োজন সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। সাংবাদিকরা যে শুধু কলমের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে তাই নয় তারা খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে । আর এটা দেখে বাংলাদেশের সব জেলার সাংবাদিকদের এ ধরনের আয়োজনে অনুপ্রাণিত করবে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য অতিথিরা মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিককে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপের পাশাপাশি চার উপজেলার প্রেসক্লাবের মাঝে শুভেচ্ছা ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। এছাড়া ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে সেরা প্রতিবেদনের জন্য মাগুরা প্রেসক্লাবের ৪ সাংবাদিককে সেরা সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

সেরা সাংবাদিক চারজন হলেন, এনটিভির মাগুরা স্টাফ করোসপন্ডেন্ট শফিকুল ইসলাম শফিক, নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মতিন রহমান, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহিন আলম তুহিন এবং ডেইলি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জেলা প্রতিনিধি লিটন ঘোষ।

এছাড়া জুলাই-আগস্টের শহীদ ও প্রয়াত সাংবাদিকদের মাগফিরাত কামনায় মাগুরা প্রেসক্লাবে বাদ জোহর দোয়া মাহফিল ও মধ্যাহ্ন ভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Floods in the north issued alert

উত্তরে বন্যার পদধ্বনি, পাউবো ও কৃষি বিভাগের সতর্কতা জারি

উত্তরে বন্যার পদধ্বনি, পাউবো ও কৃষি বিভাগের সতর্কতা জারি

উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরের নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিন দিন উজানের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তী মানুষের জানমাল ও কৃষি রক্ষায় সতর্ক করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার দিনভর ডালিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাউবোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে এবং এর উজান ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেই সাথে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চর প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে বন্যার পূর্বাভাস জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য ইউনিট সতর্কতা জারি করেছে। তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শংঙ্কায় সেখানকার পরিপক্ক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করা, জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা এবং জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করা, আমন ধানের জমির

নিষ্কাশন নালা পরিস্কার রাখা, আমন ধানের জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশাক প্রয়োগ বন্ধ রাখা, কলা ও দন্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা, আখের ঝাড় বেঁধে দেয়া, গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি থাকার জায়গা পরিস্কার ও শুকনো রাখা, পুকুরের চারপাশে উঁচু করে দেয়া, অতিরিক্ত পানিতে মাছ রক্ষায় চারপাশে জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার পুরো ইউনিয়নই তিস্তা নদী বেষ্টিত। তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি আমি নদীর তীরবর্তী বসবাসকারীদের জানিয়ে দিয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথেও যোগযোগ করা হয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৩ দিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পারে। এ তথ্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে