× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বেঁচে থাকলে আত্মীয়দের সাথে আবার দেখা হবে প্রধানমন্ত্রী
google_news print-icon

‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেন সবাই ছোটাছুটি না করে’

জীবনের-ঝুঁকি-নিয়ে-যেন-সবাই-ছোটাছুটি-না-করে
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে মানুষগুলোর জীবন চলে যায়, আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকেন, তাদের কষ্টের কথাটা আপনারা একবার চিন্তা করবেন। কাজেই এটুকু ধৈর্য ধরতে হবে। যেকোনো একটা বিপদ এলে ধৈর্য ধরতে হবে, সবুর করতে হবে। সেই সবুরটা সবারই করা উচিত। নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ছাড়তে গিয়ে যেন কোনো প্রাণহানি না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভিডিও কনফারেন্সে বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেটে নতুন চারটি মেরিন একাডেমিসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ছয়টি প্রকল্পের নতুন অবকাঠামো ও জলযান উদ্বোধন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন করোনার সময়। আত্মীয়স্বজনের সাথে তো বেঁচে থাকলে দেখা হবেই। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদ উপলক্ষে সবাই ছোটাছুটি না করে, যে যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদটা উদযাপন করেন।

‘যারা বিত্তশালী আছেন, তারা পারলে দুস্থদের সহযোগিতা করেন। এটা আরও বেশি সওয়াবের কাজ হবে বলে আমি মনে করি। কাজেই নিজেরা সুরক্ষিত থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘করোনা যাতে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে, এ জন্য সবার কাছে আমার অনুরোধ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলুন। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত একেবারে না পারলে আপনারা করবেন না। এই যাতায়াতটা করতে গেলেই কে যে সংক্রমিত হবে, আপনি জানেন না। কিন্তু সে যখন অন্য জায়গায় যাবে অনেক লোককে এই করোনা সংক্রমিত করবে।

‘তাদের জীবন নিয়ে সংকট দেখা দেবে। সেটা যাতে না হয়, এ জন্যই আমরা এই যাতায়াতটা সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সেই সাথে যেন আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো অব্যাহত থাকে সেটিও সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সে ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে মানুষগুলোর জীবন চলে যায়, আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকেন তাদের কষ্টের কথাটা আপনারা একবার চিন্তা করবেন। কাজেই এটুকু ধৈর্য্য ধরতে হবে। যেকোনো একটা বিপদ আসলে ধৈর্য্য ধরতে হবে; সবুর করতে হবে। সেই সবুরটা সকলেরই করা উচিত। নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।’

ঈদের এ সময়ে নৌযানে যাতায়াতকারী এবং পরিচালনাকারী সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ ছয় ঋতুর দেশ। প্রতি দুই মাস পরপর ঋতু পরিবর্তন হয়। এখন কালবৈশাখীর সময় যারা চলাচল করবেন একটু সাবধানে চলাচল করবেন।

‘যারা এই নৌযানগুলো চালান বা পরিচালনা করেন বা ব্যবসা করেন, যাত্রীদের সুরক্ষা যেমন তাদের দেখতে হবে, আবার যাত্রীদেরও নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। একটা নৌযানে কতজন মানুষ উঠতে পারে? ঠেলাঠেলি করে একসাথে সবাই উঠতে গিয়ে তারপর একটা এক্সিডেন্ট হবে আর নিজেদের জীবনটা চলে যাবে। এ ব্যাপারে সকলকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।’

এ সময় প্রত্যেক নৌযানেরই নিবন্ধন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব নৌযান চলাচল করে প্রত্যেকটিরই রেজিস্ট্রেশনের সিস্টেম থাকা উচিত। এই রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে অনেক সময় ক্ষতিপূরণ ঠিক করা যায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার জানেন আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেরিন একাডেমি তৈরি করে দিয়েছি। উপযুক্ত ট্রেনিং দিচ্ছি।

‘আবার উন্নত ট্রেনিং দেশে এবং বিদেশের সমুদ্রপথেও যেন কাজ করতে পারে, এ জন্য বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে এই জলযান পরিচালনা আমরা যদি করতে পারি, তাহলে এক্সিডেন্ট কিন্তু কমে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘কয়েকটি দিকে নজর দিতে আমি সবাইকে অনুরোধ জানাব। একটা হলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা। আর নৌকা বা নৌযান চলতে গেলে কিন্তু কতগুলো নিয়মও মেনে চলতে হয়।

‘হয়তো এক জায়গায় একটা ঘটনা ঘটল। সবাই একদিকে ছুটে গেলেন সেটা দেখতে। সেখানেই কিন্তু নৌকাডুবি হয়ে যেতে পারে বা লঞ্চ ডুবে যেতে পারে। কাজেই এ নিয়মগুলো মেনে চলা অপরিহার্য। সেদিকে সবাই মিলে দৃষ্টি দেবেন।’

ভিডিও কনফারেন্সে দেয়া বক্তব্যে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি, এই মহামারি আমাদের দেশের মানুষকে সত্যিই খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

‘অতি দরিদ্র কর্মহীন বা দিনমজুর বা এখন কোনো কাজ করতে পারছেন না, রিকশাভ্যান পরিবহন শ্রমিক, কৃষক এবং স্বল্প আয়ের ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে ইতোমধ্যে আমরা আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করেছি। এ ছাড়া এই রোজার মধ্যে আমাদের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বিভিন্নভাবে আমরা এই সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’

খনন হবে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ

২০২৪-২৫ সালের মধ্যে দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সর্বমোট ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ছিল। এর মাত্র ছয় হাজার কিলোমিটার পরিবহন কাজে ব্যবহার হতো। শুষ্ক মৌসুমে সেটি অর্ধেকে নেমে এসেছিল। সারা দেশে ব্যাপক নদী খনন করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। এখানে একটা কথা বলে রাখি, শুধু খনন করলেই চলবে না। ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার পর প্রতি বছর কিন্ত মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে।

‘একবার খনন করে ছেড়ে দিলেই চলবে না। এর কারণ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি পলি বহন করি আমরা বাংলাদেশ। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’

পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো নৌপথের উন্নয়নে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখেনি বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতায় ছিল আপনারা যদি হিসাব করে দেখেন এ মাটিতে তাদের জন্ম ছিল না। এ দেশের মানুষকেও তারা জানে না। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী।

‘তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। মানুষের উন্নয়নে তারা কোনো কাজ করেনি বা যে পদক্ষেপগুলো জাতির পিতা নিয়েছিলেন সে পদক্ষেপগুলি যতদিন পারে শুভফলটা ভোগ করেছে। কিন্তু তা অনুসরণ করে উন্নয়নে কোনো অবদানই রাখেনি।’

তিনি বলেন, ‘একসময় আমাদের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ছিল নৌপথ। সবচেয়ে অল্প খরচে আর নিরাপদে নৌপথেই পণ্য পরিবহন করা যায়। এর ফলে তার দামও কম হয় আর মানুষের কাজেও লাগে।

‘কিন্তু পঁচাত্তর পরবর্তী যারা ক্ষমতায় আসে তারা ব্যবসাটা বড় করে দেখত। তাদের নানাজনের যেমন বাসের ব্যবসা, ট্রাকের ব্যবসা এসব ব্যবসার দিকে যতটা মনোযোগ দিয়েছে তারা নৌপথে সে যত্ন নেয়নি।’

‘ঘাসিয়ার খাল বন্ধ হলে কোথায় ছিলেন’

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারীদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘একটা কথা আমি বলব। আমাদের অনেকেই সুন্দরবন নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করেন, অনেক কথা বলেন। আমরা যখন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে গেলাম তার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

‘তাদের কাছে আমার প্রশ্ন ঘাসিয়ার খালটা যখন বন্ধ হয়ে গেল আমাদের আন্দোলনকারীরা তখন চুপ ছিলেন কেন?’

মোংলা বন্দরে নৌযানে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য ঘাসিয়ার খাল নামে একটি নৌপথ ব্যবহার করা হতো। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিলে খালটিও ধীরে ধীরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কখনো এ কথাটা আনেননি কেন যে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে পণ্য পরিবহন করলে জীববৈচিত্র্যও নষ্ট হবে আর পরিবেশও নষ্ট হতে পারে। যখন মোংলা বন্দরটা করা হয় তখনও যেন সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

‘আমরা যেটা করেছি সেটাও এখান থেকে অনেক দূরে এবং আমাদের ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ হিসেবে সুন্দরবনের যে অংশটা ঘোষণা দিয়েছে সেখান থেকেও প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে।’

তিনি বলেন, ‘এখানেই আমরা সুপার ক্রিটিক্যাল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করছি। আর এই একটা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে ওই অঞ্চলের মানুষ যাদের কোনো কাজই ছিল না। কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল না।

‘এই মোংলা বন্দরটাই তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিত। এখন এই একটা প্রকল্প ঘিরে তাদের অনেক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে এবং জায়গাটার অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
চার মেরিন একাডেমিসহ ৬ প্রকল্প উদ্বোধন
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স: প্রধানমন্ত্রীর সাত পরামর্শ
‘নিজেদের টাকায় নিজেরা চলবেন’
সরকার উৎখাতের বক্তৃতা দাতারা কোথায়: শেখ হাসিনা
প্রতিবন্ধী স্কুলে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Emergency landing aircraft with 3 passengers
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি

১৫৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় জরুরি অবতরণ বিমানের

১৫৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় জরুরি অবতরণ বিমানের

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই ফিরে এলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইট। ইঞ্জিনে ক্রটি দেখা দেয়ায় ২৫০০ ফিট ওপরে ওঠানোর পর ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।

গতকাল সকালে বিমানের বিজি ৫৮৪ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। বিমানে মোট ১৫৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। সব যাত্রী-ক্রু নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় ৮টা ৩৮ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই, প্রায় ২৫০০ ফিট উচ্চতায় পৌঁছালে বিমানের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিনসংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে বিমানটি বাংলাদেশ সময় ৮টা ৫৯ মিনিটে সম্পূর্ণ নিরাপদে অবতরণ করে এবং বিমানবন্দরের বে-১৪ নম্বরে পার্ক করা হয়।

সম্ভাব্য বার্ড স্ট্রাইক ভেবে অবতরণের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পরিদর্শন করে। তবে সেখানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু বা পাখির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দর জানায়, কারিগরি পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
In a special police operation 5900 arrested across the country

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেফতার ১ হাজার ৬১৬ জন

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেফতার ১ হাজার ৬১৬ জন

পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে ঢাকাসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৬১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১ হাজার ৬০ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৫৬ জন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর আজ এ তথ্য জানান।

এ সময় একটি বিদেশী পিস্তল ও চার রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The government is working to increase the production of Karnaphuli paper mill paper Industrial Advisor

কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিল্প উপদেষ্টা

কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিল্প উপদেষ্টা

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, কর্ণফুলী পেপার মিলের কাগজ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। কারখানাটি পুরোদমে উৎপাদনে থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আজ রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেডের (কেপিএমএল) অতিথি ভবনের সম্মেলনকক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কেপিএমএলের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। আজ এক তথ্য বিবরণীতে একথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মিলের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে। বিদেশি ক্যামিকেলের ওপর নির্ভর না করে দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

মতবিনিময় সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, কেপিএমএলের এমডি শহীদ উল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কেপিএমএল সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকসহ কেপিএমএলের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে তিনি কেপিএমএল কারখানা পরিদর্শন করেন এবং কারখানার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।

মন্তব্য

জাতীয়
The temperature of heavy rainfall in four sections is unchanged

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা অপরিবর্তিত

দেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো ও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল আরিচায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে।

মন্তব্য

জাতীয়
The Law Ministry will withdraw 25000 false cases in the next 6 months

আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে

আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে। এর ফলে এই সব মামলায় জড়িত ব্যক্তিরা চিরতরে সকল কলঙ্ক ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।’

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত (২৮ মে পর্যন্ত) ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কাজ চলছে।

ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তাও চেয়েছিল তারা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কর্তৃক অবহেলার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয় এই আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ের কমিটি ও আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করে কমিটি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলোও প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে রাজনৈতিক মামলার তালিকা পাঠাতে পারে।

এর আগে ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিএনপি ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল।’

তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি, নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করে, ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

আইন উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল দুটিকে তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিট (যেখানে প্রযোজ্য) এর মতো প্রাসঙ্গিক নথি না পাঠানোর জন্যও দোষারোপ করে বলেছেন যে, এটি মামলা প্রত্যাহার বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণ।

উপদেষ্টা সম্প্রতি তার যাচাইকৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে, ২০২৫ তারিখে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ইতোমধ্যে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলার তালিকাসহ এফআইআর ও চার্জশিট জমা দিতে আইন মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Former CEC Nurul Huda is on the second time remand on a 3 day remand

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে

সাবেক সিইসি নুরুল হুদা দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে

অন্যায়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ চার দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দ্বিতীয় দফায় তাকে ফের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন ২৩ জুন তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরে বাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার। অপর দিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাফিজুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Kuchri Mahal is chaotic in the government office using BNP name Rizvi

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’

শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’

রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’

বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’

p
উপরে