× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
হঠাৎ গরম থেকে নরম হেফাজত
google_news print-icon

হঠাৎ ‘গরম’ থেকে ‘নরম’ হেফাজত

হঠাৎ-গরম-থেকে-নরম-হেফাজত
মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের কথাবার্তা অনেকটা নরম হয়ে এসেছে। ছবি: নিউজবাংলা
গত মার্চ থেকে বারবার সরকার ফেলে দেয়ার ‍হুমকি দেয়া হেফাজত নেতারা এখন বলছেন, সরকার ফেলে দেয়া তাদের কাজ নয়। হেফাজতের এই অবস্থান পরিবর্তনে কাজ করেছে ‍দুটি ঘটনা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডবের পর গ্রেপ্তার অভিযান এবং সোনারগাঁয়ে মামুনুল হকের রিসোর্ট-কাণ্ড। এইসব ঘটনাপ্রবাহে চুপসে গেছে সংগঠনটি।

২৫ মার্চ। বায়তুল মোকাররমের সামনের সমাবেশে বক্তা হেফাজত নেতা মামুনুল হক। বক্তব্যের ভাষা বেশ আক্রমণাত্মক। বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির আগমনই হবে সরকারের পতনের ক্ষেত্র, যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে।’

২৭ মার্চ। পরদিনের হরতালকে সামনে রেখে আবার বায়তুল মোকাররমের সামনে হেফাজতের সমাবেশ। এবার একই ধরনের বক্তব্য কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমীর। বলেন, ‘হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।’

৩১ মার্চ। হরতালে তাণ্ডবের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়া ১১ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে তুলাধুনা করে হেফাজতের বিবৃতি। বক্তব্য: ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসী ভারতের করদরাজ্যে পরিণত করার চক্রান্ত আমরা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে নস্যাৎ করে দিব, ইনশা আল্লাহ।… কোনো অপশক্তির হুমকি-ধমকিকে নায়েবে রাসূল ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতা পরোয়া করে না।’

২ এপ্রিল। বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের সমাবেশ। মামুনুল হক বললেন, ‘সাবধান হয়ে যান আমাদের ভাইদের একজনকেও আর গ্রেপ্তার করবেন না। মামলা প্রত্যাহার করুন যাদেরকে গ্রেপ্তার করেছেন তাদের।’

৭ এপ্রিল। জাতীয় সংসদে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হেফাজতের বিবৃতি। ‘আমরা কোনো ধরনের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করি না। কোনো সংঘাত চাই না। কিন্তু আমাদের উসকানি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তার পরিণতি সরকারের জন্য ভালো হবে না।’

এর পর দিন হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরীর নামে গণমাধ্যমে বিবৃতি। তার বক্তব্য: ‘হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন। কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো কিংবা কাউকে ক্ষমতায় বসানো হেফাজতের কাজ নয়। আমরা শান্তিপ্রিয় এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে।’

গত কয়েক মাস ধরে সভা-সমাবেশে, ওয়াজে হুমকি ধমকি দিয়ে আসা কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠনটি মার্চের শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা চালায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারী নিয়ে মামুনুল হক অবরুদ্ধ হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করতে গিয়েও তাণ্ডব চালায় হেফাজত কর্মীরা।

হঠাৎ ‘গরম’ থেকে ‘নরম’ হেফাজত
হরতালে সারাদেশে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা

সোনারগাঁ তো বটেই, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের ছাতকেও ত্রাস তৈরি করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুক লাইভে চলতে থাকে হুমকি ধমকি।

তবে সরকারপ্রধান পার্লামেন্টে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিক স্থানে যখন হেফাজতকে সতর্ক করে দিয়ে কড়া বক্তব্য রাখেন, সেইসঙ্গে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়, তখন হেফাজতের বক্তব্য নরম হয়ে আসে। বাবুনগরীর শেষ বিবৃতিতে কোনো ধরনের হুমকি নেই বরং জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে।

হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এতে বলা হয়েছে, ‘অন্যথায় আলেম-ওলামার সঙ্গে বাড়াবাড়ির কারণে সরকার নিঃসন্দেহে জনগণের কাছে আরও ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।’

নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এলে ‘সরকার পতনের ক্ষেত্র তৈরি করার’ ঘোষণা দেয়ার পর ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ত্রাস চালায় হেফাজত। আক্রমণ হয় বহু সরকারি স্থাপনা, এমনকি থানায়।

দুই দিন পর হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাণ্ডব ছিল নজিরবিহীন। সরকারি বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি সেখানে হামলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্নগুলোতে। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে যানবাহনে চলে তাণ্ডব।

তবে এখন কিছুই স্বীকার করে না হেফাজত। সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নোমান ফয়েজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে আমরা সরকারকে কোনো হুমকি দেইনি। এখানে বোঝার ভুল আছে, যা আমাদের আমির স্পষ্ট করে বলেছেন। আমরা কারও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করি না, কারও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ারও হই না। কোনো রাজনৈতিক ফাঁদে আমরা পা দেব না। এ কারণে দেশের বিরোধী জোটগুলো বিভিন্ন সময়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও লাভবান হয়নি।’

হঠাৎ ‘গরম’ থেকে ‘নরম’ হেফাজত
হরতালে হেফাজত সবচেয়ে তাণ্ডব চালায় নারায়ণগঞ্জে। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার কথা, অদূর ভবিষ্যতেও হেফাজতে ইসলাম কারও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে না। আর সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মসূচি ছিল বলে যেটা বলা হচ্ছে, এটাও ঠিক না।’

এভাবে ‘উত্তপ্ত’ থেকে ‘শীতল’ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাশেমী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন লকডাউনের বিষয়টি সামনে চলে আসছে। আমাদের কর্মীরাও অনেকে আহত, প্রতিদিনই কিছু কিছু গ্রেপ্তার হচ্ছে। এ বিষয়গুলো আমরা আগে দেখছি। আমরা সরকারের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার দিকে যাচ্ছি না। তার আসলে প্রয়োজনও নেই।’

বাবুনগরীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সরকারের পতন ঘটানো আমাদের কাজ না। তবে হয়ত কেউ কেউ গরম কথা বলে থাকতে পারেন। কিন্তু আমাদের সংগঠনের আমির যে কথা বলেছেন, সেটাই বাস্তব কথা।’

তা হলে হরতালের মতো কর্মসূচি কেন দিয়েছিলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর হাটহাজারী ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় জুলুম হয়েছে তাই আমরা এমন কর্মসূচি দিয়েছি।

‘হেফাজতে ইসলাম একটা দ্বীনি আন্দোলন। ধর্মীয় বিষয়ে যদি কোনো আঘাত আসে, সে বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করি। আর নরেন্দ্র মোদির বিষয়টাও এ রকমই ছিল। মোদি ভারতের মুসলমানদের টার্গেট করে কাজ করেছে। যেহেতু আমরা ধর্মীয় ইস্যুতেই কাজ করি, মুসলমানরা যেখানে নির্যাতিত হয়, সেখানেই তো আমাদের কথা বলার অধিকার আছে।’

হঠাৎ ‘গরম’ থেকে ‘নরম’ হেফাজত
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা অনেকটা চুপ। ছবি: নিউজবাংলা

‘শান্তি’ চান মামুনুলও

গত বৃহস্পতিবার বহুল আলোচিত ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হক বলেছেন, তারা শান্তি চান। যে করোনা মহামারি এতদিন তিনি স্বীকার করতে চান নি, সেই পরিস্থিতিতে এখন একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথাও বলেছেন।

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সকল মহলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। কেউ কারও ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করব না। অন্য কারও সঙ্গে মতের অমিল থাকতে পারে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, সেখানে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবেন, কোনো আদর্শিক ভিন্নতা থাকতে পারে, আদর্শিকভাবে আপনি আপনার যুক্তিতর্কসহ ভিন্ন মতাদর্শকে মোকাবিলা করবেন।’

করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে সেদিন তিনি বলেন, ‘সকল মহলকে আহ্বান জানাব, আসুন বিশ্বে কোভিড নাইনটিনের যে ভয়াবহ পরিবেশ বিরাজ করছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা দেশবাসী সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করি।’

অথচ, ২ এপ্রিল বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, সরকার করোনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। সেদিন মামুনুলের উপস্থিতিতে সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনাইদ আল হাবীব বলেন, ‘করোনা হওয়ার পর স্ত্রী পুত্র তাদের পাশে আসে না। ছেলেমেয়েরা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তার রুমের ভেতরে গিয়েছি, মাথার পাশে বসেছি, মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়েছি, দোয়া করেছি। মাশাআল্লাহ আমার করোনা হয় নাই, আমার ফ্যামিলির কারো করুণা হয় নাই। সুতরাং এই অজুহাত দেখিয়ে ইসলামি সম্মেলন তারাবির নামাজ, মাদ্রাসা মসজিদে নামাজ বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না। করলে হেফাজত ইসলাম আবার মাঠে নামবে।’

হঠাৎ ‘গরম’ থেকে ‘নরম’ হেফাজত
নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে সরব উপস্থিতি দেখা যায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের।

‘অরাজনৈতিক’ হেফাজতের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা

২০০৯ সালে ঘোষিত নারী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পরের বছর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার শাহ আহমেদ শফীকে প্রধান করে গঠন করা হয় হেফাজতে ইসলাম। একে অরাজনৈতিক সংগঠন বলা হলেও আহমেদ শফী ছাড়া শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবারই রাজনৈতিক পরিচয় ছিল। সে সময় শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সবাই ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক।

বেশ কিছুদিন বিরতির পর ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন গণজাগরণের নেতাদের ফাঁসির দাবিতে হঠাৎ মাঠে নামে হেফাজত। তাদের কর্মসূচিতে লাভবান হওয়ার সুযোগ ছিল বিএনপির শরিক জামায়াতে ইসলামীর। কারণ, তাদের শীর্ষ নেতারা তখন ফাঁসির দড়ির সামনে।

ওই বছরের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বর ও আশপাশে তাণ্ডবের সময় তখনকার ২০ দলীয় জোটের শরিক হেফাজত নেতারা স্পষ্টতই সরকার পতনের কথা বলেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোটও সে সময় হেফাজতের ওই কর্মসূচিকে ঘিরে উৎসাহী হয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা বলেছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হেফাজতের পক্ষে নেমে আসতে তার নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছিলেন।

এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহে কওমিপন্থিদের সঙ্গে বিএনপির বিভেদ তৈরি হয় আর কওমিদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নেয় আওয়ামী লীগ। কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে দেয়া হয় ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্সের সমমান। প্রথমবারের মতো সরকারি চাকরি পেতে শুরু করেন কওমি আলেমরা।

তবে গত বছর শাহ আহমেদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে আবার বিএনপি সম্পৃক্তরা নেতৃত্বে চলে আসেন। গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির করে যে কমিটি গঠন করা হয়, তাতে সিংহভাগকেই বিএনপি জোটের শরিক বিভিন্ন ইসলামী দল থেকে নেয়া হয়েছে।

১৫১ সদস্যের কমিটিতে ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতাই আছেন ৩২ জন। জোটের আরেক শরিক খেলাফতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারাও স্থান পেয়েছেন এতে।

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত মামুনুল হকের খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে এলেও সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কাছাকাছি এসেছে।

হঠাৎ ‘গরম’ থেকে ‘নরম’ হেফাজত
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর তাণ্ডব চালিয়ে মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নিচ্ছেন হেফাজতের কর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা

মামুনুলকাণ্ডে বিব্রত

মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর তার পক্ষে প্রকাশ্যেই অবস্থান নেয় হেফাজত। তবে মামুনুলের দ্বিতীয় বিয়ের দাবি যখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে, তখন সংগঠনের নেতারা এই বিষয়টি নিয়ে আগের মতো সোচ্চার নন। কথা বলাও কমিয়ে দিয়েছেন তারা। এমনকি মামুনুলকে সংগঠন থেকে বাদ দেয়ার আলোচনাও আছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রচার সম্পাদক নোমানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যাচাই করে দেখেছি তিনি সঠিক আছেন। তবে এ বিষয়ে যদি আমিরে হেফাজত (বাবুনগরী) মনে করেন তার সংগঠনে থাকা ঠিক না, তবে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।’

শুরুতে মামুনুলের রিসোর্টকাণ্ড ও কথিত ‘দ্বিতীয় বিয়ে’ নিয়ে যারা ‘অপপ্রচার’ করেছেন তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলার হুমকি দিয়ে আসা সংগঠনটি গত সাত দিনে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। গত ৭ এপ্রিল থেকে আসা কোনো বিবৃতিতে এই প্রসঙ্গটি উল্লেখই নেই। এদিকে মামুনুল হক ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে বিভক্তি ঠেকানোর আকুতি জানিয়েছেন। বলেছেন, তারা বিভক্ত হলে তার পরিণাম ভালো হবে না।

অথচ রিসোর্টকাণ্ডের পর দিন ৪ এপ্রিল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক প্রতিবাদ সভায় বলা হয়, ‘হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে যদি কেউ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তবে তার গদি টিকবে না।’

হেফাজতের ইসলামের সহকারী মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজী সেদিন মামুনুল হকের ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা জানি, ওগুলো কাট-ছাঁটকরা যায়। এগুলো আইনবিরোধী। এ জন্য আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেব।’

মামুনুলকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফেসবুক লাইভে এসে। তবে তিনি এসব ফোনালাপকে কার্যত সত্য বলে স্বীকার করে নেন। আর এর পরেই চুপসে যান হেফাজত নেতারা।

মামুনুল হকের সোনারগাঁওয়ের ঘটনায় কল রেকর্ড ফাঁস নিয়ে হেফাজতের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ফজলুল করিম কাশেমী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।’

আরও পড়ুন:
হাটহাজারীতে বৈঠকে বসেছেন হেফাজত নেতারা
হেফাজতের তাণ্ডব: বাখরাবাদে হামলার ‘উসকানিদাতা’ গ্রেপ্তার
হেফাজতের তাণ্ডবে এবার পটিয়ায় গ্রেপ্তার ৫
‘হেফাজতের সঙ্গে আপস আমাদের মস্তবড় ভুল’
সোনারগাঁয়ে আ. লীগ কার্যালয় ভাঙচুর: মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Proportional vote will push the country to more dictatorship Rizvi

আনুপাতিক ভোট দেশকে আরও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে: রিজভী

আনুপাতিক ভোট দেশকে আরও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে: রিজভী

আনুপাতিক ভোট পদ্ধতি দেশকে আবার স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসে, সে জন্য গণতান্ত্রিক ঐক্য দরকার।

এ সময়ে আনুপাতিক ভোটের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনুপাতিক ভোট পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আনুপাতিক ভোটের প্রয়োজন কী? এই ব্যবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে কোনো নেতা তৈরি হবে না, নেতৃত্বের বিকাশও হবে না। আমরা চিরায়ত গণতন্ত্রের পক্ষে, যেখানে বৈধ ভোটাররা ভোট দিয়ে নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’

‘একজন মানুষ দীর্ঘদিন মানুষের পাশে থেকে নেতা হয়েছেন, অথচ আনুপাতিক ভোটে তাকে নয়; দলকে ভোট দিতে হবে। এরপর দল থেকে বাছাই করে এমপি ঘোষণা করা হবে—এটি আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রায় ১২ কোটি ভোটার রয়েছে, সেই ১৮ কোটি মানুষের দেশে কেন এমন ভোট পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে? যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, বছরের পর বছর কারাবরণ করেছে, সেই গণতন্ত্র আজ প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে দেশের কোনো তরুণ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। কখন কাকে ধরে নিয়ে যাবে, আর কার রক্তাক্ত লাশ তিস্তা, গঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে পাওয়া যাবে—এটাই ছিল নিত্যদিনের চিত্র। এই ভয়াবহ সময় পার করতে হয়েছে আমাদের। শেখ হাসিনার দমন-পীড়নের হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। সেই রক্তপিপাসুরা যাতে আবার ফিরে না আসতে পারে, তার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য প্রয়োজন।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি, দখলবাজির সঙ্গে বিএনপির কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়ানো চলবে না। বিএনপির নেতাকর্মীদের আচরণে যেন সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যেন বিএনপির কাছ থেকে ন্যায়বিচার পায়, সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি এসব অপকর্মে জড়িত থাকে, দল সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে—এ বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।’

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও ‘বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির আয়োজন করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন রংপুর (ড্যাব)।

মন্তব্য

জাতীয়
The central leaders of the NCP visited the grave of Shaheed Abu Saeed

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দেশ গঠনে জুলাই পদযাত্রার কার্যক্রম শুরু করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র নেতারা।

মোনাজাত শেষে আবু সাঈদের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

আজ (১ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতারা আবু সাঈদের বাড়িতে যান।

পরে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শুধু স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না, নতুন বন্দোবস্তের জন্য ছাত্র আন্দোলন ছিল। এই আন্দোলনে যারা সংহতি প্রকাশ করেছেন, তাদের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিচার ব্যবস্থা, নতুন সংবিধান, জুলাই সনদসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এনসিপি মাঠে থাকবে।

যৌক্তিক সংস্কারে প্রয়োজনে আবারো সংগঠিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নাহিদ ইসলাম। এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। দরকার হলে আবারো রাজপথে নামবো। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরেই নির্বাচন দিতে হবে, অন্যথায় সেই নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না।

দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ন্যায়সঙ্গগত সংস্কার ও মানুষের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত এক পা পিছিয়ে আসবে না এনসিপি।

নেতারা জানান, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। তারা বলেন, জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে যেতে চায় এনসিপি, কারণ গণ-অভ্যুত্থানের স্বপ্ন এখনো অপূর্ণ। এই পদযাত্রার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মতামত ও প্রত্যাশা সরাসরি জানার সুযোগ তৈরি করতে চায়।

বিকালে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাস্থলসহ রংপুর নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করবেন তারা।

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা ও পদযাত্রার সূচনা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতারা। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক কর্মসূচি চলবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত।

কবর জিয়ারতে অংশ নেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু হবে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর শহীদ মিনার থেকে। পরে রংপুরে পার্কের মোড় থেকে বিকেল ৩টায় পদযাত্রা শুরু হয়ে লালবাগ-শাপলা-জাহাজ কোম্পানির মোড় হয়ে টাউন হল মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ডিসির মোড় হয়ে ধাপ হয়ে মেডিকেল মোড় হয়ে চেকপোস্টে সমাপনী হবে।

জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছর ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদের সবাই সরে গেলেও আবু সাঈদ হাতে একটি লাঠি নিয়ে দু’হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যান।

এই অবস্থায় পুলিশ আনুমানিক ৫০-৬০ ফুট দূর থেকে তার ওপর ছররা গুলি ছোড়ে। পুলিশের অবস্থানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে। তারপরও অবস্থান থেকে একচুল সরেননি আবু সাঈদ, সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আবু সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Patuakhali District BNP Conference on July 2 after 20 years

২ জুলাই পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ ২৩ বছর পর

২ জুলাই পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ ২৩ বছর পর

দীর্ঘ ২৩ বছর পর ২ জুলাই বুধবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী ব্যায়ামাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পটুয়াখালী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলন সফল করতে জোরে সোরে চলছে সকল ধরনের প্রচার- প্রচারণা ও প্রস্তুতি।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, সহ- প্রচার সম্পাদক মোঃ আসাদুল কবির শাহীন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন, সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, সদস্য ইঞ্জিঃ একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার, সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।

এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নসহ তৃণমূল বিএনপির নেতা- কর্মীদের মাঝে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৩০ জনসহ ৮টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভার প্রায় ১৪০০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন (কমিটি নির্বাচন) বিকেলে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ তিনটি শীর্ষ পদে এক ডজন প্রার্থীর নাম নেতা-কর্মীদের মুখে চাউর হচ্ছে। এ তিনটি পদের মধ্যে সভাপতি পদে যাদের নাম উঠেছে, তারা হলেন বর্তমান জেলা বিএনপি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও অন্যতম সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়জীদ পান্না মিয়া।

সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পিপি এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন, সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান নান্নু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডঃ মোহসীন উদ্দীন, জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ মৃধা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তৌফিক আলী খান কবির।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির, সাবেক জিএস আলমগীর হোসেন বাচ্চু, জেলা মৎস্য দলের সভাপতি ভিপি শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ সম্মেলনে এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সভাপতি ও স্নেহাংশু সরকার কুট্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে মেয়াদউত্তীর্ন হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহ্বায়ক এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়

মন্তব্য

জাতীয়
BNP wants the election schedule after the chief adviser CEC meeting

প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের বৈঠকের পর বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ ও সময়সূচি ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।’

শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রিজভী।

প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পর বিএনপি কি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ প্রত্যাশা করে—এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই তা আশা করি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিইসি নাসির উদ্দীন। বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।

রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আলোচনার বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই কাজ করবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যাতে জনগণ তাদের জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলব। আমরা তো সমালোচনা করবই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি— নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থ লোপাট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে— যার অন্যতম নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া। তারা কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণ মনে করে, ড. ইউনূস দেশবাসীর মনের প্রত্যাশা মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।’

মন্তব্য

জাতীয়
Mob Justice is not justified Rizvi

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার উচ্ছৃঙ্খল বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।

তিনি বলেছেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হতে হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

মব জাস্টিসের সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন?

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
CPC invites Tareq Rahman to visit China

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।

সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।

এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

মন্তব্য

জাতীয়
Former CEC does not support Huda Ganpituni BNP Salahuddin

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।

তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’

রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’

সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মন্তব্য

p
উপরে