× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
মামুনুলের বিয়ে বৈধ জরুরি বৈঠকে হেফাজত
google_news print-icon

মামুনুলের বিয়ে বৈধ: জরুরি বৈঠকে হেফাজত

মামুনুলের-বিয়ে-বৈধ-জরুরি-বৈঠকে-হেফাজত
সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে হেফাজত নেতারা বললেন, ‘মাওলানা মামুনুল হক ৩ এপ্রিল তার স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে (রয়্যাল) রিসোর্টে গিয়েছিলেন। ইসলামি শরিয়তের আলোকে তার বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ মর্মে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।’

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্ট-কাণ্ডের পর তুমুল আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তার দ্বিতীয় ‘বিয়ে’ বৈধ বলে জানিয়েছেন ধর্মভিত্তিক দলটির নেতারা। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা সোমবার জরুরি বৈঠক শেষে এ কথা জানান।

রাজধানীতে জামিয়া রাহমানিয়ায় এই জরুরি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরী।

নেতারা বলেছেন, ‘মাওলানা মামুনুল হক ৩ এপ্রিল তার স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে (রয়্যাল) রিসোর্টে গিয়েছিলেন। ইসলামি শরিয়তের আলোকে তার বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ মর্মে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।’

তারা আরও বলেন, ‘দেশের যেকোনো নাগরিক তার স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যেকোনো স্থানে যাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু মাওলানা মামুনুল হকের মতো পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তির ওপর সন্ত্রাসীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। জাতীয় সংসদে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এটা জনগণ কখনোই আশা করেনি। আমরা এ বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই।’

নেতারা আরও বলেন, ‘গত ২৬, ২৭, ২৮ মার্চ বাইতুল মোকাররম, হাটহাজারী, বিবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জসহ সারা দেশে হেফাজত কর্মী ও প্রতিবাদী মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে বিবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে ২০ জন শাহাদতবরণ করেছে। এসব হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

‘হেফাজত নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় হয়রানি এবং মাদ্রাসাসমূহে হামলা ও হায়রানির ঘটনা ঘটছে, তা বন্ধ করতে হবে। শহিদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে হেফাজতের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি টিম শিগগিরই বিবাড়িয়া ও হাটহাজারী সফর করবে এবং হতাহতের একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে।’

নেতারা আরও বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানের মধুপুরে গত হরতালের দিন সরকারদলীয় ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনী যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা বর্ণনাতীত। হেফজাতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরীকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। তার পরেও সেখানকার স্থানীয় জনগণকে বিভিন্নভাবে হুমকিধমকি দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ কুচিয়ামারাতে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে দেশব্যাপী হত্যা ও হামলা-মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।’

হেফাজতের সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা মাহফজুল হক, অধ্যাপক আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা জসিমউদ্দীন, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, ঢাকা মহানগর সহসভাপতি মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সহপ্রচার সম্পাদক ফয়সাল আহমদ, সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাকির হোসাইন কাসেমী, সহকারী সমাজকল্যান সম্পাদক মাওলানা গাজী ইয়াকুব, ঢাকা মহানগর সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা ফজলুর রহমানসহ অনেকে।

মামুনুল হক গত শনিবার এক নারীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাকে ঘেরাও করে। মামুনুল ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও তার নাম, শ্বশুরবাড়ি, শ্বশুরের নাম সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে সেই নারীর দেয়া তথ্যের কোনো মিল নেই।

মামুনুল বলেছেন, তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আমেনা তইয়্যেবা। বাড়ি খুলনায়, শ্বশুরের নাম জাহিদুল ইসলাম।

তবে সেই নারী জানিয়েছেন তার নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা বাবার নাম অলিয়র, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়।

দুজনের তথ্যের এই গরমিলের মধ্যেই বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোনে কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়। এর একটিতে বোঝা যায় মামুনুল তার চার সন্তানের জননী স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, সেই নারী তার পরিচিত শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার কারণে চাপে পড়ে তাকে স্ত্রী পরিচয় দিতে বাধ্য হয়েছেন।

পরে আরেকটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যা মামুনুলের সঙ্গে তার রিসোর্টের সঙ্গীনির মধ্যকার বলে প্রতীয়মান হয়। সেখানে সেই নারী জানান, তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার মায়ের একটি বন্ধ মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। আর অন্য একজন যখন তাকে কোথায় বিয়ে হয়েছে জিজ্ঞেস করেছে, তখন তিনি বলেছেন, এটা জানেন না। মামুনুলের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

আরও একটি কথোপকথনে বোঝা যায় মামুনুলের বোন কথা বলেছেন হেফাজত নেতার চার সন্তানের জননী স্ত্রীর সঙ্গে। তিনি তাকে বুঝিয়েছেন, কেউ যদি তাকে ফোন করে, তাহলে তিনি যেন বলেন, তিনি বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন এবং তার শাশুড়ি এই বিয়ের আয়োজন করেছেন।

এরপর মামুনুল ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, তিনি বিয়ে করেছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রীকে। পারিবারিকভাবেই এই বিয়ে হয়েছে।

পরদিন ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি একে একটি মানবিক বিয়ে উল্লেখ করে লেখেন, সেই নারীর সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ির আগে তিনি সংসার টেকানোর চেষ্টা করেছেন। ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর মেয়েটি দুর্দশায় পড়ে যায়। সে সময় তিনি বিয়ে করে নিয়েছেন তাকে।

এরই মধ্যে ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ঝর্ণা ও শহীদুলের বড় ছেলে আব্দুর রহমান জামি। সে তার মা-বাবার সংসার ভাঙার জন্য মামুনুলকে দায়ী করে বলে, ‘এখানে আমি আশা করব, আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে আশা করব এর যেন সঠিক বিচার হয়, আপনারা কারও অন্ধ ভক্ত হয়েন না।

‘কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস কইরেন না। ক্যান, সবারই মুখোশের আড়ালে একটা চেহারা থাকে। এই লোকটা আলেম নামধারী একটা মুখোশধারী একটা জানোয়ার। এর মধ্যে কোনো মানুষত্ব নাই। সুযোগের সব সময় অপেক্ষায় থাকে। কাকে কীভাবে দুর্বল করা যায়। আমার আর কিছু বলার মতো ভাষা নাই।’

আরও পড়ুন:
মামুনুল আমাদের পরিবার ধ্বংস করে দিয়েছে: ঝর্ণার ছেলে
‘চোরার মায়ের বড় গলা’
মামুনুলের রিসোর্ট-কাণ্ড: প্রত্যাহার সেই এএসআই
রিসোর্টকাণ্ড: মামুনুল সমর্থকদের রোষানলে গণমাধ্যম
মামুনুলের রিসোর্ট কাণ্ড: প্রশ্নের মুখে ‘লা জবাব’ হেফাজত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Comilla University student Sumaiya and his mother were killed after failing to rape

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Missing the traditional trap of fishing is getting lost in Comilla

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

বর্ষা মৌসুমে টইটম্বুর পানির সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসা দেশীয় মাছ—বজুরী, টেংরা, ঢেলা, দারখিলা, কটকটি, বাইলা, পুটি, সেলবেলা, চান্দা, বৈইচা, পাবদা, শিং, কৈ, টাকি, চেধূরী, এলকোনা, খৈইলশা, ভাংলা, কাটাইড়া, বাতাইয়া, চিংড়ি, বাইম, গুতুমসহ নানান প্রজাতির মাছ একসময় খাল-বিল-জমিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসত। সেই সময়ে গ্রামের ছেলেরা মাছ ধরার জন্য নানান ফাঁদ পাতত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আনতা, বেউর ও চাই, আনতা। যা আজ বিলুপ্তির পথে।

তবে এখনো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর আনতা হাট সেই পুরনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। রামচন্দ্রপুর, দক্ষিণ বাঙ্গরা ও মালাই বাঙ্গরা বাজার, হাটখোলা, ইলিয়াটগঞ্জ, চান্দিনার নোয়াবপুর, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরি আনতা বিক্রির ধুম পড়ে যেত কিন্তু পূর্বে ন্যায় দেশীয় মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে কৃষক, জেলে আগ্রাহ হাচ্ছে। শুধুই মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে প্রতিটি আনত ৩০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ষার শেষ দিকে এ ফাঁদের চাহিদা আরও বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরাও মৌসুমে ভালো লাভের আশা করত। এন তেমন একটা চোখে পড়ে না, রামচন্দ্রপুরের আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে আমি ৬০ থেকে ৭০টি আনতা বিক্রি করি কিন্তু যখন মাছের ভরা মৌসুম ছিল তখন সারাবছর লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন বাড়িতে আনতা তৈরি করতাম। দূর-দূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসত। আর তেমন বিক্রি না থাকায় ব্যাবসা অনেক কমে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জমির আইল ধরে নামতে শুরু করে, তখন আইলে আনতা পুঁতে রাখলেই সহজে মাছ ধরা পড়ে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি হতাম, আমাদের দাবি আনতা, বেউর, চাই, উছা, পেলুন।এই ফাঁদ তৈরিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অল্প আয়ের মানুষ দের বাচিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি বাঁশ শিল্প বেচে থাকবে।

স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মতিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মৌসুমে ৫-৬টি আনতা কেনেন। আনতা দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরা পড়ে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

শুধু মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকার উৎস। আনতা তৈরি ও বিক্রি করে বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার এর সাহায্যে ধরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই বাড়তি আয় করছে। ছোট-বড় সবাইকে মাছ ধরার আনন্দে মাতিয়ে তোলে এই দেশীয় কৌশল, যা আজও মুরাদনগরের গ্রামীণ জীবনের অনন্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Tausif returns to the Bachelor Point series

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের ৫ নম্বর সিজন চলছে। ভক্তদের মুখে মুখে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ সিরিজটি। নাটকটির শুরু থেকেই সিজন ১, ২, ৩ এবং ৪ দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ও তার টিম। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজনগুলোর ব্যাপক সাফল্যের পর এবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর ফাইভ সিজন প্রচার হচ্ছে।

এই সিরিজে কাবিলা, শুভ, জাকির, শিমুল, পাশা, আরেফিন, হাবু ভাই নামের চরিত্রগুলোর মতো নেহাল চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ সর্বদা তুঙ্গে। যেই নেহাল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তৌসিফ মাহবুব। এত দিন ব্যক্তিগত কিছু কারণে এ সিরিজ থেকে দূরে ছিলেন। তবে এ সিজনে ফিরছেন তিনি নেহাল হয়েই, যেটা তিনি নিজেই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

বললেন, ‘দর্শক সর্বদা চান নেহাল চরিত্রটি ফিরে আসুক। তাই ফের এ চরিত্রটির মাধ্যমে ব্যাচেলর পয়েন্টে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’ এর আগে নির্মাতা অমি বলেছিলেন, বাস্তব জীবনের মতোই হয়তো ভবিষ্যতে কোনো একসময় দেখা যাবে তাদের আবার একসঙ্গে। তাই সেই অপেক্ষার পালা মনে হয় শেষ হলো তৌসিফের ফেরার মাধ্যমে।

মন্তব্য

জাতীয়
Gopargaon

গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

ময়মনসিংহর গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংক (পিএল সি) এর স্কুল ব্যাংকিং কর্মশালার আওতায় ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ গফরগাঁও মহিলা কলেজে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ( ৯সেপ্টন্বর) ১১টায় মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃক্ষরোপণ শেষে মহিলা কলেজ হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক,পূবালী ব্যাংক (পিএলসি) গফরগাঁও উপশাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক ব্যাংক কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গাছ আমাদের জীবনের অংশ,গাছ ছাড়া আমাদের জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তাও করতে পারিনা,অধিক পরিমানে গাছ লাগান প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে দেশকে বাচাঁন।
আলোচনা শেষে কলেজ শিক্ষার্থীদে মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

মন্তব্য

জাতীয়
In the Coast Guards operation in Chandpur 3 domestic firearms were seized by 2 Ram Da and 2 Chinese ax

চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার চাঁদপুর উত্তর মতলব থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Distribution of Assistant Devices to Students with Special Students

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল অ্যাডুকেশন নিডস অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ডর) কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলামসহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Narail joins the new police superintendent

নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপারের যোগদান

নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপারের যোগদান

নতুন কর্মস্থল নড়াইলে যোগদান করেছেন পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম। মঙ্গলবার তিনি যোগদান করেন। তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল সূত্রে জানা গেছে মো. রবিউল ইসলাম ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস হিসেবে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তিনি ৩ বছর র‌্যাব বিভাগে দায়িত্ব পালন করার পর বরিশাল সদরে এএসপি (সার্কেল) হিসেবে ২ বছর ছিলেন। দুবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করেন। এছাড়া ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ এই দুবার আফ্রিকার মুসলিম দেশ সুদানে শান্তি মিশনে যাওয়ার সুযোগ পান। নড়াইলে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পেলেন এই মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। শিক্ষাগত জীবনে তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অনুষদ থেকে স্নাতক ও ২০০৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

পুলিশ ক্যাডার হিসেবে প্রথম বারের মতো একটি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের মতো গুরু দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। এ পেশাটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা বলে তিনি মনে করেন। নড়াইল জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রাণপন চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য তিনি নড়াইলবাসীর সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুনেছি নড়াইল একটি শিল্প, সাংস্কৃতিক, রাজনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়াঙ্গনে মোড়ানো একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত জেলা। বিশ্বখ্যাত মানবদের বাস এখানে । প্রতিটি সেক্টরে তাদের সরব বিচরণ থাকায় এই জেলা বিশ্বায়নে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছে। এ জন্য তিনি ওই সকল গুণী মানুষদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানান। তিনি আশা করেন, নড়াইলের মানুষ তার কর্মকাণ্ডে সার্বিক সহযোগিতা করলে নতুন মাত্রায় এই জেলাকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।

p
উপরে