× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
লকডাউনের নির্দেশনা পায়নি মাঠ প্রশাসন
google_news print-icon

লকডাউনের নির্দেশনা পায়নি মাঠ প্রশাসন

লকডাউনের-নির্দেশনা-পায়নি-মাঠ-প্রশাসন
মাঠপর্যায়ের প্রশাসনে এখনও কোনো নির্দেশনা যায়নি। তবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। ১৫ দফা নির্দেশনা আগে থেকেই বলবৎ আছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সোমবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের লকডাউনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। শনিবার দুই মন্ত্রী গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা পায়নি মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন। ফলে তাড়াহুড়ো করে লকডাউন বাস্তবায়ন কতোটা সম্ভব হবে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া হঠাৎ এমন ঘোষণায় জনভোগান্তি বাড়ারও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা পেলে লকডাউন কার্যকর করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘লকডাউনের খবর টিভিতে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

একদিনের প্রস্তুতিতে লকডাউন কার্যকর সম্ভব হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা না পেলে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। কারণ লকডাউনে কী কী বন্ধ থাকবে, কী কী খোলা থাকবে এসব ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না। সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর বুঝতে পারব নির্দেশনাগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’

দেশে কয়েকদিন ধরে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে কী না এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন শেষে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন শেষে গত ২৯ মার্চ জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা, উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা, জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

মাঠ প্রশাসন যখন এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত, তখন শনিবার সকালে হঠাৎ করে লকডাউনের তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজ বাসভবন থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, সোমবার থেকে সাতদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। এরপর দুপুরে জনপ্রশাসন প্রাতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও একই তথ্য জানান। শনিবার সন্ধ্যার দিকে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মনে করেন, এই ঘোষণা আরও দুএকদিন আগে দিলে ভালো হতো। তাতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরও প্রস্তুতি নিতে পারতেন। জনগণের কাছে লকডাউনের বার্তা পৌঁছানো সম্ভব হতো।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা স্থানীয় সরকারে আছি, আমরা সবসময় সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। তবে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন আরও দুএকদিন আগে হলে সবার জন্যই সুবিধা হতো।’

তিনি বলেন, হঠাৎ করে লকডাউনের কারণে জনগণও ভোগান্তিতে পড়তে পারে। কারণ তারাও প্রস্তুতির সময় পায়নি। বিশেষত দরিদ্র জনগোষ্ঠী সংকটে পড়তে পারে।

একই সঙ্গে মেয়র এও মনে করেন, করোনা যেভাবে বাড়ছে তাতে এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া সরকারের কাছে কোনো বিকল্প ছিল না।

লকডাউনের নির্দেশনা পায়নি মাঠ প্রশাসন


তবে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, সরকার চাইলে সবই সম্ভব। লকডাউন বাস্তবায়নও অসম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারির পর থেকেই আমরা ব্যবসায়ী, পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে বসেছি। তারা আমাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে লকডাউনের প্রাথমিক কাজ কিছুটা আমরা ইতোমধ্যে সেরে রেখেছি। সরকারি নির্দেশনা পেলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট সবার কাছে তা পৌঁছে দেয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা সরকারের সব নির্দেশনা মানতে প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে জনগণকেও সহায়তা করতে হবে। জনগণ সহযোগিতা না করলে কোনো কাজেই শতভাগ সফল হওয়া যাবে না।’

এদিকে, লকডাউন হচ্ছে এমন খবর জানার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়তি তৎপরতা দেখা দিয়েছে। শনিবার দুপুরের পর থেকে রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। লকডাউনের সময়ের জন্য নিত্যপণ্য মজুত করার প্রবণতা দেখা গেছে বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যে।

আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না পেলেও গণমাধ্যমের খবর দেখে বিভিন্ন জেলায় এরইমধ্যে লকডাউন বাস্তবায়নের প্রস্তুতি শুরু করেছে। শনিবার বিকেলেই এ ব্যাপারে জরুরি বৈঠক করার কথা জানিয়েছেন একাধিক জেলা প্রশাসক।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গণমাধ্যম) মাহমুদুল হাসান মৃধা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের যে ২৯ জেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে রংপুর রয়েছে। এরইমধ্যে রংপুরের মানুষকে সচেতন করতে ১৫ দিনের জন্য ৮টি নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছি আমরা। এসব মানতে কঠোর রয়েছে জেলা প্রশাসন।’

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থেকে ওই নির্দেশনা কার্যকর শুরু হয়েছে।

ওই নির্দেশনায় বলা আছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রংপুরে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ থাকবে। বিয়ে-জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমাগম বন্ধ থাকবে। মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করতে হবে।

পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে যে কোনো প্রকার জনসমাগম ও মাস্কবিহীন প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। সকল ধরনের মেলা ও সিনেমা হল বন্ধ থাকবে।

গণপরিবহনে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারন ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে এবং শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই মাস্ক পরিধান করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ধারনক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি মানুষ একসঙ্গে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবে না এবং এসব স্থানে অবশ্যই মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মানুষ যাতে সচেতন হয়, সেজন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। সর্বশেষ, ৩ এপ্রিল দুপুরে রংপুর মহানগরীর জাহাজকোম্পানি মোড় এলাকায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর আগে ২ এপ্রিল নগরীর পায়রা চত্বর ও সুপার মার্কেট এলাকাতেও ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হয়েছে। মাস্ক না পরায় এই দুই দিনে ২ হাজার ১০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।’

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কীভাবে লকডাউন কার্যকর হবে আমরা এখনও সরকারি সেই নির্দেশনা পাইনি। তবে দুস্থ, অসহায় মানুষদের পাশে এর আগেও রংপুর জেলা প্রশাসন দাঁড়িয়েছে, এটি অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’

লকডাউনের নির্দেশনা এখনও না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে দেখেছি। চিঠি পেলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘লকডাউন বলতে আমরা যেটা বুঝি, তা হলো, কাঁচাবাজার বা জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ। এখন সরকারি সিদ্ধান্ত কী হচ্ছে, সে বিষয়ে চিঠি আসার পরই আমরা বলতে পারব। যেমন নির্দেশনা আসবে, সেটাই বাস্তবায়নের জন্য আমরা মাঠে নেমে পড়ব। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।

কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে, জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় রাজশাহীতে আমরা গত কয়েকদিন ধরেই মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। এ ছাড়া অযথা ঘোরাঘুরি বা আড্ডাবাজি বন্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি।

‘রাজশাহীর কেন্দ্রীয় উদ্যানসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নদীর ধারসহ সিএন্ডবি মোড় ও কয়েকটি এলাকায় সন্ধ্যার পর ছেলেমেয়েরা বেশি ঘোরাফেরা করে। আমরা ওইসব জায়গার দোকানপাট সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি। এখন সরকারি নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পরই লকডাউনের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হবে।’

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে বরিশালেও লকডাউন করা হবে। এরইমধ্যে গণপরিবহন মালিক শ্রমিকদের অর্ধেক যাত্রী নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট চলছে। মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম প্রতিদিন কাজ করছে। সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। লকডাউনের নির্দেশনা আসলে তাও বাস্তবায়ন করা হবে।’

লকডাউন কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, লকডাউনে পুলিশের টহল জোরদার থাকবে। নগরে সিটি করপোরেশন এবং জেলায় উপজেলা প্রশাসন তদারকির দায়িত্ব থাকবে। এ ছাড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য ত্রাণ সহায়তা আসলে তালিকা করে সেগুলো বিতরণ করা হবে।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন আহসান হাবীব অপু, রাজশাহী; রফিকুল ইসলাম, রংপুর; তন্ময় দাস, বরিশাল ও সিফায়াত উল্লাহ, চট্টগ্রাম ।

আরও পড়ুন:
লকডাউনে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ
লকডাউন শুনেই মূর্ছা গেলেন চা বিক্রেতা
করোনা আক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Father and son killed by car in Sonargaon

সোনারগাঁয়ে গাড়ির চাপায় বাবা-ছেলে নিহত

সোনারগাঁয়ে গাড়ির চাপায় বাবা-ছেলে নিহত কাঁচপুর হাইওয়ে থানা। ছবি: নিউজবাংলা
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল হক জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী-সন্তানসহ নারায়ণগঞ্জে ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী’ মন্দিরে পূজার করতে যান তারা। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বামী স্ত্রী ও সন্তান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গাড়ির চাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওডালা এলাকায় শনিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার খেজুরা এলাকার সুরেশ ডাকুয়া (৩৫) ও তার ছেলে লোকেশ ডাকুয়া (৯)। এ ঘটনায় আহত লোকেশ ডাকুয়ার মা নিপু রায় (৩০) বলে জানিয়েছেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল হক।

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী-সন্তানসহ নারায়ণগঞ্জে ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী’ মন্দিরে পূজা করতে যান তারা। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বামী স্ত্রী ও সন্তান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, আহত অবস্থায় তিনজনকে স্থানীয়রা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে লোকেশকে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। সুরেশ ও নিপু রায়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে সুরেশ ডাকুয়ার মৃত্যু হয়।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল হক বলেন, ‘নিপু রায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। নিহত দুইজনের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

এ ঘটনায় মামলাসহ গাড়ি ও চালককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার
ঈদুল ফিতরের যাত্রায় সড়কে নিহত ৪০৭, গতবারের চেয়ে বেশি
পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন নিহত
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই শ্রমিক নিহত

মন্তব্য

জাতীয়
Symbolic march in Naogaon to commemorate the refugees of 1971

একাত্তরের শরণার্থীদের স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী পদযাত্রা

একাত্তরের শরণার্থীদের স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী পদযাত্রা ঐতিহাসিক ২০ এপ্রিলের এ দিনে ‘রোড টু বালুরঘাট’ স্মরণ করল নওগাঁবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ নওগাঁ শহরের ওপর দিয়ে দেশ ছেড়েছিল দেশকে মুক্ত করার জন্য। চলার পথে সেই সময় পাকহানাদার ও দোসরদের আক্রমণে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নওগাঁর মূল ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী এ জেলার সব তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের জানানোর লক্ষ্যেই আয়োজনটি করা হয়েছে।’

নওগাঁয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর উদ্যোগে ১৯৭১ সালের অসহায় শরণার্থীদের দুর্ভোগ স্মরণে ‘রোড টু বালুরঘাট’ প্রতীকী পদযাত্রায় ফুটে উঠেছে নওগাঁয় রোড ধরে ভারতে পাড়ি দেয়া শরণার্থীদের দুর্দশার চিত্র।

ঐতিহাসিক ২০ এপ্রিলের এ দিনে ‘রোড টু বালুরঘাট’ স্মরণ করল নওগাঁবাসী। প্রায় ৬০ মিনিটে ৩ কিলোমিটার পদযাত্রায় যুদ্ধকালীন নওগাঁ রোডের শরণার্থীদের যুদ্ধ বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় দুর্দশা তুলে ধরা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর শনিবার বেলা ১১টার দিকে পাঁচ শতাধিক মানুষ নওগাঁ রোডে এ প্রতীকী পদযাত্রায় অংশ নেন। শহরের তাজের মোড় শহিদ মিনার পাদদেশ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মুক্ত মঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে শরণার্থীদের প্রতীকী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা মইনুল হক দুলদুল, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ বিন আলী পিন্টু, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, সাইমা ফেরদৌসী, নাইস পারভীন, বিষ্ণু কুমার দেবনাথ, গুলশানারাসহ অনেকে।

এ সময় বক্তারা জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার-নিপীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে যুদ্ধের শুরু থেকে বিশেষ করে ২০ এপ্রিল এই দিনে পায়ে হেঁটে নওগাঁর সড়ক পথে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাটে আশ্রয় নেন। চলার পথে সেই সময় পাকহানাদার ও দোসরদের আক্রমণে অনেকের মৃত্যু হয়। সে সব শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ স্মরণে একুশে পরিষদ নওগাঁ ‘রোড টু বালুরঘাট’ প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী বলেন, ‘আমরা অনেকেই একাত্তরের ইতিহাস ভুলে গেছি। ৫৩ বছরের আগে কী ঘটেছিল। লাখ লাখ মানুষ নওগাঁ শহরের ওপর দিয়ে দেশ ছেড়েছিল দেশকে মুক্ত করার জন্য। চলার পথে সে সময় পাকহানাদার ও দোসরদের আক্রমণে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নওগাঁর মূল ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী এ জেলার সব তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের জানানোর লক্ষ্যেই আয়োজনটি করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কলাপাতায় মোড়ানো মুক্তিযুদ্ধের গল্প
ব্যাংককে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক বৈঠক শুরু মঙ্গলবার, যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘এ যুদ্ধ জয় করলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিতে হবে’
মুক্তিযোদ্ধা জাল সনদের ‘কারিগর’ গ্রেপ্তার
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের শাস্তির আইন চান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মন্তব্য

জাতীয়
Three killed four injured in two separate road accidents in Chittagong

পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার

পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার প্রতীকী ছবি
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম দুই দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।

চট্টগ্রামের পটিয়ার সড়কে শুক্রবার বিকেল ও রাতে দুটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

বাস উল্টে হেলপার নিহত

পটিয়ার মনসা বাদামতলা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী একটি মিনিবাস বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। ওই সময় বাসটির হেলপার রফিক (২৩) লাফ দিলে বাসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান তিনি।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছেন।

অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত

উপজেলার খরনা চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

নিহত দুজন হলেন চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসিফ (১৮) ও কক্সবাজারের ঈদগাহ মধ্যম মাইজপাড়া এলাকার নুরুল আমিন (২৭)।

আহত চারজন হলেন বৈলতলীর রাকিব হোসেন (২০), মোহাম্মদ জাবেদ (১৯), মোহাম্মদ সিহাব (২২) ও চকরিয়ার অটোরিকশার চালক লিটন (৩৫)।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম অভিমুখী দ্রুতগামী মারসা পরিবহনের একটি বাস নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা অটোরিকশার যাত্রীদের উদ্ধার করে চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজনকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত
ঝালকাঠিতে ইজিবাইক ও মাইক্রোতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ১৪
কাপাসিয়ায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালক নিহত
তেজগাঁওয়ে পড়ে গেছে যমুনা এক্সপ্রেসের বগি
ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার

মন্তব্য

জাতীয়
Section 144 was issued on the roof due to fear of conflict

সংঘর্ষের আশঙ্কায় ছাতকে ১৪৪ ধারা জারি

সংঘর্ষের আশঙ্কায় ছাতকে ১৪৪ ধারা জারি সুনামগঞ্জের ছাতকে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
আদেশ অনুযায়ী, এ সময় উক্ত এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় কোনো অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা তার অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একসঙ্গে চলাফেরা, সভা সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

সুনামগঞ্জের ছাতকের ঐতিহ্যবাহী জাউয়া বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি ধারা জারি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ এড়াতে শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যধারার এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মুস্তাফা মুন্না।

আদেশে বলা হয়েছে, “যেহেতু ছাতক উপজেলাধীন ‘জাউয়া বাজার’ ইজারাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান পক্ষসমূহের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এর ফলে আইন শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিদ্যমান রয়েছে মর্মে অফিসার ইন- চার্জ, ছাতক থানা, সুনামগঞ্জ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে।

“সেহেতু সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমি গোলাম মুস্তাফা মুন্না, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ছাতক, সুনামগঞ্জ আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ৬ ঘটিকা হতে রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত জাউয়া বাজার এলাকা এবং তার আশেপাশের এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করলাম।”

আদেশ অনুযায়ী, এ সময় উক্ত এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় কোনো অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা তার অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একসঙ্গে চলাফেরা, সভা সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন:
পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত, প্রাণে বাঁচল শিশুসন্তান
নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
কিশোরগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ১৫

মন্তব্য

জাতীয়
Jugantars crime reporter was threatened to leave the area where the chemical was thrown

সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ

সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক ফরিদকে। ছবি: নিউজবাংলা
সাভার মডেল থানার ওসি মো.শাহজামান বলেন, ‘তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ঢাকার সাভারে দৈনিক যুগান্তরের এক সাংবাদিকের ওপর ঝাঁঝালো রাসায়নিক নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।

অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে কলমা এলাকায় শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ইকবাল হাসান ফরিদ দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক।

ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, ‘রাতে অফিস শেষে ঢাকা থেকে সাভারের বাসায় ফিরছিলাম। আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে বাসার অদূরে অন্ধকার গলিতে পৌঁছালে পেছন থেকে একজন মুখোশধারী যুবক আমাকে নাম ধরে ডাক দেয়। ডাক শুনে দাঁড়ানোর পর মুখোশধারী দুই যুবক স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে আগামী এক মাসের মধ্যে সাভার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এলাকা ছেড়ে না গেলে সপরিবারে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় তারা।

‘এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগে পেছন থেকে তাদের একজন মরিচের গুঁড়াসদৃশ এক প্রকার ঝাঁঝালো কেমিক্যাল আমার মাথায় ও চোখে-মুখে ছিটিয়ে দেয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ছিটিয়ে দেয়ার পর চোখে-মুখে ও শরীরে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সাভারের যে দুইজন জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে হুমকি দিয়েছে, তাদের কারও সঙ্গে আমার পরিচয়, যোগাযোগ কিংবা কোনো ধরনের বিরোধ নেই। তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে তাদের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে অসুস্থ সাংবাদিক ফরিদকে দেখতে যায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।

সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, ‘তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সাভারে সাংবাদিকের ছেলেসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম: চারজন গ্রেপ্তার
সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা
শেরপুরের সাংবাদিককে কারাদণ্ড: সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

জাতীয়
Comilla celebrates Boro festival

বোরো উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা

বোরো উৎসবে মেতেছে কুমিল্লা কুমিল্লার দেবিদ্বারে ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ছবি: নিউজবাংলা
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় ১২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১২ হাজার ৬৩০ হেক্টর। বোরো ধানে ব্রি ধান ২৮ এর পরিবর্তে একই জীবনকালের, তবে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬ চাষের পরামর্শ প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান ছিল।

কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে প্রকৃতি যেন পুড়ে যাচ্ছে। এমন বৈরী আবহাওয়াতে কুমিল্লার কৃষকরা মেতে উঠেছেন রোরো ধান ঘরে তোলার উৎসবে। পাকা ধানের ঘ্রাণে মোহিত হচ্ছে চারপাশ।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কুমিল্লায় এক লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে ব্রি ধান ৯৬, ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামে বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইউব মাহমুদ। তিনি জানান, বোরো ধান তোলার উৎসবে শুরু হয়েছে। ভালো ফলনে খুশি কৃষকরা।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও মিগজাউমের আঘাতে রবি ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মৌসুমের শুরু থেকেই আধুনিক উফশী জাত ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেচ নিশ্চিতকরণ, কালবৈশাখি ঝড়, অতিবৃষ্টি, তাপদাহ, রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবসহ নানা প্রতিকূলতা ছিল।

‘নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বছর বোরো মৌসুমে ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে।’

জেলার দেবিদ্বার এলাকা ঘুরে শুক্রবার দেখা যায়, ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। জমিতে ব্রি ধান ৯৬ জাতের একটি জমিতে প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া গেছে ৪ দশমিক ১৮ টন।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারের মতো ব্রি ধান ৯৬ জাতটি চাষ করেছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ। মাত্র ১৩০ দিনের জীবনকালে বাম্পার ফলন পেয়ে বেজায় খুশি তিনি।

দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, এ বছর দেবিদ্বার উপজেলায় ১২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১২ হাজার ৬৩০ হেক্টর। বোরো ধানে ব্রি ধান ২৮ এর পরিবর্তে একই জীবনকালের, তবে অধিক ফলনের ব্রি ধান ৯৬ চাষের পরামর্শ প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান ছিল।

তিনি জানান, স্বর্ণা ধানের মতো রঙের এ ধানটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ১০ দশমিক ৮ শতাংশ ও এমাইলোজের পরিমাণ ২৮ শতাংশ হওয়ায় ভাত খেতে সুস্বাদু ও ঝরঝরে।

আরও পড়ুন:
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে: কৃষিমন্ত্রী
মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান
ফিলিপাইনের আনারস চাষ কুমিল্লায়
ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

জাতীয়
A 12 foot python died after being crushed by a car in Lauachhara

লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের

লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে ভানুগাছ সড়কে মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে বৃহস্পতিবার রাতে অজগরটি গাড়িচাপায় পিষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাউয়াছড়া বনের মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে শুক্রবার সকালে অজগর সাপকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন মৃত অজগরটিকে উদ্ধার করে জানকীছড়ায় মাটিচাপা দেন।’ 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে ১২ ফুট লম্বা একটি অজগরের।

মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন বিভাগের ভাষ্য, অজগরটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ জানায়, লাউয়াছড়ায় বনের ভেতরে যানবাহন চলাচলের জন্য বন বিভাগ দিকনির্দেশনা দিয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে, কিন্তু কেউ সেটা মানে না। যেভাবে খুশি সেভাবে চলাচল করে সব ধরনের গাড়ি। ধারণা করা হচ্ছে কোনো এক সময় রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির চাপায় ১২ফুট লম্বা অজগরটি পিষ্ট হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায়।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাউয়াছড়া বনের মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জির সামনে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে শুক্রবার সকালে অজগর সাপকে মৃত অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।

‘খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন মৃত অজগরটিকে উদ্ধার করে জানকীছড়ায় মাটিচাপা দেন।’

মন্তব্য

p
উপরে