× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টিনে বেড সংকট
google_news print-icon

বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিনে বেড সংকট

বিদেশফেরতদের-কোয়ারেন্টিনে-বেড-সংকট
যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরা প্রবাসীদের কড়া নিরাপত্তায় বিমানবন্দর থেকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা
বিদেশফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য এখন পর্যন্ত ২৫টি হোটেল প্রস্তুত করেছে সরকার। হোটেলগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। সংকট হলো প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ৪ হাজার যাত্রী দেশে আসছেন। এত যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের নির্দেশ পুরোপুরি বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ জন্য যে পরিমাণ বেডের প্রয়োজন, তার জোগান নেই।

বিদেশফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য এখন পর্যন্ত ২৫টি হোটেল প্রস্তুত করেছে সরকার। হোটেলগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। সংকট হলো প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ৪ হাজার যাত্রী দেশে আসছেন। এত যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতেই নজর দিচ্ছে সরকার। আর এ জন্য যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো থেকে আসা ব্যক্তিদেরই কেবল প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবুও কাটছে না বেড সংকট।

জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন দেখা দেয়ার পর দেশটি থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৮২ ব্যক্তি বাংলাদেশে এসেছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৩ হাজারের বেশি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।

যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ যাত্রী দেশে আসছে। ফলে বাকি বেডগুলো পূর্ণ হয়ে যেতে পারে দুই-এক দিনের মধ্যে। কিছু দিনের মধ্যে নতুন সংকট দেখা দেবে। এই সংকট নিরসনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপফেরতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে হোটেল বাড়ানো থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয় কীভাবে নিশ্চিত হবে এ বিষয়ে একটি সুপারিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিমান মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে অললাইনে বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস সভাপতিত্ব করেন।

এদিনই বেলা তিনটায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ বিষয়ে বৈঠক করেছে। কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে সন্ধ্যা সাতটায় তারা আবার বৈঠকে বসেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ইউরোপ থেকে ফেরত ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে ২৫টি হোটেল বরদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেড সীমিত হওয়ায় আরও হোটেল বাড়াতে গত ২৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে কিছু দিনের মধ্যে বিদেশফেরতদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে নতুন আরও হোটেল যুক্ত করা হবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়, সরকার নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার বা নির্ধারিত হোটেলে থাকার খরচ যাত্রীদের বহন করতে হবে। নতুন এ সিদ্ধান্ত বুধবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহারিয়ার সাজ্জাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন সাড়ে ৪ হাজারের বেশি যাত্রী আসে। বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলো থেকে ১৯০ জন যাত্রী এসেছে। তাদের বিভিন্ন হোটেলে পাঠানো হয়েছে।

‘বেড সংকট নিরসনে বিমান কর্তৃপক্ষের আরও দুইটি মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। হয়তো এরপর একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা দৃশ্যমান অবকাঠামো দাঁড়াবে।’

সাজ্জাদ জানান, প্রতিদিন যত যাত্রী আসছে তাদের সবাই যদি ১৪ দিন করে থাকে তাহলে ৬৩ হাজার বেড দরকার। বর্তমানে হোটেল রয়েছে ২৫টি। সেখানে সাড়ে ৩ হাজার বেড রয়েছে। যে কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শুধু যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়াউল কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে আগত ও ত্যাগ করা প্রত্যেক যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। নমুনা দিতে হবে যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশ থেকে যারা আসবে, তাদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা বেবিচক নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার অথবা নির্ধারিত হোটেলে থাকবেন। তবে এ ক্ষেত্রে হোটেলে থাকার খরচ যাত্রীদের বহন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদেরও ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বিমানবন্দর ও ফ্লাইটে সব যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে। যেসব বিমানের প্রতি সারিতে সিট তিনটি করে, সেই ফ্লাইটের মাঝের সিটের যাত্রীকে মাস্কের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ফেসশিল্ড পরতে হবে।

কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়নে ২৫টি হোটেল প্রস্তুত

বিদেশফেরতদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনার জন্য ২৫টি হোটেলকে সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ওই সব হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে যাত্রীদের।

কোয়ারেন্টিনের জন্য বরাদ্দ হোটেলগুলো হলো- বারিধারার এসকট দ্য রেসিডেন্ট লিমিটেড, গুলশান-২-এর দি ওয়েস্টিন, বারিধারার এসকট প্যালেস লিমিটেড, বনানীর প্লাটিনাম হোটেলস বাই শেলটেক, উত্তরার হানসা, গুলশান-২-এর লংবিচ সুইটস ঢাকা, হোটেল লেক ক্যাসেল, উত্তরার বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস ম্যাপেল লিফ, গুলশান-২-এর হোটেল বেঙ্গল ব্লুবেরি, বারিধারার ডেইজ হোটেল, উত্তরার মনসুন ইন, বনানীর হোটেল আফতাব আওয়ার্স রেসিডেন্টস, বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ, গুলশান-২-এর হোটেল ট্রপিক্যাল ডেইজি, বনানীর হোটেল সুইট ড্রিম, কারওয়ান বাজারের হোটেল লা ভিঞ্চি, বনানীর আমাজন লিলি লেকভিউ রেসিডেন্স, বনানীর অমনি রেসিডেন্স, নিকুঞ্জের বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস মায়া, হোটেল গ্রেস ২১, উত্তরার হোটেল এফোর্ড ইন, হোয়াইট প্যালেস হোটেল, মেরিনো রয়েল হোটেল, মেমেন্টো হোটেল, রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন।

আরও পড়ুন:
এবার হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীর বিয়ে
রোগীর খবর নিতে কোয়ারেন্টিন থেকে বাড়িতে
যুক্তরাজ্য ফেরতদের কোয়ারেন্টিনে আরও ১৭ হোটেল
যুক্তরাজ্য ফেরতদের কোয়ারেন্টিনে ৭ হোটেল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
3 more people

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

জাতীয়
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

জাতীয়
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

জাতীয়
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে