× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় হামলা
google_news print-icon

বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় হামলা

বেছে-বেছে-মুক্তিযুদ্ধের-স্থাপনায়-হামলা
হেফাজত কর্মীদের দেয়া আগুনে জ্বলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর। ছবি: নিউজবাংলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে দিনভর জেলা শহরে মুক্তিযুদ্ধের যত স্মৃতিচিহ্ন আছে, তার সবগুলোতে হামলা করা হয়েছে। ভাঙচুরের পাশাপাশি সবগুলোতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে আগুন।

ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের তিন দিনের বিক্ষোভ আর হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মারক সব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলকও। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কার্যালয়েও দেয়া হয়েছে আগুন।

হামলাকারীরা মাদ্রাসা থেকে মিছিল বের করার সময় পাত্রে করে পেট্রল নিয়ে গেছে। সঙ্গে ছিল হাতুড়িসহ দেশীয় নানা অস্ত্রশস্ত্র।

যেখানেই তারা গেছে, চালানো হয়েছে ভাঙচুর, সেই পেট্রল ঢেলে দেয়া হয়েছে আগুন।

এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক আন্দোলনের কর্মীরা ভীষণ ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করে আসা এই শক্তি এখনও তাদের অবস্থান পাল্টায়নি। এই ঘটনাই তার প্রমাণ।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসাছাত্রদের হামলায় ট্রেন বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে


১৯৭১ সালে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে সবচেয়ে বড় নেজামে ইসলামসহ অন্যরাও পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছে। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বাবা শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের ৯০ দশকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, ‘৭১-এ আমগো অবস্থান ছিলো নিরপেক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে।’

শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার ছাত্রের মিছিল বের হয়। তারা শহরের কেন্দ্রস্থল বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে হামলে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে। সেখানে ভাঙচুর করে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে ম্যুরালটির বেশ ক্ষতি হয়েছে।

রোববারও হামলা হয় একই ম্যুরালে। এবারও হাতুড়ি পেটা করে সেখানে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়।

বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় হামলা
শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতার ম্যুরালটিতে তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আগুন ও ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় শহরে বঙ্গবন্ধুর আরও একটি ম্যুরাল

শনিবার বিকেল পর্যন্ত মাদ্রাসার ছাত্ররা ছিল শান্ত। বিকেলে ওই মাদ্রাসারা সামনে দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা বের হয়ে জড়ায় সংঘর্ষে। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে নন্দনপুর এলাকায়।

রোববার হরতালের দিন সকালে একই মাদ্রাসা থেকে মিছিল বের হয়। পরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও হেফাজত সমর্থকরা এসে যোগ দেন তাদের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়াজুড়ে ত্রাসের পর সংঘর্ষে নিহত ৩


বিকেল পর্যন্ত শুক্রবারের মতোই বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ে তারা বিনা উসকানিতে হামলে পড়ে।

কেবল এবার নয়, এর আগেও নানা সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই চিত্র দেখা গেছে।

মুক্তিযুদ্ধের একটি স্থাপনাও বাদ যায়নি

বিভিন্ন যানবাহনে হামলা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে যায় মাদ্রাসাছাত্ররা। সেখানে থাকা বঙ্গবন্ধুর আরও একটি ম্যুরালে লাঠিসোঁটা ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর চালায় তারা।

এরপর হেফাজত সমর্থকরা যায় পাশের ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে। সেখানে গত দুই দিন ধরে চলছিল উন্নয়ন মেলা। তবে হরতালের কারণে স্টলগুলো বন্ধ ছিল।

মাদ্রাসাছাত্ররা সেখানে স্টলগুলো ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেয় আগুন। চত্বর মঞ্চে যেখানে নানা সময় জাতীয় ‍দিবসের অনুষ্ঠানমালা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করা হয়, সেখানে পেট্রল ঢেলে দেয়া হয় আগুন।

বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় হামলা
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার স্টলগুলো ভেঙে সেখানে আগুন দেয় হেফাজত কর্মীরা

বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাম বরাবর শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়। পাকিস্তান আমলে এই নেতাই প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে পাকিস্তান গণপরিষদে দাবি তোলেন।

১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই দাবি তোলা এই রাজনীতিক বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনেও রাখেন ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী।

যুদ্ধ শেষে এই সংগ্রামীর স্মরণে জেলার বিভিন্ন সড়কসহ এই ভাষা চত্বরটি তৈরি করা হয়।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবার সহিংস হেফাজত, নীরব পুলিশ


এটি ভাঙচুর শেষে হামলাকারীরা যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের কার্যালয়ে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।

ওই কার্যালয়েও ব্যাপক ভাঙচুর করে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। উন্মত্ত মাদ্রাসাছাত্রদের বাধা দেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতিই ছিল না।

এখানে ভাঙচুর শেষে হেফাজত কর্মীরা যায় একই এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে। সেটি ছিল তালাবদ্ধ। সেখানে ইটপাটকেল দিয়ে ঢিল ছোড়া হয় ফাঁকা সেই ভবনে। এতে ভবনের জানলার কাচগুলো ভেঙে যায়।

বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় হামলা
মাদ্রাসা থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে হেফাজত কর্মীরা হামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে, মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলকে

সেখান থেকে মাদ্রাসাছাত্ররা যায় শহরের কাউতলী এলাকায়। সেখানে আছে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক। হাতুড়ি দিয়ে সেই ফলকও ভাঙচুর করা হয়।

এরপর হেফাজত সমর্থকরা যায় শহরের কুমারশীল মোড়ে। সেখানে হামলা চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি গণ গ্রন্থাগারে।

ভবনের জানলার কাঁচ ভাঙচুরের পাশাপাশি গ্রন্থাগারের ভেতরে পেট্রলের বোতল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে পুড়ে যায় বইয়ের বেশির ভাগ।

মাদ্রাসা ছাত্ররা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিবিজড়িত দুটি স্থাপনায়।

বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনায় হামলা
হেফাজত কর্মীদের ভাঙচুরের পর পেট্রল ঢেলে দেয়া আগুনে পুড়ছে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন। ছবি: নিউজবাংলা

শহরের কুমারশীল এলাকায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে তারা ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেয় আগুন। পুড়ে যায় আলাউদ্দিন খাঁর ব্যবহৃত গামছা, নামাজের বিছানা, তবলাসহ নানা ঐতিহাসিক জিনিসপত্র।

এই সঙ্গীতাঙ্গনে বছর কয়েক আগেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল একই মাদ্রাসার ছাত্ররা। তখনও বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই সঙ্গীতজ্ঞের নানা স্মৃতি নষ্ট হয়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানোর পাশাপাশি মাদ্রাসা ছাত্ররা ভাঙচুর করে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ মিলনায়তনেও। পৌরসভার পাশে এই মিলনায়তনে নানা সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

সেখানে গিয়ে পাঁচ থেকে ছয়শ চেয়ার ছাড়াও মঞ্চে ভাঙচুর করে আগুন দেয়া হয়।

বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালানোর পর মাইকে ‘কর্মসূচি’ শেষ ঘোষণা করে মাদ্রাসায় ফিরে যায় ছাত্ররা।

বিরূপ প্রতিক্রিয়া

হেফাজত কর্মীদের এই ধ্বংসযজ্ঞে ভীষণ ক্ষুব্ধ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জন্য অস্ত্র তুলে নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধের একটি অন্যতম স্থান। এখানে মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিবিজড়িত অনেক কিছুই আছে। বারবার তারা এগুলোতে হামলা চালায়। আমি তাদের তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে হামলার সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক স্বপন মিয়া বলেন, ‘বাংলা ভাষা রক্ষায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের রয়েছে অতুলনীয় ভূমিকা। যারা আজ এ কাজ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। এটা তারা অতীতেও বারবার প্রমাণ দিয়েছে, আজও দিয়েছে।’

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘যদি তারা মনে-প্রাণে মুক্তিযুদ্ধকে লালন করত, তাহলে এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাত না।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেন, হামলার ধরন দেখে বোঝা যায়, তারা ইচ্ছা করেই এই স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে। তারা মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগুন দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলার গৌরব। তার নামেই শহরের মূল ফটকে ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বর তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল সভা ও অনুষ্ঠান করা হয়।

‘কাউতলীর শহীদদের নামফলক, বঙ্গবন্ধ ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে, গণগ্রন্থাগার যেখানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনেক বই রয়েছে, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বইগুলো অভাবে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হবে নতুন প্রজন্ম।’

আরও পড়ুন:
অ্যাম্বুলেন্সেও হেফাজতের হামলা, সাংবাদিক পেলেই মারমুখী
হেফাজতের হরতাল শেষে একের পর এক গাড়িতে আগুন
সিলেটে হেফাজতের মোড়কে শিবির
সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর নেতৃত্বে হরতালবিরোধী মিছিল
হরতালে ত্রাস শেষে হেফাজতের দোয়া দিবস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Not only the recognition but also the quality of the product should be looked at
১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে বৃহস্পতিবার ডিপিডিটি আয়োজিত ১৪টি জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ছবি: নিউজবাংলা
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দুহাত ভরে তার বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

শুধু স্বীকৃতি নয়, পণ্যের মানের দিকেও নজর দিতে হবে

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, শুধু প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’

জ্যেষ্ঠ শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একই সঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি (বিজ্ঞাপন), ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়।

সেগুলো হলো যথাক্রমে- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।

এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

আরও পড়ুন:
‘আমি বরই দিয়ে ইফতার করব, আর তুই খেজুর-আঙুর খাবি?’
‘টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদেরই থাকবে’
গোপালগঞ্জের রসগোল্লা পেল জিআই পণ্যের স্বীকৃতি
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মুক্তাগাছার মণ্ডা
টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা করেছে সরকার

মন্তব্য

জাতীয়
Democracy established on January 7 will fail if upazila elections fail CEC

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’

সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নৌকা ২২২ লাঙ্গল ১১ স্বতন্ত্র পেল ৬২ আসন
ভোট ৪০ শতাংশের মতো, আরও বাড়তে পারে: সিইসি
বেশির ভাগ জায়গায় নৌকা ছাড়া অন্য এজেন্ট পেলাম না: সিইসি
ভোট দিলেন সিইসি
জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি

মন্তব্য

জাতীয়
Say no to war Prime Minister

যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টারে (ইউএনসিসি) বৃহস্পতিবার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়/ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’র পক্ষে।”

সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পাশাপাশি যুদ্ধকে ‘না’ বলতে বৃহস্পতিবার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টারে (ইউএনসিসি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’র পক্ষে।”

ভাষণে সব ধরনের যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নৃশংসতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা ‍শুধু হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, বিশেষত নারী ও শিশুরা এর বলি হচ্ছে। অথচ আলোচনায় আসতে পারে শান্তি।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি যুদ্ধ ও গণহত্যা চলছে। এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না।’

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে, লাল গালিচা সংবর্ধনা
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ন্যাপ এক্সপো উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

জাতীয়
The fire may continue for another 72 hours

আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে দাবদাহ

আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে দাবদাহ গরমের তীব্রতা বাড়ার মধ্যে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় গোসল করছেন এক ব্যক্তি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।’

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহ আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
গাছহীন সড়কটি যেন ‘উত্তপ্ত কড়াই’
অতি তীব্র দাবদাহ চুয়াডাঙ্গায়, তাপমাত্রা ৪২.২
দাবদাহে ঢাবি জবিতে বন্ধ সশরীরে ক্লাস
দাবদাহ থেকে মুক্তি মিলবে কবে

মন্তব্য

জাতীয়
Tribute to memorial on 11th anniversary of Rana Plaza tragedy

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।

ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।

একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র‌্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন:
সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ
সাভারে গোডাউন খুলতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ তিন
টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত
ধামরাইয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহীর মৃত্যু
সাভার থেকে চুরি হওয়া শিশু নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

মন্তব্য

জাতীয়
1500 megawatts loadshedding people suffer in extreme heat

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ প্রতীকী ছবি।
এনএলডিসির তথ্য বলছে, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। বুধবার সকাল ৭টায় তা ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে এলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিং সেই অস্বস্তি-অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার তা ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য বলছে, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বুধবার বিকেল ৫টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট। সে হিসাবে সন্ধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উৎপাদন ঘাটতি ছিল ৭২৭ মেগাওয়াট।

ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
জনরোষ এড়াতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোপ গ্রামে
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
গ্যাস সংকটে লোডশেডিংয়ের সতর্কতা

মন্তব্য

জাতীয়
Appointment of 3 judges in Appellate Division

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার তারা শপ্রথ গ্রহণ করবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার শপথ

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।

মন্তব্য

p
উপরে