× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
ঢাকায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি
google_news print-icon

নেপালের প্রেসিডেন্ট ঢাকায়

নেপালের-প্রেসিডেন্ট-ঢাকায়
সকাল ১০টায় নেপাল এয়ারের বিশেষ বিমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। ছবি: নিউজবাংলা
সকাল ১০টায় নেপাল এয়ারের বিশেষ বিমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে তাকে স্বাগত জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।

নেপালের কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনিই প্রথম বাংলাদেশ সফর করছেন। সফরে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

সকাল ১০টায় নেপাল এয়ারের বিশেষ বিমানে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে তাকে স্বাগত জানান।

বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

নেপালের প্রেসিডেন্টকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় ২১ বার তোপধ্বনি দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। তারপর সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। তিনি অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে গার্ড অব অনার নেন।

পরে রাষ্ট্রপতি হামিদ বিমানবন্দরে বিদ্যা দেবীকে মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

বিমানবন্দর থেকে নেপালের প্রেসিডেন্ট যান সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তিনি একটি গাছের চারা রোপণ করেন। স্মৃতিসৌধ থেকে তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যাবেন।

নেপালের প্রেসিডেন্ট ঢাকায়
বিমানবন্দরে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারিকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা

আরও কর্মসূচি

বেলা ৩টায় নেপালের প্রেসিডেন্টের হোটেল স্যুটে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। সাড়ে ৩টায় তার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তারা একান্ত বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।

এদিন বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন।

সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

পরে বঙ্গভবনে নৈশভোজে অংশ নেবেন নেপালের প্রেসিডেন্ট। দরবার হলে ওই নৈশভোজের আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। সেখানে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি। জাদুঘর পরিদর্শনের কর্মসূচিও রয়েছে তার।

দুপুরের পর ঢাকায় নেপাল দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা ছাড়ার কথা তার।

বিদ্যা দেবী ভান্ডারি নেপালের দ্বিতীয় ও প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। দেশটি রাজতন্ত্র থেকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রূপান্তরের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট হন রাম বরণ যাদব।

২০১৫ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) ভাইস চেয়ারপারসন এবং দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বিদ্যা দেবী।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এরই মধ্যে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বাংলাদেশ সফর করেছেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও এই আয়োজনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা নিতে চায় শ্রীলঙ্কা
ইউএনএইচসিআরে বাংলাদেশকে ভোট দেবে শ্রীলঙ্কা
শেখ হাসিনায় উজ্জ্বল বঙ্গবন্ধু: রাজাপাকসে
ঢাকায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী
বুধবার ঢাকায় আসছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Allegation of illegal assets ACC case against former minister Saber Hossain along with his wife

অবৈধ সম্পদের অভিযোগ; স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদের অভিযোগ;
স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী রেহেনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়। সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
দুদক জানায়, আসামি সাবের হোসেন চৌধুরী ১৯৮৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে বৈধ আয়ের বাইরে ১২ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিজের নামে ২১টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২৪ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ২৫২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার অধীনে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে।
এছাড়া, তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ৩টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে দুদক জানিয়েছে। এই মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীকেও সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবের আওয়ামী লীগ সরকারের সবশেষ মন্ত্রিসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে তিনি প্রথমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। সাবের হোসেন ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পান। একাদশ সংসদে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
সরকার পতনের পর গত অক্টোবরে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে পাঠানোর পরদিনই ছয় মামলায় জামিন পেয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি পান সাবের হোসেন চৌধুরীর।

মন্তব্য

জাতীয়
Release of new schedule of metro rail movement

মেট্রো রেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

মেট্রো রেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

যাত্রীদের চলাচলের সুবিধায় আগামী রোববার থেকে রাজধানীর মতিঝিল এবং উত্তরা-উত্তর প্রান্ত থেকে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) মো. নাসির উদ্দিন তরফদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমটিসিএল-এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রমাগতভাবে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এবং সম্মানিত যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে আগামী রোববার হতে উত্তরা উত্তর মেট্রো রেল স্টেশন ও মতিঝিল মেট্রো রেল স্টেশন উভয় প্রান্ত থেকে এক ঘণ্টা বর্ধিত সময়ে মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরা-উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশন অভিমুখে প্রথম মেট্রোরেল ছেড়ে যাবে ৬টা ৩০ মিনিটে। যা আগে ছেড়ে যেত সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। এখন উত্তরা-উত্তর স্টেশন থেকে সবশেষ মেট্রো রেল ছেড়ে আসে রাত ৯টায়। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।
এছাড়া মতিঝিল থেকে উত্তরা-উত্তর অভিমুখে দিনের প্রথম মেট্রো রেল ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে ৭টায়।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী উত্তরা অভিমুখে মেট্রো রেল চলবে সকাল সোয়া ৭টা থেকে। মতিঝিল থেকে উত্তরা অভিমুখে সর্বশেষ মেট্রোরেল ছেড়ে যেত রাত সাড়ে ৯টায়। এখন রাত ১০টা ১০ মিনিটে তা ছেড়ে যাবে।
এদিকে শুক্রবারে মেট্রো রেল চলাচলের সময়সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখে প্রথম ট্রেন ছাড়ে বিকেল ৩টায়। সবশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টায়। মতিঝিল থেকে উত্তরা অভিমুখে প্রথম ট্রেন ছাড়ে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। সবশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

মন্তব্য

জাতীয়
11 arrested in Jail in Golands Padma campaign to protect Hilsa

ইলিশ রক্ষায় গোয়ালন্দের পদ্মায় অভিযান, ১১ জেলে আটক

ইলিশ রক্ষায় গোয়ালন্দের পদ্মায় অভিযান, ১১ জেলে আটক

মা-ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে ২৫ লাখ বর্গমিটার অবৈধ নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ১১ জেলেকে আটক এবং ৫ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর কলাবাগান ও অন্তার মোড় এলাকায় নৌপুলিশ ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য বিভাগ, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে

২৫ লাখ বর্গমিটার কারেন্ট জাল, ১১ জন জেলে আটক ও ৫ কেজি মা-ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে আটককৃত ১১ জন জেলেকে মৎস্য সুরক্ষা আইন ১৯৫০ খ্রি. সালের ৫ (২) (খ) ধারা মতে মিয়মিত মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও মাছগুলো এতিমখানা ও স্থানীয় অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌপুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্দেশনা মতে গত ৪ অক্টোবর থেকে অভিযান শুরু হয়েছে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে, মা-ইলিশ প্রজনন এই মৌসুমে সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করা হয়েছে, যেন কোনো জেলেরা নদীতে মা-ইলিশ না ধরে, যেন মা-ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়তে পারে, আমাদের নৌপুলিশের অভিযান নদীতে অব্যাহত রয়েছে। এখানে জেলা মৎস্য অফিসের সাথে আমাদের নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, ম্যাজিস্ট্রেট যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি থেকে চারটি মামলা রুজু হয়েছে, মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে, ৬০ জনের মতো আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, ২ কোটি ১০ লাখ বর্গমিটারের উপরে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, ২৬০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে গরিব ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা, এসআই মেহেদী হাসান অপূর্বসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Human chain to demand closure of brick kilns in Amtali

আমতলীতে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আমতলীতে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও ফসল রক্ষায় বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের বিবিসি ইটভাটা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আঁকবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিবিসি (বিসমিল্লাহ ব্রিকস) ইটভাটার কারণে এলাকার অন্তত পাঁচশত একর তিন ফসলি জমি, গাছপালা, জীববৈচিত্র্য, প্রাণিসম্পদ ও গ্রামীণ সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৭ সালে আব্দুল হান্নান মৃধা ফসলি জমির ওপর বিবিসি ইটভাটি স্থাপন করেন। কৃষকরা অভিযোগ করেন, ইটভাটা নির্মাণের পর থেকে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে আগের মতো ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। ওই ইটভাটার ৩০০ গজের মধ্যে রায়বালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এতিমখানা ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। আইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা, কৃষি জমি বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে সেখানে ইটভাটা চালু রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় জাহাঙ্গির আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাশির উদ্দিন, কবির গাজী, শাহীন প্যাদা ও খোকন হাওলাদার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ইটভাটার কারণে জমিতে আগের মতো ফলন হচ্ছে না, গাছে ফল ধরছে না এবং শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। তারা বরগুনা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত ইটভাটা বন্ধের দাবি জানান। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, তিন দিক ঘেরা ধান খেতের মধ্যে বিবিসি ইটভাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে।

রায়বালা গ্রামের কৃষক কবির গাজী বলেন, ‘ইটভাটার কারণে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো ফসল ফলছে না। পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Pledge to stand united for rice grains in Faridpur

ফরিদপুরে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার

ফরিদপুরে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যিনি ধানের শীষ প্রতীক পাবেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা তাকেই জিতিয়ে নেওয়ার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করব। এই নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসনে এবার ধানের শীষ প্রতীক হেরে গেলে আমরা শুধু হারবই না, চিরতরে হারিয়ে যাব। তাই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই ধানের শীষকে সর্বশক্তি দিয়ে বিজয়ী করে আনতে হবে।

গত বুধবার রাতে শহরের হাবেলি গোপালপুরে আফজাল হোসেন খান পলাশের বাসভবন প্রাঙ্গণে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় রাজপথের অকুতোভয় দুঃসাহসী নেতা হিসেবে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশকে জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি দেখতে চান বলেও নেতা-কর্মীরা জোরালো বক্তব্য দেন। তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে আফজাল হোসেন খান পলাশের দৃঢ় ভূমিকা রেখেছেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের করণীয় কী হবে, আমরা কী করব সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই সভার আয়োজন। যারা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছেন, সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ফরিদপুরের রাজপথে কোনো আন্দোলন হয়েছে আর আমি আফজাল হোসেন খান পলাশ ছিলাম না তা কখনোই হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় জাতীয় পর্যায়ে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন চলছিল, তেমনি ফরিদপুরেও একটা চক্রান্ত হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে বিএনপির ধানের শীষকে বিজয়ী করব।

ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আরেফিন সাগর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমএ সালাম লাল, ফরিদপুর সুগার মিলের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দীন বিশ্বাস, জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার জোয়ার্দার, জেলা যুবদলের সহসভাপতি কেএম জাফর, মোহসিনুল কবির রুবেল, টিটু খাঁন, শ্যামসুন্দরপুর নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুতাওয়াল্লী আলহাজ ফরিদ শেখ, বিএনপির প্রবীণ নেতা আলমগীর মাস্টার, মো. রেজাউল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার খান, শাহীন হক, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবির, আলতাফ হোসেন, হাফিজুর রহমান রাজা, জিন্না মেম্বার, হায়দার হোসেনসহ অনুষ্ঠানে ৪৫ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

জাতীয়
27 percent of people in Rangpur are carriers of thalassemia

রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প
রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক

রংপুরে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। এছাড়া প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫ থেকে ৮ হাজার নতুন থ্যালাসেমিয়া রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষাসহ থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করে এমন নারী-পুরুষদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা গেলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধ যোগ্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে ‘থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প’ উপলক্ষে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ তথ্য দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতালের উদ্যোগে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. একরামুল হোসেন স্বপন। তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাফরুহা আক্তার। রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম আল আমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার।

সেমিনারে চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়ার বাহক আর থ্যালাসেমিয়ার রোগী এক নয়। বাহকের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না, তেমন কোনো চিকিৎসাও লাগে না। তবে একজন বাহক পরবর্তী প্রজন্মে রোগ বহন করতে সক্ষম। থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বিষয়ে সবাই সচেতন হলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় বেশির ভাগ পরিবার এর চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। তাই এ রোগ প্রতিরোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

মন্তব্য

জাতীয়
Tourists of Srimangal suffer from ticket shortage

টিকিট সংকটে ভোগান্তিতে শ্রীমঙ্গলের পর্যটকরা

টিকিট সংকটে ভোগান্তিতে শ্রীমঙ্গলের পর্যটকরা

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় সিট সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় সপ্তাহ ১০ দিন আগেই সব টিকিট বুকিং হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘুরতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয় যাত্রীরা।

গত শুক্রবার ঢাকা থেকে পরিবারের লোকজন নিয়ে শ্রীমঙ্গল ঘুরতে আসেন পর্যটক আরোফিন আহমেদ। বাসে যাতায়াত করা তার জন্য অস্বস্তিকর হওয়ায় তিনি ট্রেনে ফিরতে চাইলেও গত রোববার বা সোমবারের কোনো টিকিট পাননি। শেষমেষ ভোগান্তি নিয়ে তাকে বাসে করেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক হুমায়রা সুলতানা বলেন, ‘অনেক চেষ্টার পরেও ট্রেনের কোনো টিকিট পাইনি। ছোট্ট শিশু সন্তান নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে যাত্রা করতে হয়েছে। এটি খুবই কষ্টদায়ক। দীর্ঘদিন ধরে আমরা রেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।’

১৯১২ সালে চালু হওয়া শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন মৌলভীবাজার জেলার তিনটি উপজেলার যাত্রী ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল হওয়ায় এ স্টেশনের গুরুত্ব অনেক। প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন; কিন্তু টিকিট সংকট তাদের জন্য সবচেয়ে বড় ভোগান্তি।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী শ্রীমঙ্গল থেকে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা কালনী এক্সপ্রেসে ৮১টি, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে ৭০টি, পারাবত এক্সপ্রেসে ১০৫টি, উপবন এক্সপ্রেসে ৬৫টি, পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ৪৭টি এবং উদয়ন এক্সপ্রেসে ৩০টি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী লিটন অধিকারী বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহেই ঢাকায় যেতে হয়। শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে টিকিট বরাদ্দ কম থাকায় সিলেট থেকে ঢাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করি।’

রাধানগর পর্যটন কল্যান পরিষদের যুগ্ম সভাপতি তাপস দাশ বলেন, ‘বর্তমানে শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১০০টি হোটেল-রিসোর্ট রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসলেও ট্রেনের টিকিটের সংখ্যা এত কম যে সেগুলো ১০ দিন আগেই বুকিং হয়ে যায়। ফলে পর্যটন খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প ও স্থানীয় জনগণের ভ্রমণ সুবিধা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ট্রেন চালু ও সিট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেন স্থানীয়রা।

পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মা বলেন, ‘দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন ফিরতি টিকিট নিয়ে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য কোনো কোটা নেই। রাত ২টার পর ঢাকা যাওয়ার ট্রেন ধরতে স্টেশনে পর্যটকদের অপেক্ষা করতে হয়, অথচ স্টেশনের টয়লেট ব্যবস্থাও নাজুক এবং ভিআইপি রুম তালাবদ্ধ থাকে। তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে নতুন ট্রেন চালুর পাশাপাশি সময়সূচি আপডেটের দাবি জানান।

শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শুক্র ও শনিবারে হাজারও পর্যটক আসেন। কিন্তু যাত্রী সংখ্যার তুলনায় বরাদ্দ টিকিট অপ্রতুল। আমাদের কিছু করার নেই। অনলাইনে আগেই টিকিট কেটে নেয় যাত্রীরা। কালোবাজারির সুযোগ নেই, কারণ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকিট কাটা যায় না। তবে আমরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সিট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘এই উপজেলার পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক সমস্যা সমাধান, ট্রেন ও টিকিট সংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।’

মন্তব্য

p
উপরে