× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
পিতৃত্বের পরীক্ষা বদির আদালতবিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন
google_news print-icon

পিতৃত্বের পরীক্ষা: বদির আদালতবিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন

পিতৃত্বের-পরীক্ষা-বদির-আদালতবিমুখতা-নিয়ে-প্রশ্ন
কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে বাবা দাবি করা যুবক মো. ইসহাক। ছবি: নিউজবাংলা
ইসহাকের দাবি, ৯০ দশকে তার মাকে বিয়ে করেন বদি। বিষয়টি আওয়ামী লীগ নেতার বাবা জানতে পারার পর তালাক না দিয়েই বিয়ে দেয়া হয় আরেকজনের সঙ্গে। তত দিনে মায়ের পেটে চলে এসেছেন ইসহাক। এই যুবক মামলার আর্জিতে বলেছেন, তার দাবির সত্যতা প্রমাণে তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করাতেও রাজি।

পিতৃত্বের দাবি করে হুলুস্থুল ফেলে দেয়া কক্সবাজারের যুবক মো. ইসহাকের করা মামলায় এবারও আদালতে হাজির হলেন না টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।

এ নিয়ে পরপর দুইবার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করলেন কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

গত ১৩ ডিসেম্বর টেকনাফের সহকারী জজ জিয়াউল হকের আদালতে মামলা করার পর বদিকে আদালতে হাজির হতে দুইবার সমন দেয়া হয়েছে। কিন্তু সাবেক সংসদ সদস্য বিচারকের মুখোমুখি হচ্ছেন না।

মামলা করার পর আদালত বদিকে ১৪ জানুয়ারি হাজির হতে সমন দেয়।

১৩ ডিসেম্বর মামলার পর আদালতের সমন নিয়ে টেকনাফে বদির বাসায় যান আদালতের জারিকারক মো. টিটো। কিন্তু ঢুকতে দেয়া হয়নি তাকে। আদালতের সমন আছে জানালে দারোয়ান বলেন, বদি ঢাকায় আছেন। এরপর টিটো ফিরে আসেন।

১৪ জানুয়ারি বদি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় সেদিন নতুন তারিখ দেন বিচারক। ১৪ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতাকে উপস্থিত থাকতে বলে আবার সমন পাঠাতে বলেন তিনি।

কিন্তু রোববার এই তারিখেও আদালতে এলেন না আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য।

বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর সমনটি এবার বদির বাড়ির পাশাপাশি ই-মেইলেও পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

ইসহাকের দাবি, ৯০ দশকে তার মাকে বিয়ে করেন বদি। বিষয়টি আওয়ামী লীগ নেতার বাবা জানতে পারার পর তালাক না দিয়েই বিয়ে দেয়া হয় আরেকজনের সঙ্গে। তত দিনে মায়ের পেটে চলে এসেছেন ইসহাক।

পিতৃত্বের পরীক্ষা: বদির আদালতবিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন
বাবা দাবি করে মো. ইসহাকের করা মামলায় দ্বিতীয়বারের মতো আদালতে হাজির হলেন না আবদুর রহমান বদি

এই যুবক মামলার আর্জিতে বলেছেন, তার দাবির সত্যতা প্রমাণে তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করাতেও রাজি।

রোববার দুপুরে আদালতে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের ইসহাক বলেন, মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পিতৃত্ব প্রমাণ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আদালতে আসছেন না বদি।

ইসহাক বলেন, ‘মামলার পর আদালতে জারি করা সমন বিভিন্নভাবে তার বাবা আব্দুর রহমান বদির কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি তা পাননি বলে দাবি করছেন। এটি তার একটি কৌশল। তিনি এভাবে মূলত আদালতে সময়ক্ষেপণ করছেন।’

মামলার পর বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করে ইসহাক বলেন, ‘সুযোগ বুঝে তিনি আমাকে মেরে ফেলার চিন্তা করছেন। তবে আমি বেঁচে থাকা পর্যন্ত পিতার স্বীকৃতি আদায় করেই ছাড়ব।’

ইসহাকের আইনজীবী কফিল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বদি আজও আসেননি। কিন্তু কতদিন এভাবে থাকবেন। এবার তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে কপি পাঠানো হবে।’

পিতৃত্বের পরীক্ষা: বদির আদালতবিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন
আইনজীবী কফিলউদ্দিন বলছেন, ইসহাকের চেহারা বদির মতো, আর এটাই তার দাবির সত্যতার প্রমাণ

বদির সঙ্গে ইসহাকের চেহারায় মিল থাকা নিয়ে স্থানীয়ভাবে নানা আলোচনা আছে। ইসহাকের আইনজীবী কফিল উদ্দিন এই বিষয়টিই সামনে আনছেন।

ইসহাক যা বলছেন

ইসহাকের দাবি, ১৯৯২ সালের ৫ এপ্রিল তার মা সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বদির। বিয়ে পড়ান বদিদের আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে কর্মরত মৌলভী আবদুস সালাম। সাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান মোহাম্মদ এখলাছ।

বিষয়টি নিয়ে এতদিন চুপ থাকা প্রসঙ্গে ইসহাক জানান, বদির রাজনৈতিক শত্রু ও সামাজিক অবস্থানসহ নানা সমীকরণের কারণে তিনি মায়ের কাছে সময় নেন।

আর্থিক কষ্টে থাকলেও বদিকে উদ্দেশ করে ইসহাক বলেন, ‘আপনার ছেলে হিসেবে অনুরোধ করছি, আমি আপনার টাকাপয়সা সম্পত্তি কিছু চাই না। আমি শুধু আপনাকে চাই।’

‘আপনি আপনার ছেলেমেয়েকে যেভাবে আদর-স্নেহ দিয়ে পিতার পরিচয় দিচ্ছেন, আমিও সেই অধিকার চাই।’

পিতৃপরিচয় পাওয়া ছাড়া আদালতে যাওয়ার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই জানিয়ে ইসহাক বলেন, ‘আমি আদালতে গেছি সুষ্ঠু বিচারের আশায়। আমি আশা করি, বাবা আমাকে গ্রহণ করবেন। আমি বাবার সম্মানহানি করতে চাইনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে আমার বাবা আবদুর রহমান বদিকে বলতে চাই, আপনি সত্য বলতে কখনও মাথা নত করেন না। আপনি হয়তো কোনো চাপে পড়ে আমাকে অস্বীকার করছেন।’

যা বলছেন ইসহাকের মা

নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয়েছে ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুনের। তিনি জানান, ১৯৯২ সালের জানুয়ারির দিকে তারা টেকনাফ ইউনিয়নের অলিয়াবাদে থাকতেন। তার বাবা থাকতেন সৌদি আরবে। সে সময় বেশ কয়েকবার ডাকাতি হয়।

টেকনাফ তখন ইউনিয়ন পরিষদ। আর এর চেয়ারম্যান বদির বাবা এজহার মিয়া। বিষয়টি তাকে জানালে বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সুফিয়াদের ঘরবাড়ি বিক্রি করে দেয়ার পরামর্শ দেন এজহার। তারাও চেয়ারম্যানের কথামতো বাড়িঘর বিক্রি করে দেন।

বদিদের বাড়িতে সালিশ চলত, এমন একটি পরিত্যক্ত ঘরে আশ্রয় হয় সুফিয়াদের।

পিতৃত্বের পরীক্ষা: বদির আদালতবিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন
মামলার বাদী ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুন, যিনি দাবি করেছেন ১৯৯২ সালে বদি তাকে বিয়ে করেছেন

সুফিয়া জানান, বদির সঙ্গে তার দেখা হতো, কথা হতো। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রাজি হয়ে যান তিনিও।

১৯৯২ সালে ৫ এপ্রিল ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয়। বিয়ে পড়ান আবদুর রহমান বদির পারিবারিক আবাসিক হোটেল নিরিবিলির মৌলভী আবদুস সালাম। সাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান এখলাছ।

এই কথা জানতেন না বদির বাবা এজহার মিয়া। যখন কানে আসে, তখন গর্ভে সন্তান ইসহাক নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছে।

সুফিয়া জানান, বাবা এজহারের রাগ দেখে বদি সে সময় গর্ভপাত করার চেষ্টা করেন। তিনি রাজি না হওয়ায় গর্ভের সন্তানসহ হত্যার হুমকি দেন। পরে রাজমিস্ত্রিকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন বদি ও এজহার।

সুফিয়া জানান, তিনি যে গর্ভবতী, সেটি জানতেন না রাজমিস্ত্রি নুরুল।

সুফিয়ার ভাষায়, ‘আর আব্বা ইত্তে সৌদি আরব আইসিল। আরও ঘরত প্রায়ই ডাহাইত অক্কলে ডাহাতি অয়ত নিরাপত্তার লাই আরে এমপির বাপ এজেহার কোম্পানি ইতার ঘরর এক্কান বারান্দা আইসসিল এড়ে আশ্রায় লই। এড়ে থাকা অবস্থাত গোপনে বদি সাহেব আরে ১৯৯২ সালে ৫ এপ্রিল বিয়া ঘরে।

‘বিয়া পড়ায় বদি সাহেবর হোটেল নিরিবিলি, বিয়া পড়ায়ে মৌলভি আবদুস সালাম বিয়াত সাক্ষী আইসসিল হোটলর দারোয়ান এখলাছ।’

তিনি বলেন, ‘বিয়ার হতা ইয়ান ইতার ঘরর আত্মীয়-স্বজন অক্কলে জানাজানি হয়। এত্তে প্রথমে বদি সন্তান নষ্ট গইত্ত চাইল। আই রাজি নয়লে এত্তে ইসহাক আর ছয় মাসর পেটত। ইতার মানুষ অক্কলে আরে জোরগরি ইতারত এত্তে রাজমিস্ত্রি হাজ গইত্ত নুরুল ইসলাম ইবারে বোন পরিচয় দিয়রে আরে বিয়া দেয়।’

সুফিয়া এখন তার ছেলে ইসহাকের পিতৃপরিচয় চান। তার কোনো দাবি-দাওয়া নেই জানিয়ে ইসহাককে ছেলে হিসেবে মেনে নেয়ার জন্য বদির প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

নুরুল যা বলছেন

সুফিয়ার বিয়ে হয়েছিল যার সঙ্গে, সেই নুরুল ইসলাম বলেন, বদির বাবা এজহার মিয়া একদিন তাকে ডেকে বললেন, ‘তোর জন্য একটা মেয়ে ঠিক করেছি।’

তখন না করেননি নুরুল।

বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বদিও। তিনিও সুফিয়াকে চাচাতো বোন পরিচয় দেন। বলেন, সব সময় পাশে থাকবেন।

পিতৃত্বের পরীক্ষা: বদির আদালতবিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন
মাকে নিয়ে কক্সবাজারের এই বাড়িতে থাকেন বদিকে বাবা দাবি করা যুবক মো. ইসহাক

তবে বিয়ের দুই মাস পর নুরুল জানতে পারেন তার স্ত্রী গর্ভবতী। তখন সুফিয়া তাকে সব খুলে বলেন। পরে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সুফিয়া।

নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এমন বাস্তবতা সামনে আসবে তা কখনও কল্পনাও করেননি তিনি। কখনও কক্সবাজারে কখনও চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াতেও হয়েছে তাকে।

নুরুলও চান, সন্তান হিসেবে ইসহাককে স্বীকৃতি দিক বদি।

বদির বিরুদ্ধে আরও যত মামলা-অভিযোগ

বদি নানা ঘটনায় বাংলাদেশে আলোচিত চরিত্র। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে তিনি কক্সবাজার-৪ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তার বদলে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় তার স্ত্রী শাহিন চৌধুরীকে। তিনিই এখন ওই আসনের সংসদ সদস্য। তবে নেপথ্যে থেকে কাজ করেন বদি।

এই রাজনীতিক আলোচিত ইয়াবা পাচারের অভিযোগ নিয়ে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির প্রতিবেদনে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের কারবারে তার সম্পৃক্ততার তথ্য আছে বলে জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন এসেছে একাধিক। তবে বদি বরাবর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার।

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর ওই বছরের ২০ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হয়নি এখনও।

আরও পড়ুন:
‘ছেলে’ ইসহাকের মামলায় আদালতে গেলেন না বদি
ইসহাকের মামলায় জবানবন্দি দেবেন বদি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

জাতীয়
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

জাতীয়
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Foreign Adviser

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।

ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে