মশার উৎপাতে যেমন ত্রাহি অবস্থা, পাশাপাশি বাজারে থাকা মশা মারার উপকরণের রমরমা। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর মুখ উজ্জ্বল। সবার একটাই কথা: আগের থেকে ব্যবসা ভালো।
কিন্তু ব্যবহারকারীরা বলছেন, মশার ওষুধে কাজ হচ্ছে না।
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ মিরপুরের হাসান বাপ্পি বলেন, ‘মশার কয়েল সারা ঘরে জ্বালালেও মশা যেতে চায় না। ইন্ডিয়ান গুডনাইট অন করে রাখলে মশা গুডনাইটকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। কয়েল জ্বালালে কয়েলের উপর দিয়ে ঘোরে।’
এ কারণে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাটের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা।
গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের বিসমিল্লাহ্ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের পাইকারি ইলেকট্রিক ব্যাট বিক্রেতা মো. বাহার এখন প্রতিদিন আড়াই থেকে ৩ হাজার ব্যাট বিক্রি করছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, মৌসুমের আগে ব্যাট বিক্রি হতো সর্বনিম্ন ২২৫ থেকে ২৩০ টাকায় এবং সর্বোচ্চ ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়। এখন সর্বনিনম্ন ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকায় ব্যাট বিক্রি করছেন তিনি। মশার বৃদ্ধির কারণে পণ্যের সরবরাহে টান পড়ায় প্রতি ব্যাটে দাম ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে।
ব্যাট কোথা থেকে আনা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব ব্যাট চায়না থেকে ইমপোর্ট করা। ইমপোর্টারদের কাছ থেকে আমরা কিনে পাইকারি বিক্রি করি। মাঝে মাঝে ২-১ পিস খুচরা বিক্রি করা হয়।’
মোহম্মদপুরে শহীদ পার্ক মসজিদ মার্কেটে ইলেকট্রনিক দোকানে খুচরা ইলেকট্রিক ব্যাট বিক্রি করেন সবুজ হোসেন। মশা বাড়ায় ব্যাটের চাহিদা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন সাত থেকে ১০টা ব্যাট বিক্রি করেন তিনি। এসব ব্যাট তিনি নবাবপুর থেকে কিনে আনেন।
রাজধানীর চকবাজার বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি মার্কেট। এখানে সাত থেকে আটটি দোকানে পাইকারি বিক্রি হয় মশার কয়েল।
তৌসিফ অ্যান্ড ব্রাদার্স-এর মালিক বোরহান উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বছরের অন্য সময় দিনে ১০ থেকে ১৫ কার্টন মশার কয়েল বিক্রি হলেও এখন ৪৫ থেকে ৫০ কার্টন বিক্রি হচ্ছে। একটি কার্টনে ৩০ প্যাকেট মশার কয়েল থাকে। সর্বনিম্ন এক প্যাকেট কয়েল ২৭ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়। আমাদের কাছে সাত থেকে আট প্রকারের কয়েল আছে।’
ভেজাল কয়েল নিয়ে অনেকে অভিযোগ তুলছেন উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, ‘বাজারে নিমপাতা-তুলসী পাতাসহ অনেক নামের কয়েল পাবেন, যেগুলোর সরকারি অনুমোদন নাই। আমরা সরকারি অনুমোদন ছাড়া কোনো কয়েল বিক্রি করি না।’
মশার কয়েল চীন থেকে আমদানি হয় কিনা জানতে চাইলে বোরহান বলেন, ‘চায়না থেকে কোনো মশার কয়েল আসে না। সেখান থেকে কয়েলের কাঁচামাল আসে। এই কাঁচামাল দিয়ে ঢাকায় তৈরি করা হয় চায়না কয়েল।’
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রুমে মশার ওষুধ স্প্রে করার কিছুক্ষণ পরে আবার মশা আসে। ঘরের বাইরে যেখানেই যাই, মশা আর মশা। সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে ঘরের জানালা আটকালে মশা একটু কম আসে। ঘরে-বাইরে সবখানে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।’
কীটতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার নিউজ বাংলাকে বলেন, ‘এ বছর ফেব্রুয়ারিতে মশার ঘনত্ব বেড়েছে চার গুণ। তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রজাতির মশা কীটনাশক ও প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তাদের জিনগত পরিবর্তন করে থাকে। যে কীটনাশক এখন দেয়া হচ্ছে বা বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরে দেয়া হয় সেটার বিরুদ্ধে মশা সহনশীলতা তৈরি করে ফেলে। এটাকে ইনসেক্টিসাইড রেজিস্ট্যান্স বা কীটনাশক সহনশীলতা বলা হয়। একটা সময়ে এটা এদের জিনগত সহনশীলতায় পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা পরবর্তী প্রজন্মেও ট্রান্সফার হয়। এ কারণে মশার ওষুধ আর কাজ করছে না।’
মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ সুপার মার্কেটে খুচরা মশারি বিক্রি করেন মো. কামাল। শহরে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় তার দোকানে মশারি বিক্রি বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘শহরে মশার বড়ই উৎপাত। এই সিজনেই মশারি ভালো বিক্রি হয়। বছরের অন্য সময় বিক্রি খুবই কম। ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০ টাকা মূল্যের মশারি আছে আমার দোকানে। এখন প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ পিস মশারি বিক্রি করি। বছরের অন্য সময় মাসে ১০ থেকে ১৫ পিস বিক্রি হয়।’
মশারির ধরন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘সাত থেকে আট ধরনের মশারি আছে তার দোকানে। দামি মশারির ভেতরে বাতাস ভালো ঢোকে।’
কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানি রিপন শেখ বলেন, ‘নানা রকম পণ্যের পাশাপাশি তারা মশার উপকরণ বিক্রি করেন। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন মশার কয়েলের চাহিদা বেশি।’
মশা মারার উপকরণের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মশা মারার স্প্রে ছোটটা ১৮০ টাকা, মাঝারিটা ৩০০ টাকা আর বড়টা ৪৫০ টাকায় বিক্রি করেন। ইলেকট্রনিক স্প্রে মর্টিন দেড়শ থেকে ২৩০ টাকা। মর্টিনের লিকু্ই রিফিল ১০০ থেকে ১৩৫ টাকা দাম।’
রায়ের বাজার এলাকার ফার্মেসি ব্যবসায়ী মিলন বলেন, ‘মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া জন্য ওডোমসের চাহিদা বেড়েছে। তবে দাম বাড়েনি। ছোট ওডোমস ৫০ টাকা, বড়টা ৮০ টাকা।’
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল ৩০তম নিক্কেই ফোরাম ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য প্রদান করবেন।
তিনি ‘অসহিষ্ণু বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গঠনে এশিয়ার দেশসমূহের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত পদক্ষেপের ওপর জোর দেবেন।
আগামীকাল নিক্কেই ফোরামের সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে, নিক্কেই ইনকর্পোরেশনের শীর্ষ নির্বাহীরা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন।
পরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত একটি মানবসম্পদ উন্নয়ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন। যেখানে ৩শ’ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি এই অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাষণ দেবেন। ভাষণে জাপানের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনার ওপর আলোকপাত করা হবে।
অধ্যাপক ইউনূস জাইকার প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকোর সঙ্গে একটি বৈঠকেও মিলিত হবেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন সহযোগিতা ও জাইকা অর্থায়িত প্রকল্পসমূহ পর্যালোচনা করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রণীত কর্মসূচি অনুযায়ী, তিনি জাপানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম- নিক্কেই, এনএইচকে, আসাহি শিম্বুন, আসাহি টিভি ও নিপ্পন টিভিকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেবেন।
আগামীকাল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা নিক্কেই ফোরামের সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংবাদপত্র পাঁচদিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। নোয়াব জানিয়েছে, ৫ থেকে ৯ জুন সংবাদপত্রে ঈদের ছুটি থাকবে। এ কারণে ৬ থেকে ১০ জুন সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।
বুধবার নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ থেকে ৯ জুন ঈদের ছুটি পালন করা হবে। তাই ৬ থেকে ১০ জুন কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে।
লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ খবর জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, লঘুচাপের কারণে আজ (বুধবার) ভোর থেকে পটুয়াখালিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনবির পটুয়াখালীর প্রতিনিধি।
তিনি আরও জানান, পটুয়াখালীর আকাশ আজ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়েছে উঠেছে।
তাছাড়া, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে অন্তত পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চলসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ (বুধবার) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমার আভাস দেওয়া হয়েছে।
পরের তিন দিন একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে পরের দুদিন প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এছাড়াও পঞ্চম দিন রবিবারও বৃষ্টিপাতের পর এই প্রবণতা কমে ফের গরম বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭’র বাছাইপর্বের ম্যাচকে সামনে রেখে ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
বাংলাদেশের জার্সিতে আগেই অভিষিক্ত হামজা চৌধুরিতো রয়েছেনই, সাথে আরো যোগ হয়েছেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা শমিত সোম ও ইতালিয়ান লিগে খেলা ফাহমিদুল ইসলাম। ইতোমধ্যেই ফাহমিদুল জাতীয় দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। হামজা ও শমিতও দ্রুতই চলে আসবেন।
আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বহুল প্রতিক্ষিত ম্যাচটি নিয়ে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। তার আগে ভুটানের বিপক্ষে ৪ জুন একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অংশ নিবে বাংলাদেশ।
এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখে শুক্রবার থেকে ক্যাম্প শুরু করবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। দলে নতুন কোন চমক নেই। স্ট্রাইকার সুমন রেজা শুধু দলে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ দল :
গোলরক্ষক : মিতুল মারমা, সুজন হোসাইন ও মেহেদী হাসান শ্রাবণ
ডিফেন্ডার : শাকিল আহাদ তপু, জাহিদ হাসান শান্ত, রহমত মিয়া, ঈসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ ও সাদ উদ্দিন
মিডফিল্ডার : মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজিম, সোহেল রানা, মজিবর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম
ফরোয়াডর্ : ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন, শাহরিয়ার ইমন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন, ফাহমিদুল ইসলাম ও সুমন রেজা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের যে ন্যায্য দাবি অবৈধ কালাকানুন বা কালো আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি একটি সবুজ সংকেত পেয়েছি। আশা করি, আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যে ফলাফল আসবে আশা করি এতে তারা (কর্মচারী) সন্তুষ্ট হবেন।’
ইতিমধ্যে অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে উত্থাপিত দাবি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বিষয়টির কুফল সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। এই কালো বা নিবর্তনমূলক আইন রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ ও কর্মচারীদের জন্য ফলপ্রসূ নতুন কোন কিছু বয়ে আনবে না।’
‘রাষ্ট্রের স্বার্থ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে কর্মচারীদের মান-মর্যাদা ও কর্মস্থলের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুকূল কর্মপরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমরা উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সচিব পর্যায়েও আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি বাদিউল বলেন, ‘গতকালকে সাতজন সচিবের সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে, সেটার ধারাবাহিকতায় ওই সচিবরা আজকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয়ের সঙ্গে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন। তারা পরিষ্কারভাবে কোনো কিছু না বললেও বিষয়টি আমাদের বুঝতে বাকি নেই, আমরা আশা করছি, তাদের এই আলোচনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয় ইতিবাচক কোনো কিছু আমাদের জন্য এনে দিতে পারবেন।’
কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই কাঙ্ক্ষিত বিষয়টির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, রাষ্ট্রের ক্রান্তিকাল অতিক্রম হতে চলছে। আপনারা জানেন সামনেই কোরবানির ঈদ এবং বাজেট ঘোষণার সময়। যেহেতু আমরা সাধারণ মানুষের সেবক। সাধারণ মানুষের দুঃখ লাঘবে আমরা সেবা প্রদান করে থাকি। সরকারি কর্মচারীরা যাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কারণ না হয় আমরা সেই বিষয়টিও বিবেচনায় এনেছি।’
এই কর্মচারী নেতা বলেন, ‘আমরা সব বিষয় চিন্তা-ভাবনায় রেখে আগামী দিনগুলোতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা জরুরি সেবার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সচিবালয়ে শুধু প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সব দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর এবং ডিসি অফিস, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত, আমাদের পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’
কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘এর সঙ্গে সঙ্গে আপনাদেরকে একটি বিষয়ে অবহিত না করলেই নয়; সারাদেশে যে সব জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আছে, বাজেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং যারা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন, সেই সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাই-বোনদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে- আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যত কম সময় কর্মবিরতি পালন করতে পারেন, অভ্যন্তরীণভাবে আপনারা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
‘তবে আমার প্রস্তাব আধা-ঘণ্টার বেশি নয়। যদি আরও কম সময় আপনারা কর্মবিরতি পালন করে সাধারণ মানুষের সেবাটা নিশ্চিত করতে পারেন, সেই বিষয়টি বিবেচনার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইলো,’ যোগ করেন তিনি।
‘আমরা এর মধ্যেই উপদেষ্টা মহোদয়দের কাছে এ বিষয়ে যৌক্তিকতা আরও নিবিড়ভাবে বোঝানোর জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করব।’
প্রধান উপদেষ্টা আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাদিউল কবীর। অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সবুজ সংকেত কিভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে- তিনি বলেন, ‘সার্ভিসে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতার সূত্রটি আমরা অ্যাপ্লাই করেছি- কোন কাজের কোন আলোচনার কি ফলাফল আসতে পারে।’
নাটোরের লালপুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে খলশিডাঙ্গা নদীর পাড় ভাঙন রোধে কোটি টাকা ব্যয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছিল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। তবে নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও রড-সিমেন্ট কম দেওয়ায় ছয় মাসের মধ্যেই দেয়ালে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার দুই শ পরিবার নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের গাফিলতি ও যোগসাজশের কারণে এমন দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গাইড ওয়াল ও সড়কের মাঝে ফাঁকা জায়গা ভরাটের জন্য নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বর্ষা শুরু হলে ক্ষতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে খননযন্ত্র (ভেকু) ব্যবহার করে অবৈধভাবে মাটি তোলা হচ্ছে এবং সেটি ওয়াল ও সড়কের ফাঁকা জায়গায় দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কেশবপুর গ্রামের আঞ্চলিক রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং বাড়িঘরও ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকরাম আলী ও মাহফুজুর রহমান জানান, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বিএমডিএ প্রকৌশলীদের যোগসাজশে অনিয়ম করে এসব কাজ করা হয়। কাজের কিছুদিন পরই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে নদী ভাঙন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। তারা দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার গোলাপ আলী জানান, এই প্রকল্পে কাজটি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ঠিকাদার দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছে। বাইরে থেকে মাটি কেনা সম্ভব না হওয়ায় প্রকৌশলীর নির্দেশনা অনুযায়ী নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে ব্যবহার হচ্ছে।
বিএমডিএর বড়াইগ্রাম জোনের লালপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাসার জানান, গত বর্ষায় সময় স্বল্পতার কারণে ওয়ালের ব্যাক সিলিংয়ে মাটি দেওয়া হয়নি, যা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের জন্য নদী থেকেই মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওয়ালের কিছু মাটি সরার ফলে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে এসব প্রকল্পের বরাদ্দ কত সেটা জানা নেই।
এ বিষয়ে বিএমডিএর বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়গুলো সরাসরি উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেখে থাকেন, তাই তিনিই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেআইপিএফএল) সভাপতি তারো আসো আজ বুধবার টোকিও’র ইম্পেরিয়াল হোটেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সরকারি সফরে আজ জাপান পৌঁছান। সফরকালে তিনি নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন।
আগামী ৩১ মে প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
মন্তব্য