× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
টিকা এনে ভারতকেই পেছনে ফেলল বাংলাদেশ
google_news print-icon

ভারত থেকে টিকা এনে ভারতকেই পেছনে ফেলল বাংলাদেশ

ভারত-থেকে-টিকা-এনে-ভারতকেই-পেছনে-ফেলল-বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে টিকা প্রয়োগের চিত্র। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৬ কোটির বাংলাদেশে টিকা দেয়া হয়ে গেছে সাড়ে ১৮ লাখের বেশি। শতকরা হিসাবে তা মোট জনসংখ্যার ১.১৫ শতাংশের মতো। কিন্তু ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি দুই লাখের কিছু কম মানুষকে। শতকরা হিসাবে তা ০.৭৫ শতাংশের মতো।

ভারত থেকে করোনার টিকা এনে প্রয়োগে উৎপাদক দেশটিকেই পেছনে ফেল দিল বাংলাদেশ।

ভারতে টিকার প্রয়োগ চলছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। সেখানে টিকাদান শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি। বাংলাদেশে প্রয়োগ করা হয়েছে ১০ দিন মাত্র। ২৭ জানুয়ারি উদ্বোধন হলেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় গণ প্রয়োগ।

বাংলাদেশে এরই মধ্যে মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ভারত এখনও এক শতাংশের কাছাকাছি নেই।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৬ কোটির বাংলাদেশে টিকা দেয়া হয়ে গেছে সাড়ে ১৮ লাখের বেশি। শতকরা হিসাবে তা মোট জনসংখ্যার ১.১৫ শতাংশের মতো।

কিন্তু ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি দুই লাখের কিছু কম মানুষকে। শতকরা হিসাবে তা ০.৭৫ শতাংশের মতো।

বাংলাদেশের মতো ভারতেও টিকা নিয়ে অবিশ্বাস, সন্দেহ দানা বাঁধে শুরুতে। এ কারণে সরকার যত ভেবেছিল, তত টিকা দেয়া যায়নি এখনও।

বাংলাদেশে টিকা আসার পর থেকেই এ নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নানা কথা বলাবলি হচ্ছিল। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে টিকা নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়। বলা হয়, এই টিকা নিয়ে মানুষ মারা যাবে।

ভারত থেকে টিকা এনে ভারতকেই পেছনে ফেলল বাংলাদেশ
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে টিকা নিতে আসা মানুষের সারি। ছবি: নিউজবাংলা

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী এমনও বলেন, করোনার টিকা দিয়ে সরকার বিএনপিকে মেরে ফেলতে চায়।

তবে টিকা প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ন্যূনতম পর্যায়ে থাকা আর যে সমস্যা সেগুলোও ধর্তব্যের মধ্যে না পড়ার পর দিনে টিকা প্রয়োগ ৩১ হাজার থেকে দুই লাখ ৬১ হাজার পৌঁছতে সময় লাগেনি ১০ কার্যদিবস।

ভীতি কমে যাওয়ার আরেক প্রমাণ মেলে টিকার জন্য নিবন্ধনে। প্রথম এক লাখ নিবন্ধন হতে যেখানে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগে যায়, সেখানে পরের দুই সপ্তাহ নিবন্ধন ছাড়িয়ে গেছে ২৫ লাখ।

বিএনপিও এখন অবস্থান পাল্টেছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তারা টিকা নেবেন না এ কথা কখনও বলেননি।

শুক্রবার রাজধানীতে একটি সংলাপেও টিকা প্রয়োগে বাংলাদেশের এই সাফল্যের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কমকর্তা এ এস আলমগীর বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে পৃথিবীর অনেক দেশেই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব অল্প দেশই মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের টিকা দেয়ার কাজ সম্পন্ন করেছে। আবার আমাদের আগে ভারতের টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও জনসংখ্যা বেশি বিধায় ভারতেও ওই টার্গেটে যেতে পারেনি তারা।’

ভারত থেকে টিকা এনে ভারতকেই পেছনে ফেলল বাংলাদেশ
টিকা নিতে আগ্রহীরা নিবন্ধন করছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মিলনায়তনেকরোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা’ শীর্ষক সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।

এর আয়োজন করে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম, বিএইচআরএফ।

এ এস আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বে ১৫টির বেশি দেশ মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের বেশি টিকার আওতায় আনতে পেরেছে।’

তবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে যুক্তরাজ্য। দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ এরই মধ্যে টিকা পেয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ প্রত্যাশার বেশি টিকা পাবে

বাংলাদেশ এরই মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কিনেছে। প্রতি মাসে আসবে ৫০ লাখ করে। এর বাইরে ভারত সরকার উপহার দিয়েছে ২০ লাখ।

এর বাইরে বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে উঠা জোট কোভ্যাক্স থেকে আরও ছয় কোটি ৭০ লাখ টিকা পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই জোট নিম্ন আয়ের প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা দেবে।

ভারত থেকে টিকা এনে ভারতকেই পেছনে ফেলল বাংলাদেশ
টিকা নিতে নিবন্ধন করে তালিকায় নিজের নাম দেখছে মানুষ। ছবিটি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তোলা

ড. আলমগীর জানান, এই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি টিকা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে মোট জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশকে টিকা সরবরাহ করার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। তবে এটি বেড়ে ২৭ শতাংশ হতে পারে।’

গত এক মাস ধরে পরীক্ষার বিপরীতে টিকার সংক্রমণ ৫ শতাংশের কম থাকা নিয়েও আলোচনা হয় সেমিনার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী টানা দুই সপ্তাহ পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে হলেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ধরা হয়।

ড. আলমগীর বলেন, ‘আমরা স্বস্তির একটি পরিবেশে আছি।’

তবে এ নিয়ে উচ্চাশা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া যাবে না বলেও সতর্ক করেন এই বিজ্ঞানী। বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই সংক্রমণের হার কমার পরে পুনরায় তা বেড়েছে।

ভারত থেকে টিকা এনে ভারতকেই পেছনে ফেলল বাংলাদেশ
করোনার টিকা প্রয়োগ নিয়ে রাজধানীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেমিনার

‘তাই আমাদের ঢিলেমি দিলে চলবে না। টিকা নেয়ারা পাশাপাশি মাস্ক পড়া, ঘনঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো আমাদের মানতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে টিকা মৃত্যু কমাবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা একটি অন্যতম পন্থা, একমাত্র পন্থা নয়।’

আত্মতুষ্টি নয়, বললেন প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসকও

সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ কমে এসেছে তা স্বস্তির খবর। কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নাই।’

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর মিছিল উঠা নামা করছে। এখন অনেকেই আমাদের দেশে আসবে। ভাইরাসটি যাতে আমদানি হয়ে না আসে সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘টিকা দেয়ার পাশাপাশি মাস্কও পরতে হবে। দুটি মাস্ক পড়লে তা আরো বেশি কার্যকর বলে বলা হচ্ছে।’

করোনা প্রতিরোধে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইকবাল আর্সালান বলেন, ‘সংক্রমণ কমলেও ঝুঁকিমুক্ত হইনি। ভবিষ্যতে ঝুঁকির আশঙ্কা আছে।’

রাজনৈতিকসহ নানা জনসমাবেশের বিষয়টি টেনে সতর্ক করেন তিনি। বলেন, ‘ভবিষ্যতে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকতে এই জনসমাবেশ বন্ধের বিষয়ে সরকারের মনোযোগ দিতে হবে।’

একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর আগেই আমাদের সিকোয়েন্সিংয়ের মেশিন ছিল। কিন্তু এই কাজে আমরা সফলতা দেখাতে পারিনি। কিন্তু করোনাকালে সবাই মিলে যখন কাজটি শুরু করি তখন বড় একটি কাজ হলো। এই বিষয়ে আমাদের আরও বেশি মনযোগ দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
টিকা পাবে বিদেশিরাও, পাসপোর্ট দেখিয়ে নিবন্ধন
১০ দিনে টিকা নিলেন সাড়ে ১৮ লাখ মানুষ
টিকা ব্যবস্থাপনা সহজ করবে সুরক্ষা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টিকা নিতে আমেরিকা থেকে আসছে মানুষ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টিকা নিলেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ৫১০

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
3 more people

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

জাতীয়
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

জাতীয়
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

জাতীয়
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে