× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
নগদ এর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার
google_news print-icon

‘নগদ’ এর বিরুদ্ধে ‘সংঘবদ্ধ অপপ্রচার’

নগদ-এর-বিরুদ্ধে-সংঘবদ্ধ-অপপ্রচার
২০১৯ সালের ২৬শে মার্চ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন 'নগদ' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
নগদকে যুবক ও ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠান দাবি করে লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘আপনারও এমন কোনো কোম্পানির সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কি, যেখানে মুহূর্তেই আপনার সম্পূর্ণ বিনিয়োগ হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের বিরুদ্ধে সারা দেশের এজেন্টদের মধ্যে অন্তত তিন লাখ লিফলেট বিতরণের তথ্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা এও জানতে পেরেছে, এই লিফলেট বিতরণে নিয়োগ করা হয়েছে ১০ হাজার কর্মী।

২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু ও ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা এই প্রতিষ্ঠানটিকে অবৈধ দাবি করা হয়েছে লিফলেটে।

নগদকে যুবক ও ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠান দাবি করে লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘আপনারও এমন কোনো কোম্পানির সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কি, যেখানে মুহূর্তেই আপনার সম্পূর্ণ বিনিয়োগ হাওয়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

যারা এই লিফলেটগুলো ছড়িয়েছে তারা বিভিন্ন এজেন্ট পয়েন্টে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

লিফলেটটির কথা জানতে পেরে অন্তত ১০ হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেছে নগদ।

মামলায় বলা হয়, ‘একটু ভেবে দেখবেন কি’ শিরোনামে লিফলেটটিতে ‘নগদ’ এর বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য যুক্ত করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রতিহিংসার কারণে একটি চক্র ভুয়া খবর রটিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

এতে বলা হয়, অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোয় নগদ আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মামলাটি করেছেন নগদের লিগ্যাল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তার জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারক মইনুল ইসলাম মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

নগদ এর হেড অফ লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স রাশেদ বিন এহসান নিউজবাংলাকে মামলা সংক্রান্ত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

‘নগদ’ এর বিরুদ্ধে ‘সংঘবদ্ধ অপপ্রচার’
নগদের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ চক্র লিফলেট প্রকাশ করেছে

তিনি বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল সারাদেশে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছে। এতে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমাদের গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এতে করে আমরা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

‘দেশব্যাপী লিফলেট প্রচারণার বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আইনিভাবে প্রতিকার পাওয়ার ব্যাপারে কী করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করি। আমরা যেসব তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি, সেগুলোসহ আজকে আদালতে মামলা করেছি।’

এই ঘটনায় কাদের সন্দেহ করছেন- এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা কিছু না বলে পিবিআইর তদন্তে আস্থা রাখার কথা বলেন।

প্রায় দুই বছর আগে যাত্রা শুরু করা নগদ এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে টাকা স্থানান্তর সুবিধার কারণে তাদের গ্রাহক ক্রমেই বাড়ছে।

নগদ এর হিসাবে সারাদেশে তাদের গ্রাহক সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখ। আর এজেন্ট সংখ্যা দুই লাখের বেশি। প্রতি মাসে নগদ এর মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

নগদ পরিচালনা করছে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। তবে কোম্পানিতে ডাক বিভাগের ৫১ শতাংশ শেয়ার আছে।

সরকার ব্যাপকভাবে নগদ এর সেবা গ্রহণ করছে।

আরও পড়ুন:
লক্ষ্যমাত্রার আগেই ‘নগদ’ লেনদেন ২০০ কোটির ঘরে
গ্রামীণফোন সিমে পিন সেট করলেই ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট
ফেলে আসা নগদ সহায়তার আবেদনের সময় ৪৫ দিন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
NCP is thinking of alliance with outside of Indian domination Sargis Alam 

ভারতীয় আধিপত্যের বাইরের দলের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধের চিন্তা করছে:  সারজিস আলম 

ভারতীয় আধিপত্যের বাইরের দলের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধের চিন্তা করছে:  সারজিস আলম 

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যারা ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকবে, তাদের সাথে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের চিন্তা করছে। আজ রাতে শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের নিয়ে সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এনসিপি’র শাপলা প্রতীকে আইনগত কোন বাঁধা নেই, তাই শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি যেকোন এলায়েন্সে যেতে পারে, তবে সেটা এনসিপি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করবে।

সারজিস আলম বলেন, এনসিপি উচ্চ কক্ষে পিআর চায়, নিম্নকক্ষে পিআর চায় না। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের বাস্তবতায় এবং উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে দেখতে পারি কতটুকু কাজ হলো। একইসাথে এটা দিয়ে বাংলাদেশ উপকৃত হয় কি না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপি’র ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, শেরপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়াসহ অনেকেই।

মন্তব্য

জাতীয়
Ramgati Kamlnagar is worried about 1 lakh 3 thousand cattle

রামগতি-কমলনগরে ১ লাখ ৩০ হাজার গবাদি পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারিরা

রামগতি-কমলনগরে ১ লাখ ৩০ হাজার গবাদি পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারিরা

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৬৩৩ টি খামারের ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদি পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে খামারিরা। এসব গবাদি পশুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি নামে একটি রোগ। যাকে পক্সভাইরাস বলা হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া অ্যানথ্রাক্স নিয়েও আতঙ্কে রয়েছে এ অঞ্চলের গরুর খামারিরা। গবাদি পশুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে নেই কোন উদ্যোগ। এই রোগের জন্য সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে সম্পুর্ন উদাসীন। তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে এসব রোগ সম্পর্কে অবহিত না করে ঘুমিয়ে আছেন। গরুর খামারিদের জনসচেতনতা নিয়ে কোন সহায়তা করছেনা বলে অভিযোগ খামারিদের।

পশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগটি গবাদি পশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর মধ্যে যদি অ্যানথ্রাক্স রোগটিও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এ অঞ্চলে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদি পশু ও সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

পক্সভাইরাস ও অ্যানথ্রাক্স মুলত গবাদি পশুর থেকে ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঠুকে পড়ে। এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যে অধিকাংশ খামারের গরু ছাগল ও ভেড়ার মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ছড়িয়ে পড়লেও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাউকে পাশে পাচ্ছেনা বলে জানান কয়েকজন খামার মালিক।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রামগতিতে ১০২ টি গরুর খামারে ৬৭ হাজার ২৫১টি গরু, ১৩৯ টি ছাগলের খামারে ১৩ হাজার ৩৩৮ টি ছাগল, ৫৯ টি বেঁড়ার খামারে ১০ হাজার ২২৮ টি ভেড়া ও ৮ হাজার মহিষ সহ মোট ৯৯ হাজার ১০৭ টি গবাদি পশু রয়েছে।

কমলনগরে ২৫০ টি গরুর খামারে ২০ হাজার ২৩০টি গরু,৫০টি মহিষের খামারে ৬ হাজার ৫২৫ টি মহিষ, ২৫ টি ছাগলের খামারে ৪ হাজার ৫৯৮ ছাগল ও ৮ টি ভেড়ার খামারে ৪৫৫টি ভেড়া সহ মোট ৩১ হাজার ৮০৮ টি গবাদি পশু আছে। দুই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদি পশু রয়েছে।

রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের ডেইরী ফার্মের মালিক মোঃ মিলন বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস আছে শুধু নামেই,কাজের বেলা তাদেরকে পাওয়া যায়না। খামারিদেরকে কোন প্রকার সহায়তা বা সময়মত ঔষধও দিচ্ছেনা।

আনোয়ার ডেইরী ফার্মের মালিক মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাণী সম্পদ অফিসের কাউকে ফোন করলেও ফোন ধরেনা। আমাদের খামারের কোন খোঁজ খবর নেয়না। গরু ছাগল ও ভেড়াগুলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।

রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীগ্রামের খামার মালিক গোলাম রব্বানী বলেন,তার খামারের সবগুলো গরুর মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ রয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে ফোন দিলে তারা ফোন ধরেনা। কোন খবরও নিচ্ছেনা।

কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও রামগতি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুবেল সরকার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গবাদি পশু বা মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগ ধরা পড়লেও আমাদের এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এই ধরনের রোগের খবর আমরা পাইনি। তবে কয়েকটি গরু ছাগলের খামারে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ধরা পড়েছে। আমরা কিছু কিছু খামারের গরুকে টিকা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো খামারে টিকা দেওয়া হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Online bail Law Advisor to Harassment

হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা

হয়রানি নিরসনে চালু হচ্ছে অনলাইন জামিননামা: আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। টাকা খরচসহ সব ধাপেই হয়রানির শিকার হতে হয়। হয়রানি নিরসনে অনলাইন জামিননামা চালু করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বুধবার (১৫ অক্টোবর) অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করা হবে। এতে জামিন পাওয়াদের মুক্তির পথ সহজ হবে। এক ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে, যেখানে আসামি আছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The students were removed from the road with the principals request

অধ্যক্ষের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার, সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

অধ্যক্ষের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার, সড়ক থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ সংশোধনের দাবিতে এবং সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজের শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর অধ্যক্ষের অনুরোধে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তারা সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এতে সড়কে বন্ধ হয়ে যাওয়া যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, অবরোধ চলাকালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার সায়েন্সল্যাব মোড়ে আসেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের আহ্বান মেনে সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নতুন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’-এর বর্তমান ধারায় ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষের ঐতিহ্য নষ্ট হবে বলে দাবি করেন তারা।

উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট বিভাগ শুধু একটা শিক্ষা ধাপ নয়, এটা আমাদের ইতিহাসের অংশ। এই বিভাগ তুলে দিলে কলেজের ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

সামিউল ইসলাম নামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই না আমাদের পরের প্রজন্ম এই কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সুযোগ হারাক। শত বছরের পুরোনো এই ধারা বজায় রাখা উচিত। ঢাকা কলেজ সবসময়ই মাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা ভালো, কিন্তু ঐতিহ্য মুছে দিয়ে নয়। আমাদের দাবি ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেই এগোতে হবে।

অন্যদিকে, অবরোধের কারণে ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ফলে আজিমপুর, নীলক্ষেত, শাহবাগ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এর আগে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা কলেজে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা শুরুর প্রস্তুতির সময় ঢাকা কলেজে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে ‘দালাল’ মন্তব্যের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকরা ধরে কমনরুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে সহপাঠীকে ছাড়িয়ে আনেন।

এসময় উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও স্নাতকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়ান।

মন্তব্য

জাতীয়
Hanif ordered a notice to appear in the newspaper to appear in court

হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ

হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ ৪ জনকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক এই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দুপুর দেড়টা থেকে চারটার মধ্যে কুষ্টিয়ার বক চত্বর থেকে অনুমান ৫০ গজ উত্তরে শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, বার্মিজ গলিতে সুরুজ আলী বাবু, হরিপুর গামী রাস্তা আড়ং এর সামনে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুত্তাকিন, মো. উসামা, তুলা পট্টির গলিতে ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও ফায়ার সার্ভিসের বিপরীত দিকে রাস্তার ওপর চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ শহীদ হন।

মন্তব্য

জাতীয়
The wind of Dhaka is unhealthy today

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

রাজধানী ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণে ঢাকা আজ বিশ্বের পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আইকিউএয়ার অনুযায়ী সকাল ৯টায় ঢাকার বায়ুর দূষণ মান ১৫৮। একই সময় বিশ্বে শীর্ষ দূষণের তালিকায় প্রথম থাকা পাকিস্তানের লাহোরের বায়ুর দূষণ মান ২২১। তৃতীয় অবস্থানের থাকা কলকাতার বায়ুর দূষণ মান ১৬৪ ও চতুর্থ অবস্থানে থাকা বায়ুর দূষণ মান ১৬২।

বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Israeli prisoners described the fascinating Palestinians

ইসরাইলি কারাগারের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মুক্ত ফিলিস্তিনিরা

ইসরাইলি কারাগারের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মুক্ত ফিলিস্তিনিরা

ইসরাইলি আটক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের কারাগারে কেমন ছিলেন সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ফিলিস্তিনিরা। তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

প্রতিবেদননে বলা হয়—আব্দাল্লাহ আবু রাফে নামের এক ফিলিস্তিনি তার ইসরাইল থেকে মুক্তির অনুভূতিকে ‘অসাধারণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ছিলাম এক কসাইখানায়, কারাগারে নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ‘ওফার কারাগার’ নামের এক কসাইখানায় ছিলাম। সেখানে এখনো অনেক তরুণ পুরুষ আটক রয়েছে। ইসরাইলি কারাগারের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সেখানে কোনো বিছানা নেই—তারা সবসময় বিছানা নিয়ে যায়। খাবারের অবস্থাও খুবই খারাপ। সেখানে জীবনযাপন সত্যিই কঠিন।’

আরেক মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি, ইয়াসিন আবু আমরা, ইসরাইলি কারাগারের পরিস্থিতিকে ‘খুব, খুবই খারাপ’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘খাবার, নির্যাতন, মারধর—সবকিছুই খারাপ ছিল। কোনো খাবার বা পানীয় দেওয়া হতো না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে (খান ইউনিস) তারা আমাকে দুটি মিষ্টি দিয়েছে, আমি সেগুলোই খেয়েছি।’

আরেকজন মুক্তিপ্রাপ্ত, সাঈদ শুবাইর, যিনি সোমবার মুক্তি পান, বলেন তিনি তার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি বর্ণনাতীত। লোহার শিক ছাড়াই সূর্য দেখা—এই অনুভূতি বর্ণনা করার মতো নয়। আমার হাত এখন হ্যান্ডকাফমুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইল প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে, যারা আজীবন বা দীর্ঘ মেয়াদের সাজা ভোগ করছিলেন। এছাড়া, গাজা থেকে যুদ্ধ চলাকালে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এই দ্বিতীয় দলটি ‘জোরপূর্বক নিখোঁজ’ হিসেবে বিবেচিত ছিল।

মন্তব্য

p
উপরে