× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বিএনপি নিয়ে সিমপ্যাথি আছে রেজা কিবরিয়া
google_news print-icon

বিএনপি নিয়ে সিমপ্যাথি আছে: রেজা কিবরিয়া

বিএনপি-নিয়ে-সিমপ্যাথি-আছে-রেজা-কিবরিয়া
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি শাসনামলে গ্রেনেড হামলায় বাবাকে হত্যার পর ওই সরকারের শাসনামলে যা যা হয়েছে, সেগুলো নয়, রেজা কিবরিয়ার ক্ষোভ আওয়ামী লীগের প্রতি। কেন এত দিনেও বিচার হবে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া গণফোরাম ছেড়ে দিলেও রাজনীতিতে থাকতে চান। তবে তিনি কী করতে যাচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট নয়।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিএনপির প্রতি তার সহানুভূতি আছে। তবে এই দলটির অবস্থানও সুনির্দিষ্ট নয় বলে মনে করেন। আর এ কারণে এই দলে যোগ দেবেন না।

বিএনপি শাসনামলে গ্রেনেড হামলায় বাবাকে হত্যার পর ওই সরকারের শাসনামলে যা যা হয়েছে, সেগুলো নয়, রেজার ক্ষোভ আওয়ামী লীগের প্রতি। কেন এত দিনেও বিচার হবে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন। এই মামলার আসামিদের একটি বড় অংশ বিএনপি নেতা, সেটা নিয়ে ভাবছেন না। রেজার ধারণা, তদন্ত ঠিকমতো হয়নি। এই হামলার পেছনে কারা, সেটি বের হয়নি।

গণফোরাম ছাড়লেন রাজনীতি থেকে সরে গেলেন কি?

রাজনীতি থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। গণফোরামের পলিটিক্সে একটা জটিলতা হয়েছিল, সেখানে আমি চাচ্ছিলাম না যে ব্যক্তিগত কোনো কারণে ব্যক্তিভিত্তিক মনোমালিন্যের জন্য দলের ক্ষতি হোক। কয়েকটা নীতিগত সমস্যা ছিল।

কী সেই সমস্যা?

এটা শুরু হয় ২০১৮ ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে থেকেই। ওই সময় যে নির্বাচনটা হয়েছিল, সেটাকে আসলে নির্বাচন বলা কঠিন। কিন্তু তারপরে কর্মসূচি নিয়ে আমি খুব হতাশ ছিলাম। কিন্তু তখন আমি কথা বলার মতো পজিশনে ছিলাম না। পরে আমি প্রেসিডিয়াম মেম্বার হলাম।

তখন একটা বড় সমস্যা হয়ে গেল। আমাদের এমপি সাহেবের (মোকাব্বির খান) সংসদে যাওয়া নিয়ে। আমরা সেটাকে বিবেচনা করে একটা ইতিবাচক অবস্থানে চলে এসেছিলাম অনেক আলোচনা তর্কবিতর্ক করে। আর তখন বেশির ভাগ লোকে বলেছে সংসদে যাওয়া উচিত। সেখানে আমার যুক্তি ছিল, এখন তো বিরোধিতা করার জন্য একটা রাস্তা লাগবে। সেটা এক ফুট জায়গা হোক না কেন।

নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করার একটা গ্রুপও ছিল। তবে বর্জন করে তো বসে থেকে লাভ নেই। যদি আন্দোলন করত তবে আমি অবশ্যই বলতাম যে বর্জন করা হোক। কিন্তু আমি কিছুই দেখি না। তিন মাস পরেও আন্দালনের কোনো লক্ষণ নেই। তখন মন্দের ভালো যে ওনাকে সংসদে পাঠানো হোক।

এটা নিয়ে কয়েকজন খুব বেশি অসন্তুষ্ট ছিল। তারা তখন একটা সেন্ট্রাল কমিটির মিটিং হলো। বলা হলো কেন ওনাকে (মোকাব্বির খান) বহিষ্কার করা হবে না।

তখন ওনাকে শোকজ দেয়া হয় আর উনি সেটার উত্তরও দেন, উত্তরে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। কিন্তু এটা কয়েকজন সিনিয়র নেতা মেনে নিতে পারেননি, তাই তারা কাউন্সিলে আসেননি।

আমাকে সাধারণ সম্পাদক করা হলো। মনোমালিন্যের শুরু হয়েছে ওখান থেকে। কারণ, আমি সংসদে যাওয়ার পক্ষে ছিলাম। এখন দলের মধ্যে একজন সিনিয়র নেতা আরেকজনকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেন, এটা আমি নিতে পারিনি। আর সেটা বাইরের মানুষের কাছে গিয়ে বলবে ‘সে রাইটিং প্যাড চুরি করেছে’ এমন আরও খারাপ কথা।

গণফোরাম থকে বেরিয়ে আসা কি আপনার নিজের সিদ্ধান্ত?

জ্বি, এটা আমার নিজের সিদ্ধান্ত। আমি এ ব্যাপারে স্যারের সঙ্গে (ড. কামাল হোসেন) আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার থেকে দলের কারও দায়ভার বহন করতে হবে না। আমার পরিবারের কথা তো ভাবতে হয়। আমি যখন ২০১৮ সালে দেশে চলে আসি, তখন তো তাদের সেক্রিফাইস করতে হয়েছে। আমি তো বেতনে চলি। দেশে এসে কাজ করার ইচ্ছা আমার সব সময় আছে। এটা বাবা-মা চাইতেন। সেই ইচ্ছা পূরণ করার সঙ্গে আমার নিজের ইচ্ছাও ছিল।

আপনার বাবা তো আওয়ামী লীগ করতেন কিন্তু আপনি দলটি নিয়ে এখন হতাশ

আমি ওই আওয়ামী লীগ নিয়ে একটুও হতাশ না। আমার বাবা যে আওয়ামী লীগ করতেন সেই আওয়ামী লীগ তো এখন আর নেই। ওই আওয়ামী লীগ এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে।

ওই আওয়ামী লীগ এবং এখনকার আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

আমি আব্বার কথা দিয়েই বলি। প্রথমে দুই বছর বিএনপির সময় নিল আব্বার হত্যার তদন্ত ও বিচার ঠিকমতো হয়নি। চার্জশিট দেয়নি ঠিকমতো। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও দুই বছর সময় নিল। আর আওয়ামী লীগ ১২ বছর।

একটা সুষ্ঠু তদন্ত করার মতো তাদের ইচ্ছা ছিল না, বা ক্ষমতা ছিল না? যেটাই হোক তাদের ব্যর্থতা। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার নীতিগত ব্যাপারে মিল নেই। আদর্শের মিল নেই। আদর্শহীন একটা দল। তারা যে গণতন্ত্রের কথা মুখে বলে আর যে কাজটা করে সেটা ঠিক না। বিরোধী দলের কোনো কথা তারা সহ্য করে না। হত্যা, মানুষকে তুলে নেয়া, মিথ্যা মামলা। এ ছাড়া ইকোনমিক পলিসিতে আমি তাদের সঙ্গে একমত না। একটা গ্রুপের জন্য তারা কাজ করে। যেটা পাকিস্তানে হয়।

এই সরকারের আমলেই তো বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে, ভারতকেও বহু সূচকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে সেটা কি বিবেচনায় আনবেন না?

হিসাবের কিছু ব্যাপার আছে। বাংলাদেশে খুব বেশি লোক জিডিপির হিসাব জানে না। আমি এটা করেছি। আমি ৩৫ বছর ধরে এগুলো করছি। জিডিপির বিষয় নিয়ে খুব বেশি লাফালাফি করা উচিত না। আর একটা হিসাবে সেটা হলো পিপিপির হিসাবে আমরা ভারত থেকে ১০০০ ডলার পিছিয়ে। আর একটা হলো একচুয়্যাল এক্সচেঞ্জ রেট হিসেবে। আমি এই টেকনিক্যাল আলোচনাতে যাব না।

হ্যাঁ, আমি মনে করি এটা খুব সুখবর। কিন্তু আমাদের দেশে যে সাত কোটি মানুষের পরিবারে তারা ঠিকমতো খেতে পারে না, এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে বলা হতো, ২২টা ফ্যামিলি পুরো সম্পদের ৬০ ভাগ দখল করে রেখেছিল। এখন তো আরও কম পরিবার সেটার মালিক দেশে।

আমি মনে করি, এটা পুরোনো আওয়ামী লীগের আদর্শের বিপক্ষে। আমার বাবা যেটা করেছিলেন, সে সময় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, তার সঙ্গে বেকারত্ব দূর করা ও ভূমিহীনদের জন্য কাজ করা, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা করা, লোন ইনফ্লেশন দিয়ে কাজ করা। আব্বুর সময় দেড় শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ছিল। যেটা খুব কম। কিন্তু এখন এই প্রবৃদ্ধির কথা শুনে যে না খেয়ে আছে তাকে বিদ্রূপ করা।

আর একটা হলো, ভোটের অধিকার। সেটা এখন হাসাহাসি বিদ্রূপের অবস্থায় চলে গেছে। যার জন্য দেশে বিদেশে লজ্জা লাগে।

দল থেকে পদত্যাগের বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করে যাব এটি অস্পষ্ট আসলে আপনি কী করতে যাচ্ছেন?

এদেশে আমি কখনও কাজ করতে পারব কি না, সেটা জানি না। আমি জাস্ট এসেছি যদি একটু সুযোগ পাই তবে করব। ওই পর্যন্ত হয়নি বাট আল্লাহর যদি ইচ্ছা হয় তো করব। এই ইচ্ছা নিয়ে আসা। গণতন্ত্রের জন্য কাজ করব।

. কামালকে যত দিন দেখলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যত দিন মিশলেন, তাতে গণফোরামের দল হিসেবে বিকশিত হতে না পারার কারণ কী মনে হয়েছে?

সত্যি কথা বলতে যে গণফোরামে আসার আগে বুঝিনি। আমি ওনার দিকে তাকিয়ে এসেছি। ওনার মেধা, বুদ্ধি, বিবেক এগুলা। আমি ওনাকে অনেক বছর ধরে চিনি। সবকিছু মিলে আমি ওনাকে দেখে এসেছি। কিন্তু দলের মধ্যে আমার মনে হয় না ওনাকে যাচাই করার মতো, মূল্যায়ন করার মতো ক্ষমতা খুব বেশি লোকের নাই। তাই উনি কীভাবে কাজ করতে পারবেন দলের জন্যে সেটা জানা নেই।

ড. কামালকে কি কখনও গণমানুষের মনে হয়েছে?

উনি চেষ্টা করেন রিচ করতে। কিন্তু সবার পক্ষে গ্রামে গিয়ে ভোট চাওয়া, ভোটের জন্য কাজ করা এটা সম্ভব না। সবাই তো ওই পলিটিক্সের জন্যে না। কিছু মানুষকে পলিসি করতে হবে, কিছু মানুষকে নীতিনির্ধারক হতে হবে। ওই বয়সে গিয়ে ক্যাম্পেইনিং করা আসলে ওনার পক্ষে সম্ভব না।

আর দলের মধ্যে কেন অগ্রসর হতে পারেনি এটা ওনাকে কেউ যাচাই করতে পারেনি। ওনাদের কথাবার্তা আমি যা শুনেছি, তাতে মনে হয়েছে ড. কামাল হোসেনকে তারা মফস্বলের অ্যাডভোকেট থেকে একটু ভালো মনে করে।

তবে কিছু লোক আছে, যারা ২৬ বছর ধরে ওনার সঙ্গে থেকেছে। কিন্তু কিছু আছে, যারা দলের পজিশন নিয়ে লোভ করে। আব্বা ২০০৫ সালে মারা যাওয়ার পর তো আওয়ামী লীগ চেয়েছিল আমাকে নমিনেশন দিতে। তখন তো আমি সিমপ্যাথিতে জিতে যেতে পারতাম।

তাহলে আপনার আব্বার হত্যার বিচারের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে আপনার মধ্যে একটা বড় ধরনের ক্ষোভ আছে...

হ্যাঁ, অভিয়াসলি এটা আমার মাইন্ডে আছে। তার চেয়ে বড় কথা, দেশের জন্য কাজ করা। শুধু রাজনীতি করব বাবার হত্যার বিচার করার জন্য, তা নয়। আমাকে অনেকেই বলেছে যে আপনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বা এমপি হন তখন আপনি বিচার করতে পারবেন। কিন্তু দেশের কত মানুষ এমন হত্যার শিকার হয়েছে আর সেটার বিচারের জন্য কি এমপি-মন্ত্রী হতে হবে? এ কারণে আমি রাজনীতি করি, তা নয়।

আপনার বাবার হত্যা মামলাতেও তো বিএনপির তিন জন নেতা আসামি যাদের একজন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন একজন সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র একজন হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র

কিন্তু কারও দলীয় পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামাই না। কারা আসল হত্যাকারী ছিল তাদের চিহ্নিত করেন সেটা যে দলেরই হোক না কেন। আই ডোন্ট কেয়ার। আর বিএনপির যে কয়েকজনের নাম তারা দিয়েছে কিন্তু আমি তো সব সময় বলছি আপনাদেরকে যে এই তদন্তে আমার মা আসমা কিবিরিয়া ১০ বছরে ৮৩ বার রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন।

আপনার মা শান্তির জন্য নীলিমা কর্মসূচি দিয়েছিলেন তখন

হ্যাঁ, এটার নাম দিয়েছিলেন শামসুর রাহমান। আর রক্তের অক্ষরে শপথের সঙ্গে স্বাক্ষর এটা শামসুল হক সাহেব দিয়েছিলেন। আম্মা করেছেন। কিন্তু আমাদের দুটি দাবি আমি সব সময় বলেছি।

একটা হলো, গ্রেনেডের উৎস কী? আর দুই নম্বরটা হলো, মদতদাতা কে? যে গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছে, যে ট্রাক চালিয়েছে, যে লাইট অফ করেছে এটা তারা টাকা পেয়েছে একজন থেকে আর তারা কাজটা করেছে। আসল মদতদাতাদের দিকে যেতে তদন্তকারীরা চায় না। আমি বিশ্বাস করি, একটা মিথ্যা তদন্তের ওপর সুষ্ঠু বিচার হতে পারে আমার মনে হয় না। তাই কোনো চার্জশিট আমরা মানি না।

তিনটা চার্জশিট দেয়া হয়েছে। একটার সঙ্গে আরেকটার কোনো মিল নাই। ওই সময় একজন এমপি আছেন যিনি আমার মাকে পর্যন্ত ধমক দিয়েছে এ ব্যাপারে। এটা আপনাকে মানতে হবে। মানবেন না মানে? সরকার এটা চায়।

এমপি কে ছিলেন?

তার নাম মজিদ খান। বানিয়াচংয়ের সংসদ সদস্য। তিনি বাদী ছিলেন। তার অনেক ব্যাপার আছে। মানুষ বুঝতে পারছে যে ওরা একটা রাজনৈতিক শত্রুর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

পেশাগত জীবনে বহুকাল দেশের বাইরে ছিলেন দেশের রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা এক বছরের মতো পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে আমাদের রাজনীতির মৌলিক পার্থক্য কোথায়?

সবখানেই সমস্যা আছে। গণতন্ত্র পারফেক্ট না। সবগুলোর চেয়ে ভালো কিন্তু তা-ও সমস্যা থাকে। ইউরোপীয় ডেমোক্র্যাসির জবাবদিহি আছে। স্ট্রং মিডিয়া, স্ট্রং প্রেস। জার্নালিস্ট যদি সাহস করে কিছু বলে তাদের কেউ ফোন করে বলে না যে, পা ভেঙে দেব, আক্রমণ করব, মিথ্যা মামলা দেব।

এটা বাংলাদেশে নেই। আর আপনার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও তো আপনি ভয়ে কোনো কিছু লিখবেন না। আমার ইন্টারভিউয়ের কথাই আপনি পুরোপুরি দিতে পারবেন না। আর এতে কী হয়েছে, বাইরের জার্নালিস্টরা যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই তারা আমাদের দেশের জার্নালিজমের যে ঘাটতি তা তারা মেকআপ করছে। আমরা এখানে থেকে জাস্টিফাই করে যাচ্ছি।

আপনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছেন আপনি কি কোনো কথা বলতে গিয়ে কখনও বাধার মুখে পড়েছেন? বা এমন কিছু জানেন, যেটা নিজের মধ্যে না বলে ভয়ে চেপে রেখেছেন?

দলের মধ্যে তো একটা প্রেশার আছে। যখন আমি দলের মধ্যে কথা বলেছি, তখন তো একটা ব্যালান্স নিয়ে কথা বলেছি। সবাই তো একমতের না।

এটা তো দলের বিষয় বাইরে?

হ্যাঁ, আমি তো আপনাকে বলছি কিন্তু আপনি তো লিখতে পারবেন না। এই যে আমি আপনাকে বলছি, এই অত্যাচারী, অদক্ষ, অসৎ এবং স্বৈরাচারী সরকারের মোটামুটি একটা কন্ট্রোল আছে দেশের সব সেক্টরে। সবার ওপর। তারা যে মানুষকে ক্ষতি করতে পারে সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা বারবার প্রমাণ করে।

তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ বিএনপির ওপরে। আমার এলাকায় যে মানুষকে অত্যাচার করেছে, সেটা আমি দেখেছি। একজন মানুষকে পায়নি। তার ১৫ বছরের ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে। একটা স্বাধীন মুক্ত দেশে এটা হতে পারে না।

এটা মিডিয়ার অনেক লোক বলেছে, এটা নিয়ে বেশি বলাবলি করা যাবে না। আমি একটা লোকের বাসায় গিয়েছি, আমার এলাকায়। তাকে রাত তিনটার সময় পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে। তার অপরাধ সে আমার কিছু পোস্টার লাগিয়েছে। কত সিরিয়াস অপরাধ! এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্মান পাওয়া যায় না।

আওয়ামী লীগের একটা কিছু কি মনে হয়েছে, যে প্রশংসা করা যাবে?

না, ছোটখাটো দুই-একটা ব্যাপার থাকতে পারে। কিন্তু তারা যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে, গরিব মানুষদের অবস্থা আরও খারাপ করে দিচ্ছে, ব্যাংক লুট করেছে, বাজেটে ১০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট ৫০০ কোটি টাকা করে নিয়েছে। খুব বেশি প্রশংসনীয় কিছু থাকে না। যেগুলো করেছে সেগুলো জঘন্য।

গুঞ্জন আছে, নিজেই দল করতে যাচ্ছেন এমনও কথা শোনা যাচ্ছে, একটি বড় দলের বেশ কিছু নেতা আপনার সঙ্গে আছেন এগুলো কি শুধুই গুঞ্জন নাকি বাস্তবতাও কিছু আছে?

অনেক দলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমি নিজে কোনো দল প্রতিষ্ঠা করব এই ধরনের খবর আমি এখনও পাইনি।

জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বিএনপিকে নিয়ে জোট গঠনে গণফোরামের ভেতরে আপত্তি ছিল সমঝোতাটা তাহলে পরে কীভাবে হলো?

আমি একটু সিঙ্গেল মাইন্ডেড এ ব্যাপারে। এই অত্যাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো দরকার। আর এ ক্ষেত্রে দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দল একমত থাকে, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে রাজি আছি।

আওয়ামী লীগের একটা ভালো কাজ পেলাম যে, হ্যাঁ তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। তবে সেখানেও আমি বলতে চাই, বিচারটা সুষ্ঠুভাবে করুন। সবার কথা শুনুন। প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে সেটাও তো রং (ভুল)।

তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, এই সরকারকে হটানোর জন্য আপনার সঙ্গে যে কেউ যুক্ত হলে আপনি তাদের স্বাগত জানাবেন?

জামায়াতে ইসলামী বলে কোনো দলের এখন নিবন্ধন নেই। আমি তৃতীয় শক্তি, চতুর্থ শক্তি, পঞ্চম শক্তি, সবগুলোকে ওয়েলকাম করি। মানুষ বিবেচনা করবে। এখানে প্রতিযোগিতা লাগবে।

৫০ বছর আগে কী করছেন তা নিয়ে গর্ব করে তো কিছু হবে না। আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা বেকার তাদের তো কিছু দিতে হবে। এখন যে বিরোধী দল (জাতীয় পার্টি) আছে তাদের তো কোনো ভূমিকা নেই। তারা সরকারের ভেতরে থেকে কাজ করলে কিছু করতে পারবে না।

আপনার কি মনে হয় বিএনপি কি এই সরকারের বিপক্ষে শক্ত কোনো অবস্থান নিতে পারবে?

খুব কঠিন। তাদের জন্য আমার সিমপ্যাথি আছে। এতগুলো কেস (মামলা) থাকা সত্ত্বেও তারা এই সরকারের বিপক্ষে নামছে।

তারা বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে?

দেখা যাক কী হয়। আমি ওদের ব্যাপারে কোনো ক্রিটিসাইজ করতে চাই না। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ একটা জনমুখী দল ছিল। তাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল মানুষের মধ্যে। তারা যে এমন ঘৃণিত হয়ে যাবে, তা আমি আশা করিনি। এই ১২ বছরের জন্য দেশে পরিবর্তন আসবে।

বিএনপি নিয়ে কোনো পরিকল্পনা?

সে রকম কোনো পরিকল্পনা আমি করিনি। বিএনপি নিয়ে ক্লিয়ার না আমি। আমি কী করতে চাই, তা আমি আগেই বলেছি। বিএনপিকে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না যে, তাদের কতটুকু অ্যাম্বিশন। তাদের যদি অ্যাম্বিশন হয় সেটা এখনি বলুক। তারা যদি ক্ষমতায় এসে বলে আমরা আওয়ামী লীগ থেকে ১০ ভাগ ভালো হব, এটা যদি অ্যাম্বিশন হয় তাহলে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট না। একটা কমপ্লিট চেঞ্জ দরকার রাজনীতিতে। বিএনপি তেমন যদি কোনো নীতি দেখায় তাইলে পসিবল।

আরও পড়ুন:
কিবরিয়া হত্যা : ১৬ বছর পূর্তির দিনে সাক্ষ্য দিলেন ৪ জন
সাক্ষীর অভাবে থমকে আছে কিবরিয়া হত্যার বিচার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Mob Justice is not justified Rizvi

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার উচ্ছৃঙ্খল বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।

তিনি বলেছেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হতে হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

মব জাস্টিসের সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন?

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
CPC invites Tareq Rahman to visit China

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।

সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।

এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

মন্তব্য

জাতীয়
Former CEC does not support Huda Ganpituni BNP Salahuddin

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।

তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’

রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’

সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মন্তব্য

জাতীয়
Meeting with BNP

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু।

গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
One should not have more than 5 years of prime minister in lifetime Jamaat

জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত

জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত

কোনো এক ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা উচিত না বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এমন কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদ নিয়ে ঝামেলার মধ্যে প্রস্তাব করেছিলাম—একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়্ত্বি পালন করতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদের ব্যাখ্যায় যাওয়ার দরকার নেই। তিনটি দল ছাড়া সবাই এই প্রশ্নে এক জায়গায় এসেছি।’

‘অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটা যত বারই হোক। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা, আমি মনে করি। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে, বলেন জামায়াতের এই নায়েবে আমির।

তিনি বলেন, ‘এমন নজির বহুদেশে আছে। এটা বাংলাদেশেও জরুরি বলে আমরা মনে করি। এ নিয়ে আমরা প্রায় ঐকমত্যে এসেছি। বিকালে আরও দুটো পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।’

বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

এরআগে গেল ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর পরেরদিন অবশ্য অংশ নিয়েছিল তারা।

এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কাছাকাছি আসতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই এনসিসি গঠনের কথা বলা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর ঐকমত্য হয়নি গত সপ্তাহে হওয়া চার দিনের সংলাপে। এ পর্যায়ে ঐকমত্যের সংজ্ঞা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ পেয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও ভাবছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Meeting the US charge the Affairs with Mirza Fakhrul

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

রবিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।

এমন এক সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো যখন ফখরুলসহ বিএনপির আরও আট নেতার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আজই বেইজিং সফরে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
BNP delegation is going to visit China under the leadership of Mirza Fakhrul

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।

সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।

এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।

এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।

ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।

১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।

মন্তব্য

p
উপরে