× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বিএনপি নিয়ে সিমপ্যাথি আছে রেজা কিবরিয়া
google_news print-icon

বিএনপি নিয়ে সিমপ্যাথি আছে: রেজা কিবরিয়া

বিএনপি-নিয়ে-সিমপ্যাথি-আছে-রেজা-কিবরিয়া
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
বিএনপি শাসনামলে গ্রেনেড হামলায় বাবাকে হত্যার পর ওই সরকারের শাসনামলে যা যা হয়েছে, সেগুলো নয়, রেজা কিবরিয়ার ক্ষোভ আওয়ামী লীগের প্রতি। কেন এত দিনেও বিচার হবে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া গণফোরাম ছেড়ে দিলেও রাজনীতিতে থাকতে চান। তবে তিনি কী করতে যাচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট নয়।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিএনপির প্রতি তার সহানুভূতি আছে। তবে এই দলটির অবস্থানও সুনির্দিষ্ট নয় বলে মনে করেন। আর এ কারণে এই দলে যোগ দেবেন না।

বিএনপি শাসনামলে গ্রেনেড হামলায় বাবাকে হত্যার পর ওই সরকারের শাসনামলে যা যা হয়েছে, সেগুলো নয়, রেজার ক্ষোভ আওয়ামী লীগের প্রতি। কেন এত দিনেও বিচার হবে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন। এই মামলার আসামিদের একটি বড় অংশ বিএনপি নেতা, সেটা নিয়ে ভাবছেন না। রেজার ধারণা, তদন্ত ঠিকমতো হয়নি। এই হামলার পেছনে কারা, সেটি বের হয়নি।

গণফোরাম ছাড়লেন রাজনীতি থেকে সরে গেলেন কি?

রাজনীতি থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। গণফোরামের পলিটিক্সে একটা জটিলতা হয়েছিল, সেখানে আমি চাচ্ছিলাম না যে ব্যক্তিগত কোনো কারণে ব্যক্তিভিত্তিক মনোমালিন্যের জন্য দলের ক্ষতি হোক। কয়েকটা নীতিগত সমস্যা ছিল।

কী সেই সমস্যা?

এটা শুরু হয় ২০১৮ ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে থেকেই। ওই সময় যে নির্বাচনটা হয়েছিল, সেটাকে আসলে নির্বাচন বলা কঠিন। কিন্তু তারপরে কর্মসূচি নিয়ে আমি খুব হতাশ ছিলাম। কিন্তু তখন আমি কথা বলার মতো পজিশনে ছিলাম না। পরে আমি প্রেসিডিয়াম মেম্বার হলাম।

তখন একটা বড় সমস্যা হয়ে গেল। আমাদের এমপি সাহেবের (মোকাব্বির খান) সংসদে যাওয়া নিয়ে। আমরা সেটাকে বিবেচনা করে একটা ইতিবাচক অবস্থানে চলে এসেছিলাম অনেক আলোচনা তর্কবিতর্ক করে। আর তখন বেশির ভাগ লোকে বলেছে সংসদে যাওয়া উচিত। সেখানে আমার যুক্তি ছিল, এখন তো বিরোধিতা করার জন্য একটা রাস্তা লাগবে। সেটা এক ফুট জায়গা হোক না কেন।

নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করার একটা গ্রুপও ছিল। তবে বর্জন করে তো বসে থেকে লাভ নেই। যদি আন্দোলন করত তবে আমি অবশ্যই বলতাম যে বর্জন করা হোক। কিন্তু আমি কিছুই দেখি না। তিন মাস পরেও আন্দালনের কোনো লক্ষণ নেই। তখন মন্দের ভালো যে ওনাকে সংসদে পাঠানো হোক।

এটা নিয়ে কয়েকজন খুব বেশি অসন্তুষ্ট ছিল। তারা তখন একটা সেন্ট্রাল কমিটির মিটিং হলো। বলা হলো কেন ওনাকে (মোকাব্বির খান) বহিষ্কার করা হবে না।

তখন ওনাকে শোকজ দেয়া হয় আর উনি সেটার উত্তরও দেন, উত্তরে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। তাই তাকে বহিষ্কার করা হয়নি। কিন্তু এটা কয়েকজন সিনিয়র নেতা মেনে নিতে পারেননি, তাই তারা কাউন্সিলে আসেননি।

আমাকে সাধারণ সম্পাদক করা হলো। মনোমালিন্যের শুরু হয়েছে ওখান থেকে। কারণ, আমি সংসদে যাওয়ার পক্ষে ছিলাম। এখন দলের মধ্যে একজন সিনিয়র নেতা আরেকজনকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেন, এটা আমি নিতে পারিনি। আর সেটা বাইরের মানুষের কাছে গিয়ে বলবে ‘সে রাইটিং প্যাড চুরি করেছে’ এমন আরও খারাপ কথা।

গণফোরাম থকে বেরিয়ে আসা কি আপনার নিজের সিদ্ধান্ত?

জ্বি, এটা আমার নিজের সিদ্ধান্ত। আমি এ ব্যাপারে স্যারের সঙ্গে (ড. কামাল হোসেন) আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার থেকে দলের কারও দায়ভার বহন করতে হবে না। আমার পরিবারের কথা তো ভাবতে হয়। আমি যখন ২০১৮ সালে দেশে চলে আসি, তখন তো তাদের সেক্রিফাইস করতে হয়েছে। আমি তো বেতনে চলি। দেশে এসে কাজ করার ইচ্ছা আমার সব সময় আছে। এটা বাবা-মা চাইতেন। সেই ইচ্ছা পূরণ করার সঙ্গে আমার নিজের ইচ্ছাও ছিল।

আপনার বাবা তো আওয়ামী লীগ করতেন কিন্তু আপনি দলটি নিয়ে এখন হতাশ

আমি ওই আওয়ামী লীগ নিয়ে একটুও হতাশ না। আমার বাবা যে আওয়ামী লীগ করতেন সেই আওয়ামী লীগ তো এখন আর নেই। ওই আওয়ামী লীগ এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে।

ওই আওয়ামী লীগ এবং এখনকার আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

আমি আব্বার কথা দিয়েই বলি। প্রথমে দুই বছর বিএনপির সময় নিল আব্বার হত্যার তদন্ত ও বিচার ঠিকমতো হয়নি। চার্জশিট দেয়নি ঠিকমতো। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও দুই বছর সময় নিল। আর আওয়ামী লীগ ১২ বছর।

একটা সুষ্ঠু তদন্ত করার মতো তাদের ইচ্ছা ছিল না, বা ক্ষমতা ছিল না? যেটাই হোক তাদের ব্যর্থতা। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার নীতিগত ব্যাপারে মিল নেই। আদর্শের মিল নেই। আদর্শহীন একটা দল। তারা যে গণতন্ত্রের কথা মুখে বলে আর যে কাজটা করে সেটা ঠিক না। বিরোধী দলের কোনো কথা তারা সহ্য করে না। হত্যা, মানুষকে তুলে নেয়া, মিথ্যা মামলা। এ ছাড়া ইকোনমিক পলিসিতে আমি তাদের সঙ্গে একমত না। একটা গ্রুপের জন্য তারা কাজ করে। যেটা পাকিস্তানে হয়।

এই সরকারের আমলেই তো বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে, ভারতকেও বহু সূচকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে সেটা কি বিবেচনায় আনবেন না?

হিসাবের কিছু ব্যাপার আছে। বাংলাদেশে খুব বেশি লোক জিডিপির হিসাব জানে না। আমি এটা করেছি। আমি ৩৫ বছর ধরে এগুলো করছি। জিডিপির বিষয় নিয়ে খুব বেশি লাফালাফি করা উচিত না। আর একটা হিসাবে সেটা হলো পিপিপির হিসাবে আমরা ভারত থেকে ১০০০ ডলার পিছিয়ে। আর একটা হলো একচুয়্যাল এক্সচেঞ্জ রেট হিসেবে। আমি এই টেকনিক্যাল আলোচনাতে যাব না।

হ্যাঁ, আমি মনে করি এটা খুব সুখবর। কিন্তু আমাদের দেশে যে সাত কোটি মানুষের পরিবারে তারা ঠিকমতো খেতে পারে না, এটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে বলা হতো, ২২টা ফ্যামিলি পুরো সম্পদের ৬০ ভাগ দখল করে রেখেছিল। এখন তো আরও কম পরিবার সেটার মালিক দেশে।

আমি মনে করি, এটা পুরোনো আওয়ামী লীগের আদর্শের বিপক্ষে। আমার বাবা যেটা করেছিলেন, সে সময় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, তার সঙ্গে বেকারত্ব দূর করা ও ভূমিহীনদের জন্য কাজ করা, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা করা, লোন ইনফ্লেশন দিয়ে কাজ করা। আব্বুর সময় দেড় শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ছিল। যেটা খুব কম। কিন্তু এখন এই প্রবৃদ্ধির কথা শুনে যে না খেয়ে আছে তাকে বিদ্রূপ করা।

আর একটা হলো, ভোটের অধিকার। সেটা এখন হাসাহাসি বিদ্রূপের অবস্থায় চলে গেছে। যার জন্য দেশে বিদেশে লজ্জা লাগে।

দল থেকে পদত্যাগের বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করে যাব এটি অস্পষ্ট আসলে আপনি কী করতে যাচ্ছেন?

এদেশে আমি কখনও কাজ করতে পারব কি না, সেটা জানি না। আমি জাস্ট এসেছি যদি একটু সুযোগ পাই তবে করব। ওই পর্যন্ত হয়নি বাট আল্লাহর যদি ইচ্ছা হয় তো করব। এই ইচ্ছা নিয়ে আসা। গণতন্ত্রের জন্য কাজ করব।

. কামালকে যত দিন দেখলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যত দিন মিশলেন, তাতে গণফোরামের দল হিসেবে বিকশিত হতে না পারার কারণ কী মনে হয়েছে?

সত্যি কথা বলতে যে গণফোরামে আসার আগে বুঝিনি। আমি ওনার দিকে তাকিয়ে এসেছি। ওনার মেধা, বুদ্ধি, বিবেক এগুলা। আমি ওনাকে অনেক বছর ধরে চিনি। সবকিছু মিলে আমি ওনাকে দেখে এসেছি। কিন্তু দলের মধ্যে আমার মনে হয় না ওনাকে যাচাই করার মতো, মূল্যায়ন করার মতো ক্ষমতা খুব বেশি লোকের নাই। তাই উনি কীভাবে কাজ করতে পারবেন দলের জন্যে সেটা জানা নেই।

ড. কামালকে কি কখনও গণমানুষের মনে হয়েছে?

উনি চেষ্টা করেন রিচ করতে। কিন্তু সবার পক্ষে গ্রামে গিয়ে ভোট চাওয়া, ভোটের জন্য কাজ করা এটা সম্ভব না। সবাই তো ওই পলিটিক্সের জন্যে না। কিছু মানুষকে পলিসি করতে হবে, কিছু মানুষকে নীতিনির্ধারক হতে হবে। ওই বয়সে গিয়ে ক্যাম্পেইনিং করা আসলে ওনার পক্ষে সম্ভব না।

আর দলের মধ্যে কেন অগ্রসর হতে পারেনি এটা ওনাকে কেউ যাচাই করতে পারেনি। ওনাদের কথাবার্তা আমি যা শুনেছি, তাতে মনে হয়েছে ড. কামাল হোসেনকে তারা মফস্বলের অ্যাডভোকেট থেকে একটু ভালো মনে করে।

তবে কিছু লোক আছে, যারা ২৬ বছর ধরে ওনার সঙ্গে থেকেছে। কিন্তু কিছু আছে, যারা দলের পজিশন নিয়ে লোভ করে। আব্বা ২০০৫ সালে মারা যাওয়ার পর তো আওয়ামী লীগ চেয়েছিল আমাকে নমিনেশন দিতে। তখন তো আমি সিমপ্যাথিতে জিতে যেতে পারতাম।

তাহলে আপনার আব্বার হত্যার বিচারের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে আপনার মধ্যে একটা বড় ধরনের ক্ষোভ আছে...

হ্যাঁ, অভিয়াসলি এটা আমার মাইন্ডে আছে। তার চেয়ে বড় কথা, দেশের জন্য কাজ করা। শুধু রাজনীতি করব বাবার হত্যার বিচার করার জন্য, তা নয়। আমাকে অনেকেই বলেছে যে আপনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বা এমপি হন তখন আপনি বিচার করতে পারবেন। কিন্তু দেশের কত মানুষ এমন হত্যার শিকার হয়েছে আর সেটার বিচারের জন্য কি এমপি-মন্ত্রী হতে হবে? এ কারণে আমি রাজনীতি করি, তা নয়।

আপনার বাবার হত্যা মামলাতেও তো বিএনপির তিন জন নেতা আসামি যাদের একজন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন একজন সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র একজন হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র

কিন্তু কারও দলীয় পরিচয় নিয়ে মাথা ঘামাই না। কারা আসল হত্যাকারী ছিল তাদের চিহ্নিত করেন সেটা যে দলেরই হোক না কেন। আই ডোন্ট কেয়ার। আর বিএনপির যে কয়েকজনের নাম তারা দিয়েছে কিন্তু আমি তো সব সময় বলছি আপনাদেরকে যে এই তদন্তে আমার মা আসমা কিবিরিয়া ১০ বছরে ৮৩ বার রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন।

আপনার মা শান্তির জন্য নীলিমা কর্মসূচি দিয়েছিলেন তখন

হ্যাঁ, এটার নাম দিয়েছিলেন শামসুর রাহমান। আর রক্তের অক্ষরে শপথের সঙ্গে স্বাক্ষর এটা শামসুল হক সাহেব দিয়েছিলেন। আম্মা করেছেন। কিন্তু আমাদের দুটি দাবি আমি সব সময় বলেছি।

একটা হলো, গ্রেনেডের উৎস কী? আর দুই নম্বরটা হলো, মদতদাতা কে? যে গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছে, যে ট্রাক চালিয়েছে, যে লাইট অফ করেছে এটা তারা টাকা পেয়েছে একজন থেকে আর তারা কাজটা করেছে। আসল মদতদাতাদের দিকে যেতে তদন্তকারীরা চায় না। আমি বিশ্বাস করি, একটা মিথ্যা তদন্তের ওপর সুষ্ঠু বিচার হতে পারে আমার মনে হয় না। তাই কোনো চার্জশিট আমরা মানি না।

তিনটা চার্জশিট দেয়া হয়েছে। একটার সঙ্গে আরেকটার কোনো মিল নাই। ওই সময় একজন এমপি আছেন যিনি আমার মাকে পর্যন্ত ধমক দিয়েছে এ ব্যাপারে। এটা আপনাকে মানতে হবে। মানবেন না মানে? সরকার এটা চায়।

এমপি কে ছিলেন?

তার নাম মজিদ খান। বানিয়াচংয়ের সংসদ সদস্য। তিনি বাদী ছিলেন। তার অনেক ব্যাপার আছে। মানুষ বুঝতে পারছে যে ওরা একটা রাজনৈতিক শত্রুর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

পেশাগত জীবনে বহুকাল দেশের বাইরে ছিলেন দেশের রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা এক বছরের মতো পশ্চিমা দুনিয়ার সঙ্গে আমাদের রাজনীতির মৌলিক পার্থক্য কোথায়?

সবখানেই সমস্যা আছে। গণতন্ত্র পারফেক্ট না। সবগুলোর চেয়ে ভালো কিন্তু তা-ও সমস্যা থাকে। ইউরোপীয় ডেমোক্র্যাসির জবাবদিহি আছে। স্ট্রং মিডিয়া, স্ট্রং প্রেস। জার্নালিস্ট যদি সাহস করে কিছু বলে তাদের কেউ ফোন করে বলে না যে, পা ভেঙে দেব, আক্রমণ করব, মিথ্যা মামলা দেব।

এটা বাংলাদেশে নেই। আর আপনার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও তো আপনি ভয়ে কোনো কিছু লিখবেন না। আমার ইন্টারভিউয়ের কথাই আপনি পুরোপুরি দিতে পারবেন না। আর এতে কী হয়েছে, বাইরের জার্নালিস্টরা যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই তারা আমাদের দেশের জার্নালিজমের যে ঘাটতি তা তারা মেকআপ করছে। আমরা এখানে থেকে জাস্টিফাই করে যাচ্ছি।

আপনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেছেন আপনি কি কোনো কথা বলতে গিয়ে কখনও বাধার মুখে পড়েছেন? বা এমন কিছু জানেন, যেটা নিজের মধ্যে না বলে ভয়ে চেপে রেখেছেন?

দলের মধ্যে তো একটা প্রেশার আছে। যখন আমি দলের মধ্যে কথা বলেছি, তখন তো একটা ব্যালান্স নিয়ে কথা বলেছি। সবাই তো একমতের না।

এটা তো দলের বিষয় বাইরে?

হ্যাঁ, আমি তো আপনাকে বলছি কিন্তু আপনি তো লিখতে পারবেন না। এই যে আমি আপনাকে বলছি, এই অত্যাচারী, অদক্ষ, অসৎ এবং স্বৈরাচারী সরকারের মোটামুটি একটা কন্ট্রোল আছে দেশের সব সেক্টরে। সবার ওপর। তারা যে মানুষকে ক্ষতি করতে পারে সেটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা বারবার প্রমাণ করে।

তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ বিএনপির ওপরে। আমার এলাকায় যে মানুষকে অত্যাচার করেছে, সেটা আমি দেখেছি। একজন মানুষকে পায়নি। তার ১৫ বছরের ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে। একটা স্বাধীন মুক্ত দেশে এটা হতে পারে না।

এটা মিডিয়ার অনেক লোক বলেছে, এটা নিয়ে বেশি বলাবলি করা যাবে না। আমি একটা লোকের বাসায় গিয়েছি, আমার এলাকায়। তাকে রাত তিনটার সময় পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে। তার অপরাধ সে আমার কিছু পোস্টার লাগিয়েছে। কত সিরিয়াস অপরাধ! এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্মান পাওয়া যায় না।

আওয়ামী লীগের একটা কিছু কি মনে হয়েছে, যে প্রশংসা করা যাবে?

না, ছোটখাটো দুই-একটা ব্যাপার থাকতে পারে। কিন্তু তারা যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিচ্ছে, গরিব মানুষদের অবস্থা আরও খারাপ করে দিচ্ছে, ব্যাংক লুট করেছে, বাজেটে ১০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট ৫০০ কোটি টাকা করে নিয়েছে। খুব বেশি প্রশংসনীয় কিছু থাকে না। যেগুলো করেছে সেগুলো জঘন্য।

গুঞ্জন আছে, নিজেই দল করতে যাচ্ছেন এমনও কথা শোনা যাচ্ছে, একটি বড় দলের বেশ কিছু নেতা আপনার সঙ্গে আছেন এগুলো কি শুধুই গুঞ্জন নাকি বাস্তবতাও কিছু আছে?

অনেক দলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমি নিজে কোনো দল প্রতিষ্ঠা করব এই ধরনের খবর আমি এখনও পাইনি।

জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বিএনপিকে নিয়ে জোট গঠনে গণফোরামের ভেতরে আপত্তি ছিল সমঝোতাটা তাহলে পরে কীভাবে হলো?

আমি একটু সিঙ্গেল মাইন্ডেড এ ব্যাপারে। এই অত্যাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো দরকার। আর এ ক্ষেত্রে দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দল একমত থাকে, আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে রাজি আছি।

আওয়ামী লীগের একটা ভালো কাজ পেলাম যে, হ্যাঁ তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। তবে সেখানেও আমি বলতে চাই, বিচারটা সুষ্ঠুভাবে করুন। সবার কথা শুনুন। প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে সেটাও তো রং (ভুল)।

তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, এই সরকারকে হটানোর জন্য আপনার সঙ্গে যে কেউ যুক্ত হলে আপনি তাদের স্বাগত জানাবেন?

জামায়াতে ইসলামী বলে কোনো দলের এখন নিবন্ধন নেই। আমি তৃতীয় শক্তি, চতুর্থ শক্তি, পঞ্চম শক্তি, সবগুলোকে ওয়েলকাম করি। মানুষ বিবেচনা করবে। এখানে প্রতিযোগিতা লাগবে।

৫০ বছর আগে কী করছেন তা নিয়ে গর্ব করে তো কিছু হবে না। আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা বেকার তাদের তো কিছু দিতে হবে। এখন যে বিরোধী দল (জাতীয় পার্টি) আছে তাদের তো কোনো ভূমিকা নেই। তারা সরকারের ভেতরে থেকে কাজ করলে কিছু করতে পারবে না।

আপনার কি মনে হয় বিএনপি কি এই সরকারের বিপক্ষে শক্ত কোনো অবস্থান নিতে পারবে?

খুব কঠিন। তাদের জন্য আমার সিমপ্যাথি আছে। এতগুলো কেস (মামলা) থাকা সত্ত্বেও তারা এই সরকারের বিপক্ষে নামছে।

তারা বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে?

দেখা যাক কী হয়। আমি ওদের ব্যাপারে কোনো ক্রিটিসাইজ করতে চাই না। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ একটা জনমুখী দল ছিল। তাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল মানুষের মধ্যে। তারা যে এমন ঘৃণিত হয়ে যাবে, তা আমি আশা করিনি। এই ১২ বছরের জন্য দেশে পরিবর্তন আসবে।

বিএনপি নিয়ে কোনো পরিকল্পনা?

সে রকম কোনো পরিকল্পনা আমি করিনি। বিএনপি নিয়ে ক্লিয়ার না আমি। আমি কী করতে চাই, তা আমি আগেই বলেছি। বিএনপিকে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না যে, তাদের কতটুকু অ্যাম্বিশন। তাদের যদি অ্যাম্বিশন হয় সেটা এখনি বলুক। তারা যদি ক্ষমতায় এসে বলে আমরা আওয়ামী লীগ থেকে ১০ ভাগ ভালো হব, এটা যদি অ্যাম্বিশন হয় তাহলে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট না। একটা কমপ্লিট চেঞ্জ দরকার রাজনীতিতে। বিএনপি তেমন যদি কোনো নীতি দেখায় তাইলে পসিবল।

আরও পড়ুন:
কিবরিয়া হত্যা : ১৬ বছর পূর্তির দিনে সাক্ষ্য দিলেন ৪ জন
সাক্ষীর অভাবে থমকে আছে কিবরিয়া হত্যার বিচার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
The image of Daksu Jaksu Chaksu will be seen by the nation in the future Jamaat Amir

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।

তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।

তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
There is no option but to have national elections and referendum together Ruhul Kabir Rizvi

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে আবারও জোরালো মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।
রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশন হয় না। এ নিয়ে সেইসব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআরের কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এ পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে- সেখানে অধিকাংশ মানুষের আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা যদি আমরা বলি বা আরও অন্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে- সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে পিআর উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয়, অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না।

মন্তব্য

জাতীয়
NCP will not sign July charter without legal basis

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নাটকীয়তায় অংশ নেবে না এনসিপি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য হয়নি। বরং একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো সংস্কারের জন্য হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম।’

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এ আদেশ প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় দলগুলোর ঐক্যমত হতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব। আদেশের টেক্সটের খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং সরকার প্রধান হিসেবে তিনি সেটি জারি করবেন।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গণভোট দ্বারা জনগণ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার দেওয়া হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করতে এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই একমত। এটার সংশোধনী হবে কিনা আমাদের কাছে কিন্তু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কারের বিষয়ে গণভোট হবে। এতে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কি হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও আহ্বায়ক জাবেদ রাসিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

মন্তব্য

জাতীয়
BNP Liberation War Party Freedom Fighters

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

কোটালীপাড়ায় এস এম জিলানী
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল তখন একজন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শহীদ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানীদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তান সরকারের সাথে। আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে। নিশ্চিত ফাঁসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজি মন্টু কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এসএম জিলানী বলেন, ইতিহাস থেকে জেনেছি, যখন কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেদিন দিকবেদিক নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো স্বাধীনতার ঘোষণা কেউ দিবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের নেতা যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেই তাহলে বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারব না।

সমাবেশে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের ঠাকুরসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সিনিয়র নেতারা।

মন্তব্য

জাতীয়
Chaksu and Hall have ended voting in the parliamentary elections

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে। এজন্য রয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।


উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকবল রয়েছে। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
If voting will be easier to go to heaven campaigning Rizvi

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত কোরআন অবমাননা ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও করুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগের লেজ ধরে চলতে ভালোবাসে, এখনো কেন যেন আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে কথা বলছে তারা।’
সাধারণ মানুষ পিআর সম্পর্কে জানে না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন তাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে, তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’

মন্তব্য

জাতীয়
Some advisers have a record of conspiracy to us Taher

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। কারা কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, বর্তমানে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যারা নিজেরা নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, মূলত একটি দলের হয়ে ভূমিকা রাখছেন।
তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। প্রশাসনের ভেতর দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচনের নামে নাটক করতে চায়, জনগণ তা মেনে নেবে না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি তুলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা পরিস্কার হবে। স্বচ্ছতা থাকলে ২১ দিনেই গণভোট সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি দল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও ঐক্যমতের ক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। প্রয়োজন হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাব।
জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলবাজি করে না, চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ঋণ মামলাগুলো প্রত্যাহার করব। আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার চাই, যেন-তেন বিচার নয়।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিতে হবে। গণভোট দিতে হবে। পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। আর যারা খুন-গুমে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে