× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
মার খেয়ে কর্মীকে রক্ষা ইশরাকের
google_news print-icon

মার খেয়ে কর্মীকে রক্ষা ইশরাকের

মার-খেয়ে-কর্মীকে-রক্ষা-ইশরাকের
জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশে হাঙ্গামা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশের লাঠিপেটার শিকার বিএনপি নেতা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ফাঁক গলে দেখতে পান তার এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সেখানে তখন পুলিশের ছড়াছড়ি, বিএনপির কেউ নেই। ছুটে এসে সেই কর্মীকে টান দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যান বিএনপি নেতা।

বিএনপির সমাবেশের সময় সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশের হাতে আটক দলীয় কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

এই ঘটনায় বিএনপি ঘরানার বিভিন্ন ফেসবুক পেজে প্রশংসায় ভাসছেন সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাপুত্র। তাকে সাহসী এবং প্রকৃত নেতা উল্লেখ করে পোস্ট দিচ্ছেন বহুজন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে হাঙ্গামা হয়।

সমাবেশের শেষের দিকে প্রধান অতিথি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তৃতা দেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে তৈরি হয় সংঘর্ষ।

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। নেতা-কর্মীরা তখন পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

শুরু হয় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। একপর্যায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়া ইশরাক ও তার কয়েকজন কর্মীকে লাঠিপেটাও করে পুলিশ।

মার খেয়ে কর্মীকে রক্ষা ইশরাকের
ইশরাক ও তার কয়েকজন কর্মীকে লাঠিপেট করে পুলিশ।

তখন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লোহার গ্রিলের একটি অংশ দিয়ে ভেতরের দিকে পড়ে যান ইশরাক।

বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে লোহার গ্রিলের ফাঁক গলে অপর পাশ দিয়ে দেখতে পান, তার দলের এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে প্রিজন ভ্যানে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মীরা।

ওই কর্মী ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ৩৯ নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ চৌধুরী ইমন। আঘাতে তার কপাল দিয়ে রক্ত ঝরছিল।

সেখানে তখন পুলিশের ছড়াছড়ি, বিএনপির কেউ নেই। কিছুক্ষণ আগে পিটুনি খাওয়া ইশরাকের পক্ষে সেখানে যাওয়া ছিল বিপজ্জনক। কিন্তু তিনি তাতে গা করেননি।

বিএনপি নেতা দৌড়ে যান পুলিশের কাছে। একাই ছাত্রদল নেতাকে ধরে টান দেন।

তার দেখাদেখি সঙ্গে থাকা কয়েকজন কর্মীও দৌড়ে আসেন ঘটনাস্থলে। তারা একযোগে চলে আসার পর পুলিশ বাধা দেয়নি। ছাত্রদল নেতাকে নিয়ে ইশরাক আবার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে প্রেস ক্লাবে ঢুকে যান।

বিষয়টি নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষ কিছু করেছি বলে মনে করছি না। আমার জীবন যদি চলেও যায়, আমার নেতা-কর্মীকে অনিরাপদ রেখে আমি যেতে পারি না।

‘আমার কাছে নেতা হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্বের চাইতে বড় নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে হয়।’

ওই কর্মীকে আগে থেকে চিনতেন কি না, এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, ‘সে আমার পাড়ার ছেলে। আমাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে এসেছে। তাকে এভাবে ফেলে রেখে তো আমি যেতে পারি না।’

ওই সমাবেশে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের পর পুলিশ আটক করেছে বিএনপির ১৭ জনকে।

মার খেয়ে কর্মীকে রক্ষা ইশরাকের
পুলিশের হাতে আটক দলীয় কর্মীকে উদ্ধার করছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বিএনপি সমর্থকদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজে। একটি পেজে ভিডিওটি পোস্ট করে এক কর্মী লেখেন, ‘ইশরাকের মতো এ রকম নেতা আরও তিন জন থাকলে বিএনপি আরও আগেই ক্ষমতায় আসত।’

এ রকম আরও অনেক প্রশংসায় ভাসছেন খোকাপুত্র ইশরাক।

সম্প্রতি পুরান ঢাকায় স্কুল থেকে জিয়াউর রহমানের নাম পাল্টানোর পর নতুন নাম কালি দিয়ে মুছে দিয়েছেন ইশরাকের কর্মীরা। সেদিন এই কাজের নেতৃত্ব দেন তিনি।

গত ৩০ নভেম্বর বংশাল মোড়ে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে মোগলটুলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

২০০৬ সালের ২৫ মার্চ জিয়াউর রহমানের নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে সময় অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। নগর কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি স্কুলের নাম পাল্টে করেছে ‘পুরানা মোগলটুলী উচ্চবিদ্যালয়’।

সেদিন সকালে বংশাল মোড়ে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে মোগলটুলী এলাকায় বিদ্যালয়টির সামনে যান। সেখানে নেতা-কর্মীরা স্কুলের ফটকে থাকা নাম কালি দিয়ে মুছে দেন। পরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও ইশরাক হোসেন নেতা-কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন:
‘জিয়ার বীর উত্তম খেতাব কাগজে না থাকলেও মনে থাকবে’
জিয়ার খেতাব নিয়ে বিক্ষোভ, বিএনপির ১৭ জন আটক
বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ
খালেদার জন্য মোমবাতি জ্বালাল বিএনপি
বিএনপি টিকা নেবে না বলেনি: নজরুল ইসলাম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Old day biscope now just memories

পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি

পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি

“তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বাইস্কোপ, বাইস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না” প্রেমিকের বাড়িতে বাইস্কোপ দেখার এমন আকুতি কোন প্রিয়া এখন আর করে না। বাইস্কোপও নেই, সেই বাইস্কোপওয়ালাও নেই। বাইস্কোপ দেখার আর কোনো আকুতি মিনতিও নেই। বাইস্কোপওয়ালারা এখন অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করে।
“ওই দেখা যায়, কেমন মজা/তাকদি না দিন জাবেদের ঘোড়া চইল্যা গেলো/ইলিয়াছ কাঞ্চণ আইস্যা গেলো/ চম্পাকে নিয়ে চইল্যা গেলো। আরে আরে কেমন মজা/ দেখেন তবে তক্কা মদিনা/তারপরেতে মধুবালা/এক্কাগাড়ীতে উত্তম কুমার আর সুচিত্রা সেন।” এরকম সুরের ধারা বর্ণনা দিয়ে গ্রাম্য জনপদে বাইস্কোপ দেখাতেন বাইস্কোপওয়ালারা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- রূপগঞ্জে এখন আর এমন মজার বাইস্কোপ দেখা যায় না। ছোট্টবেলায় হাট-বাজারে, মেলায় দেখা যেতো বাইস্কোপ। আধুনিক বিজ্ঞানের মর্ডাণ সময়ে সেলুলয়েডের রঙিন যুগে এখন আর চোখেই পড়ে না এ মজার বাইস্কোপ। এখন শুধুই স্মৃতি। হাটবাজার মেলা ছাড়াও বাইস্কোপওয়ালারা মাথায় করে গ্রামে গ্রামে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বাইস্কোপের বাক্সটা নিয়ে মানুষকে ছবি দেখাত। তার হাতে থাকতো বাজনা বাজানোর জন্যে একটা বিষেশ ধরনের বাদ্যযন্ত্র। যে কারো বাড়িতে পৌছেই সেই বাজনা বাজিয়ে আওয়াজ দিত। বলতে শোনা যেত বাইস্কোপ দেখবেন গো বাইস্কোপ। তখন আশেপাশের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা মা-দের কাছে কাকুতি মিনতি করতো ওই বাইস্কোপ দেখার জন্যে। মায়েরা তখন বিরক্ত হয়ে ধানের গোলা থেকে বা চালের মটকা থেকে এক সের ধান বা চাল দিতেন। আর পাবি না কিন্তু এও বলে দিত। ছেলে মেয়েরাও রাজী হয়ে বলতো হ মা আর নিমুনা, আর দেখুম না। এই বলেই ধান নিয়ে ছুটে যেতো বাইস্কোপওয়ালার কাছে। বাইস্কোপওয়ালা তার ব্যাগের মতো থলেতে ধান ঢেলে রেখে দিত। ধান নিতে দেরি, আর বাইস্কোপের কাছে হাঁটু গেড়ে বসতে দেরি হতো না।

পর্দা ওঠলো বাইস্কোপের, মুখের মাঝে দুই হাত দিয়ে চুপি দিয়ে দেখতে থাকতো বাইস্কোপ। বাইস্কোপওয়ালা এক হাতে বাইস্কোপের রিল ঘুরাতে থাকতো আর বলতে থাকতো কি যাচ্ছে আর সামনে কি আসছে। বলতে শোনা যেতো কি সুন্দর দেখা গেলো আলোমতি আইস্যা গেলো, কি সুন্দর দেখা গেলো প্রেমকুমার আইস্যা গেলো ইত্যাদি। বর্তমান সেলুলয়েডের রঙিন ফিতা, অনলাইন আর ইন্টানেটের যুগে এখন আর সেই মনোরম বাইস্কোপ দেখাই যায় না। ছোট্টবেলার সেই বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি। মাত্র দশ পয়সা দিয়ে অথবা এক হেড় বা এক পট ধান বা চাল দিয়ে দেখা যেতো এই বাইস্কোপ।
খামারপাড়া গ্রামের বৃদ্ধজন আওয়াল আলী বলেন, কি হবে রে বাবা এসব ঘেঁটেগুঁটে। যা হারাবার তা হারিয়েই যাবে। যা চলে যাবার তা রুখবে সাধ্য কার? ধরে রাখবে কে? প্রযুক্তির যে জোয়ার। না হারিয়ে যাবে কোথায়? উপায় নাইরে বাজান, উপায় নাই। শিলপাটাটা ধারকাটাওয়ালা, ঘোলওয়ালা, কটকটিওয়ালা, কুলুরা, বেদেরা আজ কোথায় হারিয়ে গেলোগো বাবা? সবাই হয়তো আছে। শুধু পেশাটা বদলে ফেলেছে। আবার হয়তো অনেকেই মরে গেছে।

কিছুই করার নাই। মানুষের জীবনাচরন বদলে গেছে। তাই তার অনুষঙ্গ হারিয়ে যাবে এঁটাইতো স্বাভাবিক। ঈদের আনন্দ, হিন্দুদের পূজা পার্বন আর বিভিন্ন মেলায় দেখা যেত বাইস্কোপ। এগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। ছোট্ট শিশু থেকে আরম্ভ করে বুড়োরাও দেখতো একটা বক্সের মধ্যে সুন্দর করে পোস্টার সাজানো বাইস্কোপ। গ্রামাঞ্চলে ভ্রাম্যমান সিনেমা হলের ছবি নামে পরিচিত । গাঁয়ের ছেলে-বুড়োরা ছুটত তার পেছন পেছন। আবার কেউ কেউ তাকে ছবিওয়ালাও বলত। হাতে থাকতো তার একটা ডুগডুড়ি।

বাজাতে বাজাতে গ্রাম্য মেঠো পথ ধরে হাঁটতো। দল বেঁধে সবাই একখানে জড়ো হতো গাঁয়ের শিশু-কিশোর ও কুলবধুরা। তারপর শুরু হতো সিনেমা। তার আগে অবশ্যই টিকিট কিনে নিতে হতো। বক্সের চারখানা ফুটোয় আট জোড়া চোখ লাগিয়ে সেই স্বপ্নের সিনেমা দেখতো গাঁও-গেরামের মানুষরা। সে সবই এখন সূদুর অতীত। কারো মনে পড়ে, কারো পড়ে না। এখন আর দেখা যায় না সেই ছবিওয়ালাকে। কালেরগর্ভে কোথায় যে হারিয়ে গেলো তারা তা বর্তমান প্রজন্মের কেউ জানেনা।
চাকরিজীবি ছালাম মুল্লা বলেন, আমি নিজে দেখেছি ওই বাইস্কোপ। দুপুরে বাড়ির উঠানে বক্সটা নিয়ে বসত। বাড়ির সবাই পর্যায়ক্রমে দেখতাম। মজাই লাগতো। সেই ছবিওয়ালা আজ আর নেই। আস্তে আস্তে সব বিলীন হয়ে যাবে আমাদের অতীতের সব ঐতিহ্য। আমরা এখন আকাশ সংস্কৃতির ঘেরাটোপে বন্দী।
রূপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ভুইয়া পরিবারের সন্তান ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান দপিু ভুইয়া বলেন, ৩০ বছর আগেও বাইস্কোপওয়ালাকে আমার গ্রাম রূপসীতে ছবি দেখাতে আসতে দেখেছি। কতই না কান্ড করতাম এ বাইস্কোপ দেখার জন্যে। বাবা-মায়ের অনেক বকুনি খেয়েও বাইস্কোপ দেখতাম। আর কতই না মজা করতাম , আনন্দ পাইতাম এ বাইস্কোপ দেখে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সভ্যতা আমাদের অনেক কিছু উপহার দিয়েছে। কেড়েও নিয়েছে বাইস্কোপের মতো আরো অনেক কিছু।

মন্তব্য

জাতীয়
Admission to Automation Medical students in the irony

অটোমেশনে ভর্তি: বিড়ম্বনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

অটোমেশনে ভর্তি: বিড়ম্বনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে চালু হওয়া অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনেকে ভর্তি থেকে বিরত থাকছেন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অনেক আসনই ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।

অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন সচেতন অভিভাবক ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। ফলে অটোমেশন পদ্ধতিতে ভর্তি পক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং সচেতন অভিভাবকদের অভিযোগ, এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও স্বাধীনতা হরণ করছে। কেউ ঢাকায় থেকেও কলেজ পেয়েছে দূরবর্তী জেলায়, আবার কেউ গ্রাম থেকে পেয়ে গেছে ব্যয়বহুল অভিজাত কলেজ, যা অনেকের জন্য অসহনীয় বোঝা। এভাবে অটোমেশন পদ্ধতি একাধিক শিক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা নিমিশেই শেষ করে দিচ্ছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজগুলো বেছে নিতে পারেন না। এতে প্রথমে শিক্ষার্থীদের ৫টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির চয়েস রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই নীতি পরিবর্তন করে ছেলেদের জন্য ৬০টি মেডিকেল কলেজ ও মেয়েদের জন্য ৬৬টি চয়েস রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি আসন এখনো শূন্য পড়ে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, অটোমেশন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কলেজ নির্বাচন করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট এলগরিদম ও সিরিয়ালের ভিত্তিতে। এতে রাজধানীতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের পাঠানো হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার কলেজে, এবং অনেক মফস্বলের শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে ঢাকার অভিজাত মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ-যা বাস্তবতা ও সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে অনেকেই বরাদ্দ পাওয়া কলেজে ভর্তি না হয়ে অপেক্ষা বা উচ্চশিক্ষা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটে পড়ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রমেও।

অটোমেশন পদ্ধতিতে অনলাইনে বেসরকারি মেডিকেল ভর্তির জন্য ফরম পূরণের সময় কলেজের তালিকা যুক্ত করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানানো হয়। যার ফলে তাদের পছন্দের বিষয়টিই থাকছে না। পছন্দের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ার শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৫ হাজার ৩৮০ সিট পূর্ণ হলেও ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ হয়নি। চলতি বছর বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি সিট খালি রয়েছে।

অটোমেশন পদ্ধতির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারাছেন। অটোমেশন চালু করার আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়তে আসতেন। অটোমেশন কাউকেই তার ইচ্ছামতো খুশি করতে পারছে না। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে মেডিকেলে ভর্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি, বিগত ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থী ৪৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাঙ্খিত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে মেডিকেল শিক্ষা খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না।

এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে আমিরা তাসনিম। পরিবারের সাথে রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা তার। সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। সরকারি মেডিকেলে চান্স না হওয়ায় বেসরকারি মেডিকেলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু দূরবর্তী জেলার একটি বেসরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায় তাসনিম। অটোমেশনের কারণে নিজের পছন্দমত মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় মেডিকেলে পড়তে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে সে। আর এখানেই শেষ হয়ে গেছে আমার মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। অটোমেশনের কারণে তার মত হাজারো শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বড় বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মালিকপক্ষ এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই পদ্ধতি যেন বেসরকারি মেডিকেল সেক্টর ধ্বংসের হাতিয়ার না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, অটোমেশন পদ্ধতিতে মেডিকেলে ভর্তি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেক মেধাবী পছন্দের কলেজ না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সুতরাং সকল পক্ষের সুবিধার জন্য পুরাতন পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।

অটোমেশনে ভর্তি: বিড়ম্বনায় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে চালু হওয়া অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনেকে ভর্তি থেকে বিরত থাকছেন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অনেক আসনই ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।

অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল খাতকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন সচেতন অভিভাবক ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। ফলে অটোমেশন পদ্ধতিতে ভর্তি পক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং সচেতন অভিভাবকদের অভিযোগ, এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও স্বাধীনতা হরণ করছে। কেউ ঢাকায় থেকেও কলেজ পেয়েছে দূরবর্তী জেলায়, আবার কেউ গ্রাম থেকে পেয়ে গেছে ব্যয়বহুল অভিজাত কলেজ, যা অনেকের জন্য অসহনীয় বোঝা। এভাবে অটোমেশন পদ্ধতি একাধিক শিক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা নিমিশেই শেষ করে দিচ্ছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তিতে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজগুলো বেছে নিতে পারেন না। এতে প্রথমে শিক্ষার্থীদের ৫টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির চয়েস রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই নীতি পরিবর্তন করে ছেলেদের জন্য ৬০টি মেডিকেল কলেজ ও মেয়েদের জন্য ৬৬টি চয়েস রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি আসন এখনো শূন্য পড়ে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, অটোমেশন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কলেজ নির্বাচন করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট এলগরিদম ও সিরিয়ালের ভিত্তিতে। এতে রাজধানীতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের পাঠানো হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার কলেজে, এবং অনেক মফস্বলের শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে ঢাকার অভিজাত মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ-যা বাস্তবতা ও সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে অনেকেই বরাদ্দ পাওয়া কলেজে ভর্তি না হয়ে অপেক্ষা বা উচ্চশিক্ষা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটে পড়ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রমেও।

অটোমেশন পদ্ধতিতে অনলাইনে বেসরকারি মেডিকেল ভর্তির জন্য ফরম পূরণের সময় কলেজের তালিকা যুক্ত করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে জানানো হয়। যার ফলে তাদের পছন্দের বিষয়টিই থাকছে না। পছন্দের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ার শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়ালেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এদের মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৫ হাজার ৩৮০ সিট পূর্ণ হলেও ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ হয়নি। চলতি বছর বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৪৬৭টি সিট খালি রয়েছে।

অটোমেশন পদ্ধতির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারাছেন। অটোমেশন চালু করার আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি পড়তে আসতেন। অটোমেশন কাউকেই তার ইচ্ছামতো খুশি করতে পারছে না। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে মেডিকেলে ভর্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ি, বিগত ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থী ৪৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ২০২৩-২০২৪ এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাঙ্খিত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে মেডিকেল শিক্ষা খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না।

এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে আমিরা তাসনিম। পরিবারের সাথে রাজধানী ঢাকায় বেড়ে ওঠা তার। সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলো। সরকারি মেডিকেলে চান্স না হওয়ায় বেসরকারি মেডিকেলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু দূরবর্তী জেলার একটি বেসরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায় তাসনিম। অটোমেশনের কারণে নিজের পছন্দমত মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় মেডিকেলে পড়তে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে সে। আর এখানেই শেষ হয়ে গেছে আমার মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। অটোমেশনের কারণে তার মত হাজারো শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ভেঙ্গে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বড় বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মালিকপক্ষ এমনকি চিকিৎসকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই পদ্ধতি যেন বেসরকারি মেডিকেল সেক্টর ধ্বংসের হাতিয়ার না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, অটোমেশন পদ্ধতিতে মেডিকেলে ভর্তি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেক মেধাবী পছন্দের কলেজ না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। সুতরাং সকল পক্ষের সুবিধার জন্য পুরাতন পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য

জাতীয়
Ultra Slim Design Minilaed TV is now Bangladesh

আলট্রা-স্লিম ডিজাইনের মিনিলেড টিভি এখন বাংলাদেশ

আলট্রা-স্লিম ডিজাইনের মিনিলেড টিভি এখন বাংলাদেশ

দেশের প্রিমিয়াম টিভির সেগমেন্টে নতুন মাত্রা যোগ করলো হায়ার বাংলাদেশ। এবার দেশের বাজারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আলট্রা-স্লিম ডিজাইনের মিনিলেড টিভি নিয়ে এলো ব্র্যান্ডটি।

ব্যবহারকারীদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে হায়ার মিনিলেড টিভি। সর্বাধুনিক এই টিভিটি প্রিমিয়াম সেগমেন্টের টিভি বাজারে যোগ করবে অনন্য মাত্রা। ৫৫, ৬৫ ও ৭৫ ইঞ্চির তিনটি সাইজে নিয়ে আসা টিভিটিতে রয়েছে অ্যাডভান্সড মিনি লেড এলইডি ব্যাকলাইটিং টেকনোলজি, ৯৪% কালার ভলিউম ও ৮০০+ নিটস সমৃদ্ধ ৪কে কিউএলইডি ডিসপ্লে প্যানেল, ডলবি ভিশন আইকিউ ও ডলবি অ্যাটমোস এবং বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত কেইএফ-এর বিল্ট-ইন সাব-উফার সগ ৫০ ওয়াট সাউন্ড সিস্টেম।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই টিভিটি বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। এ সময় আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন হায়ার বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াং শিয়াংজিং, টিভি প্রোডাক্ট হেড ফখরুল আলম, সেলস ডিরেক্টর আশরাফুল আলম এবং চাইনিজ মার্কেটিং হেড লি দান দান।

প্রি-বুকিংয়ে সাড়া পাওয়ার পর শুরু হয়েছে ১৫ দিনের অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রাম। বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে এখন হায়ার মিনিলেড টিভির চমৎকার ডিসপ্লে, আলট্রা-স্লিম ডিজাইন ও অত্যাধুনিক ফিচার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।

এরমধ্যে ৫৫ ইঞ্চির মিনিলেড টিভির প্রি-বুক প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪,৯০০; যার অফার মূল্য ৯৯,৯০০ টাকা মাত্র (পূর্বমূল্য ১,০৭,৯০০ টাকা)। একইসাথে, ৬৫ ইঞ্চির মিনিলেড টিভির প্রি-বুক প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪,৯০০; যার অফার মূল্য ১,২৪,৯০০ টাকা মাত্র (পূর্বমূল্য ১,৩৪,৯০০ টাকা) এবং ৭৫ ইঞ্চির মিনিলেড টিভির প্রি-বুক প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ১,১৯,৯০০; যার অফার মূল্য ১,৭৯,৯০০ টাকা মাত্র (পূর্বমূল্য ১,৯৪,৯০০ টাকা)।

মন্তব্য

জাতীয়
Shariful Khan of Bangladeshi origin led by the United States Iron Dom project

যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান

যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খানকে যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে নিয়োগ দিয়েছে পেন্টাগন। সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মার্কিন বিমানবাহিনীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রোববার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘গোল্ডেন ডোম’ নামে পরিচিত এই কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে শরিফুল এম খান এর নীতি, কৌশল এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের সবকিছু তত্ত্বাবধান করবেন। এই প্রকল্পটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুন মাসে মেজর জেনারেল এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতির জন্য যেসব সামরিক কর্মকর্তাকে মনোনীত করেছিলেন, শরিফুল খান তাদের মধ্যে অন্যতম। গত ১৩ জুন ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১৫ জন সামরিক কর্মকর্তাকে মেজর জেনারেল পদে এবং ৫৫ জনকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. ওসমান সিদ্দিক গত ২০ আগস্ট একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে জানান যে, নতুন পদে শরিফুল এম. খানের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

১৯৯৭ সালে ইউএস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট অপারেশন এবং জাতীয় গোয়েন্দা অভিযানে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এবং একাধিক সামরিক সম্মাননা পেয়েছেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Durga Puja is going to India to 120 tonnes of hilsa

দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ

দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। ভারতে শর্তসাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি বছরই ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা বেশি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ১১ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালে হার্ড কপিতে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী রপ্তানিকারকেরা। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে আরও বলা হয়, প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে যারা আহ্বান ব্যতিরেকেই আবেদন করেছেন, তাদেরও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে।

গতবারের চেয়ে অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি

গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এবার এর অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো। গতবার সব মিলিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে।

অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব-কন্ট্রাক্ট) রপ্তানি না করার শর্তও থাকছে। বলা হয়েছে, সরকার যেকোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Teesta Spar Dam in the face of destruction in illegal sand lifting

অবৈধ বালু উত্তোলনে ধ্বংসের মুখে ‎তিস্তার স্পার বাঁধ‎‎‎‎

অবৈধ বালু উত্তোলনে ধ্বংসের মুখে ‎তিস্তার স্পার বাঁধ‎‎‎‎

অবৈধ বালু উত্তোলনে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে তিস্তা নদীর তীরে নির্মিত ৫ কোটি টাকার সলেডি স্পার বাঁধ। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে গোবর্দ্ধন গ্রামের বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বসানো হয়েছে বালু উত্তোলনের বোমা মেশিন। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই বাঁধ বিনাশী কার্যক্রম।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বিগত বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০২ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীরে সলেডি স্পার বাঁধ-২ নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। সেই বাঁধের একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে একটি বালু খেকো চক্র।

আর এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এপিএস মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ট সহযোগী শওকত হোসেন ওরফে বালু শওকত। গত ১১ বছর এপিএস মিজানের তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রির ব্যবসা দেখভাল করতেন তিনি।

মিজান পলাতক হলেও খোলস পাল্টিয়ে ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত আলী। তার বাড়ি পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামে। বিগত দিনে এপিএস মিজান ও আওয়ামী ক্ষমতা দেখিয়ে বালু উত্তোলন করে শূন্য থেকে হয়েছেন কোটিপতি।‎‎

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি কাজের অজুহাত দেখিয়ে তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বালু শওকত। বর্তমানে সরকারি কাজের অজুহাতে বালু তুলছেন শওকত। বোমা মেশিনটি সলেডি স্প্যার বাঁধের প্রায় একশত গজ ভাটিতে নেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে বড় গর্ত হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে স্প্যার বাঁধটি। এটি ধসে গেলে শত শত বসতভিটা স্থাপনা ও আবাদি জমি তিস্তার কড়াল গ্রাসে বিধ্বস্ত হবে।‎‎

সরেজমিনে দেখা যায়, সলেডি স্প্যার বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দক্ষিণে প্রায় পাঁচশত গজ দূরে মজুর বাড়ির পাশে স্তূপ করা হচ্ছে তিস্তা নদীর বালু। কয়েক দিন আগে স্তূপ করা হয় ওই এলাকার রফিজের ছেলে মন্টু মিয়া, মোসলেমের ছেলে মন্টু, নবিয়ারের ছেলে তাজাম্মেল, বজলুর ছেলে রবিউলের বাড়ির পাশেসহ অনেক স্থানে স্তূপ করছে। বালু তোলা শেষ হলে সুযোগ মতো সড়িয়ে নেওয়া হবে ট্রাকে। এমনটাই জানান স্থানীয়রা।

তবে সেখানে কর্মরত একজন শ্রমিক বলেন, শওকতের নির্দেশে বালু তোলা হচ্ছে। তার মেশিন তার তেল আমরা তার হয়ে কাজটা করছি মাত্র। বালু প্রসঙ্গে কিছু জানতে হলে শওকতের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন এ শ্রমিক।‎‎ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে এপিএস মিজানের হয়ে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করেছে বালু শওকত। এখন মিজান নেই, ভোল্ট পাল্টিয়ে স্থানীয় অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আগের ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত।

একই স্থান থেকে প্রতি বছর বালু উত্তোলন করায় বাঁধটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বন্যার সময় বাঁধটি কেঁপে উঠে। বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে স্থানীয় নেতাদের দিয়ে হয়রানি করে। তাই কেউ প্রতিবাদ করে না।‎‎

এসব বিষয়ে শওকত আলী ওরফে বালু শওকত বলেন, সলেডি স্প্যার বাঁধের ভাটিতে প্রায় ১৩ হাজার জিও ব্যাগে বালু ভরাট করার কাজ পেয়েছেন দিনাজপুরের একজন ঠিকাদার। তার হয়ে আমি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কাজ শেষ করেছি। এখন কে বালু উত্তোলন করছে তা আমার জানা নেই।

স্প্যার বাঁধের কাছে বালু মেশিন বসানোর কারণে বাঁধের ক্ষতি হবে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মূল ঠিকাদারের নাম নম্বর চাইলেও দেননি তিনি।

‎‎লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, জিও ব্যাগে বালু ভরাট ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান। বালু স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করার কথা হয়েছে। তবে বাঁধের কাছে মেশিন বসানো ঠিক নয়। বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‎‎

মন্তব্য

জাতীয়
The accused was dismissed by the ACC directors hospital bill

দুদক পরিচালকের হাসপাতালের বিল দেন আসামি, হলেন বরখাস্ত

দুদক পরিচালকের হাসপাতালের বিল দেন আসামি, হলেন বরখাস্ত

দুদকের মামলার আসামি ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে চিকিৎসা খরচ গ্রহণের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।

এর আগে গত রোববার তাকে বদলি করে দুদকের এনআইএস এবং উন্নয়ন সহযোগী ও সমন্বয় (দেশীয়) বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলাম কমিশনের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবুল আনামের কাছ থেকে চিকিৎসা খরচ বাবদ অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন।

গোপন অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, গত ১৭ আগস্ট মীজানুল ইসলাম এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ২০ আগস্ট ছাড়পত্র নেন। কিন্তু চিকিৎসা বাবদ বকেয়া দুই লাখ চার হাজার একশত বত্রিশ টাকা তিনি নিজে পরিশোধ না করে অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট মাহাবুবুল আনামের প্রদত্ত গ্যারান্টির ভিত্তিতে ছাড়পত্র নেন।

অভিযোগের গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় বিষয়টি গত ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দুদক জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ অনুসারে মীজানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ আদেশ জারির তারিখ থেকেই কার্যকর হবে এবং বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।

গত ২৭ জানুয়ারি তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক। এর দুটি মামলার আসামির তালিকায় ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক মাহাবুবুল আনাম।

p
উপরে