পুরো নেটওয়ার্কে গ্যাস বিতরণ পাইপলাইনের অজস্র ছিদ্র চিহ্নিত করার প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)।
এই পদ্ধতি চালু হলে এখনকার মতো অনুমাননির্ভর ও বিক্ষিপ্তভাবে মাটি খুঁড়ে ছিদ্র চিহ্নিত করতে হবে না। কাজটি অনেক সহজ ও নির্ভরযোগ্য হবে।
কোম্পানির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে দেশে যে পরিমাণ গ্যাস বিতরণ করা হয়, তার প্রায় ৭০ শতাংশই করে তিতাস। তিতাসের সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার পাইপলাইন। ঢাকা মহানগরীসহ তিতাসের বিশাল বিতরণ এলাকায় গ্রাহকের আঙিনা পর্যন্ত জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে এসব লাইন।
কোনো কোনো এলাকায় স্থাপিত লাইনের বয়স প্রায় ৬০ বছর। প্রাকৃতিক কারণে এবং বিভিন্ন উন্নয়নকাজের সময় এসব লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। এ ছাড়া কোনো কোনো এলাকায় এমনও হয় যে, পাইপলাইনের যে নকশা তিতাসের কাছে রয়েছে, সে অনুযায়ী লাইন খুঁজেই পাওয়া যায় না। তাই ছিদ্রান্বেষণের পাশাপাশি ডিজিটাল ম্যাপিং করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ্ বলেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে ছিদ্র অন্বেষণের জন্য অনুমাননির্ভর মাটি খনন, পাইপলাইনের কাছে পানিতে দৃশ্যমান বুদবুদ প্রভৃতিই প্রধান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘মিথেন গ্যাস ডিটেক্টর মেশিন’ও ব্যবহার করা হয়। তবে এ ধরনের মেশিন তিতাসের কাছে বেশি নেই। আর এর কার্যকারিতাও শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার মতো নয়।
তিতাসের এমডি বলেন, ছিদ্রান্বেষণ পদ্ধতি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য করার লক্ষ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) শিগগিরই ১০টি উন্নত মানের গ্যাস ডিটেক্টর মেশিন দিচ্ছে। জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের জন্য একই ধরনের আরও ১২টি মেশিন কেনা হচ্ছে। এরপর গ্রাহকের আঙিনায় ‘ইন্টেলিজেন্ট প্রিপেইড মিটার’ স্থাপন করা হবে, যা একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত পাইপলাইনের ছিদ্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করবে।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত এমন একটি গাড়ির (প্রাইভেট কার) কার্যক্রম সরেজমিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ গাড়িটি রাস্তা দিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার পাইপলাইনের ছিদ্র চিহ্নিত করবে।
এ ছাড়া জাইকার সহযোগিতায় ‘স্মল ওয়ার্ল্ড’ অ্যাপভিত্তিক ছিদ্র শনাক্তকরণ এবং ‘লাইন ডিটেকশন ও ডিজিটাল ম্যাপিং’ ঢাকার মিরপুর ও বনানী এলাকায় পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে শুরু করা হয়েছে বলে তিতাসের এমডি জানান।
কোম্পানির হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিতাসের বিতরণ নেটওয়ার্ক থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৪৫ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই হিসাব গত ৫ বছরের।
এই হিসাব অনুযায়ী, তিতাসের নেটওয়ার্ক থেকে এক বছরে যে পরিমাণ গ্যাস উধাও হয়ে যায়, তা দিয়ে তাদের বিতরণ নেটওয়ার্কভুক্ত তিনটি সার কারখানা ২ বছর চালানো যায়। আর গত ৫ বছরে যে গ্যাস উধাও হয়ে গেছে, তা দিয়ে তিতাসের নেটওয়ার্কভুক্ত ১৭টি সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র এক বছর পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো যেত।
বর্তমান বাজার দরে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় (ওয়েটেড অ্যাভারেজ) দাম ১২ টাকা ৬০ পয়সা। সে হিসাবে প্রতি বছর উধাও হয়ে যাওয়া গ্যাসের আর্থিক মূল্য ৫৬৭ কোটি টাকা। উধাও হয়ে যাওয়া এই গ্যাস সিস্টেম লসের হিসাবে যুক্ত করা হয়।
তবে তিতাসের একটি সূত্র জানায়, উধাও হয়ে যাওয়া গ্যাসের পরিমাণ বা সিস্টেম লস প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি। কেননা তাদের ২৭ লাখেরও বেশি মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের অব্যবহৃত গ্যাস আসলে কোম্পানির ‘সিস্টেম গেইন।’ সেটা হিসাবে না ধরেই উপরোক্ত সিস্টেম লস বা উধাও হয়ে যাওয়া গ্যাসের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
অবশ্য জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমানও মনে করেন, পাইপ লাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস উড়ে যাওয়া বন্ধ করার জন্য লাইন প্রতিস্থাপন, প্রিপেইড মিটার এবং ইভিসি মিটার স্থাপনের মতো কাজগুলো সম্পন্ন না হলে প্রকৃত সিস্টেম লস এবং অপচয়ের সঠিক হিসাব জানা সম্ভব হবে না। তাই এই কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার। আগামী বছর তিনেকের মধ্যে যাতে এই কাজগুলো শেষ করা যায়, সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস। ঢাকা মহানগরী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলাজুড়ে তিতাসের বিতরণ নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। বর্তমানে তিতাসের দৈনিক চাহিদা ২২০ কোটি ঘনমিটার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় তিতাস ১৮০ কোটি ঘনমিটারের বেশি পায় না।
আরও পড়ুন:জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক কাভার্ড ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪জন।
সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া হাসান রাবার ইন্ডাস্ট্রির উল্টা পাশে ঢাকাগামী লেনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কাভার্ড ভ্যান চালকের নাম রনি (৩৮)। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার আলম মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আব্দুল হাকিমের ছেলে কামাল হোসেন(৫০), একই এলাকার আব্দুর রব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৩), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি(৩০) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭)। আহতদের মধ্যে কামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকামুখী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিলে পেছন থেকে দ্রুতগতির দুটি কাভার্ড ভ্যান পরপর পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিছনের কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘন্টার চেষ্টায় আটকে পড়া কাভার্ড ভ্যান চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন জানান, নিহত চালকের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।
আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়সাল বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে মুন্সীগঞ্জের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।
এদিন মব এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে তোলা হয় ৯টা ৫ মিনিটে।
আসামির পক্ষে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুরের আবদেন নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমানুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট হাসান মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পরিদর্শক ছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নূর হোসেন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে শুনানি হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
আদাশের পর তাকে সরাসরি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই আদালত এলাকায় তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয় অর্ধ সহ্রাধিক মানুষ। ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্টের সহিংসতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাধারণত সকাল ১০টার আগে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় না। কিন্তু আজ এত আগে তাকে আদালতে আনা হবে, তা তারা জানতেন না।
গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পরে ২৩ জুন তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এরপর ৩০ জুন (সোমবার) ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্টের সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এই তিনটি হত্যা মামলা ও আরও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল বিপ্লব।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ এবং জ্বালানি সম্পদ রক্ষায় চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার গাজীপুর ও কুমিল্লা জেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাহেবনগর, ভাদুয়াপাড়া ও কাকিয়ারচর এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) সৈকত রায়হান। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল)-এর আওতাধীন এসব এলাকার ৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ৩ জন ব্যক্তিকে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় প্রায় ০.৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি ৫৩টি অবৈধ গ্যাস রাইজার এবং ২২টি অবৈধ গ্যাসচালিত চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়।
গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে জোবিঅ-টঙ্গী এবং আবিবি-জয়দেবপুরের একটি যৌথ দল অভিযানটি পরিচালনা করে। এর আওতায় তিনটি নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শন চালানো হয়। সেগুলো হল, টঙ্গীর শিলমুন হাইস্কুল রোডের এস.এম.ফ্যাশন, মিরাশপাড়ার নদী বন্দর রোডের মোহাম্মদিয়া কালার ট্রেডিং এবং দত্তপাড়া জহির মার্কেটের মিথিলা লন্ড্রি ওয়াশ।
তবে, তিনটি স্পটেই গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম বা অবৈধ ব্যবহার শনাক্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, পূর্ববর্তী অভিযানগুলোর কারণে ওই এলাকায় অবৈধ সংযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুল ইসলাম বাসস’কে জানান, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি রোধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সবাইকে বৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে ও এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সচেতন হতে হবে। নাগরিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্বালানি খাতের আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
গত দুদিন ধরে ঢাকায় বৃষ্টি তেমন না হলেও বাতাসের চাপের আধিক্য ছিল বেশ। আজও সেই চাপ অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই চলছে মেঘ-রোদের খেলা। তবে দুপুরের মধ্যে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আকাশ এই সময়ে আংশিক থেকে সাময়িকভাবে মেঘলা থাকতে পারে।
সেই সঙ্গে দক্ষিণ অথবা পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সেই সঙ্গে ঝরতে পারে হালকা বৃষ্টি।
গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আজ অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ বছরও দেশের বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৫’ গ্রহণ করেছে।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার (৩০ জুন) বিমান বাহিনী সদর দফতর প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে উক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এ বছরের বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি পালন করছে।
বিমান সদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররা বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করে ওই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিমান সদরের পরিচালকরা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিট সমূহেও একই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় বিমান বাহিনী বিভিন্ন ধরনের ফলজ, বনজ ও ওষুধি গুনাগুন সম্পন্ন গাছের চারা রোপণ করবে।
মন্তব্য