বাবা দাবি করে কক্সবাজারের যুবক মোহাম্মদ ইসহাকের মামলায় আদালতে গেলেন না কক্সবাজারে আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
গত ১৩ ডিসেম্বর নিজেকে বদির সন্তান দাবি করে পিতৃ পরিচয় দাবি করে টেকনাফের সহকারী জজ জিয়াউল হকের আদালতে আবেদন করেন ইসহাক।
আবেদনে ২৬ বছর বয়সী এই যুবক বলেন, তিনি তার জন্ম পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাতেও রাজি। আবেদন গ্রহণ করে বিচারক বদিকে ১৪ জানুয়ারি উপস্থিত হতে সমন জারি করেন।
নির্ধারিত দিন বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন ইসহাক, তার মা, তাদের আইনজীবী। তবে বদির পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত হননি।
ইসহাকের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ‘সমন পাননি বলে আদালতে হাজির হননি আব্দুর রহমান বদিসহ বেশিরভাগ আসামি। যেহেতু ইসহাকের মাকেও আসামি করা হয়, সেহেতু তিনি উপস্থিত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বদি আজ আসেননি। কতদিন এভাবে থাকবেন? তাকে আদালতে আসতেই হবে। তিনি যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন তাহলে অবশ্যই উপস্থিত হবেন।’
সমন জারিকারক মোহাম্মদ টিটোর বরাত দিয়ে কফিল উদ্দিন বলেন, ‘টেকনাফে বদির বাসায় সমন নিয়ে গেলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আদালতের সমন আছে জানালে দারোয়ান বলেন, বদি ঢাকায় আছেন। এরপর টিটো ফিরে আসেন।’
আদালত চত্বরে ইসহাক বলেন, ‘আমার আইনজীবীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। অনেক আইনজীবী কথা দিয়েও আদালতে আসেননি। তারপরও একজন আমার পক্ষে লড়ছেন। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শুধুমাত্র অজুহাত দিয়ে সময় নিচ্ছে আমার বাবা।’
ইসহাক তার এজাহারে বাবার নাম লিখেছেন আব্দুর রহমান বদি। ঠিকানা: টেকনাফ পৌর এলাকার কায়ুকখালী। তাকে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে ইসহাক বলেছেন, বদিদের এক সময়ের পারিবারিক মিস্ত্রী মোহাম্মদ ইসলামের সংসারে তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন। মোহাম্মদ ইসলামের সঙ্গে তার মা সুফিয়া খাতুনের ‘দ্বিতীয়’ বিয়ে হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিসিক শিল্প এলাকা সংলগ্ন দক্ষিণ মুহুরী পাড়ায় বসবাস করেন ইসহাক। অর্থকষ্টে দিন কাটে তার।
যদিও নিউজবাংলাকে এই যুবক বলেছেন, তিনি টাকা পয়সা নয়, বাবা বদির স্নেহের ছায়াতলে যেতে চান। এ জন্য অনেক চেষ্টা করেও যখন কাজ হয়নি, তখন আদালতে আসতে বাধ্য হন।
মামলায় বদি ছাড়াও বিবাদী করা হয়েছে বদির চাচা মোহাম্মদ ইসলামকে।
ইসহাকের দাবি, ১৯৯২ সালের ৫ এপ্রিল তার মা সুফিয়া খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বদির। বিয়ে পড়ান বদিদের আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে কর্মরত মৌলভী আবদুস সালাম। সাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান মোহাম্মদ এখলাছ।
বিষয়টি নিয়ে এতদিন চুপ থাকা প্রসঙ্গে ইসহাক জানান, বদির রাজনৈতিক শত্রু ও সামাজিক অবস্থানসহ নানা সমীকরণের কারণে তিনি মায়ের কাছে সময় নেন।
ইসহাকের দাবি, বদির পরিবার এর সবই জানে। ‘বাবার’ সঙ্গে তার দেখাও হয়েছে একাধিকবার। মায়ের হাত ধরে অসংখ্যবার বদির কাছে গিয়েছেনও। বদি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেছেন; মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে দোয়া করেছেন; লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইসহাক থাকেন কক্সবাজার লিংরোড এলাকায়। পড়াশোনা করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজে। এবার মাস্টার্স পরীক্ষা দেবেন। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করেন। তার টাকাতেই চলে সংসার।
ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুন নিউজবাংলাকে জানান, যখন তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন তাদের বিয়ের বিষয়টি জেনে যান বদির বাবা। এই অবস্থায় বদির বোন পরিচয়ে জোরপূর্বক স্থানীয় রাজমিস্ত্রি নুরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয় তাকে।
তখন বদির বাড়িতে ভবন নির্মাণের কাজ করছিলেন নুরুল। তিনি একজন সহজ সরল মানুষ।
সুফিয়ার অভিযোগ, যখন তাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়, তখন মুখ খুললে সন্তানসহ তাকে হত্যার হুমকি দেন বদি ও তার বাবা এজহার মিয়া। এখন ছেলে যখন পিতৃত্ব দাবি করে মামলা করেছেন, তখন আবার হুমকি দেয়া হচ্ছে তাকে; হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে ছেলেকে।
যার সঙ্গে সুফিয়ার বিয়ে হয়েছিল, সেই নুরুল জানান, বিয়ের দুইমাস পর তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রী গর্ভবতী। তখন সুফিয়া তাকে সব খুলে বলেন। পরে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সুফিয়া।
নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, এমন বাস্তবতা সামনে আসবে তা কখনও কল্পনাও করেননি তিনি। কখনও কক্সবাজারে কখনও চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াতেও হয়েছে তাকে।
নুরুলও চান, সন্তান হিসেবে ইসহাককে স্বীকৃতি দিক বদি।
আরও পড়ুন:পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভবনে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেয়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সচিব এস এম জহিরুল ইসলাম দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছিল বিএনপি।
দেশে চলমান অস্থির সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস ঐক্যের যে ডাক দিয়েছেন তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা। তারা দেশি-বিদেশি নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান ধর্মীয় নেতারা।
বৈঠক থেকে বের হয়ে রমনা সেন্ট ম্যারিজ ক্যাথেড্রালের প্রধান পুরোহিত অলভার্ট রোজারিও বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাজনৈতিক দলগুলো যে কথা বলেছে তার সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করেছি। আমরা একটা স্পর্শকাতর সময় পার করছি। এই সময়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
‘ইসকনের ঘটনায় মানুষের মনে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা কষ্টে আছেন, যাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তাদের অনেকেই আজ আসেননি। তাদেরকে নিয়ে যেন প্রধান উপদেষ্টা বসেন আমি সে কথা বলে এসেছি।’
বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, ‘দেশে যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। আমরা যেন মিলেমিশে থাকতে পারি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। সে বিষয়ে যেন প্রধান উপদেষ্টা ব্যবস্থা নেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন।’
গারো পুরোহিত জনসন মুরি কামাল বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। যেসব মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের আমরা প্রতিরোধ করবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করবো।’
রমনা হরিচাঁদ মন্দিরের সহ-সম্পাদক অবিনাশ মিত্র বলেন, ‘আমরা যারা বাংলাদেশে আছি, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। কিন্তু বিভেদটা কোথায়?
‘যারা বিভেদ তৈরি করছে তারা আমাদের মধ্যে ঢুকে বিদেশে বসে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তারা স্বার্থ হাসিল করবে এটা আমরা চাই না। এটা বাংলাদেশ। এখানে আমরা সবাই সমানভাবে মিলেমিশে আছি। কোনো সমস্যা নেই।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রথম দিন ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। পরদিন বুধবার বৈঠক করেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ধর্মীয় নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছিল।’
আরও পড়ুন:রাজধানীতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। এই সম্মেলন শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিসি সম্মেলন হবে। এখন পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সম্মেলনের কার্য অধিবেশনগুলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অন্য ভেন্যুও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা যায়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে হবে।
সম্মেলনে প্রতি বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সম্মেলনে উপদেষ্টা-সচিবদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং সেসব প্রস্তাবের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারের কর্মকাণ্ড মাঠ পর্যায়ে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বিষয় ও উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দিকনির্দেশনা দিতে আয়োজন করা হয় জেলা প্রশাসক সম্মেলন। কেন্দ্রের নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের বাস্তবতা তুলে আনাও এই সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আখতার হোসেনকে চুক্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাকে দু’বছরের জন্য এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে আখতার হোসেনকে ইসির সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দিয়ে নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ইসি সচিব শফিউল আজিমকে গত ৩ ডিসেম্বর ওএসডি করে সরকার।
নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে তা ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হার গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে নভেম্বরে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হারও গত মাসে বেড়েছে।
নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
একই সময়ে গ্রামাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে গ্রামাঞ্চলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি নভেম্বর ও অক্টোবরে অপরিবর্তিত ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে নভেম্বরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
নভেম্বরে মজুরি হার সূচক ছিল ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত ২৩ বিচারপতি।
রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে বৃহস্পতিবার তারা সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন বিচারপতি নিয়োগের ফলে দেশের উচ্চতর আদালতে বিচারিক কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে এবং বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হবেন।
বিচারপতিগণ তাদের দক্ষতা ও মেধা কাজে লাগিয়ে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে বাংলাদেশের নতুন একটি হাইকমিশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সুশাসনের সূচক বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। দেশটি মানব উন্নয়ন সূচকে ১৬তম ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচকে ৩২তম অবস্থানে রয়েছে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেশি হওয়ায় এ দেশটি বাংলাদেশি পণ্যের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন এবং প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন।
ভৌগোলিকভাবে নিউজিল্যান্ড মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ায় সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশ অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা সর্বদা সম্ভব হয় না।
একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিপুল অর্থ ব্যয়সহ নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ হাইকমিশন স্থাপিত হলে নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে সরাসরি দূতাবাসের সব ধরনের কনস্যুলার সেবা পৌঁছানো সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ ৭২টি দেশের কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের একটি মিশন স্থাপিত হলে তা দু’দেশের মধ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির পথ সুগম করবে।
বাংলাদেশের বহুমাত্রিক স্বার্থ তথা রাজনৈতিক, কৌশলগত, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, প্রবাসী কল্যাণ বিবেচনায় রেখে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে একটি পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপন করা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হবে। তবে, এ বিষয়ে যাবতীয় ব্যয় পরবর্তী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) নির্বাহ করা হবে।
মন্তব্য