ভারত যে-দামে সে দেশের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে করোনার টিকা কিনবে, বাংলাদেশ সেই দামেই টিকা পাবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সিরামের যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে প্রতি ডোজ টিকার দাম ধরা হয়েছে ৪ ডলার।
ভারত এর কম দামে সিরামের কাছ থেকে টিকা পেলে বাংলাদেশ অর্থ পরিশোধের সময় ভারতের দামের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করে ওই একই দামে অর্থ পরিশোধ করবে।
ভারত থেকে টিকা কেনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষ থেকে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও এটি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরামের কাছ থেকে ২ দশমিক ৭২ ডলার দরে টিকা কিনছে ভারত। সে হিসেবে ভারতের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি দামে টিকা কিনবে বাংলাদেশ।
বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, আমরা প্রতি ডোজ চার ডলার দাম ধরে প্রাথমিকভাবে চুক্তি করেছি। এই অনুযায়ী তিন কোটি টিকা পাওয়ার জন্য অর্ধেক ৬০০ কোটি টাকা সিরামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। পরে যখন টাকা দেয়া হবে, ভারতের সরকার যে দামে টিকা কিনছে, সেই দামেই বাংলাদেশ টিকা পাবে। ভারত যে দামে টিকা পাবে, সেই দাম তখন অ্যাডজাস্ট করা হবে। কাজেই ভারত সরকার যে দামে টিকা পাবে বাংলাদেশও সেই দামে টিকা পাবে।’
রাব্বুর রেজা আরও বলেন, ‘চুক্তির মধ্যেই বলা হয়েছে, পেমেন্টের সময় ভারতের সরকার যে দামে টিকা পাচ্ছে, সেই দামটি আমরা অ্যাডজাস্ট করব। আমরা আশাবাদি, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ করোনা টিকার দাম বেশি হবে না।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারত যে দামে টিকা পাবে, সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকেও একই দামে টিকা দেবে। এর ব্যতয় হবার সুযোগ নেই। কারণ, তাদের সঙ্গে করা চুক্তিতে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর কোনো ব্যতয় হলে বিষয়টি নিয়ে সিরাম এবং বেক্সিমকোকে জবাবদিহি করতে হবে।
এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘টিকার জন্য আমরা সিরামকে ৪০ শতাংশ অর্থ দিয়েছি। তেমন কোনো অসুবিধা দেখা দিলে বাকি অর্থ ছাড় করা হবে না।’
প্রথম দফার ৩ কোটি টিকা কেনার ব্যাপারে গত ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির তিনটি পক্ষ হলো ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ চুক্তিতে প্রতিটি টিকা সিরামের কাছ থেকে ৪ ডলারে কেনা হলেও বেক্সিমকো সরকারকে এ টিকা দেবে প্রতিটি ৫ ডলারে।
এতে বেক্সিমকোর কী পরিমাণে মুনাফা হবে জানতে চাওয়া হলে বেক্সিমকো ফার্মার সিওও রাব্বুর রেজা বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো লাভ নেই। জনগণের সেবা করার জন্য এই ভ্যাকসিনের পুরো কাজটা আমরা নিয়েছি। মৌলিকভাবে আমরা এখানে সরকারের হয়ে কাজ করছি। সিরামের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন করতে যতো ধরনের ডকুমেন্ট, এরপর ভ্যাকসিন সিরামের কারখানা থেকে নিয়ে এসে আমাদের ওয়্যারহাউজে রাখা, সেখান থেকে দেশের ৬৪ জেলায় ওয়্যারহাউজগুলোতে পৌঁছে দিতে কাজ করছে বেক্সিমকো।
‘বেক্সিমকো এখানে শুধু মিডলম্যান নয়, সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এটার জন্য সার্ভিস ফি বা সেবা মূ্ল্য হিসেবে সরকার এক ডলার বেক্সিমকোকে দিচ্ছে। তবে এসব কাজ করতে এক ডলারও (মুনাফা) থাকবে না। টিকা সংরক্ষণের জন্য অবকাঠামো ও ওয়্যারহাউজ থেকে শুরু করে সব কিছুই আমাদের তৈরি করতে হচ্ছে। প্রতি মাসে যতো ডোজ টিকা সরবরাহ করা হবে, সে অনুযায়ী সরকার বেক্সিমকোকে টাকা দিবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সবচেয়ে কম দামে ভ্যাকসিন আনছে সরকার। প্রতি ডোজ পেতে খরচ হবে মাত্র পাঁচ ডলার। সব প্রক্রিয়া শেষ হলে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার একই সময়ে ভ্যাকসিন পাবে।
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিনের দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০ ডলার। চীনা কোম্পানির ভ্যাকসিন ৬০ ডলার। অথচ একই কার্যকারিতার ভ্যাকসিন বাংলাদেশ পাচ্ছে মাত্র পাঁচ ডলারে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা টিকা কিনতে প্রতি ডোজে সরকারকে গুণতে হবে ৫৩০ টাকা। তাতে সরকারকে প্রথম দফায় ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে ব্যয় করতে হবে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, পরিবহনসহ প্রতিটি টিকার জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়ছে পাঁচ ডলার। আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য বাড়তি খরচ হবে টিকা প্রতি ১ দশমিক ২৫ ডলার। সবমিলিয়ে টিকা প্রতি ডোজে খরচ দাঁড়াবে ৬ দশমিক ২৫ ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৩০ টাকা।
ইউনিসেফের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, সংরক্ষণ ও সরবরাহের সক্ষমতা থাকায় সরাসরি অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ইউরোপীয় কমিশন প্রতিটি ডোজ টিকা কিনছে ২ দশমিক ১৯ ডলারে। সেই হিসেবে টিকা নিতে প্রতিজনে খরচ হবে সাড়ে চার ডলারের কম।
আরও পড়ুন:ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে যাদের ডিম বেশি দরকার, তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।
তিনি জানান, ডিমের মূল্য কমাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) শুক্রবার দুপুরে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। ‘সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়ে। ডিম সাধারণ খামারি থেকে কয়েক দফা হাত বদল হয়ে ভোক্তার কাছে যায়। এ কারণেই ডিমের দাম বেড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি কীভাবে ডিম পৌঁছানো যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এ ছাড়া রমজানে ডিমের ব্যবহার কমে যায়।
‘তাই মজুত নয়, চাহিদার আলোকে আমাদের কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তা করতে হবে। বন্যার কারণে দেশের অনেক খামার নষ্ট হয়েছে। এসব খামার উৎপাদনে যেতে কিছুটা সময় লাগছে। সব মিলিয়ে সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।’
সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের মূল্য বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। পাইকারিতে কিছুটা দাম কমেছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রমনা কালী মন্দির পরিদর্শনকালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকালে তিনি এ কথা জানান।
সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশব্যাপী পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবসময় প্রস্তুত ও তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যেন উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে, সেটি আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
‘আমরা অতীতের মতোই সকল ধর্মের মানুষদের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্প্রীতি বজায় রাখব এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে বাংলাদেশি এক জেলে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনায় শুক্রবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের কোনাপাড়ার উসমান (৬০) নামের বাংলাদেশি জেলেকে হত্যার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সরকারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।’
এতে বলা হয়, মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতাকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করতে এবং কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
প্রতিবাদে টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে মাছ ধরার সময় উসমানের মালিকানাধীন একটি নৌকাসহ ৫৮ বাংলাদেশি জেলে ও ছয়টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা এ ধরনের অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজার দশমী পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। এবার সবচেয়ে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বৃহস্পতিবার পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার পূজা উপলক্ষে চার কোটি টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেখানে যতটা দরকার, সেই পরিমাণ সশস্ত্র বাহিনী দেয়া হয়েছে।
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আট দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেভাবেই কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে দুই-একটা ঘটনা ঘটে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বাংলাদেশ পূজা কমিটির মহাসচিব আমাকে জানিয়েছেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে, এমন কোনো তথ্য তার কাছে নেই।’
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। ৩৬৫ দিনই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকবে। মাঝে মাঝে যা ঘটে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
আরও পড়ুন:বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের ছোট বোন সুমি খাতুনকে প্রতিষ্ঠানটিতে চাকরি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বুধবার সন্ধ্যায় তার অফিসকক্ষে সেমিনার অ্যাটেনডেন্ট পদে সুমি খাতুনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।
ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (সংস্থাপন শাখা) ড. জিয়াউল হকসহ শহীদ আবু সাঈদের দুই বড় ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষের কার্যক্রম। এ কার্যক্রম সোমবার পর্যন্ত চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনকালীন সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোরূপ বিঘ্ন ঘটলে নিয়ন্ত্রণকক্ষের ০১৭৬৬৮৪৩৮০৯ এই মোবাইল নম্বরে অবহিত করা যাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনে ১৪ তলায় ১৪২৪ নম্বর কক্ষেও সরাসরি তথ্য প্রদান করা যাবে।
‘ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সহকারী সচিবকে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল (বুধবার) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-২ শাখা হতে এ সংক্রান্ত পত্র জারি করা হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে তার প্রেস উইং।
গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার পাঠানো বিবৃতিতে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।
“এখানে উল্লেখ্য যে, কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না।”
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকার ঘিরে কেউ কেউ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।’”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি গঠন করেন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন সরকারকে রাজি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা শুরু করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য তিনি বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেছিলেন।’
মন্তব্য