রাজধানীর তুরাগ থানার রানাভোলাতে গৃহবধূ জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তার স্বামী শহিদুল ইসলামকে খালাস দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফারুক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিচারক আদালতে বলেন, ‘মৃত জেসমিন আক্তারের গলায় ও ঘাড়ে ডাক্তারি পরীক্ষায় কোনো আঙুলের ছাপ বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে শহিদুল এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না তা প্রমাণ হয় না।'
২০১১ সালের ২১ আগস্ট রাত ১২টার পর ঢাকার তুরাগ থানার রানাভোলায় মুক্তার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটে শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
বাড়ির মালিক মুক্তারকে পরদিন সকালে এক ভাড়াটে জানান, শহিদুল ইসলামের ঘরে বাতি জ্বলছিল ও ফ্যান চলছিল। মুক্তার তুরাগ থানা পুলিশকে এ খবর জানায়। পরে পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে জেসমিন আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই বছরের ২২ আগস্ট তুরাগ থানা পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি শহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি থেকে তার মেয়ে তাসলিমা আক্তারকে উদ্ধার করেন। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিমের কাছে তাসলিমা আক্তার জবানবন্দি দেন।
২০১২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
মামলায় ১৩ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১২ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনের ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ও তা প্রতিরোধে সরকারের ‘বিবৃতিনির্ভর নির্লিপ্ততায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি)।
সংস্থাটি শনিবার এক বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করা নয়, সরকারের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করে টিআইবি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসা-তাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। বহুমাত্রিক অধিকার হরণের শিকার আপামর দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার প্রেক্ষিতে।
‘তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই প্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেবে না।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”
তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের পুঞ্জীভূত বিশাল জঞ্জাল অপসারণ করে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তবে তার প্রয়োগে সুচিন্তিত ঝুঁকি নিরসন কৌশলের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে।
‘তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রকাশনা’ শীর্ষক উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই সময় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান শফিকুল আলম।
তিনি বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র করেছেন মন্তব্য করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
সংগঠনটির সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে পুলিশের সকল সদস্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ও দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
‘পুলিশ বাহিনীর যে সকল বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য একমত পোষণ করে।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়, যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের গোচরীভূত হয়।
‘ওই বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।’
বিপিএর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।
‘বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এ জাতীয় ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।’
বার্তা সংস্থা বাসসকে শুক্রবার দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’
অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
আরও পড়ুন:পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্সের উদ্বোধন অধিবেশনে ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা বলেন, ‘দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।’
উপদেষ্টা জানান, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না। এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি।
তিনি আরও জানান, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।
আরও পড়ুন:সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের জন্য অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে আনিসুল হকের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি, জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ তদবির বাণিজ্য, দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তৌফিকা তার অবৈধ আয়ের টাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটিজেনস ব্যাংকে তার নামের অ্যাকাউন্টে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সিটিজেনস ব্যাংকে তার পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, তৌফিকা অবৈধভাবে অর্জিত এ সম্পদ হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তার বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শুক্রবার গভীর রাতে এক পোস্টে এ কথা জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।
‘অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।’
মন্তব্য