এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে অভিহিত বাংলাদেশ যে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে, এই পরিবর্তনের সূচনা ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকে।
মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপি, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রাজস্ব আদায়, খাদ্যশস্য উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানিসহ অর্থনৈতিক প্রায় সব সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল দেশের জনগণের মধ্যে সুষমভাবে বণ্টিত হওয়ায় দরিদ্র জনগণের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো দ্রুত কমেছে। মানব উন্নয়ন সূচকেও অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ।
আর্থসামাজিক খাতেও অগ্রগতি চোখের পড়ার মতো। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার প্রায় শতভাগ। শিক্ষার সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সুযোগের সমতা সৃষ্টি হয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচি, নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশনের সুযোগের আওতায় দেশের প্রায় সব জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত এক দশক ধরে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশের বেশি। অর্থনীতিবিদেরা বলেছেন, সরকারের কৃতিত্ব হলো একদিকে প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে, অন্যদিকে কমেছে দারিদ্র্যের হার।
তাদের মতে, বাংলাদেশের স্বপ্নের দিগন্ত এখন প্রসারিত হয়েছে। ফলে ৬ শতাংশের বৃত্ত ভেঙ্গে উচ্চ প্রবৃদ্ধির সোপানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন। মাথাপিছু আয়ের ধারাবাহিক উত্তরণ ঘটিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে যাবে এ দেশ। এরই মধ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে সামিল হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি আমরা।
গত এক যুগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মাঝে অর্জিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রশংসার দাবি রাখে।
সরকারের দক্ষ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ফলে রাজস্ব আহরণে ঊর্ধ্বগতি এবং ঋণ গ্রহণে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, মূল্যস্ফীতিও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৭০ কোটি ডলার (১১.৭ বিলিয়ন)। বর্তমানে রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি (৪৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে।
২০০৯ সালে ১১০০ কোটি ডলার (১১ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। বিদায়ী বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৪ কোটি (২১.২৪ বিলিয়ন) ডলার।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক প্রসার হয়েছে গত এক যুগে। এই সময়ে রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি, আমদানি বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬২০ কোটি (১৬.২ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি (৩৩ বিলিয়ন) ডলার।
অপরদিকে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে আমদানি হয় ২ হাজার ৩৭০ কোটি (২৩.৭ বিলিয়ন) ডলার। গত অর্থবছরে আমদানি হয় ৫ হাজার একশ কোটি (৫১ বিলিয়ন) ডলার।
নানা সীমাবদ্ধতা থাকার পরও অভ্যন্তরীণ সম্পদ তথা রাজস্ব আহরণ বেড়েছে বহুগুণ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আয় হয় ৬২ হাজার ৪২ কোটি টাকা। করোনা মহামারির অভিঘাত সামলে গত অর্থবছরে আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
তবে দেশের অর্থনীতির যে আকার, যে হারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তার সঙ্গে সামাঞ্জস্য নেই রাজস্ব আদায়ে। প্রতিবছর আদায়যোগ্য রাজস্বের তুলনায় এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা কম আদায় হয় বলে অর্থনীতিবিদ ও রাজস্ব বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
রাজস্ব আদায় বাড়ায় প্রতিবছর বাজেটের আকারও বাড়ছে। গত এক যুগে বাজেটের আকার বেড়েছে পাঁচ গুণের বেশি।
২০০৯-১০ অর্থবছরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি অর্থবছরে বাজেট দেয়া হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার– প্রায় ছয় গুণ।
সঠিক মুদ্রানীতি ও অর্থ সরবরাহ দক্ষতার সঙ্গে অর্থনীতি পরিচালনার চেষ্টা করেছে বর্তমান সরকার। যে কারণে শুরু থেকেই মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় রয়েছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যমতে, মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
ব্যাংক খাতে নানা অনিয়ম ও ঋণ বিতরণে কেলঙ্কারির মধ্যেও আমানত ও ঋণ বিতরণ বেড়েছে। ফলে গতিশীল হয়েছে বেসরকারি খাত।
২০০৯ সালে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যাংক আমানতের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকায়।
উৎপাদন অব্যাহতভাবে বাড়ায় বর্তমানে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে তিন কোটি ২৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ টনে।
দারিদ্র্য বিমোচনে ঈষর্ণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ অগ্রগতির ফলে বিশ্বের অনেক দেশের জন্য বাংলাদেশ এখন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বর্তমান সরকার যখন প্রথম মেয়াদে ক্ষমতা নেয় তখন দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৩৮ শতাংশ। বিবিএসের সর্বশেষ হিসাবে, দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশের কাছাকাছি।
২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির আকার তথা জিডিপি ছিল চলতি মূল্যে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার। গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকায়।
২০০৯-১০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। করোনার আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে গত অর্থবছরের বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। গত অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয় ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
করোনার মধ্যেও এই অর্জনকে চমৎকার বলে মন্তব্য করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ বহুজাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা।
বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০০৯-১০ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ৮৪৩ ইউএস ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এখন মাথা পিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার, যা প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩৯তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২৯তম, যা দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। বর্তমানে এ দেশে বিশ্বের সপ্তম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি।
বিশ্বের শীর্ষ স্বল্পোন্নত দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিদায়ী বছরের ২৮ আগস্ট দ্য স্পেক্টেটর ইনডেক্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, গত এক যুগে সারা বিশ্বের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে।
এই সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৮৮ শতাংশ। একই সময়ে বিশ্বের প্রথম সারির অন্যান্য দেশ যেমন ভারতের ১১৭ শতাংশ, ব্রাজিলের ৯৭ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ।
এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক অতি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে, যা হবে এশিয়া মহাদেশের সব দেশের ওপরে।
বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্য-উপাত্তের ওপরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ গত অক্টোবের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ৪১তম অর্থনীতির দেশ থেকে ২০২৩ সালে ৩৬তম অবস্থান যাবে। আর ২০২৮ সালে অবস্থান হবে ২৭তম এবং ২০৩৩ সালে হবে ২৪তম। সেই সময় বাংলাদেশে জিডিপির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতিতে এ সাফল্যের পেছেনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকারের নীতি-সহায়তা সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক ঊর্ধ্বতন পরিচালক ড. জায়েদ বখত।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। দীর্ঘ সময় ধরে দেশে রাজনীতি শান্ত থাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এটাকে বর্তমান সরকারের কৃতিত্ব হিসেবে দেখছেন ড. জায়েদ বখত।
তার মতে, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে করা হচ্ছে। এই বার্তা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বাড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য