× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
করোনাকাল কমাল ১৫ ধরনের অপরাধ বেড়েছে ৫
google_news print-icon

করোনাকাল কমাল ১৫ ধরনের অপরাধ, বেড়েছে ৫

করোনাকাল-কমাল-১৫-ধরনের-অপরাধ-বেড়েছে-৫
প্রতীকী ছবি
করোনার প্রাদুর্ভাবের পর রাজধানীতে কমেছে ডাকাতি, ধর্ষণ, অন্যান্য নারী নির্যাতন, অপহরণ, পুলিশের ওপর হামলা, সিঁধেল চুরি, গাড়ি চুরি, তার চুরি, গরু চুরি, অন্যান্য চুরি, অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক, চোরাচালান ও অন্যান্য খাতের অপরাধ। তবে বেড়েছে দস্যুতা, খুন, দাঙ্গা, অ্যাসিড নিক্ষেপ ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর রাজধানীর থানায় অভিযোগ কমেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের হিসাবে এই সময়ে থানাগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মাসে গড়ে ১০টি করে মামলা কম হয়েছে। যদিও করোনাকালে আয় কমে যাওয়া আর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে খিটমিটে হয়ে যাওয়ার কথা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বারবার উঠে আসছিল।

পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, ২২ ধরনের অপরাধের মধ্যে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কমেছে ১৫ ধরনের অপরাধ, বেড়েছে পাঁচটি ও একই অবস্থায় রয়েছে দুটি।

মার্চে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এপ্রিল ও মে মাসে সব ধরনের অপরাধ উল্লেখজনক হারে কমে আসে। তবে জুনে আবার বাড়তে শুরু করে।

কমেছে ডাকাতি, ধর্ষণ, অন্যান্য নারী নির্যাতন, অপহরণ, পুলিশের ওপর হামলা, সিঁধেল চুরি, গাড়ি চুরি, তার চুরি, গরু চুরি, অন্যান্য চুরি, অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক, চোরাচালান ও অন্যান্য খাতের অপরাধ।

বেড়েছে দস্যুতা, খুন, দাঙ্গা, অ্যাসিড নিক্ষেপ ও শিশু নির্যাতন। অপরিবর্তিত রয়েছে দ্রুত বিচার ও নারী আহতের ঘটনা।

করোনা মহামারির শুরুতে সাধারণ ছুটির কারণে সবাইকে ঘরে থাকতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশেরও ছিল বাড়তি তৎপরতা। যে কারণে অপরাধ কম হয়েছে বলে মনে করেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০২০ সালে কয়েক মাস অপরাধ কম ছিল। করোনা সংক্রমণের শুরুতে মানুষজন ঘরে থাকায়, বাইরের অপরাধ কমেছিল। কিন্তু আবার সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ার পর সেটা বেড়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সবগুলো থানায় মামলা হয়েছিল ২৭ হাজার ৯৩৪টি। আর ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২০ হাজার ২৬৬টি। ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৬৯৭টি।

মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এপ্রিল, মে, জুন ও আগস্ট মাসে মামলার সংখ্যা ছিল কম। বাকি মাসগুলোতে গড়ে দুই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। এপ্রিলে মামলার সংখ্যা ছিল সবচেয়ে কম, মাত্র ৩৫১টি। মে মাসে মামলা ছিল ৫১৮ ও জুনে ছিল এক হাজার ১৭৭টি। জুলাইয়ে বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৪০৯। তবে আগস্টে আবার কমে হয় এক হাজার ৮৬১টি। এরপর আর মামলার সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নামেনি।

লকডাউনের পর অপরাধের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতির সময়টায় অপরাধ কম ছিল। পরবর্তী পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। চুরি, প্রতারণা বেশি হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে বাড়ছে বলে দেখছি আমরা।’

কেন বাড়ছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আয় কমেছে। সব মিলিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক একটা অস্থিরতা আছে।’

২০২১ সালে সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ, প্রতারণা, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

দেশে সাধারণ ছুটি চলাকালে বাইরে অপরাধ কম হলেও ঘরের ভেতর বেড়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণ ছুটি শুরুর পর বেশ কিছু অপরাধ কমেছিল। যেমন অর্গানাইজড ক্রাইম কম হয়েছে। তবে ইনডোর ক্রাইম তখন বেড়ে যায়। শিশু ও নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাইবার অপরাধ।’

জুলাই থেকে মাদক ও অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।

তিনি বলেন, ‘জুলাই থেকে কিছু কিছু ক্রাইম আবার বাড়তে শুরু করে। যেমন ড্রাগ ডিলিং ও অনলাইন জালিয়াতি। তখন মানুষ ঘরে থেকে অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হতে শুরু করে। প্রতারকরাও এই সময়টা বেছে নেয়। এরপর ডাকাতি বা ভায়োলেন্ট ক্রাইমগুলো বেড়ে যায়।’

করোনার প্রভাবে কাজ হারানো ও দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকতে বাধ্য হওয়ায় মানুষের মাঝে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন এসেছে। যে কারণে অপরাধও ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
New Delhi has no second thought except to increase relations with Dhaka
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো ছাড়া নয়াদিল্লির দ্বিতীয় চিন্তা নেই

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো ছাড়া নয়াদিল্লির দ্বিতীয় চিন্তা নেই
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন বিক্রম মিশ্রি। ছবি: সংগৃহীত
সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক খুবই দৃঢ় এবং ঘনিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কে কিছু মেঘ জমে ছায়া তৈরি করেছে। এই কালো মেঘ মুছে ফেলতে ভারতের সহায়তা দরকার। 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এবং দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারে ‘সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টায়’ নয়াদিল্লি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

সোমবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘সম্পর্ক বাড়ানো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো চিন্তা নেই। আমরা এটাকে উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হিসেবে দেখি।’

পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

প্রায় ৪০ মিনিটের ওই বৈঠকে সংখ্যালঘু ইস্যু, অপতথ্য প্রচার, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে ‘খুবই দৃঢ়’ এবং ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কে কিছু মেঘ জমে ছায়া তৈরি করেছে। এই ‘কালো মেঘ’ মুছে ফেলতে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।

আলোচনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন, তার প্রসঙ্গও উঠে আসে।

বিগত ১৫ বছরের নির্মম ও দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসনের বর্ণনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লোকজন উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি সেখান (ভারত) থেকে অনেক বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।’

বিক্রম মিসরি জানান, তিনি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রায় প্রতি ঘণ্টায় বাংলাদেশের ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শ্রমিক ও জনতা কীভাবে এক হয়ে হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত শাসনামলের অবসান ঘটিয়েছে তার একটি বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো তরুণদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা। এটি একটি নতুন বাংলাদেশ।’ এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে সেসবের সংক্ষিপ্ত রূপরেখাও তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনি দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব বিদেশি নেতা আপনাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামনের সারিতে আছেন।

‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে গণমাধ্যমের ন্যারেটিভ এবং ভারত সরকারের ধারণা ভিন্ন। আমরা আপনার সাফল্য কামনা করি।’

‘বাংলাদেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক রয়েছে এটা ভুল ধারণা’ উল্লেখ করে বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনো নির্দিষ্ট দলের জন্য নয়, বরং সবার জন্য।’

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনায় ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এবং সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভারতকে তার উদ্যোগে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে চাই।’

বিক্রম মিসরি জানান, ভারত সার্কের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রেখেছে, যদিও কিছু বাধা রয়েছে।

সংখ্যালঘু ইস্যু সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একটি পরিবার। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ভারত গত মাসে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে এবং আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়াবে। আমরা আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

আরও পড়ুন:
দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি
সংস্কার প্রক্রিয়ায় ইইউ’র পূর্ণ সমর্থন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশ-ভারত এফওসি বৈঠক শেষ, বিবৃতি আসছে
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

জাতীয়
Message to Delhi Dhaka does not like Hasinas speech sitting in India

দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা

দিল্লিকে বার্তা, ভারতে বসে হাসিনার বক্তৃতা পছন্দ করছে না ঢাকা সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ধর্মীয় ও সংখ্যালঘু ইস্যুতে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচারের সুযোগ নেই জানিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে নাক না গলানোর বার্তা দেয়া হয়েছে। বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য পছন্দ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এই বার্তা পৌঁছে দিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে অনুরোধ করেছে ঢাকা। একইসঙ্গে দেশটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে নাক না গলাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাকে ফেরানোর উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ আসার বিষয়। আর এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

‘সিদ্ধান্ত যখন হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন ব্যবস্থা নেবে। এটা এফওসিতে কেন, যে কোনো পর্যায়ে হতে পারে। সেটা কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমেও হতে পারে। দিল্লিতে আমাদের যে মিশন আছে তার মাধ্যমেও জানানো যায়।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে যে বক্তব্য দিচ্ছেন সে বিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আপনারা গতকাল শুনেছেন তিনি (শেখ হাসিনা) একটি বক্তৃতা দিয়েছেন। এটা এই সরকার পছন্দ করছে না এবং তারা যে কথাটা বলেছেন, তার উপস্থিতি দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

পররাষ্ট্র সচিব জানান, ধর্মীয় ও সংখ্যালঘু ইস্যুতে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচারের সুযোগ নেই জানিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে নাক না গলানোর বার্তা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আজকের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কাম্য নয় এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমরা সবসময় বলেছি, সীমান্ত হত্যা যেন শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হয়। তাদের দিক থেকে তারা বলেছে, সীমান্তে নানা ধরনের অপরাধ হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব অপরাধের সংযোগ আছে।’

জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বৈঠকে আমরা বলেছি, আমরা কোনো অপরাধ সমর্থন করি না। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডকেও সমর্থন করি না। কাজেই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যে কথা বলছি, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের যে অঙ্গীকার এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার, সেটার বিষয়ে তারা যেন শ্রদ্ধাশীল থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা ও নানা ধরনের হুমকির বিষয়ে জোরালোভাবে জানানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ভারতে চিকিৎসাপ্রার্থীদের ভিসা সহজ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের সহায়তা কামনা এবং দেশটিতে আটক বাংলাদেশি জেলে ও অন্যান্য নাগরিককে ফেরত দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের পরাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন। এদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে এফওসি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকার হয়ে নেতৃত্ব দেন জসীম উদ্দিন।

অন্যদিকে, দিল্লির পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন বিক্রম মিশ্রি। দুই সচিবের মধ্যে একান্ত আলাপসহ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক চলে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ-ভারত এফওসি বৈঠক শেষ, বিবৃতি আসছে

মন্তব্য

জাতীয়
Desecration of idols in India is called temple attack in Bangladesh

ভারতে মূর্তি বিসর্জনকে বাংলাদেশে মন্দিরে হামলা বলে প্রচার

ভারতে মূর্তি বিসর্জনকে বাংলাদেশে মন্দিরে হামলা বলে প্রচার
‘ফ্যাক্ট ওয়াচ’ ভাইরাল ভিডিও পোস্টটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা ভারতীয় আরটি ইন্ডিয়ার এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। পোস্টে দাবি করা হয়- এটি বাংলাদেশের একটি কালী মন্দিরে হামলার ঘটনা। প্রকৃতপক্ষে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুলতানপুর গ্রামে কালী দেবী বিসর্জনের ভিডিও।

ভারতীয় একটি মিডিয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কালী দেবীর মূর্তি বিসর্জনের একটি ভিডিওকে বাংলাদেশে একটি মন্দিরে হামলা হিসেবে প্রচার করেছে।

ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যাক্ট ওয়াচ’ ভাইরাল ভিডিও পোস্টটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা ভারতীয় মিডিয়া আউটলেট আরটি ইন্ডিয়ার এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। পোস্টে দাবি করা হয়- এটি বাংলাদেশের একটি কালী মন্দিরে হামলার ঘটনা।

ফ্যাক্ট ওয়াচ নিশ্চিত করেছে যে এটি প্রকৃতপক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কালী দেবীর বিসর্জনের ভিডিও।

ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা শনাক্ত করতে ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধীনস্থ এবং সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) পরিচালিত স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা ফ্যাক্ট ওয়াচ ভিডিওটির বিভিন্ন কী-ফ্রেম ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর বিনোদ ঘোষ নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়েছিল, যা ফ্যাক্ট ওয়াচ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার সুলতানপুর গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন কালীপূজোতে প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, প্রতি ১২ বছরে গ্রামের পুরোহিতরা প্রথমে ১৩ ফুট লম্বা কালী দেবীর মূর্তির ছোট ছোট আঙুল ভাঙেন। তারপর গ্রামের সাধারণ মানুষেরা মূর্তির বাকি অংশ ভেঙে একে একে বিসর্জন দেন।’

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘বিসর্জনের পর একটি নতুন মূর্তি তৈরি করা হয় এবং তা পরবর্তী ১১ বছর ধরে পূজা করা হয়।’

এই উৎস থেকে ফ্যাক্ট ওয়াচ দল আরও কিছু চিত্র এবং ভিডিও খুঁজে পায়, যা এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেখানে দেখা যায় যে বিপুলসংখ্যক মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও উদযাপন করছেন।

পরে দ্য ডেইলি স্টেটসম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও একইরকম তথ্য পাওয়া যায়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, এই প্রথাটি ৬০০ বছরের পুরনো। প্রথমদিকে গ্রামের কামার সম্প্রদায় (বঙ্গের কর্মকার জাতির সমতুল্য) এই পূজো পালন করত, পরবর্তীতে তারা দায়িত্বটি মণ্ডল পরিবারকে হস্তান্তর করে।

অন্যদিকে গুগল স্ট্রিট ভিউতে কালী দেবীর মন্দিরের দৃশ্য এবং ফেসবুক ভিডিওর সঙ্গে তুলনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে মন্দিরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুলতানপুর গ্রামে অবস্থিত, বাংলাদেশে নয়। এছাড়াও সেখানে কোনো হিন্দু ভক্ত নিহত হওয়ার মতো কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কিন্তু ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশের ঘটনা উল্লেখ করে মিথ্যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে শেয়ার করা হচ্ছে বলে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠানটি জানায়।

প্রতিবেদনটি শেষ করে বলা হয়েছে, ‘সুতরাং, সবদিক বিবেচনা করে ফ্যাক্ট ওয়াচ ভাইরাল পোস্টটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।’

মন্তব্য

জাতীয়
India wants constructive relations with Bangladesh Vikram Mishri

বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি

বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিশ্রি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সোমবার ঢাকায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বৈঠকের আলোচনায় দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়গুলো এসেছে। অত্যন্ত খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।’

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেছেন, ‘গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে দুদেশের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে। দু’দেশের জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।’

ঢাকায় সোমবার দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর বিক্রম মিশ্রি এসব কথা বলেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বৈঠকের আলোচনায় দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়গুলো এসেছে। অত্যন্ত খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।

‘আমি জোর দিয়ে বলেছি, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত একটি ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক চায়। আমরা সবসময়... অতীতেও দেখেছি এবং আমরা ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ককে একটি জনকেন্দ্রিক এবং জনমুখী সম্পর্ক হিসেবে দেখব। আর সে সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকবে সব মানুষের কল্যাণ।’

বিক্রম মিশ্রি বলেন, পরস্পরের জন্য সহায়ক এই সহযোগিতা আমাদের উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে অব্যাহত থাকবে না এটা ভাবার কারণ নেই। আমি আজ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য ভারতের আগ্রহের কথা তুলে ধরেছি। একই সময়ে, আমরা কিছু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনার সুযোগ পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আলোচনায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের উদ্বেগগুলো জানিয়েছি। আমরা সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক সম্পত্তির ওপর হামলার কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছি।’

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে অব্যাহত না থাকার কোনো কারণ নেই এবং এর জন্য আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ভারতের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

এর আগে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশের এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি তার দেশের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের আগে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব একান্তে বৈঠক করেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বিশেষ ফ্লাইটে আজ সকালে ঢাকায় অবতরণ করেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের গাড়িবহর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রবেশ করে। আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে দুই পররাষ্ট্র সচিব একান্তে বৈঠক করেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে এটি বিক্রম মিশ্রির প্রথম বাংলাদেশ সফর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠকও এটি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উভয় পক্ষ রাজনৈতিক দূরত্ব কমানোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন। ঢাকার পক্ষ থেকে ভারতে বসে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সক্রিয়তা বন্ধ, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও ভিসার জট খোলার বিষয়ে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ভারত এফওসি বৈঠক শেষ, বিবৃতি আসছে

মন্তব্য

জাতীয়
Pledge to remain in full support of the EU in the reform process

সংস্কার প্রক্রিয়ায় ইইউ’র পূর্ণ সমর্থন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি

সংস্কার প্রক্রিয়ায় ইইউ’র পূর্ণ সমর্থন, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার নিজ কার্যালয়ে বৈঠক শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয় পক্ষের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।

সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা। পরামর্শ ও সুপারিশ জানিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি বাংলাদেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার ইইউভুক্ত ১৯ দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশে থাকা ইইউভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ছাড়াও অনাবাসী ইইউভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন।

ইইউ’র ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অফ ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।

অপরদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয় পক্ষের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র সংক্ষেপে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সেসবও কথা জানান।

বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এই মিস-ইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।’

শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা যে ব্যাপক পরিমাণ অর্থ পাচার করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক মতবিনিময়ের কথাও বৈঠকে উল্লেখ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও ইইউ প্রতিনিধিদের বিশদভাবে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

ড. ইউনূস উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদেরকে বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লিতে গিয়ে ইউরোপের ভিসা নিতে পারছেন না। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। ভিসা অফিস ঢাকা অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তর হলে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই উপকৃত হবে।’

বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। তিনি অন্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান।

বৈঠকে সংখ্যালঘু ইস্যু, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, গণতন্ত্র, অর্থপাচার বিষয়গুলোও উঠে আসে। বিশেষ করে ফ‍্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের অগ্রগতি, জিএসপি সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘গত ১৬ বছরের দমন-পীড়নের পর মানুষের আবেগের প্রকাশ স্পষ্ট। জোরপূর্বক গুমের করুণ কাহিনীগুলো একের পর এক সামনে আসছে। পুরো অর্থনীতিকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে তা প্রায় ধসে পড়ার পথে।

‘ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রায় অকার্যকর অবস্থায় ছিল। আমরা একটি শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করেছি। আগের সরকারের কাছ থেকে আমরা কী অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছি তা কমিটি নথিভুক্ত করেছে। অর্থনীতি, বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা- সবকিছু এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার ঐক্যের ডাকে ধর্মীয় নেতাদের একাত্মতা
২৮ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবার: প্রধান উপদেষ্টা
নতুন এই স্বাধীনতা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

জাতীয়
Bureaucrats come before us in many forms which are problematic
নাগরিক সম্মেলনে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আমলারা বহুরূপে আমাদের সামনে আসেন, যা সমস্যার

আমলারা বহুরূপে আমাদের সামনে আসেন, যা সমস্যার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডি-র সম্মানীত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত
সিপিডি’র সম্মানীত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজকে যিনি আমলা, কাল তিনি রাজনীতিবিদ, পরের দিন তিনি ব্যবসায়ী। ওনারা বহুরূপে এখন আমাদের সামনে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে এই তিনটি একই হয়ে গেছে। এটাই তো সমস্যা হয়ে গেছে।’

‘আজকের আমলাই ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ী। তারা এখন নানা পরিচয়ে মানুষের সামনে হাজির হন, যা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সোমবার নাগরিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

‘সুশাসনের জন্য জনকেন্দ্রিক সংস্কার: সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৮ ও ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), বাংলাদেশ এবং সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) সহযোগিতায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে দেবপ্রিয় বলেন, ‘আজকে যিনি আমলা, কাল তিনি রাজনীতিবিদ, পরের দিন তিনি ব্যবসায়ী। এটাই তো সমস্যা হয়ে গেছে। ওনারা বহুরূপে এখন আমাদের সামনে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে এই তিনটি একই হয়ে গেছে।’

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কে বেশি ক্ষমতাধর- আমলা, রাজনীতিবিদ নাকি ব্যবসায়ী?’

এই প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীরা সমন্বরে বলেন- আমলারা।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা সারা বাংলাদেশ ঘুরে আলোচনা করেছি। সেসব আলোচনায় আমলাদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হিসেবে বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। অনেক ক্ষেত্রে এই তিন পরিচয় একই ব্যক্তির হয়ে গেছে।’

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন হলে সাধারণ অজুহাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্তের সংস্কৃতি রোধ করা যায় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাজেট বরাদ্দ দেয়া যায়।

সিপিডির এই সম্মানিত ফেলো রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি প্রতীক ব্যবহারের বিধান প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন।

সিপিডির সম্মানীত ফেলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির আরেক সম্মানীত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারত্নে প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র রোববার জমা দেয়া হবে: দেবপ্রিয়
বিগত সরকারে অধিকাংশ প্রকল্প অনুমোদনে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল: দেবপ্রিয়
সংস্কারে অসমাপ্ত ও অপরিহার্য বিষয়কে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান দেবপ্রিয়র
দেশের উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি চায় এনজিওগুলো: দেবপ্রিয়
অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নে ১০ সদস্যের প্যানেল অনুমোদন

মন্তব্য

জাতীয়
ACC Judiciary became servant of Hasina Asif Nazrul

দুদক, বিচার বিভাগ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল

দুদক, বিচার বিভাগ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সোমবার দুদক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। সূত্র: বাসস
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে শুধু দুর্নীতিই দেখা গেছে। দুদক ছিল, উচ্চ আদালতও ছিল। তাহলে কোনো দুর্নীতির বিচার কেন হয়নি? কারণ, কেউ তার (শেখ হাসিনা) সামনে কিছু বলতে পারেনি। বরং দুদক, বিচার বিভাগ তার দাসে পরিণত হয়েছিল।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বিচার বিভাগ বিগত সরকারের দাসে পরিণত হয়েছিল; যে কারণে দুর্নীতি লাগাম ছাড়ালেও এর কোনো বিচার হয়নি।

‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দুদক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আসিফ নজরুল বলেন, ‘তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে -এটা হাসতে হাসতে তিনি জাতির সামনে বলেছেন। বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি স্বীকৃত আদর্শে পরিণত হয়েছিল। কোনো বিচার তো হতোই না, বরং দুর্নীতি যে একটা খারাপ বা নেতিবাচক বিষয় সেটা ভাবার সংস্কৃতি পর্যন্ত চলে গিয়েছিল।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে দুদক সংস্কার হয়েছে। বার বার সংস্কারের মাধ্যমে এটিকে ক্ষমতায়িত করা হয়েছে। কিন্ত গত ১৫ বছরে শুধু দুর্নীতিই দেখা গেছে। দুদক ছিল, উচ্চ আদালতও ছিল। তাহলে কোনো দুর্নীতির বিচার কেন হয়নি? কারণ, কেউ তার (শেখ হাসিনা) সামনে কিছু বলতে পারেনি। বরং দুদক, বিচার বিভাগ তার দাসে পরিণত হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘বিচার হতো শুধু খালেদা জিয়ার। শুধুমাত্র মামলায় প্রক্রিয়াগত ভুলের কারণে তাকে ১০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে।’

উপস্থিত দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘এখন তো সময় পরিবর্তিত হয়েছে, কেউ কোনোরকম হস্তক্ষেপ করছে না। শতাধিক মন্ত্রী, ব্যবসায়ী গত আমলে চুরি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে।

‘আপনারা এখন সেগুলোর তদন্ত করে দেখিয়ে দিন যে ভালো পরিবেশ পেলে আপনারা কাজ করতে পারেন। দেখিয়ে দিন যে তাদের দুর্নীতি আপনাদের হৃদয় ও বিবেককে দূষিত করতে পারেনি। আর এটাই আপনাদের কাছে এখন সারাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা।’

একাত্তর ও জুলাই-আগস্টের শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা নিজেদের রক্ত দিয়ে নতুন সময় আমাদের উপহার দিয়ে গেছে। আসুন, আমরা তাদের কাছ থেকে শিখি; বিবেককে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকি ও তাদের প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকি।’

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আরও পড়ুন:
অপরিহার্য কিছু সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
ব্রেকিং প্রতিযোগিতায় গণমাধ্যম অনেক সময় অপতথ্য ছড়ায়: আইন উপদেষ্টা
ঢালাও মামলার ঘটনায় সরকার বিব্রত: আইন উপদেষ্টা
সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে মামলাও বাতিল হবে: আইন উপদেষ্টা
স্পিকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন আইন উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে