× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
লাশের চোরাকারবার
google_news print-icon

লাশের ‘চোরাকারবার’

লাশের-চোরাকারবার
ময়মনসিংহ শহর থেকে মানুষের ১২টি খুলি ও দুই বস্তা হাড়সহ সম্প্রতি এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাইল ছবি
‘এক সময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অ্যানাটমি বিভাগ থেকে ডোমের মাধ্যমে সংগ্রহ করা কঙ্কাল বণ্টন করা হতো। তবে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই অনৈতিকভাবে কবর থেকে মৃতদেহ সংগ্রহ করে বাসায় বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করে মাংস পচিয়ে তা থেকে হাড় বা কঙ্কাল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে।’

মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য কঙ্কাল প্রাপ্তি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপে প্লাস্টিকের কঙ্কাল ব্যবহার হলেও এই অঞ্চলে মানবদেহের কঙ্কালের ব্যবহার মূলত দাম কম- এ কারণে।

কিন্তু এই কঙ্কাল প্রাপ্তির কোনো সুনির্দিষ্ট জায়গা নেই। আর এ কারণে দাম বাড়ছে।

চোরাই মার্কেটে কঙ্কালেরও একটি বাজার তৈরি হয়েছে। এই ব্যবসায় যারা জড়িত তারা মরদেহ চুরি করে জ্বাল দিয়ে মাংস গলিয়ে বের করে কঙ্কাল।

বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি হিসেবে ১১২টি মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ছাত্র সংখ্যা কমসে কম ৫২ হাজার। এর মধ্যে প্রথম বর্ষ থেকেই কঙ্কাল লাগে। আর প্রথম বর্ষে প্রতি বছর ভর্তি হয় সাড়ে ১০ হাজারের বেশি।

মেডিক্যালে ছাত্র সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে কঙ্কাল প্রাপ্তির কোনো স্থান বা নীতিমালা এখনও ঠিক হয়নি। ফলে এক দিকে যেমন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে অন্য দিকে অবৈধভাবে মরদেহ থেকে কঙ্কাল আলাদা করে তা দিয়ে ব্যবসা হচ্ছে।

বৈধভাবে কঙ্কাল প্রাপ্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে যদি কোনো ব্যক্তি মৃত্যুর আগে তার দেহ দান করেন তাহলে পরবর্তী সময়ে তা থেকে কঙ্কাল পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি খুবই নগণ্য বলা যায়। এত শিক্ষার্থীর কঙ্কাল প্রাপ্তির বৈধ উপায় বা ক্ষেত্র সম্পর্কে কেউ জানে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরনো কঙ্কাল দিয়ে কাজ সারলেও অনেক শিক্ষার্থী তাদের মেডিক্যাল কলেজ ও বাইরের একটি মাধ্যম থেকে নতুন কঙ্কাল কিনে থাকেন।

কোথায় পাওয়া যায়?

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, সাধারণত তিনটি সোর্স থেকে কঙ্কাল পাওয়া যায়।

প্রথমত, যদি কেউ দেহ দান করেন। সাধারণত তাদের উদ্দেশ্য থাকে তাদের দেহ থেকে পরবর্তীতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা যেন কিছু জানতে পারে। তবে এটা খুবই নগণ্য।

দ্বিতীয়ত, যিনি পাস করে বের হয়ে যান, তিনি তার ব্যবহৃত কঙ্কালটি জুনিয়রদের দিয়ে যান। এটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

তৃতীয়ত, হচ্ছে যাদের এই দুইটার কোনো মাধ্যম নেই তারা বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসেন। ওটাকে ইন্ডিয়ান বোনস বলা হয়।

‘আমরা জানি ওটা ইন্ডিয়া থেকেই আসে। আসলে এটা যে কোথা থেকে আসে সেটা আমরাও জানি না। তবে লেটেস্ট একটা সোর্স আছে সেটা হচ্ছে, কিছু প্লাস্টিকের বোনস এখন পাওয়া যায়। এখন সেটা ব্যবহার করে অনেকেই।’

বাংলাদেশে মানুষের কঙ্কাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে। এ ছাড়া নার্সিং বা হোমিওপ্যাথি বিষয়ক পড়াশোনার জন্যও কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়।

সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের চাহিদার তুলনায় কম আছে। তবে সেটা ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। দেখা যায় অনেকেই একই রুমে থাকে তারা দুইজন মিলে একটা নিয়ে পড়াশোনা করে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যানাটমি বিভাগের একজন অধ্যাপক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক সময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকার কারণে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অ্যানাটমি বিভাগ থেকে ডোমের মাধ্যমে সংগ্রহ করা কঙ্কাল বণ্টন করা হতো। এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই অনৈতিকভাবে কবর থেকে মৃতদেহ সংগ্রহ করে বাসায় বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করে মাংস পচিয়ে তা থেকে হাড় বা কঙ্কাল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে।’

গত ১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহে ১২টি মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের নানা অংশের দুই বস্তা হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, এসব খুলি ও হাড়গোড় ভারত ও নেপালে পাচার করা হতো। সাধারণত মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এসব হাড় শিক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়।

২০১৮ সালে ময়মনসিংহে একটি চক্র ধরা পড়ে একই উপজেলায়। সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা কবর থেকে অবৈধভাবে মরদেহ উত্তোলন এবং হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশগুলো অবৈধ উপায়ে খালাস করার মাধ্যমে কঙ্কাল সংগ্রহ করে।

অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপক বলেন, ‘এই ব্যবসা বন্ধে আমাদের পরিকল্পনা আছে। আমরা আগামীতে ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে শিক্ষণ পদ্ধতি চালিয়ে নেব যাতে করে আর কঙ্কালের প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কঙ্কালের চাহিদা কমে যাবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার পরিচালক হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে কঙ্কাল প্রাপ্তির কোনো বৈধ নিয়ম এখন পর্যন্ত নেই। তবে আমার জানা মতে অ্যানাটমি বিভাগে যারা ডোম হিসেবে কাজ করে তারা কোন বডি কাটাছেড়া করার পর প্রসেসিং করে থাকে।’

‘সাধারণত হাড় তো নষ্ট হয় না সহজে, যার ফলে তারা এটা সংগ্রহ করে ও পরে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এটার মেইন উৎস হচ্ছে ওই বিভাগে যেসব বেওয়ারিশ লাশ থাকে তাদের শরীর নষ্ট হওয়ার পর এটা সংগ্রহ করা হয়। যেহেতু বাইরের বাজার অবৈধ তাই শিক্ষার্থীরা সাধারণত ডোমদের কাছ থেকেই সংগ্রহ করে থাকে।’

মরণোত্তর দেহ দান কতটা হয়েছে

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে ১৯৯৮ সাল থেকে মরণোত্তর দেহদান শুরু হয়। এ পর্যন্ত মরণোত্তর দেহদানের আবেদন পড়েছে ৬৫টি। হাসপাতালে ১২টি দেহ আছে। মরণোত্তর দেহ সবচেয়ে বেশি ১৫টি সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বেসরকারি মেডিক্যালে কী অবস্থা

বাংলাদেশ মেডিক্যালের সহকারী রেজিস্ট্রার সুদেষ্ণা চক্রবর্তী পুর্বা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যখন ফার্স্ট ইয়ারে ছিলাম তখন আমরা এটা আমাদের সিনিয়রের কাছ থেকে কিনে নিতাম। আমারটা ব্যবহার করা কঙ্কাল ছিল। নতুন আমরা পেতাম না। দেখা যেত যে খুলনা অথবা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ভাইদের সঙ্গে যাদের লিংক আপ থাকত, তারা এটা ম্যানেজ করে নিত।’

‘আমি কিনেছিলাম ২৮ হাজার টাকা দিয়ে আমার সময়ে। আমাদের কলেজের ক্যাফেটেরিয়াতে একটা বিজ্ঞাপন দেখে আমি ওই আপুর সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওই আপু তার ঢাকা মেডিক্যালের এক বন্ধুর কাছ থেকে কিনে নিয়েছিল। পরে আমি যখন থার্ড ইয়ারে উঠি, সেটা ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলাম। সাধারণত আমাদের কলেজে সবাই এমনভাবেই এটা সংগ্রহ করত।’

পুর্বা বলেন, ‘আসলে এটা যে কোথা থেকে আনা হয় এটা নিয়ে আমার তখন তেমন আগ্রহ কাজ করেনি। তবে এটা ঠিক যে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এটা সবাইকেই কিনতে হয়। সবাই একটা সেট করে কিনে থাকে। তবে অনেকেই শেয়ার করে কিনে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে যারা একই রুমে বা হোস্টেলে থাকা তারা এটা করে থাকে।’

পুর্বা আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যাচে ১১৫ জনের প্রায় সবার কাছেই কঙ্কাল ছিল। ফুল সেট কঙ্কালে ভাটিব্রা তো একটা করেই থাকে, মাথা একটাই থাকবে এটা তো ডিভাইডেড করা সম্ভব হবে না তাই এটা শেয়ার করে পড়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে রুমমেট বা স্টাডি পার্টনার না হলে সেটা সম্ভব হবে না।

মেডিক্যালের সূত্র থেকে জানা যায়, দেশে কঙ্কালের চাহিদা অনেক। আর এ জন্য এটার দাম বেশি। তবে যারা মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করেন তারা কঙ্কালের প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে কখনও জানতে পারেন না। একটা সময় এটার দাম পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা ছিল। তবে শিক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে সাধারণত মানবদেহের কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে প্লাস্টিকের কঙ্কাল পাওয়া যায় তবে সেটা অনেক বেশি দামি হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ব্যবহার করা হয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ফেসবুকে এমন একটা পেজের মাধ্যমে জানতে পারি। সাধারণত মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ভাইয়েরা মেইনটেইন করে থাকে। সেখানে কঙ্কাল বিক্রির জন্য পোস্ট দেয়া হয়। ওখানে ৩৫-৪০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হতো।’

কঙ্কালের আয়ুষ্কাল

সাধারণত একটি কঙ্কাল সঠিক উপায়ে পরিচর্যা করলে তা ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে।

সুদেষ্ণা চক্রবর্তী পুর্বা বলেন, ‘পাউডার দিলে হাড়গুলো ঠিক থাকে। কঙ্কালের জন্য তেলাপোকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর যার জন্য এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে তেলাপোকা হাড়গুলো নষ্ট করতে না পারে।

‘কলেজে ব্যবহারের উপর নির্ভর করে যে কতদিন আপনি আপনার ব্যবহৃত কঙ্কাল ঠিক রাখতে পারবেন। আমি যেটি ব্যবহার করেছিলাম সেটা আমার কাছে যখন আসে তার আগে আরও তিন জন ব্যবহার করেছে। যেহেতু একটা নির্দিষ্ট সময় পর এটার কোন কাজ থাকে না তাই অনেকেই একটি কঙ্কাল দিয়ে মেডিক্যাল জীবন পার করে দিতে পারবে।’

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের খাঁজে মানুষের কঙ্কাল
মাথাভাঙ্গায় পাওয়া কঙ্কাল কুষ্টিয়ার মিমের?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

জাতীয়
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

জাতীয়
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Foreign Adviser

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

বাংলাদেশে সফররত ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. মাহমুদ সিদকি আল-হাব্বাশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি সমর্থন জানান।

ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতি ড. আল-হাব্বাশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের স্থায়ী সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।

ফিলিস্তিনিদের নিরন্তর সমর্থনের জন্য দেশটির প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ওপরও জোর দেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে ড. আল-হাব্বাশ তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে