× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
৬৮ বছরের অন্ধকার ঘুচল পাঁচ বছরে
google_news print-icon

৬৮ বছরের অন্ধকার ঘুচল পাঁচ বছরে

৬৮-বছরের-অন্ধকার-ঘুচল-পাঁচ-বছরে
‘হামরা আগত কিছু পাই নই। এখন বাংলাদেশ হয়া কিছু পাছি (পেয়েছি)। বিদ্যুৎ পাছি, আস্তাঘাট (রাস্তাঘাট) পাছি, স্কুল পাছি, টিউকল (টিউবওয়েল) পাছি, ল্যাট্রিন পাছি, মন্দির পাছি, মসজিদ পাছি। বিদ্যুৎ দিয়া আগুন টাগুন জ্বালবার নাগছি। কারেন নগদ যায় নগদ আইসে। আসলে ফির বেশ সুন্দর আলো হয়।’

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাটে ভীতরকুটি বাঁশপচাই। ১৯৪৭ সাল থেকে ছিল ভারতের অংশ। ২০১৫ সালের আগস্টে ছিটমহল বিনিময়ের পর হয়েছে বাংলাদেশের অংশ। আর সাড়ে পাঁচ বছরে ৬৮ বছরের অন্ধকার ঘুচিয়ে দেশের উন্নয়নের সুফল পেয়েছে সাবেক ছিটমহলবাসী।

এই এলাকার বাসিন্দারা এখন আর অন্ধকারাচ্ছন্ন, নাগরিকত্বহীন, উন্নয়নবঞ্চিত, সরকারি সুবিধাহীন মানুষ নন; বরং বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত, স্বাধীন দেশের নাগরিকের গর্বিত পরিচয়ধারী, উন্নয়নের সুবিধাভোগী, সরকারি সুযোগ-সুবিধাভোগী।

ভারত থেকে পাওয়া ১১১টি ছিটমহলের চিত্র একই রকম। বিদ্যুৎ পাওয়ায় এখানকার মানুষ মোটর দিয়ে সেচ চালাচ্ছে, বিভিন্ন ফসল ফলাচ্ছে। টিভি, ফ্রিজ, ম্যাজিক চুলা, রাইস কুকার দিয়ে রান্না চলছে।

সন্ধ্যা হলেই ছোট ছোট দোকানে বিদ্যুতের আলোতে মেতে ওঠে খোশ গল্প। ঘরে ঘরে চলে টেলিভিশন।

৬৮টি বছর অন্ধকারে ছিল। তারা এখন আর পিছিয়ে থাকতে চায় না।

৬৮ বছরের অন্ধকার ঘুচল পাঁচ বছরে

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর রেডক্লিফের মানচিত্র বিভাজন থেকেই উদ্ভব ছিটমহলের। এক দেশের ভূখণ্ড থেকে যায় অন্য দেশের অংশে।

দুই প্রতিবেশী দেশের রয়েছে ১৬২টি ছিটমহল। এর মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশে আর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল পড়ে ভারতের ভেতরে। এসব ছিটমহলে জনসংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার।

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভারতীয় ছিটমহলে লোকসংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার। আর ভারতে বাংলাদেশের ছিটমহলের বাসিন্দা ছিল ১৪ হাজার।

২৪ হাজার ২৬৮ একর ভূমি নিয়ে দুই দেশের ছিটমহল ছিল। তার মধ্যে ভারতের জমির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ১৫৮ একর। বাংলাদেশের ছিটমহলের জমির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ১১০ একর। ফলে ভূমি বিনিময়ে বাংলাদেশ ১০ হাজার একর জমি বেশি পেয়েছে।

ভারতীয় ছিটমহলগুলোর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এর মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯টি, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, কুড়িগ্রামে ১২টি ও নীলফামারীতে চারটি ভারতীয় ছিটমহল ছিল।

বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এর মধ্যে ৪৭টি কুচবিহার ও চারটি জলপাইগুঁড়ি জেলায়।

এ ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ছিটমহল ছিল বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার দাশিয়ারছড়ায়। দাশিয়রছড়ার ভেতরেই ছিল চন্দ্রখানা নামের বাংলাদেশের একটি ছিটমহল, যেটি বাংলাদেশেই থেকে যায়। এটিই পৃথিবীর একমাত্র ছিটমহল যার অভ্যন্তরে আরেকটি ছিটমহল।

এ ছাড়া ভারতের একটি ‘থার্ড-অর্ডার’ ছিটমহল দাহালা খাগড়াবাড়ি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এ ছিটমহলটি বাংলাদেশি গ্রাম উপানচৌকি ভজনী দ্বারা পরিবেষ্টিত, যা আবার ভারতীয় ছিটমহল বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী গ্রাম দিয়ে বেষ্টিত।

ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে দীর্ঘ ৬৮ বছরের অবরুদ্ধ ও নাগরিকত্বহীনতা থেকে মুক্তি পান ১৬২টি ছিটমহলের বাসিন্দারা।

৬৮ বছরের অন্ধকার ঘুচল পাঁচ বছরে

মূলত এ ভূমিগুলোই হলো ছিটমহল। আর এখানে থাকা বাসিন্দাদের বলা হতো ছিটের মানুষ।

দেশভাগের পর বাংলা ও পাঞ্জাবের সীমারেখা টানার পরিকল্পনা করেন লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন। এ জন্য ১৯৪৭ সালে গঠন করেন সীমানা নির্ধারণ কমিশন। ব্রিটিশ আইনজীবী সিরিল রেডক্লিফকে বসানো হয় কমিশনের মাথায়।

তিনি এত দ্রুততার সঙ্গে কাজ সমাধা করলেন যে, সীমানা নির্ধারণে সময় নিলেন মাত্র দেড় মাস। তারপরই এ মানচিত্রের উদ্ভব হয় এবং সংকট তৈরি হয়।

স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার কী আনন্দ, তা এখন বোঝেন কুলাঘাট বাশঁপচাইয়ের সাবেক ছিটমহলবাসী সমশের আলী।

তিনি বলেন, ‘হামরা আগত কিছু পাই নই। এখন বাংলাদেশ হয়া কিছু পাছি। বিদ্যুৎ পাছি, আস্তাঘাট পাছি, স্কুল পাছি, টিউকল পাছি, ল্যাট্রিন পাছি, মন্দির পাছি, মসজিদ পাছি। আগত একনা কিচ্ছু পাই নাই। হামরা এগলা অনেক সুবিদা পাছি। বিদ্যুৎ দিয়া আগুন টাগুন জ্বালবার নাগছি।

‘বাড়ি টারি আন্দার হয়; আলো জ্বলে। হামরা তো এগলায় পাবার লাগছি। কারেন নগদ যায় নগদ আইসে। আসলে ফির বেশ সুন্দর আলো হয়। হামরা বিদ্যুৎ দিয়া আমন ধানও গারি, ওয়াও গারি, মাছও মারি, নদীত পানি দিয়ার নাগচি মর্টার দিয়া। মাছও খাই। এখন খুব ভালো পাই হামরা।’

৬৮ বছরের অন্ধকার ঘুচল পাঁচ বছরে

আরেক কৃষক মো. নুরুন্নবী জানান, বিদ্যুতের সুবিধাই তাদের জীবন পাল্টে দিয়েছে। বিদ্যুতের কারণে টিভি চলে, খবর দেখেন, সহজ হয়েছে সেচ। সবচেয়ে বড় কথা শিশুদের স্কুল হয়েছে এলাকায়, যেটাতে আবার পড়া যায় বিনা মূল্যে। কেনা লাগে না বই। সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হন তিনি যখন জানতে পারেন স্কুলে গেলে পয়সা (উপবৃত্তি) দেয় সরকার।

জেমী কুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে বলে, ‘আমাদের এ জায়গায় ছিট বাংলাদেশ হওয়ার পরে কারেন (বিদ্যুৎ) আসছে। কারেনের জন্য লেখাপড়া করার সুবিধা হচ্ছে। বিধবা ভাতা হচ্ছে, বয়স্ক ভাতা হচ্ছে, প্রতিবন্ধী ভাতা হচ্ছে। যখন তেল কেনার জন্য টাকা ছিল না তখন হামরা পড়া পড়তে পারতাম না। এখন হামরা লেখাপড়া করতে পারতেছি। ছিট বাংলাদেশ হওয়ার কারণে মানুষ এখন গরিব নাই।’

বাঁশপচাইয়ের আবদুল হক বলেন, ‘হামরা আগ বাংলাদেশের কিছু পাই নাই। এহন হাসিনা সরকার হামাদের বাংলাদেশ করি নিয়া এখন আমরা অনেক কিছু পাছি। আইডি কার্ড পাছি, এখন হামরা ভোট দিতে পারব। আগে কোনো ইলিপ (রিলিফ) সিলিপ পাই নাই, এখন হামরা অনেক কিছু পাছি।’

লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ‌‘আগে যখন আমাদের ছিটমহল ছিল তখন আমরা ন্যাম্পো নাগেয়া লেখাপড়া করতাম। এখন বাংলাদেশ হওয়ার পর বিদ্যুৎ পাইছি, রাস্তাঘাট পাইছি। লেখাপড়ায় ভালো সুযোগ-সুবিধা পাইতেছি। সরকার ভালো কিছু করতেছে।’

৬৮ বছরের অন্ধকার ঘুচল পাঁচ বছরে

২০১৫ সালের ১ আগস্ট দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় হয় ছিটমহল। এরপর থেকেই জীবন পাল্টে যায় এলাকার মানুষদের।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের মায়ের নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন হয়েছে। এটি এখন জাতীয়করণের প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
A glimpse of scattered hailstones in the country

দেশে বিক্ষিপ্ত শিলা বৃষ্টির আভাস

দেশে বিক্ষিপ্ত শিলা বৃষ্টির আভাস বৃষ্টিস্নাত ঘাসে টুকরা টুকরা শিলা। ফাইল ছবি
তাপমাত্রার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

দেশের ছয় বিভাগ ও দুটি অঞ্চলে বর্ষণের আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, কোথাও কোথাও হতে পারে শিলা বৃষ্টি।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে।

এতে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

ঢাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে সূর্যাস্ত হবে জানিয়ে অধিদপ্তর বলেছে, রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকায়।

সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল যশোরে। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।

আরও পড়ুন:
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে
ছুটির দিনে শিলা বৃষ্টির আভাস
বজ্রসহ বৃষ্টি নামতে পারে পাঁচ বিভাগে
চৈত্রের প্রথম দিনে রাজধানীতে ক্ষণিকের বৃষ্টি
হাওরে বৃষ্টির জন্য দোয়া

মন্তব্য

জাতীয়
ECs invitation to BNP is not sudden Commissioner

বিএনপিকে ইসির আমন্ত্রণ হঠাৎ নয়: কমিশনার

বিএনপিকে ইসির আমন্ত্রণ হঠাৎ নয়: কমিশনার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব। ছবি: নিউজবাংলা
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিকভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’

আগামী নির্বাচন নিয়ে মতামত দিতে বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সেটি আকস্মিক নয় বলে দাবি করেছেন কমিশনার মো. আহসান হাবিব।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিকভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’

এ কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। ইসি মনে করে বিএনপির মতো নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে।

‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে। তাই আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।’

সিইসির চিঠি

আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য বিএনপিকে ২৩ মার্চ চিঠি দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

চিঠিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলীয় অন্য নেতা এবং প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোর নেতাসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়।

চিঠিতে সিইসি লিখেন, ‘২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন করে আসছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আসছে।’

চিঠিতে বর্তমান ইসি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আপনারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আপনাদের এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলের বিষয়ে কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই।’

চিঠিতে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলেও কমিশন মনে করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে। আপনাদের নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সদয় সম্মত হলে দিনক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।’

আরও পড়ুন:
শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
ইভিএম মেরামত: অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাল চিঠি দিতে পারে ইসি
সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনি ব্যবস্থার শেষ দেখছেন ফখরুল
ইসলামি মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ
ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণে বিএনপির প্রতিনিধি দল

মন্তব্য

জাতীয়
Genocide Day Nationwide blackout at 1030 pm

গণহত্যা দিবস: রাত সাড়ে ১০টায় দেশজুড়ে ব্ল্যাকআউট

গণহত্যা দিবস: রাত সাড়ে ১০টায় দেশজুড়ে ব্ল্যাকআউট এক মিনিট আলো বন্ধ রাখা হবে গণহত্যা দিবসের রাতে। ফাইল ছবি
সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা হবে।

গণহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।

এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে এক মিনিট আলো বন্ধ রেখে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে, তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনাগুলো এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। খবর বাসসের।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাসহ সারা দেশে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে দিনটিকে ‘জাতীয় জেনোসাইড দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা হবে। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা হবে।

ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জোহরের নামাজের পর বা সুবিধাজনক সময়ে দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কর্মসূচি পালন করা হবে।

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দাবিতে কর্মসূচি
অবহেলা-অযত্নে নওগাঁর ৬৭ বধ্যভূমি
গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি পাবনায়
‘গণহত্যার এপিসেন্টার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’
গণহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি ইনুর

মন্তব্য

জাতীয়
It may rain on the first day of fasting in the parts of the country

প্রথম রোজায় বৃষ্টি হতে পারে দেশের যে বিভাগে

প্রথম রোজায় বৃষ্টি হতে পারে দেশের যে বিভাগে দেশের একটি বিভাগে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশে প্রথম রোজার দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে একটি বিভাগে।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে অধিদপ্তর জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তাপমাত্রা নিয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

ঢাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, শনিবার ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৫৮ মিনিটে।

পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে জানানো হয়, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

অধিপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় ভোলায়।

আরও পড়ুন:
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে সব বিভাগে
ছুটির দিনে শিলা বৃষ্টির আভাস
বজ্রসহ বৃষ্টি নামতে পারে পাঁচ বিভাগে
চৈত্রের প্রথম দিনে রাজধানীতে ক্ষণিকের বৃষ্টি
হাওরে বৃষ্টির জন্য দোয়া

মন্তব্য

জাতীয়
Interpol red notice against Arab Khan

আরাব খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ ইন্টারপোলের  

আরাব খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ ইন্টারপোলের   দুবাইয়ে থাকা হত্যা মামলার আসামি আরাব খান। ফাইল ছবি
রেড নোটিশ পাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকায় ছবিসহ যুক্ত করা হয়েছে রবিউল ওরফে আরাবের নাম। আরাবসহ ইন্টারপোলের রেড নোটিশপ্রাপ্তদের তালিকায় থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৩।

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থানরত আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।

রেড নোটিশ পাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকায় ছবিসহ যুক্ত করা হয়েছে তার নাম।

আরাবসহ ইন্টারপোলের রেড নোটিশপ্রাপ্তদের তালিকায় থাকা বাংলাদেশির সংখ্যা ৬৩।

ইন্টারপোলের তালিকায় আরাব নামটি উল্লেখ করা হয়নি। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে তার পূর্ণ নাম রবিউল ইসলাম ও ডাকনাম রবিউল লেখা হয়েছে। জন্মস্থান দেখানো হয়েছে বাগেরহাট; বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৩৫ বছর।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আরাবের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারপোল।

রোড নোটিশ নিয়ে যা বলেছিলেন আইজিপি

আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন গ্রহণের কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে ২০ মার্চ দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আরাব খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ শুরু করেছি। আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি যে, তার যে নামে আমরা চার্জশিট দিয়েছি, ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন/অনুরোধ) দিয়েছি। এটা বোধ হয় ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে, এ রকম একটা খবর আমি পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, কীভাবে কাজ করছি সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি না তদন্তের স্বার্থে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ থেকে যদি কোনো আসামি পলায়ন করে বিদেশে চলে যায়, যখন আমরা তার সম্পর্কে মোটামুটি কিছু তথ্য পাই, তখন আমরা একটা রেড নোটিশ জারি করি। এটা ইন্টারপোল হেড কোয়ার্টারে যায়। আমি যেটা খবর পেয়েছি যে, এটা তারা অ্যাকসেপ্ট করেছে।’

এর আগে ১৮ মার্চ পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার ফেরারি আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়ার খবর জানায় বাংলাদেশ পুলিশ।

ইন্টারপোল বাংলাদেশ ডেস্কের এক কর্মকর্তা ওই দিন বিকেলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে (আরাবকে দেশে ফেরানো) ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইন্টারপোলকে মেইল করেছি। তারা আমাদের দেয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’

একই দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, আরাবকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাবকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

‘আমরা অনেক কিছুই শুনেছি, জেনেছি। যেসব তথ্য আমাদের কাছে এসেছে, তা যাচাই-বাচাই করে বাদবাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরাবকে নিয়ে আলোচনার শুরু যেখান থেকে

পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলাম আলোচনায় আসেন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গোল্ড জুয়েলারি শপ ‘আরাব জুয়েলার্স’ উদ্বোধন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা শুরু হয়। শপটির লোগো বানানো হয় ৬০ কেজি সোনা দিয়ে।

আরাবের এই জুয়েলারি শপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাকিব আল হাসানের ভিডিওবার্তার পর বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।

সে সময় ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘পুলিশ পরিদর্শককে হত্যা মামলার চার্জশিট হয়েছে অনেক আগেই। রবিউল চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি। জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘোষণার পর আইডেন্টিফাই করি, যে ব্যক্তি আরাব খান নামে আইডিটি পরিচালনা করছেন, তিনি পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খাঁন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম। তার ভারতীয় একটি পাসপোর্ট ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট আমাদের কাছে রয়েছে।’

রবিউলকে ইন্টারপোলের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে অনেক দিন ধরেই খুঁজছিলাম। দুবাইতে তিনি অবস্থান করছেন, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এখন আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেব।’

ফেরারি আসামি আরাব খানের মালিকানাধীন আরাব জুয়েলার্স উদ্বোধন হয় ১৫ মার্চ রাতে। দুবাইয়ে নিউ গোল্ড সোক হিন্দ প্লাজার ৫ নম্বর ভবনের ১৬ নম্বর দোকানটি আরাবের।

তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায়, সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি পাকিস্তানের ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির, আফগানিস্তানের ক্রিকেটার হযরতউল্লাহ জাজাই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার এভিন লুইস, ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল, শ্রীলঙ্কার ইসুরু উদানা, বাংলাদেশি লেখক সাদাত হোসাইন, অভিনেত্রী দীঘি, আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম, চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী নোবেল, বেলাল খানসহ অনেকে জুয়েলারি শপ উদ্বোধন উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা দেন। তাদের একটি বড় অংশ দুবাইতে গিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আরও পড়ুন:
আরাব নামে কাউকে চিনি না: বেনজীর
আরাবকে ফেরাতে ইন্টারপোলকে চিঠি
দুবাইয়ে খুনের আসামির বিষয়ে সাকিবকে কোন মাধ্যমে জানিয়েছিল পুলিশ
প্রয়োজনে সাকিব, হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ: ডিবি
সাকিবকে দুবাইয়ে ডাকা আরাবের বিরুদ্ধে ১২ মামলার খোঁজ

মন্তব্য

জাতীয়
Extinction Committee condemns US report on Bangladesh

বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের নিন্দায় নির্মূল কমিটি

বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের নিন্দায় নির্মূল কমিটি
এতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছে তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এই প্রতিবেদনে ’৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বলা হয়েছে।’

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

বৃহস্পতিবার সংগঠনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছে তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এই প্রতিবেদনে ’৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বলা হয়েছে।’

‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির কারণে বাংলাদেশের বৃহত্তম মুসলিম রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ তাদের সংবিধানপ্রদত্ত বাকস্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছেন না।সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের কারণে জামায়াত প্রার্থীরা দলের নামে নির্বাচন করতে পারছেন না’।

বিবৃতিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বলে, ‘জামায়াত সম্পর্কে অত্যন্ত নিন্দনীয় মার্কিন প্রতিবেদনের এই রিপোর্ট শুধু অসত্য নয়, বাংলাদেশসহ গোটা উপমহাদেশে জামায়াত পরিচালিত জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাসকে ইন্ধন জোগাবে বলে আমরা মনে করি।’

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয় , জামায়াত একটি গণতন্ত্রবিরোধী ফ্যাসিস্ট দল যারা বাংলাদেশের সংবিধান মান্য করে না। এ কারণে বাংলাদেশের উচ্চতর আদালত ২০১৩ সালে এ দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে, যার ফলে দলীয় পরিচয়ে জামায়াতের নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। সরকার কখনও জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেনি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে ’৭১-এর গণহত্যার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াত মানব রচিত সংবিধানে বিশ্বাস করে না।

জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী আব্রাহাম লিঙ্কনের বিখ্যাত গেটিসবার্গ ভাষণে ঘোষিত গণতন্ত্রের সংজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করে ৮০ বছর আগে লিখেছিলেন ‘গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি কুফরি মতবাদ। যারা এসব মতবাদ প্রচার করবে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।

এ হেন গণতন্ত্র বিদ্বেষী ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার জন্য যে ওকালতি করছে তাতে উপমহাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে ইসলামের নামে যাবতীয় সন্ত্রাসের গুরু জামায়াত শুধু অধিকতর সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উৎসাহিত হবে না, ভবিষ্যতে আমেরিকার মতো দেশে ৯/১১-এর মতো অসংখ্য সন্ত্রাসী ঘটনায় ইন্ধন জোগাবে বলে তারা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

‘২০১৮ সালের ২০ নবেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংক জামায়াত-শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন, যেখানে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিবরণ দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমরা গত ৩১ বছর ধরে ’৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করবার জন্য আন্দোলন করছি। স্টেট ডিপার্টমেন্ট যদি বাংলাদেশসহ মার্কিন জনমত উপেক্ষা করে জামায়াত তোষণ নীতিতে অবিচল থাকে তা শুধু বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে বিপন্ন করবে না, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহ পশ্চিমা দেশসমূহের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও সমূহ বিপদ ডেকে আনবে।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেন-বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সমাজকর্মী মালেকা খান, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, জননেতা ঊষাতন তালুকদার, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, চলচ্চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, অধ্যাপক ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ , অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ।

মন্তব্য

জাতীয়
Demand international recognition of Genocide Day on March 25

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে বক্তব্য দেন বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম। ছবি: নিউজবাংলা
বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা বা জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে হবে- এই দাবি নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেলাম কি পেলাম না সেদিকে না তাকিয়ে আমাদের দাবি তুলে ধরতে হবে।’

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম।

বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: প্রয়োজন গবেষণা, প্রকাশনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার তাৎপর্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা বা জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে হবে- এই দাবি নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেলাম কি পেলাম না সেদিকে না তাকিয়ে আমাদের দাবি তুলে ধরতে হবে।

‘বাঙালিকে ধর্ম দিয়ে বিভক্তিকরণের চেষ্টা সবসময়ই ছিল। তারপরও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান।

রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিস আহমদের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষকা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তি চায় জবি শিক্ষক সমিতি
জবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা
‘উত্ত্যক্তের’ প্রতিবাদ, দিনাজপুরে মারধরের শিকার জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
জবিতে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ
গুচ্ছ পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে জবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

মন্তব্য

p
উপরে