× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করব ডাক্তারদের মামুনুল
google_news print-icon

করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করব, ডাক্তারদের মামুনুল

করজোড়ে-ক্ষমা-প্রার্থনা-করব-ডাক্তারদের-মামুনুল
হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। ছবি: তার লাইভ থেকে নেয়া।
‘চিকিৎসক ভাই ও বোনেরা এবং অধ্যয়নরত ভাই ও বোনেরা তারা যদি আমার এই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বক্তব্য শোনেন, আর সেখানে যদি আমি ভুল কিছু বলি, তাহলে অবশ্যই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। আমি যদি ভুল কিছু বলে থাকি, বা আমার দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন, তবে আমি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করব এবং আমি আমার সেই বক্তব্য অবশ্যই প্রত্যাহার করব।’

ধর্মীয় আলোচনায় এসে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কটূক্তি, তাদেরকে তুই তুকারি করায় তীব্র সমালোচনার মধ্যে লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বলেছেন, ‘তার স্লিপ অব টাং’ হয়েছে।

মামুনুল আগের বক্তব্যর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে লাইভে এসে ২৩ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বলেছেন, তার কথা শুনে যদি কোনো চিকিৎসক মনে করেন তার আগের বক্তব্য ভুল ছিল, তাহলে তিনি করজোড়ে ক্ষমা চাইবেন।

দুটি ভিডিওই মামুনুলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আছে।

মামুনুল সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে। তিনি বলেছিলেন ধোলাইপাড়ে এই ভাস্কর্য নির্মাণ হলে ঢাকায় আরেকটি শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।

অবশ্য এই বক্তব্য দিয়ে মামুনুল প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন এবং এখন তিনি বলছেন, সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে যাবেন না।

দীর্ঘ বক্তব্য দিয়ে মামুনুল বলেন, ‘চিকিৎসক ভাই ও বোনেরা এবং অধ্যয়নরত ভাই ও বোনেরা তারা যদি আমার এই ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বক্তব্য শোনেন, আর সেখানে যদি আমি ভুল কিছু বলি, তাহলে অবশ্যই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। আমি যদি ভুল কিছু বলে থাকি, বা আমার দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন, তবে আমি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করব এবং আমি আমার সেই বক্তব্য অবশ্যই প্রত্যাহার করব।’

সম্প্রতি একটি ধর্মীয় আলোচনায় মামুনুলের অযাচিতভাবে চিকিৎসকদের আক্রমণ করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। হেফাজতের নেতা জানান, ওই ভিডিওটি দুই থেকে তিন বছর আগে করা। আর যেহেতু সেটি ভাইরাল হয়েছে, তাই তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আগের ভিডিওতে দেখা যায় মামুনুল চিকিৎসকদের তুই তুকারি করে বলছেন, কওমি মাদ্রাসার ছেলেরা যদি মানুষের দয়ার টাকায় পড়াশোনা করে, তাহলে চিকিৎসকরা কী? সরকারি মেডিকেল কলেজে তারাও বিনা পয়সায় পড়াশোনা করে ঔদ্ধত্ব দেখায় বলে অভিযোগ তার।

তুই তোকারির প্রসঙ্গে দুঃখ প্রকাশ না করে মামুনুল তোলেন পাল্টা অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘আমার ভাষা ব্যবহারে তুই তুকারি এসেছে। আমার এই তুই তুকারিকে জেনারেলভাবে সকল ডাক্তারদের প্রতি আরোপ করে ডাক্তারদের একটা সিমপ্যাথি ও আমার বিরুদ্ধে ডাক্তার সমাজকে উসকে দেয়ার একটা অশুভ তৎপরতা পরিচালনা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার জায়গা ক্লিয়ার করছি, আমার বক্তব্য মেডিক্যালের ছাত্রদের নিয়ে ছিল না, শুধু কেমবমাত্র ওই শ্রেণির প্রতি ছিলো যারা জনগণের টাক্সে পড়াশোনা করে আবার কওমি মাদ্রাসার ছেলেদের নিয়ে অবজ্ঞা করবে, আমি তাদের বিরুদ্ধে মূলত তুই তুকারি করেছি।’

হেফাজত নেতার দাবি, তিনি একটি প্রশ্নের জবাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। কওমি মাদ্রাসার ছেলেদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়েছিল এই বলে যে তারা যাকাত ও ফেতরার অর্থ দিয়ে পড়াশোনা করে। সেখানে অনেকেই বলে থাকে, ‘তোরা যাকাত খাস, ফেতরা খাস’। এই ধরনের কথা গুলোর মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার ছেলেদের উপহাস করা হতো।

করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করব, ডাক্তারদের মামুনুল
গত নভেম্বরে চট্টগ্রামে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিক্ষোভের সময় এই পোস্টারটি প্রদর্শন করা হয়

মামুনুল বলেন, ‘আলোচনার একটা অংশে এটা বলেছিলাম যে, অন্যের টাকা নিয়ে পড়াশোনা করা কি শুধুমাত্র কওমি মাদ্রাসাতেই সীমাবদ্ধ? শুধুমাত্র তারাই কি অন্যের দানে পড়াশোনা করে? আমার দেশের প্রেক্ষাপটে আরও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা পড়াশোনা করছে তারাও অন্যের অর্থে পড়াশোনা করার প্রচলন রয়েছে।’

হেফাজত নেতা বলেন, তার আলোচনার একটি আলোচলার অংশ ছিল মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে। মেডিক্যালের পড়াশোনা অনেক ব্যয়বহুল। প্রাইভেটে কী পরিমাণ খরচ নেয়া হয় তা অজানা নয়। সেখানে পাবলিক মেডিক্যাল কলেজে নামমাত্র খরচ নেয়া হয়।

মামুনুল বলেন, এই খরচ যোগানো হয় সরকারি বরাদ্দ থেকে। আর সেখানে ধনী-গরিব, দিনমজুর, রিক্সাচালক সবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান আছে। কেউ ইনকাম ট্যাক্স দেয়, ট্যাক্স না দিলেও যে ভোগ্যপণ্য বাজার থেকে ক্রয় করে সেখান থেকে নেয়া হয়। সেটা সরকারি কোষাগারে জমা হয়।

হেফাজত নেতা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম একজন ডাক্তার তৈরি করতে সরকারের ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। এই টাকাটা কে যোগাল? এখানে রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের অংশগ্রহণ থাকে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও সাক্ষী মানেন হেফাজত নেতা। জাতির পিতার একটি বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, তোমার মাইনে কে যোগায়? তোমার মাইনে যোগায় ওই কৃষক, ওই শ্রমিক। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে তা যোগায়। সেই কথায় আমরা আবার পুনরাবৃত্তি করেছিলাম।’

মামুনুল বলেন, ‘দেশের মানুষের টাকা দিয়ে একটা ছেলে দেশের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় হবে এটা তার কাছে অপমানের কোনো বিষয় না। তাহলে কওমি মাদ্রাসার ছেলেগুলো সরকার থেকে না আল্লাহ কর্তৃক যে ট্যাক্স যাকাত ফেতরার মাধ্যমে পড়াশোনা করে।

‘তাহলে আমার মূল লজিক ছিল, দেশের মানুষের টাকা দিয়ে পড়াশোনা করা যদি অপমানের না হয়ে থাকে, তবে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত টাকা দিয়ে পড়াশোনা করলে তা অপমানের বিষয় কেন? আমি ওই আলোচলনায় এটাই বলেছি।’

আরও পড়ুন:
‘গোপনে মাহফিলে বক্তব্য’, মামুনুলের নামে মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Joining the new Assistant Commissioner in Kapasia

কাপাসিয়ায় নতুন সহকারী কমিশনারের যোগদান

কাপাসিয়ায় নতুন সহকারী কমিশনারের যোগদান

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মো. নাহিদুল হক গত মঙ্গলবার যোগদান করেছেন। তিনি ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি এর আগে শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। মো. নাহিদুল হক ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। যোগদানের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীমসহ সুশীল সমাজ ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুল হক জানান, সরকারি যথাযথ নিয়মনীতি ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ভূমি অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিতামূলক ও সহজীকরণ সেবা নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Eliminating

সোনাইমুড়ীতে দখল করা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

সোনাইমুড়ীতে দখল করা শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

জলাবদ্ধতা দূর করতে খালের উপর শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেছে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসন। এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত।

জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই থেকে ৩ সেপ্টেম্বর সোনাইমুড়ূী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।প্রায় শতাধিক খালের উপর নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ২ একর ৮০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে অবৈধ দখলদার ৭ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। খালের উপর প্রায় অর্ধশতাধিক বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জানা যায়, সোনাইমুড়ী বাজারের জোড়পোল,ম ডেল হাই স্কুল রোড, (নোয়াখালী- ঢাকা) উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কের পাশে, আমিশাপাড়া সড়কের পাশে, নান্দিয়া পাড়া বাজার,কাশিপুর বাজার, নদনা ও কালুয়াই এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় সরকারি খাস জমি উদ্ধার অবৈধ দখলদার মুক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই খাস জমির ওপর কিছু দুষ্কৃতকারী অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছিল।এতে এই এলাকার পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বন্যা দেখা দেয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে জেলা প্রশাসক নোয়াখালীর সরাসরি নির্দেশনায় জমি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার জানান, উপজেলা নিচু এলাকা হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের বিভিন্ন খাল নালায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ও বাঁধ দিয়ে কিছু অসাধু লোকজন জলাবদ্ধ সৃষ্টি করে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত বলেন, এ এলাকার মানুষ অত্যন্ত ভালো মনের অধিকারী। অনেকেই বলার পর অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Distribution of bulls and bull calves among those families in Kaliganj

কালীগঞ্জে ৪ পরিবারের মাঝে বকনা ও ষাঁড় বাছুর বিতরণ

কালীগঞ্জে ৪ পরিবারের মাঝে বকনা ও ষাঁড় বাছুর বিতরণ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। "সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (ডিটিএলপি)"-এর আওতায় উপজেলার ৪টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে বকনা, ষাঁড় বাছুরসহ গবাদিপশু পালনের বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। বুধবার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে সহায়তার সরঞ্জাম তুলে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা।

প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চারটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারকে স্বাবলম্বী করার জন্য বেছে নেওয়া হয়। উপকারভোগীরা হলেন—তুলসী রানী পাল, মানিক পাল, শেখর কুমার চন্দ্র এবং জগু বর্মন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত চারটি পরিবারের মধ্যে দুটি পরিবারকে একটি করে বকনা (তরুণী গাভী) এবং বাকি দুটি পরিবারকে একটি করে ষাঁড় বাছুর দেওয়া হয়েছে। গবাদিপশু সঠিকভাবে লালন-পালনের জন্য প্রতিটি পরিবারকে আরও দেওয়া হয়েছে ১২৫ কেজি দানাদার খাদ্য, ৪টি ফ্লোর ম্যাট এবং শেড বা চালা তৈরির জন্য ৫টি টিন ও ৪টি পিলার। এই সমন্বিত সহায়তার উদ্দেশ্য হলো, উপকারভোগীরা যেন কোনো প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই পশু পালন শুরু করতে পারেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, "পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে সরকার এই বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় বকনা বা ষাঁড় বাছুর পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম সরকারিভাবেই সরবরাহ করা হয়। আমরা আশাবাদী, এই সহায়তার মাধ্যমে প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।"

মন্তব্য

নাটোরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে দুই গ্রামের মানুষের মানববন্ধন

নাটোরে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে দুই গ্রামের মানুষের মানববন্ধন

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নওদা জোয়াড়ী ও গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে নওদা জোয়াড়ী ও চাপিলা আঞ্চলিক সড়কে দুই গ্রামের শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বক্তারা জানান, প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি বছরের পর বছর ধরে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়ে স্থানীয় কৃষকরা দারুণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বর্ষণে পানির স্তর বেড়ে দুই গ্রামের শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে যাতায়াত—সবকিছুই এখন ব্যাহত হচ্ছে।

মানববন্ধনে নওদা জোয়াড়ী গ্রামের কৃষক ও জয় কৃষির বাড়ির স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন প্রামানিক বলেন, প্রতিবার বর্ষায় আমাদের জমির ফসল নষ্ট হয়। এবারও প্রায় সাত বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে পারিনি। এখন আবার বাড়িতেও পানি উঠেছে।

চাপিলা গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন বলেন, ঘরের ভেতর হাঁটু সমান পানি জমে আছে। চুলায় রান্না করা যাচ্ছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও কষ্ট হচ্ছে।

আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমি ও বাড়িঘর দুটোই ডুবে যাচ্ছে আমরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাই।

মানববন্ধনের বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
"1 lakh Ansar VDP in the service of the nation Director General in Comilla"

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কুমিল্লা রেঞ্জ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত দরবারে বক্তব্য রাখেন। তিনি আনসার-ভিডিপি সদস্যদেরকে নিজস্ব সক্ষমতা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে জাতির সেবায় আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, যোগ্য সদস্য নির্বাচন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এব দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। মহাপরিচালক বাহিনীর নবগৃহীত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-কে সুবহৎ এই বাহিনীর বিশাল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের জীবিকা উন্নয়ন ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে উল্লেখ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবদানের কথা স্মরণ করে মহাপরিচালক বলেন, “দেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের পাশাপাশি হিল আনসার-ভিডিপি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। সমতলেও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের মান পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি নিবেদিত ও সুশৃঙ্খল।” বাহিনীর শৃঙ্খলার মানোন্নয়নে অসাধারণ অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাহিনীর শৃঙ্খলা আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।” তিনি আরও জানান, বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অঙ্গীভূত সাধারণ আনসারদের রেশন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাহিনীর সদস্যদের আস্হা অর্জন সংশ্লিষ্ট পেশাদরিত্ব আগামীতে কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহনের পথকে সুগম করবে, যা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের দায়িত্ব কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়; আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের মাটি ও মানুষের সেবায় ৬০ লক্ষাধিক ভিডিপি সদস্যকে গুণগতভাবে কাজে লাগানো। দুর্যোগ ও জাতীয় ক্রান্তিলগ্নে সুবৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যের এই বাহিনীকে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে ভুমিকা রাখার উদ্যোগই আর্থসামাজিক সমৃদ্ধির মূল পথ।”
সঞ্জীবন প্রকল্প প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, “সঞ্জীবন প্রকল্প কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি প্রান্তিক কর্মহীন জনগোষ্ঠীর উত্তরনের আলোকবর্তিকা। এ প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাগ্রত করবে এবং দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ছিন্ন করে সমাজকে মুক্তির পথে এগিয়ে নেবে।”

“জাতির সেবায় সদাপ্রস্তুত ৬০ লক্ষ আনসার-ভিডিপি: কুমিল্লায় মহাপরিচালক”

উক্ত সভায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
The teaching is being disrupted in the waterlogging of Gangnis educational institution

গাংনীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি, ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

গাংনীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি, ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান

ভাদ্র মাসের শুরু থেকেই টানা বৃষ্টির কারণে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশ পথসহ খেলার মাঠ এখন পানিতে টইটম্বুর। কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষ ও বারান্দা থেকে পানি নেমে গেলেও খেলার মাঠগুলো অধিক সময় ৩ থেকে ৪ ফিট পানির নিচে ধরে ডুবে আছে। ফলে জমে থাকা নোংরা পানিতে রোগবালায় কিংবা দুর্ঘটনার আশংকায় সন্তানকে স্কুল পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।

অভিভাবকদের অভিযোগ, বর্ষার মৌসুমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা থাকলেও তা নিরসনে স্থায়ী কোন সমাধানের ব্যবস্থা নেন না সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন পুরাতন সভাপতি যায়, নতুন সভাপতি আসে তার পরেও কোন সমাধান করেন না।

ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ নিয়েই শ্রেনীকক্ষে যাতায়াত করেন। এবার এই জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী সমাধান চান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাসহ অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আর পিছলে পড়ে গেলে বইগুলো পানিতে ভিজে যায়। ফলে বিড়াম্বনায় পড়ছে ছোট ছোট কোমলমতি শিশুর। বিশেষ করে স্কুলের পাশে থাকা পাবলিক টয়লেটের মল-মূত্র মাঠে জমে থাকা পানির সাথে মিশে একাকার হওয়ায় বাড়ছে রোগবালাই।

হাটু পানিতে বই পত্র নিয়ে শ্রেণি কক্ষ পযর্ন্ত পৌঁছাতে ভিজে যায় তাদের পোশাক। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার জন্য।

বামন্দী গ্রামের সেন্টু মিয়া বলেন, একটা সময় ছিলো এই খেলার মাঠটিতে খেলা দেখতে হাজার হাজার মানুষ আসত। আজ সেখানে জমে আছে কমর পানি। আর এই পানির রং এতটাই কালো যে, তার মধ্যে পা দিতেও ভয় লাগে।

বামন্দী পশুহাট পাড়ার বাসিন্দা রিনা খাতুন নামের একজন অভিভাবক বলেন, দীর্ঘ সময় ধরেই বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। এতে একদিকে যেমন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে শিক্ষক। অন্যদিকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় পাঠিয়ে আতঙ্কে সময় পার করি। কারণ স্কুল মাঠের পাশে রয়েছে একটি গভীর গর্ত। আর সেই গর্তসহ পুরো মাঠ পানির নিচে। বাচ্চারা যদি খেলার ছলেও গিয়ে গর্তে পড়ে যায়। তাহলেই সব শেষ। তাই অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর করার জোর দাবি জানায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে জলবদ্ধতা। এটা বামন্দী এলাকার একটি জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ।কিন্তু দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে কোন খেলায় এখানে হয় না।

আরেক শিক্ষার্থী বালিয়াঘাট গ্রামের তারেখ বলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে চলে এসেছি। বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজটি হচ্ছে জেলার সবচেয়ে বানিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজেস্ব মার্কেটে রয়েছে ২"শ ৫০টি দোকান। অথচ সেই প্রতিষ্ঠানের মাঠের এই দুর অবস্থা। তাই আমি জলাবদ্ধতা দেখে বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ শরুপ স্কুল মাঠে জমে থাকা পানিতে দেশি প্রজাতীর কৈ, টাকি, জিওল ও তেলাপিয়া মাছ ছেড়ে দিয়েছি। দুই মাসে মাছ গুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। এবং তা বেশ কিছু স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচার হলেও স্কুল কর্তপক্ষের কোন ভূমিকা দেখিনি।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সাজেদুর রহমান স্বপন বলেন, আমাদের এখানে দীর্ঘদিন ধরে জলবদ্ধতা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে অনেক পানি জমে যায়। তবে আমরা উদ্যোগ নিয়ে সেলো ইঞ্জিন(পানি তোলার মেশিন) দিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরে কিছু পানি কমিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলাম। তবে আবার গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তা আগের চেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আসলে এভাবে হয় না। তবে এর একটা স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। আমরা এখন পর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পায়নি। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম (অ:দা:) বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।এটা নিরসনের জন্য আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা বিষয়টা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করছি। জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিদ‍্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মন্তব্য

জাতীয়
Memorandum of Understanding between Dhaka South City Corporation and Nursing and Midwifery Department

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এর নির্দিষ্ট নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মিডওয়াইফারি-নেতৃত্বাধীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)-এর মধ্যে আজ একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA)-এর উদ্যোগে, সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (SIDA)-এর অর্থায়ন এবং জ্যাপাইগো বাংলাদেশ (Jhpiego)-এর অংশগ্রহণে সম্পন্ন এই চুক্তি ঢাকার নগর স্বাস্থ্যসেবায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মিডওয়াইফদের জন্য কারিগরি নির্দেশনা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, জাতীয় নীতিমালা অনুযায়ী স্থায়ী মিডওয়াইফারি পদ সৃষ্টিতেও তারা সহায়তা করবে।

অন্যদিকে, ডিএসসিসি নগর স্বাস্থ্যসেবায় মিডওয়াইফদের সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া, মিডওয়াইফদের সেবার মান ও সহায়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিসহ নগরবাসীর জন্য মানসম্মত ও সুলভ স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তুলতে কাজ করবে।

ডিএসসিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পক্ষে সংস্থাটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে এই সমঝোতা স্মারক নব দিগন্তের উন্মোচন করেছে।” সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নরমাল ডেলিভারি ও প্রসূতি সেবার প্রসারে এবং প্রান্তিক পর্যায়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ডিএসসিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিডওয়াইফারি সেবা চালু করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ডিএসসিসির ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও নাজিরাবাজার মাতৃসদনে সার্বক্ষণিক মিডওয়াইফারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে UNFPA বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. আবু সাইদ হাসান বলেন, এই অংশীদারিত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে টেকসই ও উচ্চমানের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য এবং এসডিজি অর্জনে সহায়ক হবে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতি. দা.) ডাঃ নিশাত পারভীন এবং DGNM, UNFPA, Jhpiego, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে