× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বিপুল ভোটারের নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগের
google_news print-icon

বিপুল ভোটারের নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগের

বিপুল-ভোটারের-নির্বাচনেও-জয়-আওয়ামী-লীগের
চুয়াডাঙ্গায় নৌকার প্রার্থীর জয়ের পর আনন্দ মিছিল বের করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
২৩টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপি জয় পেয়েছে দুটিতে, দুটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, একটিতে জয় পেয়েছেন দলের মনোনয়ন না পাওয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা। বাকি ১৮টিতে জয় পেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। এক প্রার্থীর মৃত্যুতে একটিতে ফল ঘোষণা স্থগিত।

প্রথম ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপিও জয় পেয়েছে দুটি এলাকায়, যদিও বেশিরভাগ এলাকায় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।

২৪টি পৌরসভার মধ্যে একটির ফল ঘোষণা স্থগিত আছে শেষ মুহূর্তে বিএনপির প্রার্থীর মৃত্যুতে।

বাকি ২৩টি পৌরসভার মধ্যে বিএনপি জয় পেয়েছে দুটিতে, দুটিতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, একটিতে জয় পেয়েছেন দলের মনোনয়ন না পাওয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা। বাকি ১৮টিতে জয় পেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে নিম্ন ভোটার উপস্থিতিতে বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে আসছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সোমবার দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। আর কয়েক বছর ধরে ভোটের যে ধারাবাহিকতা, তা পাল্টায়নি এবারও। বেশিরভাগ এলাকায় সরকারদল জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে।

বিএনপি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ভোটে কারচুপি হয়েছে ব্যাপক। তাদের জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে এই ভোট চলাকালে বিএনপির তিন জন প্রার্থী বর্জন করেছেন নির্বাচন। বাকিরা শেষ পর্যন্ত ভোটে ছিলেন। তেমন কোনো গোলযোগের খবর আসেনি কোথাও।

২৪টি পৌরসভায় ৩১৯টি ভোট কেন্দ্রে সকাল আটটায় ভোট শুরু হয়। সকাল থেকেই বিপুল ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভায় ভোটার উপস্থিতি এত বেশি ছিল যে নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোট নিতে হয়েছে কয়েক ঘণ্টা পরেও। শায়েস্তাগঞ্জে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পর্যন্ত।

এসব কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ছয় লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ জন।

সব মিলিয়ে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন ৬০ শতাংশের কম ভোট পড়েনি কোথাও। কোথাও কোথাও ভোট পড়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।

গত কয়েক বছর ধরেই ভোট নিয়ে নানা সমালোচনা করে আসছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এই ভোটের নয় দিন আগে ৪২ জন নাগরিক নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেয়ার পর এই ভোট নিয়ে বাড়তি উৎসাহ তৈরি হয়।

কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর মনে করেন এই পরীক্ষায় তারা পাস করেছেন ভালোভাবেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে ভোট খুবই ভালো হয়েছে। সারাদিন শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে। সে হিসেবে বলাই যায় সাকসেসফুল নির্বাচন হয়েছে।’

কোন পৌরসভায় কার জয়

রংপুর বিভাগ

পঞ্চগড় সদরে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাকিয়া খাতুন জিতেছেন ১২ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ বারের পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন নয় হাজার ৪৭৫ ভোট।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হক জিতেছেন ৯ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কাশিরুল ইসলাম পেয়েছেন দুই হাজার ৭৬১ ভোট। বিএনপির রেজাউল করিম রেজা পেয়েছেন দুই হাজার ৭১৪ ভোট।

রংপুরের বদরগঞ্জেও জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল নৌকা নিয়ে পেয়েছেন নয় হাজার ৭৩৩ ভোট।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রর্থী হওয়া আজিজুল ইসলাম। নারিকেল গাছ প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন চার হাজার ৪৭৮ টি। এখানে বিএনপি তৃতীয় হয়েছে।


বিপুল ভোটারের নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগের

কুড়িগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কাজিউল ইসলাম জিতেছেন ১৯ হাজার ৭৭৩ ভোট পেয়ে। বিএনপির শফিকুল ইসলাম বেবু পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৬৮ ভোট।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদ আলম লিটন। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির ওই নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন সাত হাজার ৭৪৭ ভোট।

গত দুই বারের মেয়র ফুলবাড়ী কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলনের নেতা মরতুজা সরকার মানিক পেয়েছেন সাত হাজার ৪০ ভোট পান।

এখানে নৌকা প্রতীকে খাজা মঈন উদ্দীন পেয়েছেন তিন হাজার ৪৬০ এবং ধানের শীষে শাহাদৎ হোসেন পেয়েছেন তিন হাজার ৪২ ভোট পান।

রাজশাহী বিভাগে

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আল মামুন জিতেছেন পাঁচ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগের রবিউল ইসলাম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৬০ ভোট।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে যুবলীগ নেতা গোলাম আযম নয়ন প্রার্থী হয়ে ভেটে পেয়েছেন এক হাজার ১৭৪ ভোট।

একই জেলার কাটাখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের আব্বাস আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে জিতেছেন ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে। এখানে প্রার্থী ছিলেন আরও দুই জন, যাদের ভোটের সংখ্যা নগণ্য।

আব্বাসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় জামায়াত নেতা মাজিদুর রহমান পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট। বিএনপির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৩ ভোট।

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগের সাখাওয়াত হোসেন সাখো জিতেছেন ছয় হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে। বিএনপির বিদ্রোহী আব্দুল মান্নান দ্বিতীয় হয়েছেন ৮৪২ ভোট পেয়ে। ভোট বর্জন করা বিএনপির আসাদুজ্জামান আরশেদ পেয়েছেন ৮৫ ভোট।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের মনির আক্তার খান তরু লোদী জিতেছেন ২৯ হাজার ৮৭ ভোট পেয়ে। বিএনপির মাহমুদুল হাসান সজল দ্বিতীয় হয়েছেন এক হাজার ৮৬৭ ভোট পেয়ে।

খুলনা বিভাগ

কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের তারিকুল জিতেছেন নয় হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাফিস আহমেদ খান রাজু পেয়েছেন এক হাজার ৫৮৩ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে জাহাঙ্গীর আলম মানিক পেয়েছেন ২১ হাজার ৬৩৩ ভোট। বিএনপির বিদ্রোহী মজিবুল হক মালিক মজু দ্বিতীয় হয়েছেন সাত হাজার ৬০৭ ভোট পেয়ে। বিএনপির সিরাজুল ইসলাম মনি পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫৮৭ ভোট।


বিপুল ভোটারের নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগের

ঢাকা বিভাগ

ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের গোলাম কবির মোল্লা জিতেছেন ২৩ হাজার ১১০ ভোট পেয়ে। ভোট বর্জন করা বিএনপির দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু পেয়েছেন এক হাজার ৫০৩ ভোট।

মানিকগঞ্জ পৌরসভায় ১৫ গুণ বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। আওয়ামী লীগের রমজান আলী পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৮৫ ভোট। বিএনপির আতাউর রহমান পেয়েছেন মাত্র দুই হাজার ৩৩৪ ভোট।

বিপুল ভোটারের নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগের

ময়মনসিংহ বিভাগে

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নৌকার প্রার্থী এসএম ইকবাল হোসেন সুমন জিতেছেন ১২ হাজার ৪১১ ভোট পেয়ে। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী শাহ্ আব্দুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ১৯০ ভোট।

নেত্রকোণার মদনে তিন হাজার ১৪১ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম।

দ্বিতীয় হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন। তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৮৬৯ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এখানে তৃতীয় হয়েছেন।


বিপুল ভোটারের নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগের

বরিশাল বিভাগ

বরিশালের বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগের লোকমান হোসেন ডাকুয়া সাত হাজার ৪১ ভোট পেয়ে জিতেছেন। ইসলামী আন্দোলনের খলিলুর রহমান দুই হাজার ৪১১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। বিএনপির এসএম মনিরুজ্জামান ৯১৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

উজিরপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বেপারী জিতেছেন পাঁচ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে। বিএনপির শহিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট।

বরগুনার বেতাগীতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের এবিএম গোলাম কবির পেয়েছেন ছয় হাজার ১০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের হুমায়ুন কবীর মল্লিক পেয়েছেন ৫০৯ ভোট।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। ভোট পেয়েছেন তিন হাজার ৩৩৩টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুল বারেক মোল্লা পেয়েছেন দুই হাজার ৬৮৪ ভোট। বিএনপির আবদুল আজিজ মুসুল্লী পেয়েছেন ৩২৬ ভোট।


বিপুল ভোটারের নির্বাচনেও জয় আওয়ামী লীগের

সিলেট বিভাগ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী ফরিদ আহমেদ অলি জিতেছেন চার হাজার ৪১ ভোট পেয়ে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগের মাসুদ উজ্জামান মাসুক পেয়েছেন তিন হাজার ১৯৩ ভোট। গত নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ নেতা সালেক আহমেদ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৫৯৯ ভোট।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আওয়ামী লীগের আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জিতেছেন পাঁচ হাজার ৯৭৮ ভোট পেয়ে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলাম দ্বিতীয় হয়েছেন তিন হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে। বিএনপির আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৯৪ ভোট।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিশ্বজিৎ রায়। ভোট পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯১০টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারফ মিয়া পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৫৭ ভোট। ভোটের ব্যবধান ১৫৩।

বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হোসেন চৌধুরী এক হাজার ৯৬০ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়।

চট্টগ্রাম বিভাগে

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদিউল আলম ১০ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবুল মনছুর পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২ ভোট।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
There is no alternative to open reservoirs to resolve the domestic fish crisis Fisheries and Livestock Advisor

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশীয় মাছ সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের বিকল্প নেই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।

উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।

চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।

খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

জাতীয়
New Member of the Press Council Matiur Rahman Chowdhury

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

প্রেস কাউন্সিলের নতুন সদস্য মতিউর রহমান চৌধুরী

সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’

বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।

এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।

মন্তব্য

জাতীয়
Meeting the Religion Advisor with the Prime Minister of Pakistan

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।

এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Decision to form an independent investigation service of the police

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত

পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’

সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

জাতীয়
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে