দেশের ২৪টি পৌরসভা নির্বাচনে ভােট গ্রহণ চলছে।
সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
২৪টি পৌরসভায় মেয়রের পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন ছয় লাখ ২৪ হাজার ৮০৭ জন ভোটার।
বরিশাল
জেলায় ভোট হবে বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর পৌরসভায়।
রোববার বিকালের মধ্যেই ভোটগ্রহণের জন্য ইভিএম মেশিন পাঠানো হয় কেন্দ্রে। এর আগে দুই পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বরতদের দুই দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লোকমান হোসেন ডাকুয়া, বিএনপির এসএম মনিরুজ্জামান ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের খলিলুর রহমান।
সংরক্ষিত নয় জন ও সাধারণ কাউন্সিল ২৫ জন প্রার্থীও রায়ের অপেক্ষায়। নয়টি কেন্দ্রের ৪৯টি কক্ষে ভোট দেবেন ১৫ হাজার ৩০৪ জন ভোটার।
উজিরপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বেপারী, বিএনপির শহিদুল ইসলাম খান ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের কাজী শহিদুল ইসলাম।
সাধারণ কাউন্সিল পদের জন্য ২৪ জন আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলের জন্য ৯ জন আছেন ভোটের লড়াইয়ে।
এখানে নয়টি ভোট কেন্দ্রের ৪১টি কক্ষে ভোট দেবেন ১১ হাজার ৯২৪ জন।
চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ৩৩টি কেন্দ্রে নেয়া হবে ভোট। রোববার দুপুরেই সেগুলোতে ইভিএম পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে ১০টি পয়েন্টে ভোটারদের ইভিএমে ভোট দানের পদ্ধতি শেখানো হয়েছে।
পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০৮ জন।
মেয়র পদে লড়ছেন সাত জন। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, বিএনপির সিরাজুল ইসলাম মনি, ইসলামী আন্দোলনের তুষার ইমরান ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন মনিবুল হাসান পলাশ, সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ ও তানভীর আহমেদ মাসরিকী।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর তিনটি পদে ১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলরের নয়টি পদে ৬৪ জন লড়াই করছেন।
বুধবার সকালে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিল্লাল হোসেন বেল্টু মারা যাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন।
কুষ্টিয়া
জেলার খোকসা পৌরসভায় হচ্ছে ভোট। রোববার বেলা ১২টায় উপজেলা থেকে কেন্দ্রগুলোতে ইভিএম মেশিন সরবরাহ করা হয়।
নয়টি ওয়ার্ডে মোট নয়টি ভোটকেন্দ্রের জন্য ৭২টি ইভিএম মেশিন দেয়া হয়েছে। পাঁচটি করে ইভিএম মেশিনের বিপরীতে তিনটি মেশিন রিজার্ভ রাখা হচ্ছে।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন পরিচালনাকারীদের ইভিএম সম্পর্কে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
ভোট সুষ্ঠু রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে বলে জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত।
পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী দুই জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তারিকুল ইসলাম ও বিএনপির নাফিজ আহম্মেদ খান রাজু।
নয়টি ওয়ার্ডে ৩১ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের তিনটি পদে ১০ জন অংশ নিয়েছেন।
পৌরসভায় ভোটার ১৪ হাজার ৯৪০ জন।
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ভোট দিতে দুপুরে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের হল রুমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনি সরঞ্জাম হস্তান্তর করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার।
এখানে মেয়র পদে দুই জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন আর সংরক্ষিত নারী আসনে ১৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৫৫ হাজার ২০২ জন, এর মধ্যে পুরুষ ২৬ হাজার ৯৬৬ জন, নারী ২৮ হাজার ২৬৬ জন।
নয়টি ওয়ার্ডে ২৫টি কেন্দ্রের ১৪৫টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, ৪৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৪৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ২৯০ জন পোলিং এজেন্ট দায়িত্ব পালন করবেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৬১৯ জন পুলিশ ও ২২৫ জন আনসার দায়িত্ব পালন করবেন।
মৌলভীবাজার
এই জেলায় ভোট হবে বড়লেখা পৌরসভায়।
বিকেলে এখানকার নয়টি কেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো হয়। এসব কেন্দ্রে ৪৩টি ভোটকক্ষের প্রতিটির জন্য একটি করে ইভিএম পাঠানোর পাশাপাশি আরও তিনটি দেয়া হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে।
নির্বাচনে দুই প্লাটুন বিজিবি, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সমস্ত পৌর এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন।
নির্বাচনে তিন জন মেয়র প্রার্থী ও ২৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১১ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, বিএনপির আনোয়ারুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র সাইদুল ইসলাম।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ভোটার ১৫ হাজার ৪৪৩ জন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
পঞ্চগড়
পঞ্চগড় পৌরসভায় ভোট নিতে দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
প্রিজাইডিং অফিসাররা মালামাল বুঝে নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে যান।
১৫টি কেন্দ্রে ৯৭ বুথে নেয়া হবে ভোট। মেয়র পদে ৩ জন, কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঢাকা
জেলায় ভোট হবে ধামরাই পৌরসভায়। নয়টি ওয়ার্ডের ২১ কেন্দ্রে ১০৮টি কক্ষে নেয়া হবে ভোট। মোট ভোটার ৪২ হাজার ৬৪৪ জন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের গোলাম কবির মোল্লা, বিএনপির দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ও ইসলামী আন্দোলনের শওকত হোসেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নয় জন লড়াই করছেন।
ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে নির্বাচনি মালামাল স্ব-স্ব কেন্দ্রে চলে গেছে। আনসার, বিজিবি ও র্যাব টহলে আছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে নয় জন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
অনিয়মের অভিযোগ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভায় ভোটের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার।
তার দাবি, নৌকার প্রার্থী আবদুল বারেক মোল্লার নির্দেশে তার ছেলে মাসুদ মোল্লা এবং ভাই লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লার বাহিনী তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করছে, হুমকি দিচ্ছে। তার লোকদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মুহিব গত শুক্রবার থেকে নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
তবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেলা প্রশাসনের বিশেষ নির্দশনা রয়েছে। মাঠে পর্যাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। আশা করি, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ হবে।’
আরও যেসব পৌরসভায় ভোট
রংপুর বিভাগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম সদর।
রাজশাহী বিভাগে রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালী, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও পাবনার চাটমোহর।
খুলনা বিভাগে খুলনার চালনা।
বরিশাল বিভাগে বরগুনার বেতাগী।
ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোণার মদন।
সিলেট বিভাগে সুনাগঞ্জের দিরাই, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ।
চট্টগ্রাম বিভাগে একমাত্র পৌরসভা হিসেবে ভোট হচ্ছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডতে।
গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। তবে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে স্থগিত হয়েছে নির্বাচন।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।
বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।
ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।
দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি। এটা কিন্তু খুব কমই প্রতিকার নিতে পারছি আমরা। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আমারও দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণেরও সচেতনতা প্রয়োজন। ফেনীতে অনুষ্ঠিত অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি ফেনী থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
ফেনী জেলা প্রশাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো: এমদাদুল হক চৌধুরী, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো: পারভেজ হাসান বিপিএএ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, সাংবাদিক আবু তাহের, ফেনী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নুরুল আমিন খান, ফেনী সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা নাসরিন কান্তা, ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বৃহত্তর নোয়াখালীর ভূমি বিষয়ক সার্চ অফিসার সরোয়ার উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক প্রমূখ।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলার ভূমি বিভাগ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে, কিন্তু এই পদক্ষেপটি আমরা গত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, গত সরকারের সময়ে প্রকাশিত জিডিপি, ব্যক্তিগত আয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলো বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। বাস্তবিক অর্থে,স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
উপদেষ্টা আজ বুধবার (১৩ আগষ্ট) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট আয়োজিত "বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন"- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরিসংখ্যান বহন করলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদের দেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা গ্রহণের সময় আসবে, এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে তা অনুযায়ী নিয়ম মেনে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে শুল্ক ও জিএসপি সুবিধার প্রভাব কোথায় বৃদ্ধি পাবে এবং কোথায় হ্রাস পাবে, তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় গবাদিপশুর বাজারে প্রভাব পড়বে এবং লাখ লাখ খামারি, বিশেষ করে গরীব মহিলারা যারা গরু লালন-পালন করে উদ্যোক্তা হিসেবে অবদান রাখছেন, তাদের ক্ষতি হবে।
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে মাংস আমদানি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। কারণ, আমদানি করা মাংসের মাধ্যমে জুনোটিক রোগ প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, সাগরের সি উইড ও কুচিয়া রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের আমদানি হ্রাস করতে হবে এবং দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এসময় আরো বক্তৃতা করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জেনেভা ভিত্তিক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চার সানিয়া রিড স্মিথ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ মাসুদ, অ্যাডভোকেট তাসলিমা জাহান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক উদ্যোগের কো-অর্ডিনেটর বারাকাত উল্লাহ মারুফ।
তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও সক্রিয় হয়ে অপতথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নীতি, উন্নয়ন কর্মসূচি ও সাফল্যের প্রচারে তথ্য অধিদপ্তর প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই দায়িত্ব নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে।
বুধবার তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘তথ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম অধিকতর দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে’ আয়োজিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর।
তথ্য সচিব বলেন, সরকার যেসব জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে, সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সরকারের বার্তা জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেন, তারাই প্রথম চালিকাশক্তি। এখন ডিজিটাল মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকা সময়ের দাবী।
বর্তমানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অপতথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, অপতথ্যের বিরুদ্ধে আপনাদেরই দক্ষ শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ, সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত প্রচার করতে হবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, শিক্ষিত ও দক্ষ। অপতথ্য ছড়ানো গোষ্ঠী ছোট এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা অশিক্ষিত বা সরকারের কাজ সম্পর্কে অবগত নয়। সে তুলনায় আপনারা অনেক বেশি যোগ্য।
তথ্য সচিব বলেন, নিউজ ও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে শুধু পরিসংখ্যান নয়, মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তনের দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে। এজন্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট, ছোট ভিডিও, লাইভ কভারেজ এবং সময়োপযোগী গল্প বলার কৌশল প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।
তরুণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মাহবুবা ফারজানা বলেন, আপনারা ইয়াং স্টার। আপনারা অবশ্যই পারবেন। প্রচার-প্রচারণার মান উন্নয়ন করুন। লেখার মান, বলার মান উন্নত করুন। প্রতিটি সংবাদ যেন সরকারের সাফল্যের জীবন্ত চিত্র হয়।
তথ্য সচিব আরও বলেন, সংবাদ শুধু নয়, তথ্য হচ্ছে বিশ্বাসের ভিত্তি। সত্যনিষ্ঠ খবর প্রচার করতে হবে। তথ্যের মাধ্যমে আস্থা গড়ে তুলেই বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই।
মন্তব্য