চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি। পাবনার আটঘরিয়ার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে মধ্য বয়সী দুই জনের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পরদিন মামলা হয়, গ্রেপ্তার হন আব্দুল করিম ও বিল্লাল হোসেন। এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় ১১ মাস। পুলিশ এখনও শেষ করতে পারেনি তদন্ত।
এরই মধ্যে দুই আসামির একজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
এমনও না যে, আসামিরা প্রভাবশালী আর ঘটনা নিয়ে জটিলতা আছে। ঘটনার পর পরই আসামি গ্রেপ্তার, চাক্ষুষ প্রমাণও আছে।
তদন্তে এত দেরি কেন?
পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হওয়ায় অভিযোগপত্র তৈরি করা যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, মামলার সত্যতা প্রমাণে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর ডিএনএ পরীক্ষার ফল প্রয়োজন।
তবে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ করছে, ডিএনএ টেস্টের কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে।
ছোট্ট একটা মাটির ঘরে থাকেন ভুক্তভোগী তরুণী ও তার মা। জন্মের দেড় মাসের মাথায় বাবা ছেড়ে চলে যায় তাদের। তারপর থেকে লাপাত্তা। এখন পর্যন্ত স্বামীর খোঁজ জানেন না মেয়েটির মা।
এখনও মুখে কথা ফোটেনি, বয়স যদিও ১৮। মুখ দিয়ে ঝরছে লালা। বাড়ির উঠোনে কজন মানুষ দেখতে খুব বিরক্তি লাগছিল তার। মাঝে মধ্যে চিৎকারও করে উঠছিল।
মেয়েটির মা নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার দিন সকালে ভাইয়ের মেয়েকে পোলিও টিকা দেয়ার জন্য বাড়ির বাইরে যান তিনি। তখন আব্দুল করিম ও বিল্লাল হোসেন তার মেয়েকে ঘরের রশি দিয়ে বেধে ধর্ষণ করেন।
ফিরে এসে দেখেন, করিম দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়ে তার আহাজারি করছে। ঘরে ঢুকে মেয়ের হাতের বাঁধন খোলার সময়, বিল্লাল দৌড়ে পালিয়ে যান।
‘মেয়ে আমার কথা বলতি পারে না। খালি চিৎকার করে, আর চোখ দিয়ে পানি পড়ি যাই। আমি এসে দেখি করিম দৌড় দিয়ে চলি গেছে। আমার মেয়েডা ছটফট করতিছিল। কথা বলতি পারে না। শরীলডাতে মারের দাগ। এত জোরে ছটফট করিছে যে ঘরের মধ্যে মাটি উঠে গেছে’- বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ের মা।
করিমকে ওই সময় ধরা যায়নি। তবে মায়ের চিৎকারে আশেপাশের সবাই বিল্লালকে আটক করে। তিনি ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন।
কোনো নির্দিষ্ট কাজ করেন না করিম ও বেলাল। গ্রামের চুরির অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। অনেকেই দাবি, দুস্থ ও অবহেলিত একাধিক মেয়েকেই ধর্ষণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তবে মামলা না হওয়ায় বেঁচে যান সব সময়। অভিযোগ উঠলেই পালিয়ে গিয়ে পরে সুযোগ বুঝে ফিরে এসেছেন।
মেয়েটির মামা নিউজবাংলাকে বলেন, পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা কনক কুমার সরকার মামলার পর করিম ও বেলালকে আটক করে। ওইদিন তার ভাগ্নিকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদেরকে বলে যেহেতু এটা ধর্ষণ মামলা তাই ঢাকাতে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হবে আসামিদের। এর জন্য মেয়েটির পাজামা নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আসামিদেরকেও ঢাকাতে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে এই যাতায়াত ভাড়ার জন্য তাদেরকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।’
মেয়েটির মা বলেন, ‘আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাইলে আমি প্রথমে দিতে রাজি হইনি। তবে এই টাকা নাকি প্রমাণের জন্য লাগবে। এটা জানার পর আমি থানায় আলাদা একটা রুমে তদন্ত কর্মকর্তা কনক কুমারকে ধারদেনা করে নয় হাজার টাকা দিই।
‘মামলার ১৫-২০ দিন পর আমাকে বলা হয় আসামি আর আপনার মেয়ের জামা ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা পাঠানো হবে। এর জন্য আমাদের মাইক্রো ভাড়া লাগবে। আমি আমার ফুফাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলি। সে আমাকে জানায় টাকা লাগে না। কিন্তু পুলিশ তো টাকা ছাড়া নড়বে না তাই টাকা দিতে হবে।’
যদিও টাকা নেয়ার অভিযোগকে স্বীকার করতে চান না সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা কনক কুমার সরকার। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এটা কখনই সম্ভব না। ভিকটিমের পারিবারিক অবস্থা এত খারাপ যে আমার অনেকবার মনে হয়েছে তাদেরকে টাকা দিই। হয়ত এক আসামি জামিন পেয়েছে। এটা জানার পর তাদের সব ক্ষোভ আমার ওপর পড়েছে।’
কনক বলেন, ‘আমি ওই সময় নিজ খরচে আসামি ও ভুক্তভোগীর কাপড় ঢাকায় এনেছি। এমনকি মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য যে সরকারি খরচ লাগে সেটিও আমি বহন করেছি।
‘মামলার করার সঙ্গে সঙ্গে আমি দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থিত করি। আদালতের নির্দেশের সাপেক্ষে অভিযুক্তদের সঙ্গে ভিকিটিমের ডিএনএ মিল আছে কিনা এটা পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। করোনা ভাইরাসের জন্য ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) এর পরীক্ষাগার দুইমাস বন্ধ ছিল। দুই মাস পর আবার চালু হয়। আমি বারবার তাগাদা দিলে তারা আমাকে অফিসিয়ালি জানায় টেকনিক্যাল ত্রুটির জন্য দেরি হচ্ছে। সেটিও আমি মামলাতে উল্লেখ করি।’
কনক আরও বলেন, ‘আমি যতদিন ওই থানায় ছিলাম ততদিন পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম যেন দ্রুত শেষ হয় তার সব চেষ্টা করেছি। কোন ধরনের ত্রুটি রাখিনি।’
এই ১১ মাসে বদলে গেছে অনেক কিছু। আটঘরিয়া থানায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদলি হয়েছে। নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন এসআই মোজাম্মেল হোসেন।
এতদিনেও এ ঘটনার কোনো সাড়া শব্দ নেই গ্রামটিতে। পুলিশের কর্মকর্তারা প্রথমে দুই একদিন আসলেও এখন আর কেউ তেমন খোঁজ নিতে আসে না।
নতুন তদন্ত কর্মকর্তা একদিন এসেছিলেন জানিয়ে মেয়েটির মা বলেন, ‘একদিন মোজাম্মেল এসেছিলেন। কিছু সময় দেখা করেন। পরে জামিনে থাকা আসামি বিল্লালের বাড়িতে যান। সেখান যাওয়ার সময় আমাকে সঙ্গে যেতে মানা করেন।’
তিনি বলেন, ‘মেয়ে আমার রাতে ঘুমায় না। চিৎকার করে কান্নাকাটি করে। খিঁচুনি দিয়ে বাথরুম করে ফেলে। এখন তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’
এ বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জামিনে মুক্ত হন বিল্লাল হোসেন। তিনি গ্রামে ভিক্ষা করেন।
মেয়েটির মার অভিযোগ, বিল্লালের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সমঝোতা করতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কথা না শুনলে ভালো হবে না বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে।
আটঘরিয়া থানার বর্তমান ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই মাসে (ডিসেম্বরে) ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা অভিযোগপত্র দিয়ে দিতে পারব।’
প্রতিবেদনে কী এসেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টেস্টে করিমের ডিএনএ ম্যাচ করেছে। আমরা করিম ও বিল্লালকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেবো। বিল্লাল ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করেছে এই মর্মে তাকে আসামি করা হবে।’
টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার থানাতে কখনও সম্ভব নয়। আমাদেরকে প্রতিটা মামলার তদন্তের জন্য আলাদা খরচ দিয়ে দেয়া হয়।’
মেয়েটির মা জানান, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সংগঠন ‘আমরাই পারি’ থেকে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হয়।
মামলা পরিচালনা ও মেডিক্যালের বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারেক সার্বিক সহায়তা করেন এই সংগঠনের স্থানীয় কর্মী আজমেরী হুমায়ুন রনি।
আরও পড়ুন:সরকার ও বিরোধী দলের সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পর আগামীতে গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
রোববার বেসরকারি ‘চ্যানেল ২৪’-এর কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা এসেছে। আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।’
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগে পররাষ্ট্র দপ্তর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধী ব্যক্তিরা।
ভিসানীতি প্রয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, (গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী) এসব ব্যক্তি ও তাদের নিকটতম পারিবারিক সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এছাড়া একই অপরাধে জড়িত অন্য ব্যক্তিরাও ভিসানীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার হারাবেন। এদের মধ্যে আছেন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ২৪ মে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন। সে সময় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অর্থ হিসেবে বলা হয়, ভোট কারচুপি, ভোটারকে ভয়ভীতি দেখানো, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধাদান, রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, মিডিয়াকে মতপ্রকাশে বাধা দেয়া।
আরও পড়ুন:কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। মূল টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি সজ্জিত।
দেশের প্রথম পানির নিচের এই টানেল এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে এই টানেলে চলাচল করা যানবাহনের টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: ইউএনবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে টানেলটি উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেবেন। পরদিন থেকে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টানেলের প্রাথমিক নির্মাণকাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। বর্তমানে টানেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই অসাধারণ প্রকল্পের উদ্বোধন পানির নিচে টানেলের যুগে বাংলাদেশের প্রবেশের সূচনা করছে। এই স্মরণীয় অর্জন দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে, যা জাতির জন্য গর্বের বিষয়।’
সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘টানেলটি প্রাথমিকভাবে যানবাহন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। চলমান প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস এবং থানা ভবনের মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনসহ বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টানেল প্রকল্প কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘টানেলকেন্দ্রিক একটি পুলিশ স্টেশন, একটি ডাম্পিং এলাকা এবং একটি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় জায়গাও সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
‘উদ্বোধনের পরও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যারা এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত এবং যারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন তাদের নিজস্ব গাড়ি থাকবে।’
সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টানেল এলাকার অভ্যন্তরে এবং এর আশপাশে যানবাহন চলাচল পরিচালনার জন্য ট্রাফিক বিভাগ একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
‘টানেলে কী ধরনের যানবাহন চলবে তা ঠিক করা হয়েছে। টোলও নির্ধারণ করা হয়েছে। টানেলের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে।’
সচিব বলেন, ‘টানেলের ধারণাটি আমাদের কাছে নতুন। এজন্য এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এটি অন্যান্য সেতু বা রাস্তা থেকে আলাদা। সেক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে টানেলটি নিরাপদ থাকবে এবং যারা এটি ব্যবহার করবে তারাও নিরাপদে থাকবে।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি না যে এই মুহূর্তে দুই বা তিন চাকার গাড়ির জন্য এটি নিরাপদ।’
টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম শহরের পরিধি বাড়বে।’
বদলে যাচ্ছে আনোয়ারা
টানেলের এক প্রান্ত চট্টগ্রাম শহর এবং অপর প্রান্ত আনোয়ারা উপজেলার দিকে। টানেলের উন্নয়ন আনোয়ারাকে একটি ক্রমবর্ধমান শহরে রূপান্তরিত করছে। একই সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলায় জমির দামও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের টার্মিনাসে যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প-কারখানা। টানেলটি চালু হলে কর্ণফুলী নদী পারাপারের সময় কমে দাঁড়াবে মাত্র ৩ মিনিটে।
টানেলের আদ্যোপান্ত
টানেলটি রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পাশাপাশি পর্যটন নগর কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।
মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং দুটি চার লেনের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার থাকবে।
টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে অবস্থিত।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রথম বা উত্তর টানেলের বোরিং শুরু হয়।
২০১১ সালে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ২০১৪ সালে একটি সমঝোতা স্মারকের পর ২০১৫ সালের ৩০ জুন ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঠিকাদার নিয়োগের পর ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জিটুজি) যৌথ অর্থায়নে মোট ১০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। টানেলের নির্মাণ কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)।
কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের অনুরূপ ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ ধারণা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
টোল নির্ধারণ
৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহারে মোট ১২ ধরনের যানবাহনে টোল চার্জ দিতে হবে। প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টোল ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পিকআপ ট্রাককে প্রতি ক্রসিংয়ে ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ২৫০ টাকা টোল নেয়া হবে।
৩১টির কম আসনের বাসগুলোর ৩০০ টাকা এবং ৩২টির বেশি আসনের বাসগুলোর জন্য ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
পাঁচ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। আট টনের ট্রাকে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা দিতে হবে। তিন এক্সেল কনটেইনার ট্রেইলারের জন্য দিতে হবে ৮০০ টাকা।
চার এক্সেলের একটি ট্রেলারের টোল এক হাজার টাকা। তবে প্রতিটি অতিরিক্ত এক্সেলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে। টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য চালুর দিন থেকেই এ টোল হার কার্যকর হবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে তিনি বলছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
২৩ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিতে সিইসি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমি আপনার চিঠি পেয়েছি, যেখানে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব বলে আপনাকে আশ্বস্ত করছি। সরকারও বারবার নিজের জায়গা থেকে সহায়তা করার বিষয়ে অঙ্গীকার করছে। তা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্যতা যোগ করবে।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তবুও আসন্ন সাধারণ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে যেভাবেই সমীচীন বলে মনে করা হোক না কেন, সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
এর আগে চার্লস হোয়াইটলি এক চিঠিতে সিইসিকে লেখেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজেট স্বল্পতার কারণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ। চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা পরিষ্কার নয় যে, নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয় শর্তাবলীয় পূরণ হবে কি না। তবে তারা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠালেও সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অন্যান্যভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামী নভেম্বরে ঘোষণা করা হতে পারে এবং ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হতে পারে।
বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির রোববারের প্রতবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’
সৌদির জাতীয় দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজেদের জাতীয় দিবস উদযাপন করবে সৌদি দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর ও দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌদির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
সৌদি দূত আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্ত বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের মূল গভীরে প্রোথিত।
আরও পড়ুন:দেশের আট বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, তিনটিতে হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাংশে সক্রিয় ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক থেকে সড়কপথে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান তিনি।
বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নিউ ইয়র্কে তার আবাসস্থল দ্য লোটে থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়বেন। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করবেন তিনি।
সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বেন। আগামী ৪ অক্টোবর তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয় বলে আল জাজিরার কাছে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
সংবাদমাধ্যমটিকে শনিবার তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক দেশ। আমরাও তাই।’
অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সক্ষম বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, মোমেনের বক্তব্যে তার প্রতিফলন দেখা গেছে।
তিনি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অবশ্যই অন্যদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, তবে আমরা চিন্তিত নই। কারণ আমরা জানি কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়।’
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খর্ব করায় দায়ী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের কথা বৃহস্পতিবার জানায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
ওই ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ভিসা রেকর্ড গোপনীয় বিষয় হওয়ায় নিষেধাজ্ঞায় পড়া লোকজনের নাম প্রকাশ করেনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
এমন বাস্তবতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল জাজিরাকে বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা উদ্বিগ্ন নন। কারণ তাদের বেশির ভাগ এই ‘উন্নত দেশে’ বসবাস করতে চান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভোটাররাও চিন্তিত নয়। কারণ তারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা একেবারেই ভাবছে না।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য