× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা সচেতনতার অভাব বললেন মন্ত্রী
google_news print-icon

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা প্রযুক্তির অভাবে

রেল-ক্রসিংয়ে-দুর্ঘটনা-প্রযুক্তির-অভাবে
সম্প্রতি জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী একটি বাসকে ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন নিহত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অনিরাপদ রেলক্রসিং। আর এর পেছনে লোকবলের অভাবের বিষয়টি ওঠে আসে বারবার। অথচ আধুনিক রেল ব্যবস্থাপনায় এমন সহজলভ্য প্রযুক্তিও রয়েছে যা দিয়ে সীমিত লোকবলেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় রেল ক্রসিং, এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।

অরক্ষিত, অপরিকল্পিত ও অননুমোদিত রেল ক্রসিংগুলোতে নিরাপত্তার অভাবে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এর পেছনে রেল কর্তৃপক্ষ সচেতনতার অভাবকে দায়ী করলেও বিশেষজ্ঞরা দেখছেন আধুনিক প্রযুক্তির অভাবের কথা।

দেশে প্রতি বছরেই রেল ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। গত শনিবার ভোরে জয়পুরহাটের পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একটি বাসের ১২ জন যাত্রী নিহত হয়

পুরানাপৈল রেলক্রসিংটি অনুমোদিত। সেখানে তিন জন গেটকিপার পালা করে কাজ করেন। এদের মধ্যে দুই জন স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন আরেক জন। দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা নয়ন হোসেন ছিলেন ঘুমিয়ে।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনের ধাক্কায় বাসের তিন যাত্রী নিহত হয়। পুলিশ জানায়, রেলক্রসিংয়ে গেইট না থাকার কারণে সহজে ঢুকে পড়ে বাসটি।

৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় ট্রেনের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় দুই জন নিহত হয়। ৪ ডিসেম্বর যশোরের একটি অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।

১৬ অক্টোবর যশোর অভয়নগরস্থ একটি অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে খুলনাগামী একটি ট্রেন প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ৬ জনের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, গত দুই বছরে রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫৪টি। এতে প্রাণ গেছে ৭১ জনের, আহত ৮৩। ২০১৯ সালে রেল ক্রসিংয়ে ৩৫টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪৭ জনের। ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৯টি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ জন।

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা প্রযুক্তির অভাবে

এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অনিরাপদ রেলক্রসিং। আর এর পেছনে লোকবলের অভাবের বিষয়টি ওঠে আসে বারবার। অথচ আধুনিক রেল ব্যবস্থাপনায় এমন সহজলভ্য প্রযুক্তিও রয়েছে যা দিয়ে সীমিত লোকবলেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় রেল ক্রসিং, এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।

ঠিক তেমনই মত দিলেন বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ।

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে অটোম্যাটিক সিগন্যালের গুরুত্বের কথা জানিয়ে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। ট্রেন আসার আগে যেন একটা লাইট জ্বলে সতর্কতা সৃষ্টি করা যায় বা সাইরেন বাজিয়ে বোঝানো যায় তেমন পদ্ধতি চালু করতে হবে।’

একই রকম মন্তব্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিক-উর রহমানেরও- ‘সবক্ষেত্রে তো আমাদের একশ বছর পুরোনো নিয়মে চলা যাবে না। আধুনিক হতে হবে রেলক্রসিং পদ্ধতিতে।’

নিউবাংলাকে তিনি আরও বলেন, ‘সচেতনতা সবক্ষেত্রেই লাগবে এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু শুধু সচেনতার ওপর ছেড়ে দিয়ে তো এত বড় একটা বিষয়ে দায় এড়ানো যাবে না।

‘আমাদের যেসব রেলক্রসিং আছে সে বিষয়ে আমরাও জানি আবার মন্ত্রাণালয়ও জানে। এখানে যেমন তারা বৈধগুলোর বিষয়ে জানেন তেমন অবৈধগুলোর বিষয়েও ধারণা রাখেন। তবে কেনো তারা অবৈধগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নেয় না।’

রেলওয়ের সুত্র মতে, সারা দেশে ২ হাজার ৯৫৯ কিলোমিটার রেলপথে লেভেল ক্রসিং আছে ২ হাজার ৮৫৬টি। এর মধ্যে বৈধ ১ হাজার ৪৯৫টি এবং অবৈধ ১ হাজার ৩৬১টি। কোনো গেটম্যান নেই ৯৬১টিতে। এসব ক্রসিংয়ের বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে এলজিইডি, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার কারণে।

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা প্রযুক্তির অভাবে

রেলওয়ের তথ্যে জানা যায়, গত পনেরো বছরে এসব স্থানে প্রায় পাঁচ হাজার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অন্তত ৪১৯ জন। আহত হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার।

রেল মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বৈঠকে দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক রেলক্রসিংয়ের পরিবর্তে ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস নির্মাণ, অননুমোদিত রেলক্রসিং বন্ধ করার কথা বলা হয়।

এছাড়া প্রয়োজনীয় স্থানে অনুমোদিত ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া, ভবিষ্যতে রেলের অনুমতি ছাড়া রেলক্রসিং নির্মাণ রোধ করাসহ নানারকম সিদ্ধান্ত নিলেও এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে, ক্রমেই মৃত্যু আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে রেল ক্রসিংগুলো।

অনেক ক্ষেত্রে ‘এই গেটে কোনো গেটম্যান নাই, পথচারী ও সকল প্রকার যানবাহনের চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার করিবেন এবং যেকোনো দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন’ লেখা সাইনবোর্ড টাঙিয়েই দায় সারছে রেল কর্তৃপক্ষ।

ক্রসিংগুলোতে দুর্ঘটনা রোধে অব্যবস্থাপনা নিরসন বা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বদলে মানুষজনকেই সচেতন হওয়ার ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা প্রযুক্তির অভাবে

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় আমাদেরকে সচেতন হয়ে চলাচল করতে হবে। যে গাড়ি চালাচ্ছে তার দায় বেশি। ট্রেন তো তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’

জয়পুরহাটের ঘটনাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে গেটকিপার ছিল সে ঘুমিয়ে থাকলেও বাসে তো তিন জন লোক থাকেন। তারাও কি ঘুমিয়ে ছিলেন?

‘আমার গাড়ি আমার তো একটা দায় দায়িত্ব থাকে। আমি নিজে ড্রাইভার, আমার সঙ্গে একজন হেল্পার আছে, সুপারভাইজার আছে। তারা কেন দেখবে না যে এত বড় একটা ট্রেন যাচ্ছে। তারা কিভাবে ট্রেনের সামনে গিয়ে পড়ে।’

নতুন রেলপথে ঠিকভাবেই ক্রসিং করা হচ্ছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন যেগুলো আছে সেগুলো ঠিক হচ্ছে। তবে পুরাতনগুলোর ক্ষেত্রে মানুষের এখন সামর্থ্য বাড়ছে, রাস্তাঘাটের পরিমাণও বাড়ছে সেক্ষেত্রে রেলের ওপর দিয়ে রাস্তার সংযোগ বেশি হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানুষকে আরও সাবধান হতে হবে।’

লোকবলের বিষয়টি তুলতেই রেল মন্ত্রী বলেন, ‘কত লোকবল নিব? এক একটা ক্রসিং এ পাহারাদারসহ তিন জন লোক লাগে। কত লোক এখানে নেয়া যাবে?’

আরও পড়ুন:
১২ বাস যাত্রীর মৃত্যুতে দায়ী নয়নের অবহেলা
রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় তিন জন নিহত
ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাসযাত্রী নিহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Cyber ​​space needs assistance to make women and children safe Advisor Sharmin S Murshid

সাইবার স্পেসকে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে সহযোগিতা দরকার: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ

সাইবার স্পেসকে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে সহযোগিতা দরকার: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ বলেছেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা সত্যের মুখে দাঁড়িয়ে লড়তে পারে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত উশৃঙ্খলতা নিরসনে মাঠে নেমে পরলে এদেশের ছেলেমেয়েরা শুরু হতে লাগলো পরিবর্তনের হাওয়া। তিনি বলেন, আমাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ কেনো আমরা বড়রা এই উশৃঙ্খলতা নিরসন করতে পারিনি, যা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চারা তা আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছে। ওই গণঅভ্যুত্থানে ৭০% মেয়ে অংশ নিয়েছিল, তারা সাইবার বুলিং এর শিকার হচ্ছে। সাইবার স্পেসকে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ করতে তরুণদের সহযোগিতা দরকার।

তিনি গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ক্যাপিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন যথা সময়ে হবে। নির্বাচনের পথে যদি অতিরিক্ত সহিংসতা হয়, তাহলে নির্বাচন ভঙ্গুর হয়ে যাবে। ফলে সেটা যেনো না হয় সে কারণে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে জনগনকেও সরকারের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় যেনো সহিংসতা না হয় সে খেয়াল রাখা আপনাদের দায়িত্ব, রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। সবাই বসে আছি কবে নির্বাচন হবে, সবাই মিলে যদি আমরা সহযোগিতার হাত বাড়ায় তাহলে নির্বাচন সহজ হবে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে আমাদের দায়িত্ব অর্পণ করে যাবো, যাতে তারা সুনামের সঙ্গে মাথা উঁচু করে এদেশের মর্যদা রক্ষা করে কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লি. নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাইমা ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান, সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান, সোনারগাঁ ক্যাপিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি আক্তার হোসেন, পরিচালক খায়রুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নেওয়া ১৯৯ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
During the elections the media should publish objective news Information adviser

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যম যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে: তথ্য উপদেষ্টা

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যম যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে: তথ্য উপদেষ্টা

নির্বাচনের চলাকালীন ও পরে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এ দায়িত্ব পালনে কোনো গণমাধ্যমকে বাধাঁ দেওয়া হবে না।

রোববার রাজধানীর তথ্য ভবনে ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ বিষয়ক মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় অংশ নেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশক, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতীতের দুঃসহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তারা ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিশেষ করে নির্বাচনকালে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে গণমাধ্যম আস্থা হারিয়েছে। সেই আস্থা পুনরুদ্ধারে নির্বাচনকালীন সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ওপর জোর দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে।

জনগণ ভোট দিতে গিয়ে সহিংসতার শিকার হবে না, সরকার সেই চিন্তা প্রতিষ্ঠা করবে। গণমাধ্যমও যেন এ চিন্তার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে।’

তিনি আরও আহ্বান জানান, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, তবে গণমাধ্যম যেন তার মূল কারণ ও দায়দায়িত্ব খুঁজে বের করে প্রকাশ করে।

মন্তব্য

জাতীয়
Material in the the festive media is essential for national interest Environment Advisor

জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ-জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ-জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে পাঁচজন উপদেষ্টা রয়েছেন, যারা শুধু এ কমিশনের সুপারিশ নয়, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করছেন।

তিনি বলেন, যতটুক সংস্কার জনসমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে, ততটুকুই টেকসই হবে।

তিনি আরও বলেন, বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম অন্তর্বর্তী সরকারের একটি চাওয়া। গণমাধ্যমকে জাতীয় স্বার্থেই জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেই এর স্থায়িত্ব আসবে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। শুধুমাত্র কাগজে পরিবর্তন আনলে স্থায়িত্ব আসবে না, এর জন্য প্রয়োজন মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে বলেই আলাদা গণমাধ্যম কমিশন গঠন করেছে। সুপারিশের সারাংশ ও বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে। সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ, সেল্ফ-রেগুলেশন, সেক্টরাল ইউনিটি এবং গণমাধ্যমকে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরির বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি গণমাধ্যমে নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা ও জনআস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যদি আমরা সবাই মিলে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সেটিই হবে টেকসই। সরকার সহায়তা করবে, কিন্তু টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব গণমাধ্যমকেই নিতে হবে।’

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অনারারি নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি সায়িদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সেন্টারের সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন এবং বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আল মামুন।

মন্তব্য

জাতীয়
The main goal of the government is to make each family self reliant Fisheries and Livestock Advisor Farida Akhter

প্রত্যেক পরিবারকে স্বনির্ভর করাই সরকারের মূল লক্ষ্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার

প্রত্যেক পরিবারকে স্বনির্ভর করাই সরকারের মূল লক্ষ্য: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভর ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটি ভাওয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত প্রাণী ও প্রাণিখাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী ও স্বনির্ভর করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। আমরা চাই গ্রামের সাধারণ মানুষ যেন ছোট পরিসরে হাঁস-মুরগি, ছাগল বা ভেড়া পালন করে নিজেদের সংসার চালাতে পারে, অতিরিক্ত আয় করতে পারে এবং ধীরে ধীরে সমাজের অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। প্রাণিসম্পদ খাত কেবল খাদ্য নিরাপত্তা নয়, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় ভরসা।

অনুষ্ঠানে মোট ২১৭টি পরিবারের মাঝে প্রাণিসম্পদ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ৬৪টি পরিবারকে ২১টি করে হাঁস, ৬৯টি পরিবারকে ২৫টি করে মুরগি, ১০টি পরিবারকে ২টি করে ছাগল, ৭৪টি পরিবারকে ৩টি করে ভেড়া বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি উপযুক্ত প্রাণিখাদ্যও প্রদান করা হয় যাতে উপকারভোগীরা তাৎক্ষণিকভাবে খামার কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান ও প্রকল্প পরিচালক ড. রহিম। আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কারিশমা আহমেদ এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সাত্তার বেগ, কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুনসহ অনেকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রাণিসম্পদ বিতরণ কার্যক্রম সরকারের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং একই সঙ্গে মানুষের জীবনমানও উন্নত হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
The main adviser to conduct the BCS examination in compliance with the calendar

ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

স্বচ্ছতা বজায় রেখে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। বিসিএস পরীক্ষা হলো এন্ট্রি পয়েন্ট।

যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারাই সরকার চালাবে। কাজেই এন্ট্রি পয়েন্টে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয় তাহলে গোটা সিস্টেমে সেটার প্রভাব থেকে যাবে।’

দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা ও সংকটগুলো সমাধান করে ফেলতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে সরকার চালাবে তাদের জন্যও এটা প্রয়োজন।’

বৈঠকে সরকারি কর্ম কমিশনের আর্থিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেন কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।

তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যেই পাঁচ বছরের রোডম্যাপ দিয়েছে এবং প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের অক্টোবর মধ্যেই পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন হবে।

কমিশন সদস্যরা জানান, গত ১৫ বছর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় নানা ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে। পিএসসিতে যেন আর কখনো অনিয়ম ফিরে না আসে, এটি যেন সবার আস্থার জায়গা হয় সেটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রশ্নপত্রের মান এমনভাবে উন্নীত করা হচ্ছে যাতে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি দিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রতিযোগিতা করতে পারেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Badruddin Umars death is the main adviser

বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মুক্তিকামী মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল চিন্তাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করে পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়া বদরুদ্দীন উমর ছিলেন আমাদের মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতি সংগ্রামের এক উজ্জ্বল বাতিঘর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা, গবেষণা, ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক দর্শনের প্রতি তাঁর অবিচল নিষ্ঠা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।

তিনি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পরিবর্তনের জন্য গোড়া থেকেই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলেছেন এবং জুলাই আন্দোলনকে উপমহাদেশের একটি অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর শুধু একজন তাত্ত্বিক ছিলেন না, ছিলেন একজন সংগ্রামী, যিনি আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে সরকার।

বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যু জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাশীল মানুষদের জন্য তাঁর লেখনী ও জীবনদর্শন এক অনন্য পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে।

শোকবার্তায় বদরউদ্দীন উমরের শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধান উপদেষ্টা।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত ৯৪ বছর বয়সী বদরুদ্দীন উমর আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মন্তব্য

জাতীয়
The price of potatoes may rise somewhat within the next 6 months trade adviser

আগামী ১মাসের ভেতর আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আগামী ১মাসের ভেতর আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সরকারি সফর করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শুক্রবার তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার উপজেলার গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আগামী এক মাসের ভেতর আলুর দাম কিছুটা বাড়তে পারে। আমরা আলু রপ্তানীতে প্রণোদনা দিচ্ছি এবং রপ্তানিতে সহযোগিতা করছি। চাহিদা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

গোপীনাথপুর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বগুড়ার দুঁপচাচিয়া উপজেলার মর্তুজাপুর গ্রামে গিয়ে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জুম্মার নামাজ আদায়ের পর তার শ্বশুর মরহুম আব্দুর রাজ্জাক আকন্দের কবর জিয়ারত করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টাককে ও হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক লোকজনের ভিড়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসছেন এমন খবর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানাজানি হয়।

সরকারি সফরসূচি অনুযায়ী, বাণিজ্য উপদেষ্টার হেলিকপ্টার শুক্রবার সকাল ১১ টায় গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। সকাল থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। সকাল ১০টার আগেই গণমাধ্যম কর্মীরাও গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আসেন। তখন থেকেই উৎসুক জনতা গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি ফটকে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় করছিলেন। তবে দেড় ঘন্টা বিলম্বে দুপুর পৌঁনে একটার দিকে উপদেষ্টাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে।

গোপীনাথপুর এলাকার আবু রায়হান তার দুই বছরের নাতিকে কাঁধে নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে ও হেলিকপ্টার দেখতে আসেন। তিনি বলেন, আমার নাতি হেলিকপ্টার দেখার বয়না ধরেছে। নাতিকে কাঁধে নিয়ে হেলিকপ্টার দেখতে এসেছি। বাণিজ্য উপদেষ্টা গোপীনাথপুরে এসেছেন। গোপীনাথপুরের বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আগে কখনও সরকারের কোনা মন্ত্রী গোপীনাথপুরের এসেছিল কি না তা জানি না।

মন্তব্য

p
উপরে