× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
বঙ্গবন্ধু মুছে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে স্কুল
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধু মুছে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে স্কুল

বঙ্গবন্ধু-মুছে-স্বাধীনতাবিরোধীর-নামে-স্কুল
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের এই স্কুলটি স্বাধীনতার পরে করা হয় বঙ্গবন্ধুর নামে। ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যার পর জাতির পিতার নাম মুছে পাকিস্তানি বাহিনীর দালাল মনছুর আলীর নাম ফিরিয়ে আনা হয়। হাইকোর্টের আদেশের পরেও এই নাম পাল্টানো হয়নি। ছবি: নিউজবাংলা
হাইকোর্টের আদেশের পরও ২০টিরও বেশি স্থাপনা একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীর নামে রয়ে গেছে। স্বাধীনতাবিরোধীর নামে স্থাপনা নিয়ে হাইকোর্টের রিটকারীদের একজন শাহরিয়ার কবির বলেছেন, এটা সরকারের মর্যাদার প্রশ্ন।

স্বাধীনতাবিরোধীর নাম পাল্টে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে করা স্কুলের নাম আবার পাকিস্তানের দালালের নামে হয়েছে। ৪৫ বছর আগে এই ঘটনা ঘটলেও কেউ স্কুলের নামে হাত দেয়নি।

ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ চালাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর দালাল শান্তি কমিটির নেতা মুনছুর আলীর নামে চলছে একটি স্কুল। নাম ‘সাফদারপুর মুনছুর আলী অ্যাকাডেমি’।

মুক্তিযুদ্ধের পর এই স্বাধীনতাবিরোধীর নাম মুছে দিয়ে স্কুলের নাম করা হয় বঙ্গবন্ধু দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় (সাফদারপুর)। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আবার পাকিস্তানি দালালের নামে করা হয় স্কুলটি।

বঙ্গবন্ধু মুছে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে স্কুল

মুনছুর আলী ওই এলাকার বাসিন্দাও নন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মানুষ তিনি। ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মুসলিম লীগের (আইয়ুব খান) অনুসারী।

কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর গ্রামে ১৯৬০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। নাম ছিল সাফদারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মুনছুর আলী সে সময় স্কুলটিতে কিছু অর্থ সহায়তা করলে তার নামে রাখা হয় স্কুলটি।

বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে স্থাপনা দেখে ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা।

কোটচাঁদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মুনছুর আলী একজন কুখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। এখনও তার নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে। এর পরিবর্তনের উদ্যোগ নেই। এটা দুঃখজনক।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহম্মেদ বলেন, ‘মুনছুর আলী একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার। জাতির জনকের নাম মুছে দিয়ে তার নামে স্কুল চলবে যখন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া দল ক্ষমতায়। এটা কীভাবে মানি বলেন?’

জেলার আরেক উপজেলা শৈলকুপায় সরকারি একটি স্থাপনাই পরিচিত শান্তি কমিটির আরেক সদস্যের নামে। ত্রিবেনী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের পোস্ট অফিসটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘শফিপুর পোস্ট অফিস’ হিসেবে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শফিউদ্দিন শান্তি কমিটির যশোর জেলার সভাপতি ছিলেন।

ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন বলেন, ‘শফিউদ্দিন ছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী। তার নামে এখনও প্রতিষ্ঠান থাকা মানে স্বাধীন দেশের অপমান করা।’

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সত্যতা পেয়েছি। বিস্তারিত তথ্য প্রমাণ হাতে পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শনা দেওয়া হবে।’

রিট করে মুছতে হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীর নাম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কলেজ থেকে রাজাকারের সংগঠকের নাম মুছতে উচ্চ আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে।

ওই স্বাধীনতাবিরোধীর নাম এ এন এম ইউসুফ ছিলেন। মুসলিম লীগের এই নেতা স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে রাজাকার বাহিনী গঠনে এলাকায় রাখেন ভূমিকা।

উপজেলার ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের এই নেতা অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন।

১৯৯৫ সালে নিজ এলাকায় ইউসুফ-গণি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই নামকরণ নিয়ে সোচ্চার হন মুক্তিযোদ্ধারা।

ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে শিক্ষা অধিদপ্তর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে রাজাকারদের নাম বাদ দিতে বলে। তখন কলেজের নাম পাল্টানো হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ শাহ্ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠাকার সময়ে কলেজটির নাম ছিল ইউসুফ-গনি কলেজ। শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে সেটার নামকরণ করা হয়েছে এম এ গনি আদর্শ কলেজ।’

বঙ্গবন্ধু মুছে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে স্কুল
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এই কলেজটি থেকে রাজাকার বাহিনীর সংগঠক এ এন এম ইউসুফের নাম বাদ দেয়া হয় হাইকোর্টের আদেশের পর। ছবি: নিউজবাংলা

স্বাধীনতাবিরোধী ইউসুফের বাবা ছিলেন গনি। তিনি স্বাধীনতার আগেই মারা যান। এই জায়গাটি তার নামেই ছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ চৌধুরী ঝুনু মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউসুফ মোক্তার রাজাকারদের সংগঠিত করেছেন, তাদের ভরণ-পোষণ করেছেন। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন যুক্তিযুক্ত।’

কুলাউড়া উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার মাসুক মিয়া বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যেখানেই মুক্তিযোদ্ধের বিরোধীদের নামে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো চিহিৃত করে নাম পরিবর্তন করতে হবে।’

কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনি (ইউসুফ) মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তার নামটা বাদ দেয়া হয়েছে। এটির পাশাপাশি কুলাউড়া মাহতাব-ছায়েরা নাম পরিবর্তন করে কুলাউড়া মডেল স্কুল নাম দেয়া হয়েছে।’

বহু স্থাপনায় এখনও স্বাধীনতাবিরোধীর নাম

স্বাধীনতাবিরোধীর নামে স্থাপনার বিষয়ে উষ্মা জানিয়েছে খোদ হাইকোর্ট। এসব নাম পাল্টাতে আট বছর আগে দেয়া হয়েছে নির্দেশ। কিন্তু এর বাস্তবায়ন হয়নি।

দুই দফায় সময় বাড়িয়েও আদালত আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলছেন রিটকারীরা।

স্থাপনা ও সড়ক থেকে রাজাকার ও আলবদরদের নাম মুছে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।

ওই বছরের ১৪ মে স্থাপনা থেকে দুই স্বাধীনতাবিরোধী নেতা খান এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের নাম বাদ দেয়ার নির্দেশ আসে। ২০১৫ সালে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়।

সে সময় একটি রুলও জারি করে আদালত। এতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামের স্থাপনা কেন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

কিন্তু আদেশের বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০১৯ সালে স্বাধীনতাবিরোধীদের নামসহ একটি তালিকা করে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করা হয়। এতে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হয়, যেগুলো এখনও স্বাধীনতাবিরোধীর নামে রয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী একে রাশিদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দফায় সময় বাড়িয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি আবার আদালতে নজরে আনব।’

মুনতাসির মামুন বলেন, ‘আদেশ বাস্তবায়ন হয় কি না সে সম্পর্কে হাইকোর্টের কোনো মনিটরিং কমিটি নাই। আমরাও পারি না। এটা দেখবে মন্ত্রণালয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘কোর্টের মনিটরিং করার কোনো সুযোগ নাই। বাদীপক্ষকেই সবসময় দায়িত্বটা নিতে হয়। আদেশ বাস্তবায়ন না হলে উনারা কোর্টের নজরে আনতে পারেন, সরকারকেও বলতে পারেন।’

আরেক রিটকারী শাহরিয়ার কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা সরকারের মর্যাদার প্রশ্নও বটে। কীভাবে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে এখানে এখনও স্কুল থাকে?’

আরও পড়ুন:
বিজয়ের পর হানাদার মুক্ত হয় খুলনা
তোমাকে অভিবাদন, শিউলী আপা
স্মৃতিসৌধে কওমি মাদ্রাসা, ধর্মভিত্তিক দলের শ্রদ্ধা
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবদার
শহিদ মুশতাককে কিছু দেয়ার উপায় নেই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ঢাকা ও আশপাশের সেনা ক্যাম্পের হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর

ঢাকা ও আশপাশের সেনা ক্যাম্পের হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করতে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে জনসাধারণের যোগাযোগের জন্য হালনাগাদ যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আজ মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে আপডেটেড নম্বরসমূহে যোগাযোগ করুনঃ
১। গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়া।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০, গ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
২। ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯২৪২৮, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৩। সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক এবং মানিকগঞ্জ।

যোগাযোগের নম্বরসমূহ
ক। ০১৭৬৯-০৯৫২০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৪। ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৯৩৫০৯, খ। ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, গ। ০১৭৬৯-০৯৫২৫০,
ঘ। ০১৭৬৯-০৯১০২০।
৫। বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিন খান, উত্তরখান, উত্তরা পূর্ব।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৬, খ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৯, গ। ০১৭৬৯-০২৫৮৬৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০২৫৭৬৭।
৬। মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মনিপুর।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫০৭১০, খ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৩, গ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৫,
ঘ। ০১৭৬৯-০৫০৬৯৬।
৭। উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৮২৮৩৬, খ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৪, গ। ০১৩১৮-৩৭১৫৫৫।
৮। দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৩৩৭০০,খ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০২, গ। ০১৭৬৯-০৩৩৭০৪।
৯। গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০৫০২৮৩, খ। ০১৭৬৯০১১৫৫৯।
১০। খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৪৪।
১১। রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা
যোগাযোগের নম্বরঃ
ক। ০১৭৬৯০৫৩১৬৮।
১২। ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল, ভাসানটেক।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯-০৫১৮২৫, খ। ০১৭৬৯-০১৯০৭৩, গ। ০১৭৬৯-০১৩২৩৬।
১৩। হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, খ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, গ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪,
ঘ। ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ঙ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, চ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৪। শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, খ। ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৫। তেজগাঁও থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৯৪০৯, খ। ০১৭৬৯০১৯৪১৫, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
১৬। লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা।
যোগাযোগের নম্বরসমূহঃ
ক। ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, খ। ০১৬১৯৮৩২০৬৯, গ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৮
ঘ। ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
The farmers are hoping to gain more than 2 million sacrifices in Kushtia

কুষ্টিয়ায় ২ লক্ষাধিক কোরবানীর পশু প্রস্তুত, লাভের আশায় খামারীরা

কুষ্টিয়ায় ২ লক্ষাধিক কোরবানীর পশু প্রস্তুত, লাভের আশায় খামারীরা

কোরবানীর পশুরহাটে কুষ্টিয়ার গরুর বাড়তি চাহিদা রয়েছে। আর এ চাহিদার যোগান দিতে জেলায় এ বছর ২ লক্ষধিক কোরবারীর পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন-পালন এবং মোটাতাজা করেছে জেলার খামারীরা। লাভের আশায় শেষ মুহুর্তে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। গরু পালন কুষ্টিয়ার ঐতিহ্য পেশা। আর এ ঐতিহ্যের প্রসার ঘটাতে এ বছরও জেলায় প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার খামার ও কৃষকের বাড়িতে ২ লক্ষাধিক গরু-মহিষসহ বিভিন্ন প্রজাতির কোরবানীর পশু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।

বিভিন্ন খামারী ও পশু পালনকারী কৃষকরা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, তাই বাড়তি দামে পশু বিক্রয় করতে না পারলে লোকসান গুণতে হবে, হারাতে হবে পুঁজিও। জেলায় সবচেয়ে বেশি কোরবানীর পশু প্রস্তুত করা হয়েছে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায়। এ উপজেলায় অর্ধলক্ষ গরু ও ছাগল প্রস্তুত করেছেন খামারীরা। এ উপজেলার সাদীপুর গ্রামের খামারী জিয়াউল ইসলাম জানান, পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় গরু লালন পালনে খরচ বেড়েছে। তাই ন্যায্য মূল্য না পেলে লোকসান গুণতে হবে। তবে তিনি লাভের আশা করছেন। আবার পশুর খামারে কাজ করে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দিন-রাত পরিচর্যা করে কোরবানীর পশুর হাটে পশুগুলি তুলতে শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারাও। কোন ক্ষতিকর ও ভেজাল খাদ্য ছাড়া দেশীয় পদ্ধতিতে খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে।

খামারীদের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আল মামুন হোসেন মন্ডল। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ছোট বড় বা ক্ষুদ্র খামারীরা পশু পালন করে থাকেন। দিন-রাত পরিশ্রম ও পরম যত্নে লালন পালন করা পশুটি বিক্রয়ে লোকসান হলে পরবর্তীতে পশু পালনে আগ্রহ হারাবেন- এমনটি জানিয়েছেন তারা।

মন্তব্য

জাতীয়
NBR proclaimed a 5 day break in protest of secret sharing

এনবিআর গোপনে ভাগের প্রতিবাদে কর্মীদের ৩ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

এনবিআর গোপনে ভাগের প্রতিবাদে কর্মীদের ৩ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে দুটি বিভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার থেকে তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে সংস্থাটির কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিআর ঐক্য পরিষদ’।

মঙ্গলবার (১৩ মে) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এনবিআর সংস্কার কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে এনবিআরকে বিভক্ত করার সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু বলেন, আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা এবং শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা এবং ফজলে এলাহীও সমাবেশে বক্তব্য দেন। আজ বিকাল ৪টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

বিক্ষোভ চলার সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান অন্যত্র একটি সভায় যোগদানের জন্য প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

এনবিআর ইউনিটি কাউন্সিল অধ্যাদেশটি বাতিল চায়। কারণ, এনবিআর উপদেষ্টা সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। ইউনিটির সঙ্গে কমিটির আলোচনাও অধ্যাদেশে প্রতিফলিত হয়নি।

তারা আরও অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা, বাজেট কার্যক্রম এবং রপ্তানি কার্যক্রম কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়।

গত কয়েক সপ্তাহে এনবিআর কর্মকর্তারা নতুন আইনের অধীনে প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার বিধান বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। এনবিআরকে দুটি সত্তা - রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা নিয়েই মূলত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

সরকার গত বছরের ৯ অক্টোবর এনবিআর সংস্কার কমিটি গঠন করে। কমিটিতে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, নাসিরউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও আমিনুর রহমান রয়েছেন।

অধ্যাদেশটি গতকাল (সোমবার) মধ্যরাতে প্রকাশ করা হয়।

নতুন আইনে সরকার নবগঠিত রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব হিসেবে উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগ করতে পারবে।

এছাড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল ও আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনাল এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব নীতি বিভাগের অধীনে থাকবে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি এনবিআরকে রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করার জন্য খসড়া আইনে অনুমোদন দিয়েছেন।

নতুন আইনে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভিন্ন পদ আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, কাস্টমস, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, গবেষণা ও পরিসংখ্যান, প্রশাসন, নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ ও আইনি কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পদায়ন করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

আইন অনুসারে, সরকারের রাজস্ব নীতি প্রণয়ন কার্যক্রম ও রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পৃথক করা প্রয়োজন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজস্ব আদায় কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য বিদ্যমান কাঠামো পুনর্গঠন করে একটি রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং একটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি ও প্রয়োজন।

প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়ছে, ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক বিভাগের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডার ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে কর্মরতদের দিয়ে।’

যেহেতু সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে ও রাষ্ট্রপতির কাছে মনে হচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন, তাই রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ জারি করবেন, যা রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ নামে পরিচিত হবে।

এই অধ্যাদেশ জারির পর সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজস্ব নীতি বিভাগ নামে একটি নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করবে, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে।

মন্তব্য

জাতীয়
Rupganj drivers are increasing in sick competition

রূপগঞ্জে গাড়ি চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

রূপগঞ্জে গাড়ি চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা বাইপাস সড়কসহ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে ট্রাকসহ যানবাহনের চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। এতে দীর্ঘ হচ্ছে সড়কে মৃত্যুর মিছিলও। পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবনযাপন করছেন অনেকে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা, শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতিতে যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জণসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি এই দুর্ঘটনা ও যানজটের প্রধান কারণ। সড়কে স্পিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার না থাকায়ও দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তায় চালকদের অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতায়ও ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা।

সড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচলেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা ও বায়ুদূষণ দুই ক্ষেত্রেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি দায়ী। ঈদ এলেই ভাঙাচোরা, ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কর ও পুরোনো পরিবহনের মেরামত কাজ চলে। পরিবহনে রং দিয়ে নতুন করে সাজানো হয়। এসব দিয়েই চলছে পরিবহন খাত। চলাচলে অনুপযোগী পরিবহন দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন বেড়ে যায়, আবার সড়কের মধ্যে বিকল হয়ে পড়ায় অসহনীয় যানজটের দুর্বিষহ ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।

মেঘলা পরিবহনের হেলপার রাকিবুল আলম বলেন, যাত্রীরা এখন শৌখিন। রং না করলে বাসে কেউ উঠতে চায় না। তাই রং দিয়ে গাড়ি ঝকঝকে করা হয়। ভুলতা গাউছিয়া এলাকার এনজিও কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, চালকদের সচেতন করে তুলতে হবে। ট্রাফিক আইন মানার প্রবণতা সৃষ্টি করতে হবে। দুর্ঘটনা বন্ধে রাস্তায় অসম ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। তবেই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমে আসবে।

মুড়াপাড়া বানিয়াদী এলাকার কামাল হোসেন বলেন, ‘পঙ্গুত্ব নিয়ে কে বাঁচতে চায়। তবুও আজ ভয় হয় রাস্তায় চলতে। সড়কে গাড়ি চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ঘটছে দুর্ঘটনা। তাতে বেড়েই চলছে প্রাণহানি।’

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলমান আছে। অভিযুক্ত গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Finally the IMF agreed to quit and 1 million

অবশেষে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে সম্মত আইএমএফ

অবশেষে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে সম্মত আইএমএফ

বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী জুন মাসে বাংলাদেশের জন্য ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুই কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।

ওয়াশিংটনে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠকের পর বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।

এর ফলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের আওতায় জুন মাসে ১৩০ কোটি ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ।

বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করা এবং কর-জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইস্যুতে মতানৈক্যের কারণে এতদিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এর আগে, ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। তারা এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ), এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পর্যালোচনা সম্পন্ন করে।

এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে আগামী বুধবার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হবে। গভর্নর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি এতে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Former MP Mumtaz in the murder case on a four day remand

হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মমতাজ চারদিনের রিমান্ডে

হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মমতাজ চারদিনের রিমান্ডে

জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মিরপুরে হকার মো. সাগর হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোমবার রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডির স্টার কাবাবের পেছনের একটি বাসা থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই গোল চত্ত্বরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন হকার মো. সাগর। ওইদিন বিকেল ৪ টায় তিনি সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা বিউটি আক্তার বাদি হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪২ জন আসামি করা হয়েছে। এ মামলার ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি মমতাজ বেগম।

মন্তব্য

জাতীয়
Dengue in 24 hours in the country

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৮

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৮

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (১২ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ৪৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৫ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১১৬ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

p
উপরে