× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
শাহজালালে আরও বোমা থাকতে পারে
google_news print-icon

শাহজালালে ‘আরও বোমা থাকতে পারে’

শাহজালালে-আরও-বোমা-থাকতে-পারে
পাঁচ দিনের ব্যবধানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দনের থার্ড টার্মিনাল এলাকায় মাটির নিচে মুক্তিযুদ্ধকালীন বড় আকারের দুটি বোমা পাওয়া যায়। এগুলো ভারতীয় বাহিনী ফেলেছে বলে ধারণা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সেনাদের।
‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর ৪ তারিখ (ডিসেম্বর) থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনী ঢাকায় কয়েকটি হামলা করে। এর মধ্যে তেঁজগাও বিমানবন্দরও ছিল। আমার ধারণা, এই বোমা দুটি সেই অপারেশনেরই। নরম জায়গায় পড়েছিল তাই ফাটেনি। আবার তখন ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমাগুলো অনেক পুরনো ছিল সেটাও কারণ হতে পারে।’

এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাটির নিচে দুটি বিশালাকারের বোমা। বিমানবাহিনী জানিয়েছে সেগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন। কিন্তু এখানে কেন?

মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শামছুল আলম (বীর উত্তম) ধারণা করছেন, ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বরের পর ভারতীয় বিমানবাহিনী যে হামলা করে, তখন এই বোমাগুলো পড়তে পারে।

৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী পশ্চিমবঙ্গে বিমান হামলা করলে ভারত সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে। এর আগে ভারত ছিল মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর ভূমিকায়।

ভারত যুদ্ধ ঘোষণার পর গঠন হয় ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী। আর ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনী ভারী অস্ত্র নিয়ে স্থল হামলার পাশাপাশি বিমান হামলাও চালায়।

ঢাকায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানিদের বিমান ঘাঁটি তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা ঘাঁটির রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা। ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের এই হামলায় পাকিস্তানি বাহিনী পর্যদুস্ত হয়ে পড়ে।

রাতের বেলায় এই হামলার সময় কিছু বোমা লক্ষ্যচ্যুত হয়ে জলাভূমিতে পড়ে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিমান বহর কিলো ফ্লাইটের বীর সেনা শামছুল আলম। তার ধারণা, থার্ড টার্মিনাল করার জন্য পাইলিং এর সময় আরও বোমা পাওয়া যেতে পারে।

শাহজালালে ‘আরও বোমা থাকতে পারে’
বোমা পাওয়ার পর বিমানবাহিনীর দুই বিশেষজ্ঞ সেটিকে নিষ্ক্রিয় করেন

পাইলিংয়ের সময় প্রথমে গত ৯ ডিসেম্বর ২৩০ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায় মাটির ১৫ ফুট নিচে। এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে সোমবার পাওয়া যায় একই আকৃতির আরও একটি বোমা।

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (অব.) শামছুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর ৪ তারিখ (ডিসেম্বর) থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনী ঢাকায় কয়েকটি হামলা করে। এর মধ্যে তেঁজগাও বিমানবন্দরও ছিল। আমার ধারণা, এই বোমা দুটি সেই অপারেশনেরই। নরম জায়গায় পড়েছিল তাই ফাটেনি। আবার তখন ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমাগুলো অনেক পুরনো ছিল সেটাও কারণ হতে পারে।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারির তেল ডিপোতে হামলা করেছিলেন এই বিমান সেনা। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘আমার দুই দফায় লঞ্চ করা চারটি রকেটই ফাটেনি। তৃতীয়বার ঘুরে এসে যখন রকেট ছুড়লাম, সেটা ব্লাস্ট করল। এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সজোরে আঘাত লাগলেই ব্লাস্ট করবে, এটাই বোমার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু তা যদি নরম মাটি, বালি, অথবা পানিতে পড়ে তাহলে তা অবিস্ফোরিত থাকতে পারে।

‘এখন তো দুটি পাওয়া গেছে, সামনে আরও মিলবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’

শাহজালালে ‘আরও বোমা থাকতে পারে’

বাংলাদেশের বহর কিলোফ্লাইট থেকে এই বোমা পড়েনি সেটা কীভাবে বুঝবেন- এমন প্রশ্নে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘কিলো ফ্লাইটের অটার বিমানে আমরা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করিনি। আর ঢাকায় আমরা অ্যাটাকও করিনি। তাই এগুলো যে আমাদের ফেলা না, তা আমি শতভাগ নিশ্চিত।

‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় বাহিনী মূলত মিগ-২১ এবং ক্যানবেরা বিমান ব্যবহার করেছিল। যে বোমা দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো সম্ভবত ক্যানবেরা বিমান থেকে ফেলা হয়েছিল।’

কিলো ফ্লাইটের আরেক সদস্য ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ (বীর উত্তম) নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যুদ্ধের সময় মূল বিমানবন্দরগুলোতে হামলা চালানোর কাজটি করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। কারণ বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর তখনও মূল বিমানবন্দরে হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা ছিল না। আমাদের যে হেলিকপ্টার ছিল তার গতি ছিল ৮০ মাইল। যে অটার বিমানটি ছিল সেটার গতি ছিল সর্বোচ্চ ১১০ মাইল। এগুলো নিয়ে হামলা চালানো খুবই বিপজ্জনক ছিল।’

শাহজালালে ‘আরও বোমা থাকতে পারে’
গত ৯ ডিসেম্বর ২৩০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার হয় শাহজালালের মাটির নিচে

তিনি বলেন, ‘৩ ডিসেম্বর ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জে শত্রুদের জ্বালানি সরবরাহের যে ডিপোগুলো ছিল সেখানে হামলা চালিয়েছিল বাংলাদেশের বাহিনী। চট্টগ্রামে বিমানবন্দরের কাছেও একটি ডিপো ছিল সেটিও উড়িয়ে দেয়।

‘এই হামলা চালানোর পরের দিন অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর ভোরে ভারতীয় বিমান বাহিনী বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধান তিনটি বিমানবন্দর ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোরে বিমান হামলা চালায়। ওই হামলা চালানোর সময় হয়তো উদ্ধার হওয়া বোমা ‍দুটি ব্যবহার করা হয়েছিল’-বলেন তিনি।

ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন জানান, ২০০ বা ২৫০ কেজি ওজনের বোমাগুলো মূলত কোন স্থাপনা ধ্বংসের কাজে বা কোন ঘাঁটি লক্ষ্য করে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের জন্য নিক্ষেপ করা হয়ে থাকে। বিমান বন্দরের রানওয়েতে যদি এই বোমা ফেলা হয় তাহলে সেখানে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়, ফলে রানওয়ে পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। তখন শত্রুপক্ষের বিমান ওঠা-নামা করতে পারে না।

আরও পড়ুন:
শাহজালালে মাটির নিচে আবার মিলল বিশাল বোমা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Hindu Buddhist Christian Unity Council Report on Minorities Exaggerated Shafiqul

সংখ্যালঘু নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন অতিরঞ্জিত: শফিকুল

সংখ্যালঘু নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন অতিরঞ্জিত: শফিকুল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: ইউএনবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব  বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের পর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্তত একটি বিবৃতি দেবে। কারণ, তাদের প্রকাশিত অতিরঞ্জিত প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছে একটি শীর্ষ অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট, কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা কোনো বিবৃতিও দেয়নি।’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন পরিকল্পিতভাবে অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘এই অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে চিত্রিত করছে।’

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শনিবার করা এক পোস্টে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও অধিকার গোষ্ঠীগুলোকে তিনি বাংলাদেশে এসে এ বিষয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

শফিকুল বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। আমরা আশা করি, শীর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ এবং উদারপন্থি সংবাদপত্রগুলো কাউন্সিল দ্বারা প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনকে বিশ্বাস না করে তারা নিজেরা তদন্ত করবেন।’

তিনি বলেন, ‘এসব মিথ্যা রিপোর্টের ভিত্তিতে কেউ কেউ বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর বা বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা এ ধরনের বার্তার প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

শফিকুল বলেন, ‘আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠী, যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে; যেভাবে তারা তদন্ত করেছিলেন ২০১৩ সালে হেফাজত কর্মীদের গণহত্যার বিষয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লব-পরবর্তী দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন যে অতিরঞ্জিত, তা প্রমাণিত হয়েছে নেত্র নিউজের একটি প্রতিবেদনে।’

নেত্র নিউজ একটি শীর্ষ অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট এবং নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের জন্য তাদের খ্যাতি রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের পর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্তত একটি বিবৃতি দেবে। কারণ, তাদের প্রকাশিত অতিরঞ্জিত প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছে একটি শীর্ষ অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট, কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা কোনো বিবৃতিও দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনে নয়জন হিন্দু সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, কিন্তু এটা কোনোভাবেই সত্য নয়। তারা কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়নি, বরং তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর পেছনে রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং অন্যান্য কারণ ছিল।

‘এই একই সময়ে একই কারণে আরও বহু মানুষও নিহত হয়, যারা হিন্দুও নয়, সংখ্যালঘু নয়, বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর বিপ্লব-পরবর্তী হামলার প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১১ মিলিয়নেরও বেশি বার উদ্ধৃত করা হয়েছে। বিশেষ করে এটা প্রচার করছে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী একটি হিন্দু আমেরিকান গোষ্ঠী, ভারতীয় মিডিয়া এবং ভারতীয় ভাষ্যকাররা।

‘তারা বাংলাদেশ নিয়ে ভুল মেসেজ তৈরি করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।’

আরও পড়ুন:
হিন্দুত্ববাদীদের দৃষ্টি এবার আজমির শরিফের ওপর
ছাত্রলীগকে ফিরতে দেয়া যাবে না: প্রেস সচিব  
মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে মন্দিরে হিন্দু পরিবারের আগুন, গ্রেপ্তার ২
রাংকুট বৌদ্ধ বিহারে ৩৪ কূটনীতিক
রামুর বিহারে নাশকতার চেষ্টায় উদ্বেগ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের

মন্তব্য

জাতীয়
News of deployment of drones on border is false Press Wing

সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবর মিথ্যা: প্রেস উইং

সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবর মিথ্যা: প্রেস উইং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরকে ভুয়া বলেছে প্রেস উইং। ছবি: ফেসবুক
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর ভুয়া ও বানোয়াট।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ ড্রোন মোতায়েন করেছে মর্মে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর ভুয়া ও বানোয়াট।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ তার রুটিন কার্যক্রম ছাড়া দেশের কোনো অংশে কোনো ড্রোন মোতায়েন করেনি। খবরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সাজানো অভিযানের অংশ।’

এর আগে সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাছে তুরস্ক নির্মিত ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। এমন খবরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করছে ভারত।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। হাসিনার পতনের পর সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের পটভূমিতে নড়েচড়ে বসেছে ভারত।

গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে বলেছে, ভারত সীমান্তের কাছে তুরস্ক নির্মিত বায়রাক্তার টিবি-২ নামের ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ, যা যাচাই করে দেখছে দিল্লি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, সীমান্তে মোতায়েন করা এসব ড্রোন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারি মিশনের জন্য পরিচালনা করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন:
টেকনাফ সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ, অনুপ্রবেশের শঙ্কা
ভারতের সাম্রাজ্যবাদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান মামুনুল হকের
অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে ভারত
মুজিবহীন নতুন নকশার নোট আসছে জুনের মধ্যে
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও শতাধিক প্রবাসী

মন্তব্য

জাতীয়
Challenges include political change next year Wahiduddin

চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আগামী বছর রাজনৈতিক পালাবদল: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আগামী বছর রাজনৈতিক পালাবদল: পরিকল্পনা উপদেষ্টা পরিকল্পনা ও অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ছবি: ইউএনবি
আয় বৈষম্যকে দেশের অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন এ উপদেষ্টা।

আগামী বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) আয়োজিত অ্যানুয়াল বাল্টিক কনফারেন্স অন ডিফেন্সের (এবিসিডি) উদ্বোধন অধিবেশনে তিনি দেশের জটিল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিত দেন।

আয় বৈষম্যকে দেশের অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন এ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘এই বৈষম্য মোকাবিলায় মানসম্মত শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।’

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু সুবিধা ধরে রাখার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন ড. মাহমুদ।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আর এলডিসি হিসেবে থাকা সম্ভব নয়। উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে কিছু সুবিধা বজায় রাখার জন্য আলোচনা চলছে। অনেক দেশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।’

একটি আলাদা অধিবেশনে বাংলাদেশ কীভাবে মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, তার চিত্র তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্ডারমিট এস গিল।

বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ফোকাল পয়েন্ট হওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি দেশে উদ্যোক্তা গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:
‘ভারতের শাসকগোষ্ঠী দু’দেশের জনগণের সম্প্রীতি চায় না’
নতুন এই স্বাধীনতা অনেকের পছন্দ হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-ভারত সচিব পর্যায়ের আলোচনা ৯ বা ১০ ডিসেম্বর: তৌহিদ
কঠিন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

জাতীয়
Formation of four new committees in the Election Commission

নির্বাচন কমিশনে নতুন চার কমিটি গঠন

নির্বাচন কমিশনে নতুন চার কমিটি গঠন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশনের প্রথম বৈঠকে সোমবার এসব কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

কাজের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চার নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চারটি নতুন কমিটি গঠন করেছে।

নির্বাচন কমিশন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৩-এর উপ-বিধি ২-এর উপ-বিধি অনুযায়ী চারটি কমিটি গঠন করা হয় এবং বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নবগঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে ৮ সদস্যের ‘আইন ও বিধি সংস্কার কমিটি’র প্রধান করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছুউদকে। এই কমিটির অন্যতম প্রধান কাজ হবে বিদ্যমান নির্বাচনি আইনসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সব আইন ও বিধিবিধান পর্যালোচনা করা এবং সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করা।

নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদের নেতৃত্বে গঠিত ৯ সদস্যের কমিটির কাজ হবে নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্বিন্যাস এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারকে সীমানা পুনঃনির্ধারণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোট কেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও মনিটরিং এবং সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলোচনা সংক্রান্ত ছয় সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন পরিচালনায় তথ্য-প্রযুক্তির প্রয়োগ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বের কমিশনের প্রথম বৈঠকে সোমবার এসব কমিটি গঠন করা হয়।

গত ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সিইসি ও ইসিদের শপথ পাঠ করান।

আরও পড়ুন:
ইসি সচিব হলেন আখতার হোসেন
নিয়্যত সহিহ্‌, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি 
ইসি মো. সানাউল্লাহ, সেনাবাহিনীতে যার পথচলার পুরোটাই মেধাময়
শপথ নিলেন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার 
সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনারের শপথের অপেক্ষা

মন্তব্য

জাতীয়
More than a hundred expatriates returned home from Lebanon

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও শতাধিক প্রবাসী

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও শতাধিক প্রবাসী লেবানন থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকারের ভাড়া করা আমিরাত এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ১০৫ প্রবাসী দেশে পৌঁছান। এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে লেবানন থেকে নিরাপদে দেশে ফিরে এলেন মোট ৯৬৩ বাংলাদেশি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরে এসেছেন আরও ১০৫ প্রবাসী। এসব বাংলাদেশি সেখানে আটকা পড়ে ছিলেন। সাম্প্রতিক এই প্রত্যাবাসনের ফলে নয়টি ফ্লাইটে লেবানন থেকে নিরাপদে দেশে ফিরে এলেন মোট ৯৬৩ বাংলাদেশি।

পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতে বাংলাদেশ মিশন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় তারা দেশে ফিরে আসেন।

বাংলাদেশ সরকারের ভাড়া করা আমিরাত এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় তারা দেশে পৌঁছান।

দেশে ফিরে আসার এসব প্রবাসীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম প্রতিনিধিরা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

দেশে ফেরত আসা প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা, প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়েছে আইওএম।

লেবাননে সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রাসী ইসরায়েলের বোমা হামলায় এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

যুদ্ধ-সহিংসতার কারণে লেবানন থেকে দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক সব বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন ব্যয় বহন করার জন্য সরকার তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। যারা থাকতে চান তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

আরও পড়ুন:
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন
লেবানন থেকে এখন পর্যন্ত ফিরলেন ৫২১ বাংলাদেশি
রাতে দেশে ফিরছেন আরও ৫২ লেবাননপ্রবাসী

মন্তব্য

জাতীয়
Abu Zafar the creator of Padma and Meghna passed away

চলে গেলেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’র স্রষ্টা আবু জাফর

চলে গেলেন ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’র স্রষ্টা আবু জাফর গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী আবু জাফর। ছবি: সংগৃহীত
একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী আবু জাফর বেশকিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

‘এই পদ্মা এই মেঘনা’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’- এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এসব গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

কন্যা জিহান ফারিয়া তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক আবু জাফর বেশকিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

আবু জাফর ১৯৪৩ সালের ১৫ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। কুষ্টিয়া শহরের আডুয়াপাড়ায় তিনি বসবাস করতেন।

আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান এক সময় তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও বেশকিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। এর মধ্যে ‘নতুন রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য), ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের তালিকায় স্থান দখল করে। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। এছাড়াও নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশিরভাগ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কোনো কোনো গানে তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন।

গুণী এই ব্যক্তিত্বের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ আসর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্তানে সমাহিত করা হবে।

আরও পড়ুন:
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক হারুন-উর রশিদ মারা গেছেন
চলে গেলেন কিংবদন্তি জাকারিয়া পিন্টু
অভিনেত্রী আফরোজা মারা গেছেন

মন্তব্য

জাতীয়
BNP has submitted a proposal for reforming the police administration

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভবনে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেয়া হয়।

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ভবনে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেনের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেয়া হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সচিব এস এম জহিরুল ইসলাম দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব জমা দেন।

প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করেছিল বিএনপি।

আরও পড়ুন:
গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩ মাস
বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
আমরা একটি এজেন্ডা নিয়ে বসে থাকতে পারি না: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব
৫ সংস্কার কমিশনপ্রধানের মর্যাদা-সুবিধা, সদস্যদের সম্মানী নির্ধারণ

মন্তব্য

p
উপরে