× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
পাপুলের নামে মামলার প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
google_news print-icon

অর্থপাচার: পাপুলের নামে মামলার প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি

অর্থপাচার-পাপুলের-নামে-মামলার-প্রতিবেদন-১৪-ফেব্রুয়ারি
অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতারের পর সেখানকার কারাগারে আছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুল৷

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রীসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন জমার দিন পিছিয়ে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি করেছে আদালত।

রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দিতে না পারায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

১২ নভেম্বর একই আদালত মামলার এজাহার নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিল। গত ১১ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন মামলাটি করেন৷

মামলার অন্য আসামিরা হলেন পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন আক্তার৷

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতারের পর সেখানকার কারাগারে আছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুল৷

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

আরও পড়ুন:
পাপুলের স্ত্রী ও মেয়েকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
স্ত্রী-শ্যালিকাসহ পাপুলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এমপি পাপুল দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন শ্যালিকাকেও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
The United States is banning the visas of those who obstructed the election process in Bangladesh

বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ভিসায় নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া শুরু: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ভিসায় নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া শুরু: যুক্তরাষ্ট্র ফাইল ছবি
এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াতে বাধাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এতে বলা হয়, এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় তার সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অন্য ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, যাদের ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে এর মধ্যে বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত।

এতে বলা হয়, এই পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য। যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায়, এর মাধ্যমে তাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটছে।

মন্তব্য

জাতীয়
High Commission warning to people traveling to Australia for work

কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুদের হাইকমিশনের সতর্কবার্তা

কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুদের হাইকমিশনের সতর্কবার্তা
দেশটিতে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাজের ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করার জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গমনেচ্ছুদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশন।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ হাইকমিশন লক্ষ্য করেছে যে, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ায় কাজের প্রলোভন দেখিয়ে আগ্রহীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

দেশটিতে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাজের ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করার জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। খবর বাসসের।

এতে আরও বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী ও স্থায়ী ভিসায় কর্মী নেয়ার জন্য ‘টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ সাবক্লাস ৪৮২’ নামে একটি ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার কর্মীদের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ারর সুযোগ রয়েছে। এই ভিসা পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত একজন স্পন্সর (নিয়োগকারী) প্রয়োজন হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পেশার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে ট্রেড পেশার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সার্টিফিকেট-৩/৪ অথবা ডিপ্লোমা প্রয়োজন হয়। স্কিল লেভেল ১ মাত্রার পেশার জন্য ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। যেকোনো পেশার ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন থেকে চার বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা দরকার হয়।

অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য চাকরির নিয়োগপত্র, বিগত দুই বছরের বেতন বিবরণী, ব্যাংকের হিসাব বিবরণী প্রয়োজন হয়। সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে পাঁচ থেকে ছয় বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে রিকগনিশন অব প্রায়োর লারনিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় নিদিষ্ট সংখ্যক কলেজ থেকে পেশা সংক্রান্ত শিক্ষাগত সনদ অর্জন করা যায়। পেশা বিবেচনায় আইইএলটিএসের স্কোর প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬। আইইএলটিএস ছাড়াও অন্যান্য স্বীকৃত পরীক্ষা যেমন টোফেল, পিটিই গ্রহণযোগ্য।

বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, বিদেশি কর্মীদের কাজের দক্ষতা অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করাতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের কয়েকটি পেশার জন্য দক্ষতা যাচাই করানোর প্রয়োজন হয় না। সেগুলো হলো-অটোমোটিভ ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাবিনেট মেকার, কারপেন্টার, কারপেন্টার ও জয়েনার, ডিজেল মোটর মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান (জেনারেল), ইলেকট্রিশিয়ান (স্পেশাল ক্লাস), ফিটার (জেনারেল), ফিটার ও টারনার, ফিটার-ওয়েল্ডার, জয়েনার, মেটাল ফেবরিকেটার, মেটাল মেকানিস্ট (ফার্স্টক্লাস), মোটর মেকানিক (জেনারেল), প্যানেল বিটার, পেস্ট্রিকুক, সিটমেটাল ট্রেড ওয়ার্কার, টুলমেকার, ওয়েল্ডার (ফার্স্টক্লাস)। টেম্পোরারি স্কিল শর্টেজ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কর্মীদের বার্ষিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

এ ভিসার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়ার হোম অফিসের লিংকে

আরও পড়ুন:
কাঁচা মাছ বৃষ্টির পানি খেয়ে সাগরে দুই মাস
অস্ট্রেলিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট চালু

মন্তব্য

জাতীয়
Azra Jair talks with the Prime Minister about the elections in Bangladesh

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা আজরা জেয়ার

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা আজরা জেয়ার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন আজরা জেয়া। ছবি: ইউএনবি
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন আজরা জেয়া।

বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবিধান অনুযায়ী চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

দূতাবাসকে উদ্ধৃত করে ইউএনবির খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকাশ্য আহ্বানকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন আজরা জেয়া।

সাক্ষাতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া পোস্টে আজরা জেয়া লিখেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের পার্শ্ব ইভেন্টের সহআয়োজক হওয়ার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফের দেখা হওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব এবং ৯ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখার মহতী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘে ভাষণে রোহিঙ্গা, জলবায়ু প্রসঙ্গ তুলবেন প্রধানমন্ত্রী
সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সংকট এড়াতে ধনী দেশগুলোকে সৎ হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘে নারী মহাসচিব দেখতে চান শেখ হাসিনা
মহামারি প্রতিরোধে বৈশ্বিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

জাতীয়
There may be rain in many places of the eight divisions

আট বিভাগের অনেক জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি

আট বিভাগের অনেক জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি রাজধানীতে বৃষ্টিস্নাত সড়কে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এক যুবক। ফাইল ছবি
বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

দেশের আট বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, তিনটিতে হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য দিয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, দক্ষিণ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু উত্তরাংশে সক্রিয় এবং বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
১০ জেলায় মৃদু দাবদাহ
দুই বিভাগে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা
সারা দেশে বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা
সব বিভাগে বৃষ্টি ঝরতে পারে সোমবার পর্যন্ত
দেশজুড়ে কমতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা

মন্তব্য

জাতীয়
The Prime Minister will raise the Rohingya climate issue in his speech at the United Nations

জাতিসংঘে ভাষণে রোহিঙ্গা, জলবায়ু প্রসঙ্গ তুলবেন প্রধানমন্ত্রী

জাতিসংঘে ভাষণে রোহিঙ্গা, জলবায়ু প্রসঙ্গ তুলবেন প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে একটি ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরবেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরবেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সপ্তদশবারের মতো ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন।

এ বছরের ইউএনজিএর মূল প্রতিপাদ্য ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান।

তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ছাড়বেন। সেখানে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন তিনি।

আরও পড়ুন:
সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সংকট এড়াতে ধনী দেশগুলোকে সৎ হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘে নারী মহাসচিব দেখতে চান শেখ হাসিনা
মহামারি প্রতিরোধে বৈশ্বিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করুন: প্রধানমন্ত্রী
কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির সম্মাননা

মন্তব্য

জাতীয়
Quota announcement for 2024 Hajj

২০২৪ সালের হজের জন্য কোটা ঘোষণা

২০২৪ সালের হজের জন্য কোটা ঘোষণা ফাইল ছবি
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৬৮ জন এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন হজ করতে পারবেন।

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কতজন মুসল্লী হজে যেতে পারবেন, তা জানিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারিভাবে কতজন ও বেসরকারি এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে কতজন হজে যাবেন, সেই কোটাও নির্ধারণ করেছে সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৬৮ জন এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন হজ করতে পারবেন।

বুধবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ আগামী বছরের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের বরাদ্দ করা হজযাত্রীর কোটা বিভাজনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৯৬৮ জন হজযাত্রী এবং তাদের সঙ্গে ২৩০ জন গাইড থাকবেন। ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজে যাবেন ১০ হাজার ১৯৮ জন।

অন্যদিকে বেসরকারিভাবে হজযাত্রী এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন এবং গাইড ও মোনাজ্জেম থাকবেন ৩ হাজার ৬০০ জন। তাই বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে মোট এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন।

চলতি বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ কোটার মধ্যে ১৫ হাজার জনের সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাদ বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের বরাদ্দ ছিল। তবে সেই কোটা পূরণ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন:
বেঁচে যাওয়া টাকা হাজিদের ফেরত দিচ্ছে মন্ত্রণালয়
এখন হজযাত্রীদের লাগেজটাও টানতে হয় না

মন্তব্য

জাতীয়
The spectacular third terminal is awaiting inauguration

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণ শেষের পথে দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনাল। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল আংশিকভাবে উদ্বোধন করবেন। তবে এটি শতভাগ প্রস্তুত হবে ২০২৪ সালের শেষের দিকে। তখন এই টার্মিনালে বছরে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে, বর্তমানে বিদ্যমান দুই টার্মিনালে সেবা পাচ্ছেন প্রায় ৮০ লাখ যাত্রী।

উদ্বোধনের অপেক্ষায় রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। অবকাঠামো নির্মাণ কাজের বেশিরভাগই শেষ হয়ে এসেছে। দৃশ্যমান হয়েছে দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল ভবন ও কার পার্কিং ভবন। বাকি কাজ সমাপ্ত করতে দিন-রাত নিরলস কাজ করে চলেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও বিপুলসংখ্যক শ্রমিক।

নবনির্মিত থার্ড টার্মিনালে ইতোমধ্যে লিফট, এসকেলেটর, ইমিগ্রেশন বুথ, দৃষ্টিনন্দন সিলিং, গ্লাস ও টাইলস ফিটিংয়ের কাজও প্রায় শেষ। এখন চলছে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার ফ্লাইওভার এবং সোন্দর্য বোর্ধনের কাজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল আংশিকভাবে উদ্বোধন করবেন। ওইদিন এই টার্মিনাল ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল

তবে বড় পরিসর ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই তৃতীয় টার্মিনাল থেকে পুরোপুরি সুবিধা পেতে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত। তখন এই টার্মিনাল দেশের এভিয়েশন খাতে নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে- এমন প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দেয়া তথ্যমতে, টার্মিনাল ভবনটির নকশা করেছেন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের নকশাকার রোহানি বাহারিন। তিনি চাঙ্গি এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩ ছাড়াও চীনের গুয়াংজুর এটিসি টাওয়ার, ভারতের আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নকশা তৈরি করেছেন এই স্থপতি।

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। ৩ তলাবিশিষ্ট এই টার্মিনালে থাকবে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ। তবে অক্টোবরে উদ্বোধনের সময় ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু করা হবে। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে। এর মধ্যে ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার।

এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি। আর আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে।

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল

শাহজালাল বিমানবন্দরে বিদ্যমান দুই টার্মিনাল মিলে লাগেজ বেল্ট আছে মোট ৮টি। সেখানে তৃতীয় টার্মিনালে আগমনী যাত্রীদের জন্য থাকছে ১৬টি লাগেজ বেল্ট। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য থাকবে চারটি পৃথক বেল্ট।

তৃতীয় টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এছাড়া থাকছে এক হাজার ৪৪টি গাড়ি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল কার পার্কিং।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে (টার্মিনাল-১ ও ২) বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব হয়। সেখানে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। সব মিলিয়ে তখন বছরে প্রায় ২ কোটি যাত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া পুরনো টার্মিনালের অ্যাপ্রোনে বর্তমানে ২৯টি বিমান রাখা যায়। ৭ তারিখ সফট ওপেনিং হলে তৃতীয় টার্মিনালের অ্যাপ্রোনে আরও ১০টি বিমান পার্ক করা যাবে।

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল

তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, নিচতলায় থাকবে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম। দ্বিতীয় তলায় থাকবে বহির্গমন লাউঞ্জ, ক্যান্টিন ও বোর্ডিং ব্রিজ। তৃতীয় তলায় রাখা হচ্ছে আগমনী ও বহির্গামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, চেক-ইন কাউন্টার ও সিকিউরিটি সিস্টেম।

তৃতীয় টার্মিনালের দক্ষিণ প্রান্তে ৩ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে ভিভিআইপি এবং ভিআইপি যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য বিশাল লাউঞ্জ করা হচ্ছে নতুন টার্মিনালে। ৪০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের প্রধান বহির্গমন লাউঞ্জ ব্যবহার করবেন ট্রানজিট যাত্রীরা। তবে পুরনো দুটি টার্মিনালের সঙ্গে নতুন টার্মিনালের সংযোগ থাকবে না এখন। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন ও পুরনো টার্মিনালের মধ্যে করিডোর নির্মাণ হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তৃতীয় টার্মিনালের ৮৬ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করছি উদ্বোধনের আগে ৯০ শতাংশ কাজ আমরা শেষ করতে পারব।’

তিনি জানান, কিছু কিছু কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। রানওয়ের সঙ্গে অ্যাপ্রোনের সংযোগ হয়ে গেছে। এক্সপোর্ট এবং কার্গো টার্মিনালও হয়ে গেছে। প্রধান ভবনের ফিজিক্যাল স্ট্রাকচারের কাজগুলোও শেষ। ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের আগে আরও অনেকটা কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিছুদিনের মধ্যে বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগসহ বাকি সংযোগের কাজগুলো শেষ করা হবে।

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল

মফিদুর রহমান বলেন, ‘এই সফট ওপেনিংয়ের পর আরও কিছু কাজ বাকি থাকবে। এই যেমন ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, ফায়ার সিস্টেম ও বিভিন্ন প্রযুক্তির সিস্টেম ইনস্টল করা। এখানে যারা কাজ করবেন তাদের ট্রেনিংসহ আরও কিছু কাজ রয়েছে। এসব কিছু শেষ করে আশা করছি ২০২৪ সালের শেষের দিকে তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে।

‘এটি হবে একটি আধুনিক টার্মিনাল। এখানে যাত্রীরা উন্নত বিশ্বের সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাবে। এখানে সব কিছুতে আধুনিক অটোমেটেড সিস্টেম থাকবে।’

রাজধানীর মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটি, হাইওয়ে, রেল স্টেশন- সব মাধ্যমে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সংযোগ থাকছে এই তৃতীয় টার্মিনালে। যাত্রীরা এসব মাধ্যম ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে যাতায়াত করতে পারবেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয় ২০১৭ সালে। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনের প্রহর গুনছে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল

নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়।

তিনটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি।

এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয় ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ বাস্তবায়নের মেয়াদ ৪৮ মাস। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকার যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

মন্তব্য

p
উপরে