ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেটের ৯১১টি দোকানের বরাদ্দ অবৈধ জানিয়ে দোকানিদেরকে উচ্ছেদ করছে সিটি করপোরেশন। দোকান হারিয়ে ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ সংসার চালাতে পণ্য নিয়ে ফুটপাতে।
তবে দোকানিরা জানান, দোকানগুলো তাদেরকে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। আর এ জন্য সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে এককালীন টাকাও দেয়া হয়। তাদের হিসাবে তাদের মালিকানা বৈধ। হঠাৎ কীভাবে অবৈধ হয়ে গেল, সেটা বুঝতে পারছেন না।
মঙ্গলবার থেকে বিপণিবিতানের দোকানগুলো উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তাদের দাবি, এগুলো নকশাবহির্ভূত। কিছু দোকান মূল বিপণিবিতানের শৌচাগার, লিফটের জায়গা ও মানুষের হাঁটার পথে তৈরি করা হয়েছে।
দোকানিদের অভিযোগ, সাঈদ খোকন মেয়র থাকাকালে এসব দোকান বৈধ করতে তারা তিন লাখ থেকে শুরু করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। দোকানগুলো থেকে সিটি করপোশন এত দিন ভাড়াও নিয়েছে।
সাবেক মেয়রও বলছেন, দোকানিদের দাবি ঠিক। এই উচ্ছেদ অভিযান অবৈধ। তারা ব্যবসায়ীদেরকে বৈধভাবেই দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন।
দোকানিরা যা বলছেন?
জাকের প্লাজার বিএম এন্টারপ্রাইজের মালিক নিয়াজ আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমিসহ আমার ব্লকের ১০০ দোকানি গত বছর মার্চ মাসে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মীর সমীরকে তিন লাখ করে টাকা দিয়েছি। তখন তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন এই দোকান বৈধ করা হবে। কিছু দিনের মধ্যে বৈধ কাগজ দেয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমরা এখানে দোকান করে যাচ্ছি।’
তবে এ জন্য লিখিত কোনো চুক্তি হয়নি।
কাগজ ছাড়া কীভাবে চুক্তি করলেন?
আলমগীর হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি তো একা না। আমার সঙ্গে আরও ৯৯ জন আছে। আর তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর। এখানে ৩০ বছর ধরে আছেন। আমাদেরকে এমন ভরসা দেয়া হয়েছিল। পরে করোনার জন্য এই বৈধ করার প্রক্রিয়া থেমে আছে বলে জানিয়েছিলেন কাউন্সিলর।’
নিয়াজ আহমদ বলেন, ‘আমাদেরকে উচ্ছেদের আগে সময়ও দিল না। সোমবার একবার করে মাইকিং করে গিয়েছে সিটি করপোরেশন। আমরা এরপর মীর সমীরেরে সিদ্দিক বাজার বাসায় গেলে তার দেখা পাওয়া যায়নি।’
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আগের মেয়র থাকা অবস্থায় এই দোকানগুলোর বিনিময়ে আমাদের কাছ থেকে সাত থেকে ১৫ লাখ করে টাকা নিয়েছে তারা। আমি কারও নির্দিষ্ট কারও নাম বলতে চাই না। তবে যদি তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে বসে, তাহলে আমরা আমাদের দেয়া কাগজ তাদেরকে দেখাতে পারব।’
তবে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর সমীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কোনো টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক আছে যারা এমন কথা বলছে। আমি কোনো দোকান বৈধ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেইনি।’
কারা টাকা নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যুবলীগের কিছু নেতা কর্মীরা তখন টাকা তুলে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে দিয়েছিল। আমি যে দোকানগুলোর জন্য জন্য কাজ করেছি সেইগুলা একটিও ভাঙা হয়নি।’
৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ীদের পক্ষে। তারা বৈধভাবে ব্যবসা করে খাক। তবে টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি মাত্র চার মাস আগে দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। আজ এখানে এসে জানতে পারলাম টাকার বিনিময়ে এমন কিছু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানকার দোকানের মালিকেরা প্রতি দোকান বাবদ সাত থেকে ১২ লাখ করে টাকা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের কাছে এই টাকার কোনো হিসাব নেই।’
বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন কাউন্সিলর।
ডিএসসিসি দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এসব দোকানের বিপরীতে এককালীন লাখ লাখ টাকা দিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের কিছু রিসিপট আমি দোকান মালিকদের কাছে দেখেছি। সেখানে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। আসলে বিষয়টা পুরোটাই মানবিক। মধ্যস্বত্বভোগীরা মধ্যস্বত্ব ভোগ করে চলে গিয়েছে।’
কারা টাকা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সিটি করপোরেশনের রিসিপট দেখেছি, সে ক্ষেত্রে এটা নিশ্চিত সিটি করপোরেশন টাকা নিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মেয়রের সঙ্গে কথা বলব।’
বৈধভাবে দোকান বরাদ্দ পাওয়া এমনকি ট্যাক্স দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, ‘তারা যদি সঠিক কাগজ জমা দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তারা মেয়র মহোদয় বরাবর আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে সিটি করপোরেশন তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
অবৈধ দোকানের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের অভিযোগ প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে তাদের জন্য দুদক আছে, সরকারের অন্যান্য তদন্ত দল আছে। যারা টাকা দিয়েছে তারা অভিযোগ করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে।’
সাঈদ খোকন যা বলছেন
দোকানগুলো যখন বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তখন মেয়র ছিলেন সাঈদ খোকন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যে ৯১১টি দোকানের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে ম্যাক্সিমাম বৈধ। এই দোকানিদের অনেকে আদালতে গিয়েছিলেন। আদালত থেকে একটা নির্দেশনা আসে তাদের সমস্যা নিষ্পত্তি করার জন্য।’
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সিটি করপোরেশনে বোর্ড সভা ডাকেন। সেখানে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কেটের নকশা সংশোধনের উদ্যোগ নেন। আর যেগুলো দোকানের কারণে চলাচলের অসুবিধা হয় সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, ‘যেগুলো দোকানকে সে সময় বৈধতা দেয়া হয়েছে, সেগুলোকেও এখন সিটি করপোরেশন ভাঙছে। এটা অন্যায়। তাদেরকে অবিলম্বে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃপক্ষ দোকানিদের কথা শুনছে না, এটা আমার দৃষ্টিতে একদম সঠিক নয়। আমরা তাদেরকে একটা লিগ্যাল ডকুমেন্ট দিয়েছি। সেটা সিটি করপোরেশন থেকে দেয়া হয়েছে। এটাকে তো ডিজঅনার করতে পারে না তারা।’
টাকা নেয়ার অভিযোগের প্রশ্নে সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা শুধু সাত মাসের ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া নিয়ে রশিদ দিয়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে আমাদের এই লেনদেন।’
‘কে কাকে কোথায় টাকা দিয়েছে এটা তারা বলতে পারবে। এটা আমাদের জানার বিষয় না’- বলেন সাবেক মেয়র।
আরও পড়ুন:আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে বলে পুনরায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।”
আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, বিশেষ করে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বডিওর্ন ক্যামেরা কেনা হবে এবং এ বিষয়ে সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশনগুলোতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে।
প্রবাসীদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো এবং বিমান ও বিমানবন্দরে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানান। সূত্র: বাসস
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত। তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
তিনি আজ রোববার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার জেলা পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র প্রতীক সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতীক নির্ধারণ সংবিধান ও নির্বাচনী বিধিমালার আওতায় করা হয়। শাপলা প্রতীক সেই তালিকায় নেই।
তাই তা বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও নেই।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন আর হবে না। সবার সহযোগিতায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ কোনো কর্মকর্তা যাতে নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকেন, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’ সূত্র: বাসস
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে।
অন্য সদস্যরা হলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মুঃ রইচ উদ্দিন খান ও মোঃ তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব পঙ্কজ বড়ুয়া।
কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র: বাসস
গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।
বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।
এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।
১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।
‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
তিনি আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে মিলার লেখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে মিলারের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বহন করে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ লক্ষ্যে ইইউ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এসব উদ্যোগ গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির অংশ। সূত্র: বাসস
মন্তব্য