× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
কষ্ট নয় আমি আনন্দিত গর্বিত আবুল হোসেন
google_news print-icon

পদ্মা সেতু আমার গর্ব: আবুল হোসেন

পদ্মা-সেতু-আমার-গর্ব-আবুল-হোসেন
‘আমার মনে কোনো কষ্ট নেই। কারণ আমি পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করেছিলাম। দুই বছরে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান, মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান এবং সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক, জাপানের জাইকা, ইসলামী উন্নয়ন সংস্থা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করি।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু যার হাত ধরে তিনি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। শুরুতেই বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প। আর সেই সঙ্গে অভিযোগের মুখে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যান সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে অবশ্য কানাডার আদালতে দুর্নীতির সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও সেতু নিয়ে অনুভূতি নিউজবাংলাকে প্রকাশ করেছেন সাবেক এ যোগাযোগমন্ত্রী।

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর সময় থাকতে পারলে কি ভালো লাগত?

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানো একটি সুসংবাদ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি আনন্দের, খুশির খবর। শেষ স্প্যান বসানোর ফলে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে। এটা দেশের জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রার নিয়ামক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সফলতা ও নেতৃত্বের ফসল। এই সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়ায় আমি সম্পৃক্ত ছিলাম এবং দ্রুত বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি। এটা আমার গর্ব।

আপনার মনের কোণে কি কোনো কষ্ট আছে? সেতুটি আপনার হাত দিয়েই শেষ হতে পারত।

না, আমার মনে কোনো কষ্ট নেই। কারণ আমি পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করেছিলাম। দুই বছরে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান, মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান এবং সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক, জাপানের জাইকা, ইসলামী উন্নয়ন সংস্থা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করি। ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনকাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসি। প্রাকযোগ্য দরদাতা নির্বাচন প্রক্রিয়াও শেষ করি। যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রস্তুতি কাজ করতে ১০ বছর লেগেছে, সে ক্ষেত্রে আমি পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজ দুই বছরে শেষ করি। কাজেই এটা আমার সাফল্য। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমার অবদান কি কোন অংশে কম। কেউ কি বা ইতিহাস কি আমার অবদান অস্বীকার করতে পারবে? যারা পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে, তাদের অভিযোগ যে অসত্য তা কানাডার আদালত ও দুদকের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যেকোনো কাজের সফলতা রিলে রেসের মতো। পদ্মা সেতুর কাজ আমি শুরু করেছি, আমি এগিয়ে নিয়েছি। অন্য হাতে শেষ হবে- এটাই স্বাভাবিক। আমি কষ্ট নয়, আমি আনন্দিত। আমি গর্বিত।

একটি বায়বীয় অভিযোগে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে। নির্বাচনেও মনোনয়ন পাননি। এটা কি অবিচার হিসেবে দেখেন?

আমি মন্ত্রী না থাকা বা এমপি নির্বাচনে মনোনয়ন না নেয়া অথবা নির্বাচন না করা অবিচার হিসেবে দেখি না। আমি মন্ত্রিত্ব হারাইনি। দেশের স্বার্থ বিবেচনায় আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এসেছি, পদত্যাগ করেছি। আমি পরপর চারবার বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। এতে আমার প্রতি কোনো অবিচার নয়, আমার মর্যাদা বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের কাছে আমার মর্যাদা, আমার সততা ও সুনাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান বেড়েছে। জনগণের মধ্যে, এলাকার জনগণের মধ্যে আমার সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা বহু গুণ বেড়েছে। পদ্মা সেতুতে আমি যে অনিয়ম করিনি, তা প্রমাণিত হওয়ায় সর্বমহলে আমার সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

পদ্মা সেতু আমার গর্ব: আবুল হোসেন

অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে জটিলতার শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?

পদ্মা সেতুতে সব ডোনার এজেন্সির কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকায় ছিল বিশ্বব্যাংক। তাই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজের প্রত্যেক পর্যায় অবলোকন ও অনুমোদন করে। পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগের প্রতিটি পর্যায় তাদের অনুমোদনে অগ্রসর হয়। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে কারিগরি কমিটি ঠিকাদার নিয়োগ ও কনসালট্যান্ট নিয়োগের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগের একপর্যায়ে বিশ্বব্যাংক, কারিগরি কমিটিকে একটি কোয়ালিফাইড ঠিকাদারকে, বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকাভুক্ত থাকার কারণে বাদ দিতে বলে এবং একটি আনকোয়ালিফাইড ঠিকাদারকে কোয়ালিফাইড করতে বলে। কারিগরি কমিটি কোয়ালিফাইড দরদাতাকে বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকাভুক্তির কারণে বাদ দেয়। কিন্তু আনকোয়ালিফাইড দরদাতাকে অভিজ্ঞতার জাল সার্টিফিকের দেয়ায় কোয়ালিফাইড করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু বিশ্বব্যাংক আনকোয়ালিফাইড দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কোয়ালিফাইড করতে তার অনুকুলে বারবার কোয়ারি করে। আনকোয়ালিফাইড দরদাতাকে কোয়ালিফাইড করতে কারিগরি কমিটিকে নমনীয় করতে বিশ্বব্যাংক ব্যর্থ হয়। এরপরই তারা পদ্মা সেতুর কার্যক্রমে বাধা দিতে থাকে; নানা কর্নার দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে। উদ্দেশ্য পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বিলম্বিত করা। তারা সোজা পথে তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে না পেরে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

আপনাদের সঙ্গে যখন বিশ্বব্যাংকের বৈঠক হতো, তখন তাদের কর্মকর্তারা কী বলতেন? আপনাকে কেন তারা টার্গেট করেছে?

বিশ্বব্যাংক যখন তাদের সমর্থিত অযোগ্য ঠিকাদারকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়, তখনই তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা তাদের এই অবৈধ কার্যক্রমকে আড়াল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে সমর্থিত ঠিকাদারের স্থানীয় এজেন্ট দিয়ে ভুয়া বেনামি অভিযোগপত্র দেয়া শুরু করে এবং এসব ভুয়া সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশে প্রভাব বিস্তার করে। অনেক নামীদামি পত্রিকাও বিশ্বব্যাংকের এ ষড়যন্ত্র বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক, তাতে হাত মিলায়। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে যেন পদ্মা সেতু নির্মাণ কার্যক্রম বিলম্বিত হয়। এ সময় বিশ্বব্যাংক তাদের ষড়যন্ত্রকে কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনৈক বিহারিকে পদ্মা সেতু নির্মাণের কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করে। ফলে আমার বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, পদ্মা সেতু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে। তাই একপর্যায়ে যখন ঠিকাদার নিয়োগে কোনো ত্রুটি বা অনিয়ম প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বব্যাংক আমাকে টার্গেট করে এবং আমি সরে গেলেই বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে, সেতুর কাজ চালিয়ে যাবে, এমন কথা বলতে থাকে। অযোগ্য ঠিকাদার নিয়োগে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বব্যাংক আমাকে টার্গেট করে যাতে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিলম্বিত হয়। এ সময় তৎকালীন ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি মিস গোল্ড স্টেইন আমাকে এক ডিনারে বলেছিলেন, ‘মিস্টার হোসেন, ডোন্ট গো ফাস্ট। ডোন্ট কমপ্লিট দ্য ব্রিজ ডিউরিং দ্য টেনর অফ দিজ গভর্নমেন্ট।’ এ বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছিলাম। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বার্থে আমি মন্ত্রিসভা থেকে একপর্যায়ে পদত্যাগ করি। এরপরও বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন কার্যক্রম শুরু করেনি। এটা ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।

দুর্নীতিচেষ্টার এই অভিযোগ তোলার পেছনে আসলে কী কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন?

বিশ্বব্যাংক প্রথমে অভিযোগ করে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। পরে বলে দুর্নীতির চেষ্টা হয়েছে। এরপর বলে দুর্নীতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ তখন পর্যন্ত কোনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি, অর্থছাড় করেনি। তাদের অর্থায়নে কোনো ঠিকাদার নিয়োগ হয়নি। তাহলে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ আসে কীভাবে? দুর্নীতির অভিযোগের আসল কারণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আমি পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজ এমনভাবে দ্রুত এগিয়ে নিয়েছিলাম যে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। পদ্মা সেতুর কাজ এ সময়ে দ্রুত শেষ হবে এটা রাজনৈতিকভাবে দেশের কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি যেমন চাননি, তেমনি পছন্দের ঠিকাদারকে নির্বাচিত করতে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। সেতুর কাজকে ধীরগতি করার জন্য বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

দুদক যখন বারবার বলছিল তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায়নিতখন বলা হচ্ছিল তারা সরকারকে বাঁচাতে চাইছে। কানাডার আদালতের মামলায় তো দুর্নীতির অভিযোগকে গালগপ্প বলা হলো। এরপর বিশ্বব্যাংক সরকারকে কী বলেছে?

স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও জবাবদিহিতাকে দাতা সংস্থা সবসময় খাটো করে দেখে। তাই দুদক যখন বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের ভিত্তি ও সত্যতা খুঁজে পায়নি, তখন তা বিশ্বব্যাংক জানিয়ে দিলে তাদের চিরায়ত বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে তারা এ তদন্তকে সরকারকে বাঁচানোর ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। কিন্তু কানাডার আদালতের রায় তাদেরকে বোকা করে দেয়। এরপর তারা নিশ্চুপ হয়ে যায়। পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করা ছিল বিশ্বব্যাংকের একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ হারাল। পরে শুনেছি বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক প্রভাবিত হয়ে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় আলোচনা না করে এবং অনুমোদন না নিয়েই নিজ উদ্যোগে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন স্থগিত করেছেন। বিশ্বব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অর্থায়ন স্থগিতের বিষয় সমর্থন করেননি। বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সাথে চায়নায় বোয়া ফোরামে এক অনুষ্ঠানে আমার সাক্ষাৎ হয়, পরিচয় হয়। তখন তিনি পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বাতিল করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। রবার্ট জোয়েলিকের মতো বিশ্বব্যাংকের হাতে গোনা কতিপয় কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু অর্থায়ন না করার দায় বিশ্বব্যাংকের নিতে হলো। আমি মনে করি, বিশ্বব্যাংক সৃষ্টির পর থেকে আরও ১০০ বছরেও পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে আর বিশ্বব্যাংক সুযোগ পাবে না। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের সেই রবার্ট জোয়েলিক এখন কোথায়? মিস গোল্ড স্টেইন এখন কোথায়? সেই লুইস ওকাম্পো কোথায়? তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ খবর দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অথচ তারা বাংলাদেশে এসে সততার নাটক করেছে। এখন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা হলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন, লজ্জিত হন। আমাকে সমীহ করেন। আমি সম্মানিত হই।

পদ্মা সেতু আমার গর্ব: আবুল হোসেন

আপনি সম্ভবত একটি বা দুটি গণমাধ্যমকে আইনি নোটিশ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখার জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। তারা কি কোনো জবাব দিয়েছিল?

আমি পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে নানা অসত্য কথা প্রকাশের জন্য আমি কোনো পত্রিকাকে কোনো আইনি নোটিশ প্রদান করিনি। তবে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছি। আমার লেখা এ চিঠিগুলো ‘আমার খোলা চিঠি’ বইতে আপনারা শিগগিরই দেখতে পারবেন। এ চিঠির তারা কোনো জবাব দেয়নি।

বিশ্বব্যাংকের এই অভিযোগ কি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য শাপে বর হলো? এত বড় প্রকল্প যদি নিজ অর্থে করা যায়, তাহলে আরও ছোট প্রকল্প তো অবলীলায় করা যাবে।

আমি বিষয়টা এভাবে দেখি না। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে যে অভিযোগ এনেছিল, তা ছিল বায়বীয়। এ বায়বীয় অভিযোগ উত্থাপন করে কোনো প্রকল্পের ঋণদান স্থগিত করা যায় না। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতুর অর্থায়ন ঋণচুক্তি হয়েছে পদ্মা নদীতে। সুবিশাল জাহাজে। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করে পদ্মা নদীতে ডুবে গেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আমাদের সক্ষমতা দেখিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। বিশ্বব্যাংক নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতুর মতো একটি প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ হারাল। বিশ্বব্যাংক কোনো দিন এ ধরনের একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির নিয়ামক প্রকল্পে অবদান রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। হ্যাঁ একটি সুযোগ তাদের আছে। যদি তার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কঙ্গো নদীতে সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করতে পারে। কঙ্গো নদীর প্যাটার্নও পদ্মা নদীর মতো।

অর্থায়নের আলোচনায় দাতা সংস্থার সঙ্গে যে অবস্থান এতদিন ছিল, পদ্মা সেতু কি তা পুরোটাই পাল্টে দিল?

হ্যাঁ, অনেকটা পাল্টিয়ে দিয়েছে। আমাদের সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে তাদের নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বায়বীয় অভিযোগ এনে তারা ভেবেছিল, আমরা তাদের শর্ত বা ঠিকাদার নিয়োগে তাদের পছন্দের অযোগ্য ঠিকাদারকে নির্বাচন করতে এগিয়ে যাব। তাদের ডিক্টেশন আমরা শুনব। কিন্তু বাস্তবতা তাদের সঠিক পথে টেনে এনেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এখন নানা প্রকল্পে অর্থায়ন করার জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পিছনে ঘুরছে। বাংলাদেশের সাথে নমনীয়ভাবে, সতর্কভাবে কথা বলছে। পদ্মা সেতুর কার্যক্রমের জন্য লজ্জিত হচ্ছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Mustafa Zaman Abbasis death is the main adviser to the death

মুস্তাফা জামান আব্বাসীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মুস্তাফা জামান আব্বাসীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার এক শোকবার্তায় মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী শিল্পী বাংলাদেশের সংগীত জগতে যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা মুস্তাফা জামান আব্বাসীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারে জন্ম নেয়া বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এই শিল্পীর গান ও গবেষণা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিত্যনতুন চিন্তা ও সৃষ্টির খোরাক জোগাবে।”

প্রসঙ্গত, মুস্তাফা জামান আব্বাসী ৮৭ বছর বয়স আজ সকালে মৃত্যুবরণ করেন।

মন্তব্য

জাতীয়
A league prohibition program will be celebrated in the anti fascist national unity banner Hasnat

আ.লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য" ব্যানারে পালিত হবে- হাসনাত

আ.লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে হওয়া শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি এখন থেকে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য' ব্যানারে পালিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, এই আন্দোলন কোনো একক দলের বা মতের নয়।

বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একত্রিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন হাসনাত।

শনিবার দুপুরে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এই ঘোষণা দেন।

ফেসবুকে হাসনাত লিখেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গত দুই দিন ধরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় অবস্থান করছে। এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারেনি।

বিভিন্ন মহল থেকে এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে দাবি করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, নানাভাবে আন্দোলনকে বিতর্কিত ও বিভক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, এই আন্দোলন কোনো একক দলের বা মতের নয়। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে এখন থেকে আমাদের সব কর্মসূচি "ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য" ব্যানারে পালিত হবে।

ঢাকাসহ সারাদেশের ছাত্র-জনতাকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আসুন, আমরা সবাই জুলাইয়ের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানপন্থী সকল মত ও দল একত্রে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, জুলাই এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র জনতার শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি গতকাল বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে। আজ বিকেল থেকে আর দুইটি দাবি যোগ করে আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হবে বলে ঘোষণা দেন হাসনাত।

দাবিগুলো হলো—আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করা এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা।

মন্তব্য

জাতীয়
Attempts are underway to return Sheikh Hasina to return Home Advisor

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শনিবার (১০ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।

শনিবার (১০ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে সবসময়ই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে, ইন্টারপোল তো আমার কথা অনুযায়ী কাজ করবে না! এক্ষেত্রে তারা (ইন্টারপোল) তাদের আইন-কানুন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

এসময় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’

‘তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জেলা ডিএসবির আবেদনের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দাবি-দাওয়ার বিষয়ে রাস্তায় আন্দোলন করলে জনদুর্ভোগ হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে রাস্তা ছেড়ে অন্য কোথাও আন্দোলন করলে ভালো হয়।’

এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করার জন্য সাংবাদিকদের সাহায্য চান উপদেষ্টা।

গতকাল (শুক্রবার) যমুনার সামনে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে বলার পর তারা শাহবাগে গেছেন। সেখানেও দুর্ভোগ হচ্ছে। তবে তারা ইমার্জেন্সিগুলো দেখছেন,’ বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মন্তব্য

জাতীয়
Mustafa Zaman Abbasi is no longer

মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই

মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ শনিবার সকালে বনানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

তাঁর মেয়ে শারমিনী আব্বাসী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা এবং বহু ভক্ত, অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন পল্লিগীতির অগ্রপথিক আব্বাসউদ্দীন আহমেদের পুত্র।

বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি গতকাল শুক্রবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ ভোর সাড়ে ৫ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গুলশান আজাদ মসজিদে আজ বাদ জোহর তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মুস্তাফা জামান আব্বাসী ১৯৩৬ সালের ৮ ডিসেম্বর উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্বাসউদ্দীন আহমেদ ছিলেন পল্লীগীতির অগ্রপথিক এবং দেশের পল্লীসংগীতকে তিনিই প্রথম বিশ্বের দেশে দেশে জনপ্রিয় করেছেন।

মুস্তাফা জামান আব্বাসীর চাচা আবদুল করিম ছিলেন পল্লীগীতি ও ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালির জনপ্রিয় শিল্পী। বড় ভাই মোস্তফা কামাল ছিলেন প্রধান বিচারপতি। বোন ফেরদৌসী রহমান ও ভাতিজি নাশিদ কামালও সংগীতাঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর স্ত্রী আসমা আব্বাসী ছিলেন একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ও লেখক। তিনি গত বছর মারা গেছেন।

ভারতের কোচবিহারের বলরামপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া আব্বাসী শৈশব কাটিয়েছেন কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর হার্ভার্ড গ্রুপ থেকে মার্কেটিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

লোকসংগীত গবেষণা ও সংগ্রহে তার অবদান অনন্য। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ফোক মিউজিক রিসার্চ গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী ২৫টির বেশি দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি পরিবেশন করে বাংলাদেশের সংগীতকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ব পরিমণ্ডলে। তিনি ছিলেন একজন গবেষক।

মুস্তাফা জামান আব্বাসীর উপস্থাপনায় বিটিভির ‘ভরা নদীর বাঁকে’, ‘আমার ঠিকানা’, ‘আপন ভুবন’ প্রভৃতি অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা পেয়েছে।সমাজসেবায়ও তিনি ছিলেন সক্রিয়, রোটারি ক্লাবের গভর্নর হিসেবে বহু উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী রচিত গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম ‘লোকসঙ্গীতের ইতিহাস’, ‘ভাটির দ্যাশের ভাটিয়ালি’, ‘রুমির অলৌকিক বাগান’, উপন্যাস ‘হরিণাক্ষি’, স্মৃতিকথা ‘স্বপ্নরা থাকে স্বপ্নের ওধারে’ এবং ইংরেজি জীবনী।

বাংলা সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Train derailed to break the closed southern railway for 12 hours

ভাঙ্গায় লাইনচ্যুত ট্রেন, ১২ ঘন্টা ধরে বন্ধ দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল

ভাঙ্গায় লাইনচ্যুত ট্রেন, ১২ ঘন্টা ধরে বন্ধ দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে খুলনাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি কোচ ভাঙ্গা বামনকান্দা জংশন এলাকায় লাইনচ্যুত হওয়ায় ১২ ঘন্টা ধরে বন্ধ রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল। পয়েন্টম্যানের ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং পয়েন্টম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (০৯ মে) রাত সাড়ে ৯টা দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বেনাপোল ও ঢাকা- রাজবাড়ী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন কয়েকশ যাত্রী। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে, লাইনচ্যুত কোচ ২টি উদ্ধারে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে ২টি রিলিফ ট্রেন বা ক্রেনসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাচিনা খাতুন বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত থেকে লাইনচ্যুত কোচ ২টি উদ্ধারে রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে ২টি ক্রেন এনে লাইন সচল করতে কাজ করছি।’

হাচিনা খাতুন বলেন, ‘পয়েন্টম্যান নজরুল ইসলাম কতৃপক্ষ থেকে অনুমতি না নিয়েই সিগনাল বা পয়েন্ট পরিবর্তন করেছে। তার ভুল করার বিষয় সত্যতা পেয়েছি। একারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

এছাড়া এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করছি দুপুর নাগাদ লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে।’

এ বিষয় ভাঙ্গা জংশনের সহকারী রেল স্টেশন মাস্টার সুমন বাড়ৈ জানান, ঢাকা থেকে খুলনা গামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসটি ভাঙ্গা রেল জংশন থেকে বের হওয়ার কিছুদূর পরে গিয়ে ইঞ্জিন সহ একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সামনের ইঞ্জিন ও লাগেজ ভ্যান দুইটি এক লাইন থেকে অন্য লাইনে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘পয়েন্টম্যান নজরুলের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

সুমন বাড়ৈ বলেন, এ দুর্ঘটনার পরে গতকাল (শুক্রবার) রাত নয়টা দশ মিনিট থেকে এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৩টি রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী ও খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ক্রেন সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করছেন। দুপুর পর্যন্ত লাইনটি সচল করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা বামনকান্দা রেল জংশনের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খায়রুজ্জামান সিকদার জানান, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়াতে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাতে সকল যাত্রী বিভিন্ন পরিবহনে চলে গিয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Four Bangladeshi channels closed on YouTube in India

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ চার বাংলাদেশি চ্যানেল

ভারতে ইউটিউবে বন্ধ চার বাংলাদেশি চ্যানেল ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করা হয়েছে। দেশটির সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে চ্যানেলগুলো জিও ব্লক করে দিয়েছে ইউটিউব।

বন্ধ হওয়া চ্যানেলগুলো হলো—যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন এবং মোহনা টেলিভিশন।

শুক্রবার (৯ মে) তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসে। তাতে বলা হয়, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’

এ বিষয়ে ইউটিউব থেকে আনুষ্ঠানিক বার্তা পাওয়ার কথা ডিসমিসল্যাবকে নিশ্চিত করেছে যমুনা টেলিভিশন। ভারত সরকারের অনুরোধে তাদের সব পুরোনো ও ভবিষ্যতের অনুষ্ঠান দেশটির দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ডিসমিসল্যাব এই চার চ্যানেলের ইউটিউব লিংক নয়াদিল্লি ও কলকাতাভিত্তিক দুইজন সাংবাদিককে পাঠায়। তারাও নিশ্চিত করেন যে চ্যানেল চারটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

জিও ব্লকিং মানে দর্শকের ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কনটেন্ট অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করা। এই ক্ষেত্রে, ব্লক করা বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেসযোগ্য (দেখা গেলেও) থাকলেও ভারতের ব্যবহারকারীরা দেখতে পাবেন না।

গত ২২ এপ্রিল ‌পে‌হেলগা‌মে সন্ত্রাসী হামল‌ার প্রতি‌ক্রিয়ায় ৬ মে দিবাগত রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পরিচালিত এই হামলা নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার ভারতে বন্ধ করা হলো।

এর আগে এক্স জানায়, ভারত সরকার আট হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে মাক্তুব মিডিয়া, দ্য কাশ্মিরিয়াত ও ফ্রি প্রেস কাশ্মিরের মতো স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে।

গত মাসে ভারতের নির্দেশে বেশ‌কিছু পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল এবং রাজনীতিবিদ ও তারকাদের ইনস্টাগ্রাম আইডি ভারতে ব্লক করা হয়েছে বলেও ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, ভারতের এই পদক্ষেপে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক—যারা এসব চ্যানেল নিয়মিত দেখেন তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কাজ ভোক্তা অধিকারের আন্তর্জাতিক রীতির পরিপন্থি।’

এ ব্যাপারে ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউটিউবের কাছে এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইব। যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাই, তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’

মন্তব্য

জাতীয়
Hasnat called for a mass rally

তিন দা‌বিতে গণসমাবেশের ডাক দি‌য়ে‌ছেন হাসনাত

তিন দা‌বিতে গণসমাবেশের ডাক দি‌য়ে‌ছেন হাসনাত ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিনদফা দাবিতে শাহবাগে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার ( ৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই কর্মসূচী ঘোষণা দেন তিনি। আজ (শনিবার) বিকাল ৩টা থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলোতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান জানান হাসনাত।

দাবিগুলো হলো— আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচার সংক্রান্ত ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে করা এবং জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করা।

এর আগে শুক্রবার ( ৯ মে) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাসনাত আবদুল্লাহ বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ঘোষণা দেন হাসনাত। পরে সেখানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’

মন্তব্য

p
উপরে