× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জাতীয়
কষ্ট নয় আমি আনন্দিত গর্বিত আবুল হোসেন
google_news print-icon

পদ্মা সেতু আমার গর্ব: আবুল হোসেন

পদ্মা-সেতু-আমার-গর্ব-আবুল-হোসেন
‘আমার মনে কোনো কষ্ট নেই। কারণ আমি পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করেছিলাম। দুই বছরে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান, মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান এবং সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক, জাপানের জাইকা, ইসলামী উন্নয়ন সংস্থা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করি।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু যার হাত ধরে তিনি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। শুরুতেই বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প। আর সেই সঙ্গে অভিযোগের মুখে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যান সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে অবশ্য কানাডার আদালতে দুর্নীতির সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও সেতু নিয়ে অনুভূতি নিউজবাংলাকে প্রকাশ করেছেন সাবেক এ যোগাযোগমন্ত্রী।

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর সময় থাকতে পারলে কি ভালো লাগত?

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানো একটি সুসংবাদ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি আনন্দের, খুশির খবর। শেষ স্প্যান বসানোর ফলে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে। এটা দেশের জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের অগ্রযাত্রার নিয়ামক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সফলতা ও নেতৃত্বের ফসল। এই সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়ায় আমি সম্পৃক্ত ছিলাম এবং দ্রুত বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি। এটা আমার গর্ব।

আপনার মনের কোণে কি কোনো কষ্ট আছে? সেতুটি আপনার হাত দিয়েই শেষ হতে পারত।

না, আমার মনে কোনো কষ্ট নেই। কারণ আমি পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করেছিলাম। দুই বছরে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান, মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান এবং সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক, জাপানের জাইকা, ইসলামী উন্নয়ন সংস্থা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করি। ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনকাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসি। প্রাকযোগ্য দরদাতা নির্বাচন প্রক্রিয়াও শেষ করি। যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রস্তুতি কাজ করতে ১০ বছর লেগেছে, সে ক্ষেত্রে আমি পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজ দুই বছরে শেষ করি। কাজেই এটা আমার সাফল্য। পদ্মা সেতু নির্মাণে আমার অবদান কি কোন অংশে কম। কেউ কি বা ইতিহাস কি আমার অবদান অস্বীকার করতে পারবে? যারা পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে, তাদের অভিযোগ যে অসত্য তা কানাডার আদালত ও দুদকের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। যেকোনো কাজের সফলতা রিলে রেসের মতো। পদ্মা সেতুর কাজ আমি শুরু করেছি, আমি এগিয়ে নিয়েছি। অন্য হাতে শেষ হবে- এটাই স্বাভাবিক। আমি কষ্ট নয়, আমি আনন্দিত। আমি গর্বিত।

একটি বায়বীয় অভিযোগে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে। নির্বাচনেও মনোনয়ন পাননি। এটা কি অবিচার হিসেবে দেখেন?

আমি মন্ত্রী না থাকা বা এমপি নির্বাচনে মনোনয়ন না নেয়া অথবা নির্বাচন না করা অবিচার হিসেবে দেখি না। আমি মন্ত্রিত্ব হারাইনি। দেশের স্বার্থ বিবেচনায় আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এসেছি, পদত্যাগ করেছি। আমি পরপর চারবার বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। এতে আমার প্রতি কোনো অবিচার নয়, আমার মর্যাদা বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের কাছে আমার মর্যাদা, আমার সততা ও সুনাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান বেড়েছে। জনগণের মধ্যে, এলাকার জনগণের মধ্যে আমার সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা বহু গুণ বেড়েছে। পদ্মা সেতুতে আমি যে অনিয়ম করিনি, তা প্রমাণিত হওয়ায় সর্বমহলে আমার সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

পদ্মা সেতু আমার গর্ব: আবুল হোসেন

অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে জটিলতার শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?

পদ্মা সেতুতে সব ডোনার এজেন্সির কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকায় ছিল বিশ্বব্যাংক। তাই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজের প্রত্যেক পর্যায় অবলোকন ও অনুমোদন করে। পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগের প্রতিটি পর্যায় তাদের অনুমোদনে অগ্রসর হয়। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে কারিগরি কমিটি ঠিকাদার নিয়োগ ও কনসালট্যান্ট নিয়োগের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছিল। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগের একপর্যায়ে বিশ্বব্যাংক, কারিগরি কমিটিকে একটি কোয়ালিফাইড ঠিকাদারকে, বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকাভুক্ত থাকার কারণে বাদ দিতে বলে এবং একটি আনকোয়ালিফাইড ঠিকাদারকে কোয়ালিফাইড করতে বলে। কারিগরি কমিটি কোয়ালিফাইড দরদাতাকে বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকাভুক্তির কারণে বাদ দেয়। কিন্তু আনকোয়ালিফাইড দরদাতাকে অভিজ্ঞতার জাল সার্টিফিকের দেয়ায় কোয়ালিফাইড করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু বিশ্বব্যাংক আনকোয়ালিফাইড দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কোয়ালিফাইড করতে তার অনুকুলে বারবার কোয়ারি করে। আনকোয়ালিফাইড দরদাতাকে কোয়ালিফাইড করতে কারিগরি কমিটিকে নমনীয় করতে বিশ্বব্যাংক ব্যর্থ হয়। এরপরই তারা পদ্মা সেতুর কার্যক্রমে বাধা দিতে থাকে; নানা কর্নার দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে। উদ্দেশ্য পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বিলম্বিত করা। তারা সোজা পথে তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে না পেরে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

আপনাদের সঙ্গে যখন বিশ্বব্যাংকের বৈঠক হতো, তখন তাদের কর্মকর্তারা কী বলতেন? আপনাকে কেন তারা টার্গেট করেছে?

বিশ্বব্যাংক যখন তাদের সমর্থিত অযোগ্য ঠিকাদারকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হয়, তখনই তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা তাদের এই অবৈধ কার্যক্রমকে আড়াল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে সমর্থিত ঠিকাদারের স্থানীয় এজেন্ট দিয়ে ভুয়া বেনামি অভিযোগপত্র দেয়া শুরু করে এবং এসব ভুয়া সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশে প্রভাব বিস্তার করে। অনেক নামীদামি পত্রিকাও বিশ্বব্যাংকের এ ষড়যন্ত্র বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক, তাতে হাত মিলায়। এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে যেন পদ্মা সেতু নির্মাণ কার্যক্রম বিলম্বিত হয়। এ সময় বিশ্বব্যাংক তাদের ষড়যন্ত্রকে কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনৈক বিহারিকে পদ্মা সেতু নির্মাণের কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করে। ফলে আমার বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, পদ্মা সেতু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে। তাই একপর্যায়ে যখন ঠিকাদার নিয়োগে কোনো ত্রুটি বা অনিয়ম প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বব্যাংক আমাকে টার্গেট করে এবং আমি সরে গেলেই বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে, সেতুর কাজ চালিয়ে যাবে, এমন কথা বলতে থাকে। অযোগ্য ঠিকাদার নিয়োগে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বব্যাংক আমাকে টার্গেট করে যাতে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিলম্বিত হয়। এ সময় তৎকালীন ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি মিস গোল্ড স্টেইন আমাকে এক ডিনারে বলেছিলেন, ‘মিস্টার হোসেন, ডোন্ট গো ফাস্ট। ডোন্ট কমপ্লিট দ্য ব্রিজ ডিউরিং দ্য টেনর অফ দিজ গভর্নমেন্ট।’ এ বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছিলাম। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বার্থে আমি মন্ত্রিসভা থেকে একপর্যায়ে পদত্যাগ করি। এরপরও বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন কার্যক্রম শুরু করেনি। এটা ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।

দুর্নীতিচেষ্টার এই অভিযোগ তোলার পেছনে আসলে কী কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন?

বিশ্বব্যাংক প্রথমে অভিযোগ করে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। পরে বলে দুর্নীতির চেষ্টা হয়েছে। এরপর বলে দুর্নীতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ তখন পর্যন্ত কোনো অর্থ বরাদ্দ হয়নি, অর্থছাড় করেনি। তাদের অর্থায়নে কোনো ঠিকাদার নিয়োগ হয়নি। তাহলে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ আসে কীভাবে? দুর্নীতির অভিযোগের আসল কারণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আমি পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি কাজ এমনভাবে দ্রুত এগিয়ে নিয়েছিলাম যে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। পদ্মা সেতুর কাজ এ সময়ে দ্রুত শেষ হবে এটা রাজনৈতিকভাবে দেশের কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি যেমন চাননি, তেমনি পছন্দের ঠিকাদারকে নির্বাচিত করতে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। সেতুর কাজকে ধীরগতি করার জন্য বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।

দুদক যখন বারবার বলছিল তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায়নিতখন বলা হচ্ছিল তারা সরকারকে বাঁচাতে চাইছে। কানাডার আদালতের মামলায় তো দুর্নীতির অভিযোগকে গালগপ্প বলা হলো। এরপর বিশ্বব্যাংক সরকারকে কী বলেছে?

স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও জবাবদিহিতাকে দাতা সংস্থা সবসময় খাটো করে দেখে। তাই দুদক যখন বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের ভিত্তি ও সত্যতা খুঁজে পায়নি, তখন তা বিশ্বব্যাংক জানিয়ে দিলে তাদের চিরায়ত বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে তারা এ তদন্তকে সরকারকে বাঁচানোর ক্ষেত্র হিসেবে দেখে। কিন্তু কানাডার আদালতের রায় তাদেরকে বোকা করে দেয়। এরপর তারা নিশ্চুপ হয়ে যায়। পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করা ছিল বিশ্বব্যাংকের একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এই ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ হারাল। পরে শুনেছি বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিক প্রভাবিত হয়ে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় আলোচনা না করে এবং অনুমোদন না নিয়েই নিজ উদ্যোগে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন স্থগিত করেছেন। বিশ্বব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তাই অর্থায়ন স্থগিতের বিষয় সমর্থন করেননি। বিশ্বব্যাংকের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সাথে চায়নায় বোয়া ফোরামে এক অনুষ্ঠানে আমার সাক্ষাৎ হয়, পরিচয় হয়। তখন তিনি পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বাতিল করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। রবার্ট জোয়েলিকের মতো বিশ্বব্যাংকের হাতে গোনা কতিপয় কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু অর্থায়ন না করার দায় বিশ্বব্যাংকের নিতে হলো। আমি মনে করি, বিশ্বব্যাংক সৃষ্টির পর থেকে আরও ১০০ বছরেও পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে আর বিশ্বব্যাংক সুযোগ পাবে না। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের সেই রবার্ট জোয়েলিক এখন কোথায়? মিস গোল্ড স্টেইন এখন কোথায়? সেই লুইস ওকাম্পো কোথায়? তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ খবর দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অথচ তারা বাংলাদেশে এসে সততার নাটক করেছে। এখন বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা হলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন, লজ্জিত হন। আমাকে সমীহ করেন। আমি সম্মানিত হই।

পদ্মা সেতু আমার গর্ব: আবুল হোসেন

আপনি সম্ভবত একটি বা দুটি গণমাধ্যমকে আইনি নোটিশ দিয়ে আপনার বিরুদ্ধে নানা কথা লেখার জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। তারা কি কোনো জবাব দিয়েছিল?

আমি পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে নানা অসত্য কথা প্রকাশের জন্য আমি কোনো পত্রিকাকে কোনো আইনি নোটিশ প্রদান করিনি। তবে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছি। আমার লেখা এ চিঠিগুলো ‘আমার খোলা চিঠি’ বইতে আপনারা শিগগিরই দেখতে পারবেন। এ চিঠির তারা কোনো জবাব দেয়নি।

বিশ্বব্যাংকের এই অভিযোগ কি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য শাপে বর হলো? এত বড় প্রকল্প যদি নিজ অর্থে করা যায়, তাহলে আরও ছোট প্রকল্প তো অবলীলায় করা যাবে।

আমি বিষয়টা এভাবে দেখি না। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে যে অভিযোগ এনেছিল, তা ছিল বায়বীয়। এ বায়বীয় অভিযোগ উত্থাপন করে কোনো প্রকল্পের ঋণদান স্থগিত করা যায় না। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতুর অর্থায়ন ঋণচুক্তি হয়েছে পদ্মা নদীতে। সুবিশাল জাহাজে। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করে পদ্মা নদীতে ডুবে গেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আমাদের সক্ষমতা দেখিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। বিশ্বব্যাংক নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তে পদ্মা সেতুর মতো একটি প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ হারাল। বিশ্বব্যাংক কোনো দিন এ ধরনের একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির নিয়ামক প্রকল্পে অবদান রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। হ্যাঁ একটি সুযোগ তাদের আছে। যদি তার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কঙ্গো নদীতে সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করতে পারে। কঙ্গো নদীর প্যাটার্নও পদ্মা নদীর মতো।

অর্থায়নের আলোচনায় দাতা সংস্থার সঙ্গে যে অবস্থান এতদিন ছিল, পদ্মা সেতু কি তা পুরোটাই পাল্টে দিল?

হ্যাঁ, অনেকটা পাল্টিয়ে দিয়েছে। আমাদের সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে তাদের নেতিবাচক ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বায়বীয় অভিযোগ এনে তারা ভেবেছিল, আমরা তাদের শর্ত বা ঠিকাদার নিয়োগে তাদের পছন্দের অযোগ্য ঠিকাদারকে নির্বাচন করতে এগিয়ে যাব। তাদের ডিক্টেশন আমরা শুনব। কিন্তু বাস্তবতা তাদের সঠিক পথে টেনে এনেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এখন নানা প্রকল্পে অর্থায়ন করার জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পিছনে ঘুরছে। বাংলাদেশের সাথে নমনীয়ভাবে, সতর্কভাবে কথা বলছে। পদ্মা সেতুর কার্যক্রমের জন্য লজ্জিত হচ্ছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Pilkhana Massacre Long term conspiracy result Investigation Commission

পিলখানা হত্যাকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল: তদন্ত কমিশন

রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে
পিলখানা হত্যাকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল: তদন্ত কমিশন

ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। এ ঘটনায় তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের নানা মাত্রায় সংশ্লিষ্টতার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনের সপ্তম তলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত তদন্ত কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিভিন্ন সাক্ষ্য হতে প্রতীয়মান যে রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের নামে অযথা কালক্ষেপণ করায় এবং সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বিদ্রোহীরা নির্বিঘ্নে হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধ সংঘটন করতে সমর্থ হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই পিলখানার ভেতর থেকে আটকে পড়া অফিসার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বারংবার অনুরোধ-আকুতি সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ফজলুর রহমান বলেন, এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এটা বলা যায় যে তৎকালীন সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। অপরাধ সংঘটনের সময় তারা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল, যার ফলে তারা বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড প্রতিহত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তদন্ত কমিশন জানায়, তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে প্রতীয়মান। গোয়েন্দা ব্যর্থতার স্বরূপ ও কারণ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা এবং আলামত ধ্বংস করার প্রয়াস প্রতীয়মান হয়েছে। এর পেছনে দায়ী ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

কমিশনের সভাপতি বলেন, পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলাকালে কিছু গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রচার করার মাধ্যমে বিদ্রোহ উসকে দিয়েছে। একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে সামরিক অফিসারদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রয়াস চালিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। বিদেশি সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেগুলো যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কমিশন মনে করে যে সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ করা যেত।

সংবাদ সম্মেলনে পিলখানার অভ্যন্তরে সংঘটিত অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বেঁচে যাওয়া কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি থেকে পিলখানার অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া এক মর্মন্তুদ চিত্র পাওয়া গেছে। কর্মকর্তাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর চালানো হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। নারী ও শিশুদের মারধর, সশস্ত্র অবস্থায় হুমকি প্রদান, বাড়িঘর ভাঙচুর, অমানবিক পরিবেশে খাবার ও পানি ছাড়া কোয়ার্টার গার্ডে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা, রাষ্ট্রের ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধ্বংস সাধন, আলামত ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য আরও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১৫৮ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। আরও আনুমানিক ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি আছে। ৮ জন সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের সাক্ষাৎকার জেলে নেওয়া হয়েছে। তিনজন উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুজন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম ই–মেইলে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত কমিশন জানায়, এখন পর্যন্ত শহীদ পরিবারের ছয়জনের বিস্তারিত জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুটি সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে পরিবারের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত ব্যক্ত করেছেন। সম্মেলনে সব ইচ্ছুক সদস্যদের লিখিত বা কমিশনে উপস্থিত হয়ে বিস্তারিত জবানবন্দি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অনেক শহীদ পরিবারের সদস্য ইতিমধ্যেই তা করেছে। বেঁচে ফিরে আসা ১৫ জন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জন বেঁচে যাওয়া অফিসারদের লিখিত জবানবন্দি প্রদান করার জন্য সেনাসদরের মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুটি সম্মেলনে তাদের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় হয়েছে।

তদন্ত কমিশন জানায়, ৫৫ জন সামরিক অফিসার, যারা বিভিন্নভাবে পিলখানা ট্র্যাজেডির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, তাদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক সাবেক সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর প্রধান; বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

তদন্ত কমিশন জানায়, ২০ জন অসামরিক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, আমলা, আগের তদন্ত কমিটির সদস্য, তৎকালীন আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। ৯ জন বেসরকারি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি। যাদের কাছে ঘটনাসংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। কারাগারে দণ্ডপ্রাপ্ত ২৫ জন বিডিআর সদস্যের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সে সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য দিয়েছে। যেগুলো এখন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আরও সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। এর বাইরে ২৯ জন কারামুক্ত বিডিআর সদস্যের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিশন জানায়, প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও তদন্ত কার্যক্রমে অধিকতর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কমিশন ৩৩ জন ব্যক্তির দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পলাতক ব্যক্তিদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কমিশন তিনটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

কমিশন জানায়, ৬টি দেশের দূতাবাস ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পিলখানা ট্র্যাজেডিসংক্রান্ত কোনো তথ্য আছে—এরূপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকে কমিশনের কাছে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

কমিশনের জানিয়েছে, প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত প্রতিবেদনের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে কমিশনের সদস্যরা পর্যালোচনা করছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণ প্রয়োজন হবে।

তদন্তে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দৈনিক পত্রিকায় একাধিক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। কিছু দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাহিদাকৃত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-দলিলাদি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। উল্লিখিত তথ্য অনতিবিলম্বে সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৫০ জনের অধিক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ এখনো বাকি আছে। এছাড়া কিছুসংখ্যক ব্যক্তির পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণেরও প্রয়োজন হবে। গৃহীত সাক্ষ্যগুলোর পূর্ণাঙ্গ লিখিত রূপ প্রস্তুত, স্বাক্ষর গ্রহণ ও বিশ্লেষণের কাজ চলমান রয়েছে। এটি একটি সময়সাপেক্ষ কাজ। কিছু বিদেশি দূতাবাস ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। যার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। এসব বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের মেয়াদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

মন্তব্য

জাতীয়
Israqs call for adviser Asif Mahmud to be restrained

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে সংযত থাকার আহ্বান ইশরাকের

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে সংযত থাকার আহ্বান ইশরাকের

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে তার বক্তব্যে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে আরও কোনো আন্দোলন রোধ করার জন্য যেকোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এড়াতে সতর্কও করেন তিনি।

ইশরাক বলেন, ‘আশা করি, আসিফ মাহমুদ তার বক্তব্যে সংযত থেকে বর্তমান শান্তির পরিস্থিতি বজায় রাখতে সহায়তা করবেন।

বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।

ইশরাক স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার কথাও বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমি এটি একটি সতর্কীকরণ বার্তা হিসেবে দিচ্ছি। নগরবাসী এর কোনো বিচ্যুতি মেনে নেবে না। যদি আন্দোলন আবার শুরু হয়, তবে এটি নগর ভবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে নাএটি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। এটি অবশ্যই এড়ানো উচিত।

ইশরাকের সমর্থক এবং বিএনপি কর্মীরা ১৪ মে থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয়ের বাইরেঢাকাবাসীব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।

২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে ইশরাক প্রায় লাখ ভোটে হেরে যান।

তবে, চলতি বছরের ২৭ মার্চ একটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দেয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ইশরাক হোসেনকে নতুন মেয়র ঘোষণা করে।

তবে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অমীমাংসিত আইনি বিষয়ের কারণ দেখিয়ে ইশরাকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

মন্তব্য

জাতীয়
The godfathers of the drug have to be caught Home Advisor

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সবচেয়ে বড় দুটো শত্রু হলো মাদক আর দুর্নীতি। এলাকা ভিত্তিক তৎপরতা দেখিয়ে কাজ হবে না, মাদকের গডফাদারদের ধরতে হবে।

তিনি আজ বুধবার ‘মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক থেকে কীভাবে আমরা মুক্ত হতে পারি এ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। শুধু মাদক নিরাময় কেন্দ্র করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। মাদক যেন বাইরে থেকে ঢুকতে না পারে সে লক্ষ্যে মাদক ঢোকানোর সাথে যারা জড়িত তাদের সম্পর্কে আমাদের তথ্য দেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের জনবল ও সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ১৪০০ কোটি টাকার মাদক নিরাময় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। মাদক বাহকদের ধরে লাভ নেই। গড ফাদারদের ধরতে হবে।

তিনি বলেন, মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ক্রমান্বয়ে কমে আসে। যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক ও দুর্নীতি কীভাবে বন্ধ করা যায় চেষ্টা করছি। আমরা পুরোপুরি সফল হয়েছি বিষয়টা তা নয়। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আজকাল অনেক বদি তৈরি হয়ে গেছে। তাদেরকে কীভাবে ধরা যায়, সেজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মাদকাসক্তি নিরাময়ের খরচ অনেক বেশি। তাই নিরাময় কেন্দ্রে যেন না যেতে হয়, সেই চেষ্টা থাকতে হবে।

মন্তব্য

জাতীয়
National seminar on the role of the media in establishing disability equality

প্রতিবন্ধী সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সেমিনার

প্রতিবন্ধী সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় সেমিনার

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমতা প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে বুধবার জাতীয় পর্যায়ের সেমিনার হয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর সহযোগিতায় গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে এ আয়োজন করে।

এতে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা অংশ নেন।

গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিস প্রধান ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দিলারা জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি, দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ। গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তি: চর্চা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে সেমিনারে ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ-এর সঞ্চালনায় বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে ছিলেন: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং আইসিবিসি প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল কাদির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন, ইউএনডিপি'র এসপিএস‌এস সিনিয়র অ্যাডভাইজার - কমিউনিকেশনস এস‌এম মনজুর রশীদ এবং এ-টু-আই প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রধান নূরে জান্নাত প্রমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামান।

প্রধান অতিথি দিলারা জামান এরকম অনুপ্রেরণামূলক আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, আলোচনা ও উপস্থাপনাগুলো আমার দৃষ্টি খুলে দিয়েছে। আমি ভালোবেসে আমার পাশের যে প্রতিবন্ধী মানুষটি আছে তার জন্য হাত বাড়িয়ে দেব। এখন থেকে আমি যে ক’টা দিন বাঁচব, আমি চেষ্টা করব আমার চারপাশে যারা আছে, আমি যাদের সঙ্গে অভিনয় করি, এবং যেসব মায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়, তাদের অনুরোধ করব তোমার পাশে যেসব প্রতিবন্ধী মানুষেরা আছে তাদের জন্য অল্প সময়ের জন্য হলেও তোমাদের হাত দুটি বাড়িয়ে দাও।

ড. সুজান ভাইজ বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হলেও, পদ্ধতিগত বাধা এবং অবচেতন পক্ষপাত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ সীমিত করে চলেছে, বিশেষ করে মিডিয়া এবং কর্মসংস্থান খাতে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্বের তীব্র অবমূল্যায়নের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি মিডিয়া পেশাদারদের বিদ্যমান স্টেরিওটাইপগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার এবং কেবল করুণা বা কষ্টের বর্ণনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিত্রিত করা থেকে দূরে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

হাসান হাফিজ বলেন, 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদার সাথে উপস্থাপনে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে। গণমাধ্যমকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতেও কাজ করতে হবে।'

মুহাম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি বলেন, 'সরকার গণমাধ্যমকে প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটও কাজ করে চলেছে।'

অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো প্রণীত গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী সমতা শীর্ষক ব্যবহারিক নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। নির্দেশিকার বাংলা রূপান্তরের সঙ্গে যুক্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী এ সময় বক্তৃতা করেন।

এ আয়োজনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার আটজন বিজয়ীকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। গণমাধ্যমের বার্তাকক্ষ ও অনুষ্ঠানের মূলধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বাংলা ও ইংরেজি বিভাগে প্রথম হয়েছেন যথাক্রমে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের মো. জারিফুল ইসলাম জিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সুমাইয়া খানম।

অনুষ্ঠানে বি-স্ক্যান এর শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাটিকা, গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

মন্তব্য

জাতীয়
National Social Business Case Competition held at Daffodil International University

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় সামাজিক ব্যবসা কেস প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় সামাজিক ব্যবসা কেস প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় জাতীয় সামাজিক ব্যবসা কেস প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর গ্র্যান্ড ফাইনাল।

১৫তম সামাজিক ব্যবসা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে আয়োজন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার, সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরাম এবং ইউনূস সেন্টার।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও উদ্ভাবনী, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণ করে দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৬টি দল, যার মধ্যে ছিল মোট ৬৫৪ জন প্রতিযোগী।

এই প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের "সিলকোনোমিস্টস" দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রথম রানারআপ হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের "সুশি" দল এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির "নো সারপ্রাইজেস" দল।

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনূস সেন্টারের ওয়াইএসবিসির রিলেশন ম্যানেজার জিনাত টি. ইসলাম, তুরস্কের ইস্তানবুল কৈতুর ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি ও ডকুমেন্টেশন বিভাগের উপ-প্রধান সেরেফি সেনেম গুনিসু এবং গারবেজম্যানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান দিদার, উপদেষ্টা ড. খাদিজা রহমান তানচি এবং সহ-আহ্বায়ক সৈয়দ রায়হান-উল-ইসলাম।

মন্তব্য

জাতীয়
The young people of the country are committed to protecting the values ​​of the Commonwealth

কমনওয়েলথের মূল্যবোধ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ দেশের ১০০ তরুণ

কমনওয়েলথের মূল্যবোধ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ দেশের ১০০ তরুণ

কমনওয়েলথের মূল্যবোধ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ দেশের ১০০ তরুণ

কমনওয়েলথ চার্টারের মূল্যবোধ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ও নিজ নিজ জীবনে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন বাংলাদেশের প্রায় ১০০ তরুণ প্রতিনিধি। ২৩ জুন থেকে ২৪ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালায় তারা এই অঙ্গীকার করেন।

বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কমনওয়েলথ সচিবালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে ।

কমনওয়েলথ চার্টারে অন্তর্ভুক্ত গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ সম্পর্কে তরুণদের মধ্যে গভীর ধারণা তৈরি করা এই ছিল কর্মশালার লক্ষ্য।

কমনওয়েলথের মূল্যবোধ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ দেশের ১০০ তরুণ

মিডিয়া, সিভিল সোসাইটি, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ও শিক্ষাঙ্গনসহ বিভিন্ন পেশা ও পটভূমির তরুণরা এতে অংশ নেন। তারা ইতোমধ্যে নিজ নিজ কমিউনিটিতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন।

কেস স্টাডি ও দলগত আলোচনার মাধ্যমে তরুণরা জানতে পারেন কীভাবে এই মূল্যবোধগুলো বাংলাদেশি বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কর্মশালার শেষ দিনে তারা এসব মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনাও করেন।

তাদের অঙ্গীকারের ভেতর রয়েছে, প্রথমবার ভোটারদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনে উৎসাহিত করা, পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী ও নারীদের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করা, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখা ও নীতি নির্ধারণে অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করা।

এই কর্মশালা অনেক অংশগ্রহণকারীর জন্য প্রথমবার কমনওয়েলথ চার্টারের সরাসরি সংস্পর্শে আসার সুযোগ তৈরি করল।

ঢাকার এক সামাজিক উদ্যোক্তা নাফিয়া ইসলাম ফারিয়া বলেন, ‘আমি ভাবিনি, কমনওয়েলথ চার্টার আমার কাজের সঙ্গে এত গভীরভাবে জড়িত হতে পারে। আলোচনা শুনে বুঝলাম, আমার বিশ্বাস আর এই মূল্যবোধ একসূত্রে গাঁথা।” তার মতে, এই সময়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক মূল্যবোধ হলো ‘সহনশীলতা, সম্মান ও বোঝাপড়া’।

নাফিয়া আরও বলেন, ‘আমি যখন বাসায় ফিরব, তখন এই মূল্যবোধ অনুযায়ী নিজের কাজ, অনলাইন আচরণ ও মত প্রকাশের মধ্য দিয়ে তুলে ধরব। সেখান থেকেই পরিবর্তনের শুরু হবে।’

নৈতিক দিকনির্দেশনা

কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কমনওয়েলথ চার্টার হলো বিশ্বের ৫৬টি দেশের ২.৭ বিলিয়ন মানুষের নৈতিক দিকনির্দেশনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই চার্টারের মূল্যবোধগুলো অবমূল্যায়িত হলে একটি দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। তাই এই কর্মশালা শুধু সময়োপযোগী নয়, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণরা এই চার্টার সম্পর্কে জানলে তারা জাতি গঠনে আরও দক্ষভাবে অবদান রাখতে পারবে।’

কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি-জেনারেল অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেস্কি বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে চিন্তায়, উদ্যোগে ও কমিউনিটি কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এখন এই মূল্যবোধগুলোকে নিজের জীবনে ও নেতৃত্বে কাজে লাগান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের নেওয়া সিদ্ধান্তের উপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। সাফল্য হয়তো নিশ্চিত না, কিন্তু হাল ছেড়ে দিলে ব্যর্থতা নিশ্চিত। তাই পিছিয়ে থাকবেন না, উঠে দাঁড়ান, আওয়াজ তুলুন, নেতৃত্ব দিন। এমন কিছু করুন, যাতে আপনারা ও আপনার দেশ গর্ব করতে পারে।’

বাংলাদেশ লিবার্টি অ্যান্ড রাইটস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা জায়েদ একরাম বলেন, ‘এই কর্মশালায় অংশ নিয়ে আমি এই মূল্যবোধগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করতে অনুপ্রাণিত হয়েছি।’ তিনি জানান, তাঁর সংগঠনের তরুণদের সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য কাজ করবেন।

২০১৩ সালে গৃহীত কমনওয়েলথ চার্টার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধ ও নীতিমালাগুলোর একটি সম্মিলিত ঘোষণা। এতে সব সদস্যদেশ সম্মত হয়েছে।

ঢাকায় অবস্থানকালে অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেস্কি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানান ও প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা, কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Tomorrow the HSC and equivalent tests begin

আগামীকাল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু

আগামীকাল এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামীকাল ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

এ বছর মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় পরীক্ষায় অংশ নেবে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ জন। অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (আলিম) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন।

দেশে মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯৭টি। এছাড়া বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে ২৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ বছর মোট ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের ২শ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে