× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

সাপের বিষের দেশি প্রতিষেধক ২ বছরেই

সাপের-বিষের-দেশি-প্রতিষেধক-২-বছরেই
এ বছর প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে। এরপর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিষেধক বাজারে ছাড়া হবে।

সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে দেশেই বিষের প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে সাফল্যের আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর সাত লাখের মতো মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হন। তাদের মধ্যে মারা যান ছয় হাজার।

সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রতিষেধক এখন মূলত ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে। তবে এগুলো অনেক ক্ষেত্রেই শতভাগ কার্যকর নয়। এ অবস্থায় সরকার ২০১৮ সালে দেশে এই প্রতিষেধক তৈরিতে উদ্যোগ নেয়।

এ জন্য আট কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছরের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এতে জড়িত আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগ, মেডিসিন টক্সিকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্স মেন্টর ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং জার্মানির গ্যাটে ইউনিভার্সিটি।

প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গড়ে তোলা হয়েছে ভেনম রিসার্চ সেন্টার।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ নিউজবাংলাকে জানান, ২০২২ সালের মধ্যে কার্যকর অ্যান্টিভেনম বাজারে আনার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।

এরই মধ্যে তিনটি ধাপ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিষেধকটি এখন কেবল মানবদেহে প্রয়োগের ধাপটি বাকি। ’

ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাপে কাটলে একজন মানুষের শরীরে তিন ধরনের প্রভাব পড়ে। সেগুলো হচ্ছে হেমোটক্সিন বা রক্ত দূষণ, মায়োটক্সিন বা মাংসপেশি অকার্যকর এবং নিউরোটক্সিন বা মস্তিষ্কে অকার্যকর। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ সাপে কাটার পর ওঝার কাছে যান। যথাযথ প্রতিষেধকের পরিবর্তে ওঝা ঝাড়ফুঁকের আশ্রয় নেয়ায় তৈরি হয় মৃত্যুঝুঁকি। ’

দেশে অ্যান্টিভেনম রিসার্চ কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা সহকারী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বছর প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে। এরপর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিষেধক বাজারে ছাড়া হবে।’

সাপের বিষের দেশি প্রতিষেধক ২ বছরেই

তিনি বলেন, বিষ সংগ্রহের জন্য বাছাই করা বিভিন্ন জাতের সাপ ছিদ্রওয়ালা প্লাস্টিকের বাক্সে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া সাপদের বিচরণের জন্য কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশও তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর খাবার হিসেবে ইঁদুরসহ বিভিন্ন প্রাণী দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে ৯৪ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি প্রজাতি বিষধর। যার মধ্যে ১২ প্রজাতি রয়েছে সাগরে। বাকিগুলো গহীন জঙ্গল ও লোকালয়ে বসবাস করে। বিষের প্রতিষেধক তৈরির প্রকল্পে পদ্ম গোখরো, খৈয়া গোখরো, কাল কেউটে, শঙ্খিনীসহ ১২ প্রজাতির ১৭০টি সাপ পোষা হচ্ছে।

গবেষণা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ থেকে সংগ্রহ করা বিষ থেকে তৈরি অ্যান্টিভেনমের মান যাচাইয়ের জন্য এ বছরেই দেশের বাইরের ল্যাবে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ‘পাঁচটি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথম প্যাকেজে চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জায়গায় থেকে সাপ সংগ্রহ ও সেগুলো লালন-পালন এবং পরিচর্যা অনর্ভুক্ত। দ্বিতীয় প্যাকেজে বিষ সংগ্রহ এবং সেগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগের বিষয়টি রয়েছে।

তৃতীয় প্যাকেজে বিষগুলো দিয়ে একটি মডেল তৈরি এবং অ্যান্টিভেনমগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী এই মডেলে অন্তর্ভুক্ত করার কথা। এই তৃতীয় প্যাকেজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে।’

এরপর চতুর্থ প্যাকেজে অ্যান্টিভেনমগুলো পরীক্ষামূলকভাবে সাপে কাটা রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হবে। এর আগে বিভিন্ন প্রাণীর শরীরেও প্রয়োগ হবে অ্যান্টিভেনম। সবশেষ পঞ্চম প্যাকেজে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি হবে অ্যান্টিভেনম।

ভেনম রিসার্চ সেন্টারের এক সহযোগী গবেষক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরি করতে পারলে প্রতি বছর প্রায় ১০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশে এখন শুধু একটি ওষুধ প্রতিষ্ঠান অ্যান্টিভেনম বিপনন করে। তাদের এক ভায়ালের দাম প্রায় এক হাজার টাকা।’

সাপের বিষের দেশি প্রতিষেধক ২ বছরেই

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার ভায়াল অ্যান্টিভেনমের চাহিদা রয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে প্রত্যেক বিভাগীয় হাসপাতালে বছরে ৫০০ ভায়াল, প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ ভায়াল এবং প্রত্যেক সদর হাসপাতালে ৫০ ভায়াল অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা হয়।

‘দেশে অ্যান্টিভেনম তৈরির গবেষণা সফল হলে বাইরে থেকে এই প্রতিষেধক আর আনতে হবে না। দেশেই অনেক সাশ্রীয় দামে পাওয়া যাবে সাপের বিষের প্রতিষেধক।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
One out of every five deaths in Bangladesh

বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ মৃত্যুর মধ্যে একটি হৃদরোগজনিত

বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ মৃত্যুর মধ্যে একটি হৃদরোগজনিত

বাংলাদেশে প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর একটি হৃদরোগজনিত বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

গতকাল সোমবার ‘প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সারাদেশে বিশ্ব হার্ট দিবস-২৫ উদযাপন করেছে।

হৃদরোগ বিশ্বের এক নম্বর প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগ, অথচ শতকরা ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য– এই বার্তা পৌঁছে দিতে দিনব্যাপী আয়োজিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।

দিনের শুরুতে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে কয়েক শতাধিক মানুষের একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সামনে এসে শেষ হয়।

এরপর ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত গণমুখী সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আমাদের জীবনাচরণে এমন কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হৃদরোগ প্রতিরোধে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র– সবাইকে সচেতনতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক। তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা করতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সারা বছরজুড়ে গবেষণা, অ্যাডভোকেসি ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর একটি হৃদরোগজনিত। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি ২০১৯ অনুযায়ী, মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এখনই তামাক ব্যবহার বন্ধ এবং বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করা জরুরি।

গণমুখী সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম-মহাসচিব নওশাদ হোসেন, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক মো. ইউনুসুর রহমান ও অধ্যাপক তওফিক শাহরিয়ার হক।

বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দেড় শতাধিক চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সারাদেশে আয়োজন করা হয় বিনামূল্যে হৃদরোগ নির্ণয় ক্যাম্প, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম। রাজধানীর বাইরেও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ৪৫টি অধিভুক্ত সমিতি (অ্যাফিলিয়েটেড বডি) বিভিন্ন স্থানে দিবসটি উদযাপন করে।

সেমিনার থেকে বলা হয়, একটি স্পন্দনও উপেক্ষা করবেন না। প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন। এখনই পদক্ষেপ নিন, জীবন বাঁচান।

মন্তব্য

জাতীয়
"Free Heart Camp in Universal Medical"

“ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প” সম্পন্ন

“ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প” সম্পন্ন

আজ সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী “ফ্রি হার্ট ক্যাম্প”। মহাখালী রাওয়া’র বিপরীতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পে প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হয়।

“ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প” সম্পন্ন

ক্যাম্পে আগত রোগীদের বিনামূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করেন –
প্রফেসর ডাঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ (চিফ কার্ডিয়াক সার্জন), অধ্যাপক ডাঃ খন্দকার কামরুল ইসলাম (চিফ ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট), অধ্যাপক ডাঃ অমল কুমার চৌধুরী (সিনিয়র ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (সিনিয়র কার্ডিওভাসকুলার সার্জন), ডাঃ আশরাফুল হক সিয়াম (মিনিমাল ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জন), ডাঃ সানিয়া হক (ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট), ডাঃ এম এ হাসনাত (ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ), ডাঃ রোমেনা রহমান (কার্ডিওভাসকুলার সার্জন) এবং ডাঃ আব্দুল জাব্বার জীবন (পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট)।

“ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প” সম্পন্ন

এর পাশাপাশি দৈনিক প্রথম আলো'র অফিসে ও মহাখালী এসকেএস শপিং মলে বিশেষায়িত হার্ট ক্যাম্প করা হয় এবং একাধিক স্থানে স্ট্রিট ক্যাম্প করা হয়। তাছাড়াও হৃদরোগ সম্পর্কে জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে একটি কার্ডিয়াক ক্যারাভ্যান সারা ঢাকা শহর প্রদক্ষিণ করে।

একইদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলরোডে অবস্থিত ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডেও স্থানীয়দের জন্য “ফ্রি হার্ট ক্যাম্প” অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (কার্ডিওলজি) ডাঃ মোঃ নাজমুল হক (হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)।

ক্যাম্পে আগত সাধারণ রোগীরা হাসপাতালের সব ধরনের পরীক্ষায় ২০% বিশেষ ছাড় এবং ইউনিভার্সেল হার্ট ক্লাবের মেম্বারগণ ৩০% ছাড় (শর্ত সাপেক্ষে) গ্রহণের সুযোগ পান।

মন্তব্য

জাতীয়
The death of tobacco disease is 1 lakh annually

তামাকজনিত রোগে বছরে মৃত্যু ১.৬১ লাখ

ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞদের তথ্য
তামাকজনিত রোগে বছরে মৃত্যু ১.৬১ লাখ

বাংলাদেশে মৃত্যুর শীর্ষ ১০ কারণের মধ্যে ৪টিই ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ, আর এর অন্যতম বড় কারণ তামাক। প্রতি বছর দেশে তামাকজনিত অসুখে প্রাণ হারাচ্ছে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মৃত্যু ঠেকাতে দ্রুততম সময়ে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

গতকাল শনিবার বিশ্ব ফুসফুস দিবস উপলক্ষে ‘ফুসফুসের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন ক্যানসার ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, জনস্বাস্থ্যবিদ, সাংবাদিক ও নীতিনির্ধারকরা। দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য ছিল— ‘হেলদি লান্স, হেলদি লাইফ’।

ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত পুরুষ রোগীদের প্রায় ৮০ শতাংশই ধূমপায়ী। ফুসফুস ক্যানসার ছাড়াও তামাক ও পরোক্ষ ধূমপানজনিত গুরুতর রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি), যক্ষ্মা ও হাঁপানি। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযায়ী, দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩%) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সরাসরি তামাক ব্যবহার করে। কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৮১ লাখ মানুষ, আর গণপরিবহণে আক্রান্ত হয় আড়াই কোটির বেশি মানুষ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তামাক ব্যবহার ও পরোক্ষ ধূমপানের এই উচ্চ প্রবণতা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। বর্তমানে দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর ৪০ শতাংশেরও বেশি ঘটে ফুসফুস ও হৃদ্রোগে, আর এ হার কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে এ বিষয়ে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও খসড়াটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফলে দ্রুত সংশোধনীটি পাস করার আহ্বান জানানো হয় ওয়েবিনারে।

বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ফুসফুসসহ সব ধরনের ক্যানসারে চিকিৎসা ব্যয় ও মৃত্যুহার অত্যন্ত বেশি। অসুস্থ মানুষের আর্তনাদ নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছাতে হবে, তাহলেই আইন সংশোধন অগ্রাধিকার পাবে।

বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডা. আসিফ মুজতবা মাহমুদ বলেন, ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।

ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমদ মনে করেন, গণমাধ্যমকে এই ইস্যুতে আরও সক্রিয় হতে হবে, যেন নীতিনির্ধারকরা বুঝতে পারেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা।

স্পটলাইটনিউজ২৪.কমের সম্পাদক মোর্শেদ নোমান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়নে গণমাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। প্রজ্ঞার ডিজিটাল মিডিয়া প্রধান মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মূল উপস্থাপনা দেন কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।

মন্তব্য

জাতীয়
Jamaat rally and demonstration march to implement the National Charter in Magura and demand a five point demand

মাগুরায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

মাগুরায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
শুক্রবার সকালে মাগুরা নোমানী ময়দানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, পি আর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক সাঈদ আহমাদ বাচ্চু। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক মাগুরা-০২ আসনের মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক এম.বি. বাকের। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর ও মাগুরা-০১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল মতিন, পৌর আমীর অধ্যাপক আশরাফুল আলম, সদর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফারুক হোসাইনসহ
মাগুরা সদর উপজেলা ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মাগুরা নোমানী ময়দান থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভায়নার মোড়ে এসে শেষ হয়।

মন্তব্য

জাতীয়
"Free Heart Camp in Universal Medical"

“ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প”

“ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ফ্রি হার্ট ক্যাম্প”

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার, বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতাল আয়োজন করেছে দিনব্যাপী “ফ্রি হার্ট ক্যাম্প”। মহাখালী রাওয়া’র বিপরীতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ ক্যাম্প চলবে।
ক্যাম্পে আগত রোগীদের বিনামূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করবেন দেশের স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জনবৃন্দ - প্রফেসর ডাঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ (চিফ কার্ডিয়াক সার্জন); অধ্যাপক ডাঃ খন্দকার কামরুল ইসলাম (চিফ ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট); অধ্যাপক ডাঃ অমল কুমার চৌধুরী (সিনিয়র ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট); ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (সিনিয়র কার্ডিওভাসকুলার সার্জন); ডাঃ আশরাফুল হক সিয়াম (মিনিমাল ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জন); ডাঃ সানিয়া হক (ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট) ডাঃ এম এ হাসনাত (ক্লিনিক্যাল এন্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ); ডাঃ রোমেনা রহমান (কার্ডিওভাসকুলার সার্জন) এবং ডাঃ আব্দুল জাব্বার জীবন (পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট)।

একইদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলরোডে অবস্থিত ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড-এ স্থানীয়দের জন্য অনুরূপ “ফ্রি হার্ট ক্যাম্প” অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দিবেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ( কার্ডিওলজি) ডাঃ মোঃ নাজমুল হক (হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)।
ক্যাম্প এ আসা রোগীদের এনজিওগ্রাম এর সিডি ( যদি থাকে) নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে ।

রোগীরা ফ্রি সিরিয়াল নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন নিম্নোক্ত নম্বরে:
ঢাকা – ১০৬৬৭, ০১৮৪১৪৮০০০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ০১৭০৫৬৬৬৯৯৯, ০২৩৩৪৪২৭৮০৮
উল্লেখ্য, ক্যাম্পে আগত সাধারণ রোগীগণ হাসপাতালের সব ধরনের পরীক্ষায় পাবেন ২০% বিশেষ ছাড় এবং ইউনিভার্সেল হার্ট ক্লাবের মেম্বারগণ পাবেন ৩০% ছাড় (শর্ত সাপেক্ষে)।
জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ
ব্র্যান্ড এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগ
ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতাল
মহাখালী, ঢাকা
ফোনঃ ০১৮৩৬৯৯৯৯৫৫, ০১৯১২৮৬৫৪৬২
ই-মেইল: [email protected]

মন্তব্য

জাতীয়
DSCC conducts special cleanliness and expeditions to prevent the Aedes mosquito dengue disease in Dhalpur

ধলপুরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধকল্পে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও চিরুণী অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

ধলপুরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধকল্পে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও চিরুণী অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল -৫ আওতাধীন ৪৯ নং ওয়ার্ডের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ধলপুর ও সংলগ্ন এলাকায় আজ রবিবার এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধনে চিরুণী অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিএসসিসি এবং ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির যৌথভাবে আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. জহিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ধলপুরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধকল্পে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও চিরুণী অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

ডিএসসিসি আওতাধীন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ধলপুর ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও এলাকাবাসী অংশগ্রহন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিরোধমূলক অভ্যাসের শুরু হোক শৈশব থেকে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন নিজের পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়।” তিনি বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন পরিচ্ছন্নতা যেন জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। এ সময় তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুণী অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ধলপুরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধকল্পে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও চিরুণী অভিযান পরিচালনা করলো ডিএসসিসি

ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অ.দা.) ড. নিশাত পারভীন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা-০৫ জনাব মোঃ আবু আসলাম, ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা: নূর-ই-নাজনীন ফেরদৌসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

কুমিল্লায় আবারো চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

মশক নিধনে দৃশ্যমান কার্যক্রমে নেই সিটি করপোরেশন
কুমিল্লায় আবারো চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

কুমিল্লায় আবারো ঘরে ঘরে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সরকারী হিসেবে সংখ্যাটা কম হলেও বেসরকারি হিসেবে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সিটি করপোরেশন ও পৌসসভার মশক নিধন কর্মসূচির অপর্যাপ্ততার কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত সংখ্যা। নগরীতে প্রতিদিনই নতুন করে ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডেই বাড়ছে এডিস মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে শুধু মাত্র দাউদকান্দি উপজেলাতেই ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরের ১২ জুন থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৯০ জন। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন।
চলতি বছর জুন মাসে কুমিল্লা দাউদকান্দি পৌরসভায় ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছিল। সে সময় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দোনারচর গ্রামের মান্নানের ছেলে ইউসূফ আলী, নাজির চৌধুরীর স্ত্রী মাকসুদা বেগম এবং রাসেলের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সে সময় দাউদকান্দি পৌরসভার শুধু ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডেই ৬ শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ ওই দুই ওয়ার্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
পরে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে এসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসে। তবে সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবারো চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গুজ্বর। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
কুমিল্লা সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল হক জানান, তিনি গত তিন দিন আগে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। জ্বর কমলেও তার শরীর দুর্বল। পরিবারে আরো দুজন জ্বরে আক্রন্ত। আনোয়ারুল হক আরো জানান, তার কয়েকজন সহকর্মী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত। তারা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শিক্ষক আনোয়ারুল হক জানান, সিটি করপোরেশন থেকে ডেঙ্গু সংক্রমনরোধে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেই। ফগার মেশিন নিয়ে লোক দেখানো স্প্রে করে চলে যায়। যার ফলে কুমিল্লা নগরীতে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করছে।
একই কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ৮ দিন আগে তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তার আরো তিনজন সহকর্মী আক্রান্ত। তারা বলছেন নগরীর মশক নিধন কর্মসূচি নেই বললেই চলে। ফলে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
কুমিল্লা নিউমার্কেটর ব্যবসায়ী জুয়েল খন্দকার জানান, তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। ওই মার্কেটের আরো অন্তত ৮ থেকে ১০ জন আক্রান্ত। তারা বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ঘরেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কুমিল্লা নগরীর পশ্চিম বাগিচাগাও এলাকার বাসিন্দা আসিফ অরুনাভ জানান, তিনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। সিটি ও করপোরেশন ও জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের মাত্রাতিরিক্ত উদাসীনতার কারণে কুমিল্লা নগরীতে ঘরে ঘরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মশক নিধন কর্মসূচিতে লোকবলের অভাব বলে স্বীকার করেছেন সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন।
তিনি জানান, নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের জন্য ফগার মেশিন রয়েছে মাত্র ১০টি। স্প্রে মেশিন রয়েছে ২০টি। এ কাজে লোকবল রয়েছে ২০ জন। এত কম লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে এত বড় সিটি করপোরেশন এলাকায় মশক নিধনের মত কাজ যথাযথভাবে করা সম্ভব নয়।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মোহাম্মদ বশির আহমেদ সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া ডেঙ্গু সংক্রমণ কমানো সম্ভব নয়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিনিয়ত সভা সেমিনার করছে। সবার উচিত বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া। তাহলে ডেঙ্গু মশার জীবাণুবাহী এডিস মশার বংশবৃদ্ধি কমবে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তও কমবে। এছাড়াও এমন পদক্ষেপ নিতে হবে সেক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে।

মন্তব্য

p
উপরে