লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে মসজিদে তর্কাতর্কির জেরে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় জামায়াত ও দলটি ভেঙে গঠন করা এবি পার্টির স্থানীয় কর্মীদের পাশাপাশি তিন নেতাকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। প্রশাসন ও তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জামায়াত ও এবি পার্টির নেতাকর্মীরাই সেদিনের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবরের ওই ঘটনাই নয়, বুড়িমারীতে আগেও নানা সহিংসতা, নৃশংসতায় নাম এসেছে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সেদিনের ঘটনার ভিডিও দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।
সেদিন বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন শহীদুন্নবী জুয়েল। সেখানে তর্কাতর্কির পর যা ঘটেছে, তা গোটা বাংলাদেশকেই হতভম্ভ করে দেয়।
শহীদুন্নবী ও তার এক বন্ধু কোরআন অবমাননা করেছেন গুজব ছড়িয়ে দেয়ার পর সেখানে যায় স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। তাদের উপস্থিতিতে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ টেনে নিয়ে আগুন দেয়া হয়।
ঘটনাটি অরাজনৈতিক হলেও এই হত্যায় যারা সম্পৃক্ত, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। স্থানীয় রাজনীতিক, প্রশাসন, পুলিশের অনুসন্ধান বলছে, বেশিরভাগই জামায়াত ও এবি পার্টির কর্মী।
এ কারণে আসামি না হলেও নজরদারিতে আছেন জামায়াতের নেতা ও বর্তমানে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন সাজু।
যদিও তিনি বলছেন, ওই বাজারে জামায়াতের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে সত্যি। তবে সেদিন জামায়াত ছাড়াও হেফাজত, শর্শিনা, চরমোনাই ও ইসলামী ঐক্যজোটের কর্মীরাও ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় রুকন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝোলা জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ভায়রা ভাই আনোরুল ইসলাম রাজু ও জেলা সেক্রেটারি আতাউর রহমানের দিকেও চোখ রাখছে পুলিশ।
স্থানীয় রাজনীতিক ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে রায়ের পর বুড়িমারীতে যত সহিংসতা হয়েছে, তার পেছনে জামায়াত ও এবি পার্টির এই নেতারা ছিলেন।
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেদিন যেসব স্লোগান দিয়ে হামলা হয়েছে সেগুলো এখানে জামায়াত ছাড়া এর আগে কেউ ব্যবহার করে না। নতুন গঠিত এ বি পার্টির নেতা-কর্মীরাও এসব স্লোগানই ব্যবহার করছে।’
নিশাত বলেন, ‘সাজু হচ্ছেন মূল কালপ্রিট। যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে ভিডিওতে সাজুর চাচাত ভাই মোশারফ ও আনুকে ২৯ অক্টোবরের নৈরাজ্যে নেতৃত্ব দিতে দেখেছি। ভিডিও দেখে এদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।’
শ্রীরামপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বুড়িমারীর প্রবীণ বাসিন্দা মুসা আলি বলছিলেন, 'এখানে কোনো কিছুর ১৯/২০ হলেই বিশৃঙ্খলা হয়। কাদের মোল্লার ফাঁসির পর এখানে গান পাউডার দিয়ে অনেক বাড়িঘর পোড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখেছি, ওই অমানুষগুলোই সেদিনের মবে (দল বেঁধে হামলা) অংশ নিয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুলের সঙ্গে নির্বাচন করে হেরে গিয়েছিলেন সাজু। এ নিয়ে ক্ষোভ ছিল। শহীদুন্নবী হত্যার দিন বাবুল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেও সাজুর সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, ঘটনা শুনে তারা যখন ছুটে যান, তখন সেখানে পাঁচ থেকে সাত শ মানুষ ছিল। তাদের শান্তও করে ফেলেন তারা। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দলে দলে মানুষ আসতে থাকে। তখন বুড়িমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ দেওয়ান নিশাত মাইক নিয়ে সবাইকে আবার শান্ত করার চেষ্টা করেন।
পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল বলেন, ‘শান্ত হয়ে আসা পরিবেশটা যখন বিশেষ স্লোগানে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, তখনই বুঝতে বাকি থাকে না ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী বা জামায়াত এখানে যোগ দিয়েছে। তখনই ইউএনওকে বলি ২০১৪-১৫ সালের পরিস্থিতি এসে যাচ্ছে। তদন্ত যেহেতু চলছে, তাদের নাম বলব না। তবে এ স্লোগান তাদেরই, এটা সবার কাছে পরিষ্কার।’
তিনি বলেন, ‘সাজুর (এবি পার্টির নেতা) বাড়ি বুড়িমারী বাজারের কাছে। তার পরিবারের সদস্য ও কর্মীদের সেদিনের সহিংসতায় বড় ভূমিকা নিতে দেখা গেছে।’
তবে বর্বরতায় জামায়াত নেতা-কর্মীদের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন জামায়াতের সাবেক জেলা সেক্রেটারি আলাউল ইসলাম ফাতেমী পাভেল। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যত অভিযোগ ও মামলা, তার প্রায় ৯৯ ভাগই অনুমান ও কল্পনানির্ভর। তাছাড়া হত্যা, অগ্নিসংযোগ এসব বিষয় তো জামায়াতে ইসলামী ঘৃণা করে। এর সঙ্গে যোগ দেওয়ারই তো কিছু নেই।’
সেদিনের স্লোগানের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পাভেল বলেন, ‘এগুলো মুসলিম উম্মাহর স্লোগান। এটা সারা বিশ্বের ইমানদার মুসলিমরা ব্যবহার করেন। সেদিন দেখলাম হেফাজতও এই স্লোগান দিচ্ছে।’
এবি পার্টি নেতা এরশাদ হোসেন সাজু বলেন, ‘যে ঘটনা বুড়িমারীতে ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোনো মানুষ এটা সমর্থন করতে পারে না। যারা এটা করেছে, তারা মানুষ না।’
সহিংসতায় তার সমর্থকদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাজু বলেন, 'আমি ১০ মাস হলো জামায়াতের সঙ্গে নেই। আমার দল এবি পার্টির কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি বা লোকবল বুড়িমারীতে নেই। বুড়িমারী জামায়াতের সঙ্গেও আমার ঝামেলা থাকায় তারা আমাকে সেখানে ঢুকতে দেয় না।’
ঘটনার দিন রাজধানী ঢাকায় ছিলেন দাবি করে সাজু বলেন, 'এটা ঠিক জামায়াত বুড়িমারী বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে আছে। সেখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই দলটির কর্মী। তবে বাজারের চারপাশে জামায়াত, হেফাজত, শর্শিনা, চরমোনাই ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। ঘটনার ভিডিওতে তাদের কর্মীই বেশি দেখেছি।’
সাজু বলেন, ‘জামায়াত জড়িত কি না, জানি না। তবে ওখানকার ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম সবাই বুড়িমারী জামায়াতের আমির মোজাম্মেলের লোক। তাকে ধরলেই মূল ঘটনা জানা যাবে। তার কারণে তো আমিও বুড়িমারী ঢুকতে পারি না।
‘আর জামায়াত কিছু করে থাকলে তা নিশ্চয়ই জেলা আমির ও সেক্রেটারির নির্দেশে হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলেই হয়।’
জামায়াতের বর্তমান জেলা সেক্রেটারি প্রভাষক আতাউর রহমানের দাবি, ঘটনার পেছনে তার সংগঠন কোনোভাবেই জড়িত নয়।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় কারা জড়িত তা তো ভিডিও ফুটেজেই স্পষ্ট। আর ইন্ধনদাতার কথা বলছেন, সেটা তো মোবাইল ট্রাক করলেই বোঝা যাবে।’
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আতাউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ’২০১৪ সালের এক মামলায় সেদিন আমার লালমনিরহাটে হাজিরা ছিল। আমি সেখান থেকেই ঘটনা শুনতে পাই। এ ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও নিন্দনীয়।’
এই ঘটনায় বুড়িমারীর শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি হোসেন আলী জড়িত দাবি করে জামায়াত নেতা বলেন, ‘তাকে ধরলেই ঘটনার পেছনের সবাইকে জানা যাবে। তবে নিরাপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, এটাই বলব।’
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, 'কয়েকটা দিন সময় লাগবে পুরো ঘটনার জট খুলতে। তবে একটি গোষ্ঠী কোরআন অবমাননার গুজবের বিষয়টি পুঁজি করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জনগণকে মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র করেছিল। এটা স্পষ্ট।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘তদন্ত শেষে মূল আসামিদের সম্পর্কে জানা যাবে। তবে তারা যে স্লোগান ও ধ্বনি ব্যবহার করেছে, তা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের। এদের অনেকেই আগের সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাস মামলার আসামি। তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও সবার জানা।’
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা যে পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ তা বুঝতে কষ্ট হয় না। তবে এটা তদন্তের বিষয়। এর পেছনে যারাই থাকুক না কেন এবং যাই থাকুক না কেন, সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে সচিব সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আমরা যে কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) করেছি, সে কর্মপরিকল্পনাটা আপনাদের জানাবো। আমি ঢাকার বাইরে থাকায় একটু পিছিয়ে পড়েছি। এটা আমার টেবিলে এখন আছে। আগামীকাল পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করেন।’
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব আজ এক বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছে কমিশন।
এখন যেকোনো সময় নির্বাচনের এই রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।’
উল্লেখ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা জারি, প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড নিবন্ধন ও পোষ্টাল ব্যালট পদ্ধতি ও নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে রোডম্যাপে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
যে কোনো সময় এই নির্বাচনের রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারে ইসি।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ নিয়ে বৈঠকও করেছেন।
বৈঠকে কর্মপরিকল্পনার (রোডম্যাপ) অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এখন, যে কোনো সময় নির্বাচনের এই রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।’
এদিকে সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার বিষয়ে ইসি’র শুনানি আজ বিকেলে শেষ হচ্ছে।
শুনানি শেষে বিকেলে সার্বিক বিষয় নিয়ে ইসি’র সিনিয়র সচিব আকতার আহমেদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমরা ব্রিফিংয়ে আসব। তখন সীমানার শুনানির বিষয়টির পাশাপাশি এ বিষয়টিও (রোডম্যাপ) দেখা যাবে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তা বৈঠক করেন।
ওই দিন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে ইসি সচিব ব্রিফ করবেন।
গত ১৮ আগস্ট ইসি’র সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়ে ছিলেন, ‘একটা কর্মপরিকল্পনার (নির্বাচনী রোডম্যাপ) বিষয়ে বলেছিলাম, আমরা এই সপ্তাহে এটা করবো। কর্মপরিকল্পনার তো আমাদের আন্তঃঅনুবিভাগ সম্পর্কিত এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে। কর্মপরিকল্পনার ড্রাফ্ট করা হয়েছে। ড্রাফ্টটি এখন কমিশনে দিয়ে আমরা অ্যাপ্রুভ করবো।’
শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধনের লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি)-এর ৮৯তম সভায় শ্রমিক, মালিক ও সরকারের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত এক বছরের পর্যালোচনা ও সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার এক হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, "শ্রমিক ও মালিক পক্ষের পরামর্শের ভিত্তিতে শ্রম আইন যুগোপযোগী করা হবে। এটি বাংলাদেশের শ্রমখাতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে এবং আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।’
সভায় শ্রমিক ও মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। একটি সুসমন্বিত ও আন্তর্জাতিক মানের শ্রম আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা উপস্থিত সকলেই করেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সভায় সংশোধিত শ্রম আইন দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়।
সভায় বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাস, কানাডা হাই কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর প্রতিনিধিরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত জনাব লুৎফে সিদ্দিকী।
এছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) এর নির্বাহী পরিচালক এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ)-এর সভাপতি, টিসিসি সদস্যবৃন্দের মধ্যে তাসলিমা আক্তার, কোহিনুর মাহমুদ, বাবুল আকতার , নাজমা আক্তার, রাজেকুজ্জামান রতন, এডভোকেট আতিকুর রহমান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংশোধনী বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে আরও গতিশীল ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত করবে এবং শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সারাদেশে কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত প্রযুক্তি সুবিধাপ্রাপ্ত লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবেলায় নীতিগত সুপারিশ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা একথা বলেন।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নারীদের সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এ সকল অপকর্ম প্রতিরোধে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিচালিত কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাল্য বিয়ের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে মোবাইল নামক যন্ত্রটি। মোবাইল প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে ছোট ছোট মেয়েরা প্রেমের ফাঁদে পড়ে নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
মেয়েরা অবুঝ এজন্য অভিভাবকদেরকে এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে। যাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা প্রেমের ফাঁদে পড়ে নারী সহিংসতা শিকার না হয়।
উপদেষ্টা বলেন, জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা, নারী পক্ষ, হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ, সাইবার টিনস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), ব্র্যাকসহ বাইশটি সংগঠন আজ নারী নির্যাতন প্রতিরোধে একযোগে কাজ করছে। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
উপদেষ্টা বলেন এই ২২ টি সংগঠনের প্ল্যাটফর্মে যে সমস্ত শিক্ষিত তরুন যুবক যুবতীরা আছেন তাদেরকে টেকনোলজির মাধ্যমে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন ব্যক্তিগত এবং সামাজিক ও পরিবারের সচেতনতাই পারে একটি মেয়েকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে। এজন্য সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।
ইলিশের উৎপাদন একদিকে কমছে, এতে প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে, মেঘনা নদীর অববাহিকায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি না হলে ইলিশ মাছ ডিম পাড়তে পারে না। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকৃতিক কারণ ও তথাকথিত উন্নয়নের কারণে নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। বরিশাল ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সাধন শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা-২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইলিশ একটি মাইগ্রেটরি মাছ এটি সমুদ্র থেকে নদীতে আসে এবং আবার ফিরে যেতে হয়। কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ঝাটকা নিধন। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালালেও এটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যায়নি। এছাড়া অবৈধ জালের ব্যবহার ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে। তবে এসবের বিরুদ্ধে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তিনি জানান,খুব শীঘ্রই ঢাকায় একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নদী থেকে মাছ ধরে হাত বদলের সিন্ডিকেট বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি বাজারে মাছ পাবে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ফরিদা আক্তার বলেন, উপকূল এলাকায় মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হয়ে গেছে। আমরা গবেষণায় দেখেছি এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নির্মিত হচ্ছে। আমাদের দেশে গরু, ছাগল ও মহিষ পালন অন্তত মানুষের খাদ্য ও জীবন রক্ষার জন্য জরুরি। চারণভূমি বিষয়ে আমরা দেখছি যে অনেক কিছু পরিকল্পনা বিহীনভাবে তৈরি হচ্ছে। এতে মহিষের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে সঠিক নীতি ও ব্যবস্থা নিলে এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,পিকেএসএফ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জিজেইউএস নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. ওমর ফারুক, প্রেসিডেন্ট।
বক্তারা বলেন, নদী ও সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। মৎস্যজীবী, প্রশাসন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান একত্রিতভাবে কাজ করলে মাছ চাষ ও সংরক্ষণ কার্যকর হবে।
এছাড়া তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মহিষ পালনের সম্ভাবনা অনেক, তবে জলবায়ু পরিবর্তন, চারণভূমির অভাব ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা খাতটির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। গবেষণা ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিষ পালনকে লাভজনক ও টেকসই খাতে রূপান্তর করা সম্ভব।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক শ্রম মান বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শ্রম সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৬টি কনভেনশন ও একটি প্রটোকল অনুমোদন করেছে। আইএলও সংবিধান অনুযায়ী, অনুমোদিত ও অননুমোদিত উভয় ধরনের সনদের প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক। এই কমিটি আইএলও কনভেনশন ১৪৪-এর বাধ্যবাধকতার আলোকে বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশ নিশ্চিত করবে।
সচিব আরও উল্লেখ করেন যে, আইএলও এর ১১টি কনভেনশন (C-01, C-14, C-19, C-81, C-89, C-100, C-106, C-111, C-118, C-138, MLC-2006) নিয়ে আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে C-81 (শ্রম পরিদর্শন), C-100 (নারী ও পুরুষের সমান পারিশ্রমিক), C-111 (কর্মসংস্থান ও পেশায় বৈষম্য) এবং C-138 (ন্যূনতম কাজের বয়স) বিষয়ক চূড়ান্ত প্রতিবেদন আইএলও সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার জেনেভাস্থ প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি নিরান রাজমুঠান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ইমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এর প্রতিনিধি , ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি , বেপজা প্রতিনিধি , NCCWE এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদিপশু পালন প্রোটিন ঘাটতি নিরসন, মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা এবং জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। অথচ অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে চারণভূমির হ্রাস হচ্ছে, ফলে মহিষের মতো মূল্যবান সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়ছে।
আজ সকালে বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত “উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজিইউএস) এবং কোস্টাল ভেট সোসাইটি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সঠিক নীতি নির্ধারণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে এখনো অনেক চরাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব। মহিষ পালন বাড়াতে পারলে জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা যাবে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহিষের চারণভূমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ এবং এমনকি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলায় বৃহৎ গরুর বাথান ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিও উঠছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে গরুর বাথান ধ্বংস করা দেশের সামগ্রিক কল্যাণে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে? তিনি আরও বলেন, মহিষের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় উপকূলীয় এলাকায় স্পিডবোটভিত্তিক ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা প্রয়োজন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে গবাদিপশুর চারণভূমি কমে যাওয়া এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মহিষসহ অন্যান্য গবাদিপশুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও টেকসই চারণভূমি উন্নয়ন অপরিহার্য। পাশাপাশি মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ওমর ফারুক।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, জিজিইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্হানীয় খামারীরা কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
মন্তব্য