× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

কটিয়াদীতে তিন খুন: রিমান্ডে তিন আসামি

কটিয়াদীতে-তিন-খুন-রিমান্ডে-তিন-আসামি
(বাম থেকে) হত্যা মামলার তিন আসামি আল-আমিন, নাজমা ও কেওয়ার মা। ছবি: নিউজবাংলা
আসাদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার ছোট ভাই দ্বীনের বিরোধ ছিল। বুধবার রাতে আসাদ, তার স্ত্রী ও ছেলে নিখোঁজ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একই পরিবারের তিন জনকে হত্যা মামলার আসামি কেওয়া খাতুন ওরফে কেওয়ার মা, নাজমা ও আল-আমিনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আব্দুন নুর এ আদেশ দেন।

আদালতের পরিদর্শক মো. হাম্মাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে পুলিশ শনিবার ওই আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে।

ওই দিন প্রধান আসামী দ্বীন ইসলাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

রোববার তিন আসামির শুনানির দিন ঠিক করে শনিবার তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত।

মামলার চার আসামির মধ্যে কেওয়ার মা খুন হওয়া আসাদের মা, প্রধান আসামি দ্বীন ইসলাম ছোট ভাই, নাজমা আক্তার বোন আর আল আমিন ভাগ্নে।

২৯ অক্টোবর রাতে কটিয়াদীর জামষাইট গ্রামে বাড়ির আঙিনা থেকে মুদি দোকানি আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী পারভীন ও ছোট ছেলে লিয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় আসাদের চার স্বজনকে আটক করে পুলিশ।

হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোনাহর আলী জানান, আসাদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার ছোট ভাই দ্বীনের বিরোধ ছিল। ২৮ অক্টোবর রাতে আসাদ, তার স্ত্রী ও ছেলে নিখোঁজ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

৩০ অক্টোবর রাতে আসাদের বড় ছেলে তোফাজ্জল কটিয়াদী থানায় মামলা করেন।

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান জানান, আঘাতের কারণেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তিন জনকে।

কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, আটক চারজনসহ নয় জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

জাতীয়
There have been no arrests of Trump supporters in Bangladesh
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস

বাংলাদেশে ট্রাম্পের সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি

বাংলাদেশে ট্রাম্পের সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি
প্রেস উইং জানায়, রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে দেশে গণহত্যা, দুর্নীতি ও কোটি কোটি ডলার পাচারের জন্য অভিযুক্ত এবং গণভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন নেতাকর্মী, কর্মকর্তা ও সদস্যকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং তাদের ওপর কোনো দমন অভিযানের ঘটনাও ঘটেনি।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে একথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাসস।

প্রেস উইং জানায়, রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগে দেশে গণহত্যা, দুর্নীতি ও কোটি কোটি ডলার পাচারের জন্য অভিযুক্ত এবং গণভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন নেতাকর্মী, কর্মকর্তা ও সদস্যকে রোববার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টার বহন এবং গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়ার কারণে তারা সেগুলো বহন করছিল।

আটককৃতরা পুলিশকে বলেছেন যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি অনুসরণ করেন না। শুধু হাসিনার নির্দেশে তারা ট্রাম্পের পোস্টার বহন করেছিলেন।

আগস্টে অভূতপূর্ব বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কিছু ভারতীয় সংবাদপত্র ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে আক্রমণাত্মকভাবে ভুল তথ্য প্রচার করছে।

তারা বিপ্লব-উত্তর দিনগুলোতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কথিত সহিংসতার ঘটনাগুলোকে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করেছে। রোববার আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ঘটনাও তারা একইভাবে অতিরঞ্জিত করেছে।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের পোস্টারসহ সমাবেশের অডিও ক্লিপ ভাইরালের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতি মো, সাহাবুদ্দিনের অভিনন্দন
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অভিনন্দন

মন্তব্য

জাতীয়
Transfer of 64 top level officers in police OSD

পুলিশে শীর্ষ পর্যায়ের ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি-ওএসডি

পুলিশে শীর্ষ পর্যায়ের ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি-ওএসডি
একটি প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, আটজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ৩৯ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়। অপর প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, পাঁচজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৬৪ কর্মকর্তাকে বদলি ও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে সোমবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই বদলি ও প্রত্যাহার করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপ-সচিব আবু সাঈদ।

একটি প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, আটজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ৩৯ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়।

আরেকটি প্রজ্ঞাপনে একজন ডিআইজি, পাঁচজন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১০ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৫২ এসআইকে অব্যাহতি রাজনৈতিক কারণে নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
শৃঙ্খলাভঙ্গ: সারদায় ২৫০ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
পুলিশের ৪০তম বিসিএস ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
পুলিশে সংস্কারে প্রয়োজনে ওয়েবসাইটে সাধারণের মতামত নেবে কমিশন
কাজে যোগ না দেয়া পুলিশ সদস্যরা অপরাধী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

জাতীয়
Former CEC Abu Hena is in favor of voting in the current system

বর্তমান সিস্টেমেই ভোটের পক্ষে সাবেক সিইসি আবু হেনা

বর্তমান সিস্টেমেই ভোটের পক্ষে সাবেক সিইসি আবু হেনা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সোমবার নির্বাচন কমিশনে মিডিয়ার মুখোমুখি সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আবু হেনা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। এ সিস্টেমই কার্যকর হতে পারে। যেসব দেশে সংখ্যানুপাতিক সিস্টেম আছে সেসব দেশে যে এটা ভালোভাবে চলছে এটা মনে করবেন না।’

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নয়, বরং বর্তমান সিস্টেমকেই কার্যকর করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনা। তার মতে, এজন্য কমিশনে যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে।

সোমবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন সংস্কারবিষয়ক কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আবু হেনা বলেন, ‘কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করেছি। এই সুযোগে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার সুপারিশ কিছু আছে। আমি তাদের বলেছি, আশা করি তারা বিবেচনা করবেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো- দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমি চাই, আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেগুলো সাধারণ বা অন্যান্য নির্বাচন যাই হোক, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় এবং দেশের যেন কল্যাণ হয়।’

সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যত ভালো আইনই হোক না কেন, প্রয়োগ না হলে সুফল আসে না। যত রিফর্ম করেন না কেন, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য মানুষ দরকার, যোগ্য কমিশন দরকার।

‘যোগ্য সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনার দরকার। তারা যদি যোগ্য না হন তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আর আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন দরকার। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া দরকার। উপর থেকে আরোপ করা নয়। নিচে থেকে উঠে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। এটা যদি সবগু দল বাস্তবায়ন করে তবে দেশের জন্য কল্যাণ হবে।’

আবু হেনা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। এ সিস্টেমই কার্যকর হতে পারে। নতুন কোনো সিস্টেম দরকার আছে বলে মনে করি না। যেসব দেশে সংখ্যানুপাতিক সিস্টেম আছে সেসব দেশে যে এটা ভালোভাবে চলছে এটা মনে করবেন না। এটা আমি জানি।

‘আমাদের যে সিস্টেম আছে, যেটা মানুষের কাছে পরীক্ষিত- এই সিস্টেমই কার্যকর করে তোলা দরকার। আর সংসদ কয় কক্ষের হবে সেটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়া ভালো।’

নির্বাচনবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘উনি যা বলেছেন আমরা তাতে উৎসাহিত হয়েছি। উনি বলেছেন যে আমরা সঠিক পথেই আছি। ওনার অভিজ্ঞতার আলোকে সঠিক আছে।

‘আমরা আইনকানুন গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। ১৭ থেকে ১৮টি মিটিং করেছি। আমাদের অগ্রগতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। দলগুলোর কিছু মতামত পেয়েছি। গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসবো।’

তিনি বলেন, ‘অনেক ধরনের মতামত আছে। এক্ষেত্রে অনেক মতামত বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট কমিশনের সঙ্গেও বসবো।’

আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে সরকার চাপহীনভাবে কাজ করছে: খাদ্য উপদেষ্টা  
ওয়েবসাইট চালু, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে মতামত আহ্বান

মন্তব্য

জাতীয়
Cop29 Chief Adviser on the Road to Azerbaijan

কপ২৯: আজারবাইজানের পথে প্রধান উপদেষ্টা

কপ২৯: আজারবাইজানের পথে প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর উদ্দেশে সোমবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ১৪ নভেম্বর তিনি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের বৃহত্তম জলবায়ু সম্মেলন, কপ-২৯ এ যোগ দিতে আজারবাইজানের বাকুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সোমবার বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, ১৪ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্বনেতা ও কূটনীতিকরা এই বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।

জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (কপ২৯) ২৯তম সম্মেলন ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

এবারের কপ-২৯ এ অংশ নিচ্ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

উন্নত দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানান এই উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে উন্নত দেশগুলোর তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানোর।’

১৮৪৬ সালে বিশ্বের প্রথম তেলক্ষেত্র গড়ে উঠেছিল বাকুতে এবং ১৮৯৯ সালে তেল উৎপাদনকারী বিশ্বের নেতৃত্ব দিতো আজারবাইজান।

আজারবাইজানের রপ্তানির প্রায় সবই তেল ও গ্যাস। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের প্রধান উত্সগুলোর মধ্যে দুটি হলো তেল ও গ্যাস।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এপ্রিল মাসে এগুলোকে ‘সৃষ্টিকর্তার উপহার’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।

আলিয়েভ বলেছেন, কপ২৯ সম্মেলনটি আজারবাইজানের জন্য একটি ‘বড় সম্মান’।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ঘটনাগুলো বিশ্বজুড়ে মানুষকে প্রভাবিত করছে। কপ২৯-এ বিভিন্ন দেশের সরকার, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে তারা আলোচনা করবেন।

আয়োজকদের মতে, কপ২৯ এর মূল ফোকাস অর্থায়নের দিকে থাকবে। কারণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষা করতে দেশগুলোর জন্য ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

প্যারিস চুক্তির অধীনে তাদের হালনাগাদ জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য এই সম্মেলন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সালের প্রথম দিকে নির্ধারিত হবে।

যদি সঠিকভাবে করা হয় তবে এই পরিকল্পনাগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক-শিল্প স্তরের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন:
গণভবন জাদুঘরে দুঃশাসনের আয়নাঘরের রেপ্লিকা থাকা উচিত
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
দুর্নীতি দমনে ডিজিটালাইজেশনে জোর প্রধান উপদেষ্টার
ঢাবিতে হেঁটে গ্রাফিতি দেখলেন প্রধান উপদেষ্টা, করলেন প্রশংসা

মন্তব্য

জাতীয়
Govt working on elections without pressure Food adviser  

নির্বাচন নিয়ে সরকার চাপহীনভাবে কাজ করছে: খাদ্য উপদেষ্টা  

নির্বাচন নিয়ে সরকার চাপহীনভাবে কাজ করছে: খাদ্য উপদেষ্টা   খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
খাদ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলমান আছে এবং এটা জোরদার করা হবে বলে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমনে কিছুটা ফসলহানি হয়েছে। সেটা মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, আমি সেটা অবগত হলাম। আমরা মনে হয় সঠিক পথেই আছি। সেই গতি আরও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।’

রাজনৈতিক দলগুলো বারবার দ্রুত নির্বাচন চাইলেও সরকার চাপহীনভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে সোমবার উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরো বাজার প্রক্রিয়াই একটা চ্যালেঞ্জ, তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন নয়। বাজারে কেউ কেউ কৃত্রিম দাম বাড়াতে চায়, তবে সেটাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন সরকার গঠন করার এই সময় কিছুটা অস্থিতিশীল থাকে সবখানেই। সেই প্রভাবে চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল। সেটা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

‘চাল আমদানিতে বেসরকারি খাতকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে। সরকারিভাবেও আমদানির পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’

খাদ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলমান আছে এবং এটা জোরদার করা হবে বলে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আমনে কিছুটা ফসলহানি হয়েছে। সেটা মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, আমি সেটা অবগত হলাম। আমরা মনে হয় সঠিক পথেই আছি। সেই গতি আরও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।’

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষক ফসল ফলায়, তাদের সবচেয়ে বড় অবদান। বেসরকারি খাত খাদ্যশস্য আমদানি করে। এটাকেও আমরা উৎসাহিত করি। কিছু ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারিভাবে আমদানি করে মজুত রাখা হয়, পরে যেন আমরা মার্কেটে ইনজেক্ট করতে পারি।

‘বেসরকারিভাবে খাদ্য আমদানিতে সব ট্যাক্স উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারিভাবেও আমদানিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিছু শিপমেন্টেও আছে।’

আরও পড়ুন:
ডিক্সভেল নচে মধ্যরাতে ভোট এবং ফল প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটে ১৩৪ বিলিয়নেয়ারের প্রভাব দেখার অপেক্ষা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট শুরু 
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট শুরুর অপেক্ষা
নিউ ইয়র্কের ব্যালটে বাংলা ভাষা

মন্তব্য

জাতীয়
Chief Adviser to Inaugurate Lounge for Migrant Workers at Shahjalal Airport

শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিবাসী কর্মীদের জন্য লাউঞ্জ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিবাসী কর্মীদের জন্য লাউঞ্জ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন উপলক্ষে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্ক্রিনশট: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজের ভিডিও থেকে
লাউঞ্জে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য জায়গা এবং সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে এবং সরকার এতে ভর্তুকি দেবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্বোধন করেছেন।

ওই সময় তিনি বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকরা দেশ গড়ার কারিগর। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে তারা বড় ভূমিকা পালন করেছিল। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এটিই প্রথম প্রবাসী লাউঞ্জ।’

এ লাউঞ্জ অভিবাসীদের ভ্রমণকে সহজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

লাউঞ্জে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য জায়গা এবং সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যাবে এবং সরকার এতে ভর্তুকি দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত আইওএম মিশনের ডেপুটি চিফ ফাতিমা নুসরাত গাজালি জানান, জাতিসংঘ বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তা করতে লাউঞ্জটিতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।

আরও পড়ুন:
উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন ও পুনর্বণ্টন, কে কোন দায়িত্বে
শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা
উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছে তিন নতুন মুখ: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা: আসিফ মাহমুদ
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

জাতীয়
Removal of Bangabandhus photo from the Presidents Office and the Durbar Hall of the Banga Bhavan

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণ

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি অপসারণ রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার কথা ফেসবুক পোস্টে জানান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: ফেসবুক
মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি।’

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সোমবার এক পোস্টে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি।’

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে লিখেন, ‘তবে মানুষের ভিতরে জুলাই স্পিরিট যতদিন থাকবে, তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।’

মাহফুজ আলম আরও লিখেন, ‘শেখ মুজিব এবং তার কন্যা অগণতান্ত্রিক বাহাত্তরের সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, কোটি কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচার-বহির্ভূত হত্যাসহ (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪) বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছে, তা আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।

‘তাহলেই কেবল আমরা একাত্তরের আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না।’

আরও পড়ুন:
ইসিটির সেমিনারে শান্তি, সম্প্রীতিতে জোর
বঙ্গবন্ধু আ.লীগের প্রতি মানুষের ভালোবাসা সৃষ্টি করেছিলেন
এক দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে আয় প্রায় ৩ কোটি
বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর গাড়ি বিকল, মহাসড়কে যানজট
বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলে ঈদযাত্রার হাওয়া

মন্তব্য

p
উপরে