ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পৌঁছাই শুক্রবার গভীর রাতে। শনিবার সকাল সকাল ভাড়া করা মোটর বাইকে পাটগ্রাম থেকে সীমান্ত বন্দর বুড়িমারীর দিকে যাত্রা শুরু। শহর পেরোতেই ধরলা পাড় থেকে দূরের চকচকে কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহিনী রূপ।
হিমালয় পাদদেশে শান্ত এই জনপদ বুড়িমারী নৃশংস এক ঘটনায় এখন সারা দেশে আলোচিত। পথের দুপাশের সারি সারি পাথর ভাঙার কল দেখে নিষ্ঠুর কিছু মানুষের পাথুরে হৃদয়ের কথাই বারবার মনে ভেসে উঠছে। একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেয়া কতটা অমানবিক!
বুড়িমারী বাজারে যখন পৌঁছাই, ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা। ইউপি পরিষদ ভবনের বিধ্বস্ত চেহারা মন ভারী করে তোলে। এর ৩০ গজ দূরেই সেই আলোচিত বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। দারুণ সৌম্য, সুন্দর, নান্দনিক মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে গিয়ে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগে হত্যার শিকার হন শহীদুন্নবী জুয়েল।
মসজিদে কথা হয় খাদেম জুবেদ আলীর সঙ্গে। শহীদুন্নবীর সঙ্গে প্রথম কথা কাটাকাটি হয় এই জুবেদ আলীর।
সেদিন শহীদুন্নবী কি কোরআন অবমাননা করেছিলেন- জানতে চাই তার কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, ‘না এমন কিছু ঘটে নাই। তিনি (শহীদুন্নবী) মসজিদের র্যাকে পা রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তার পাশে কোরআন শরিফ ছিল। তিনি দেখতে পেয়ে কোরআন শরিফে চুমুও খেয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকজন মুসল্লি এটা নিয়ে বিতণ্ডা বাধান।’
জুবেদ আলি জানান, একপর্যায়ে সেখানে যান আবুল হোসেন। তিনি বুড়িমারী বাজারের হোসেন ডেকোরেটরের মালিক। লোকে ডেকোরেটর হোসেন নামে চেনে।
জুবেদ আলী বলেন, ‘হোসেন মসজিদে ঢুকে শহীদুন্নবীকে মারপিট শুরু করেন। হোসেনের ডাকে বাইরে থেকে আরও কয়েকজন আসেন মসজিদে। এক পর্যায়ে শহীদুন্নবীকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সিঁড়িতে নিয়ে বসান হোসেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজবাংলাকে জানান, এরপর সেখানে আসেন মেম্বার হাফিজুল ইসলাম। তিনি হোসেনকে বের করে দেন। তবে উত্তেজিত হোসেন আলি বাজারের ভেতরে গিয়ে প্রচার করতে থাকেন, শহীদুন্নবী কোরআন পদদলিত করেছেন।
এ সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রধান, সেক্রেটারি রেজোয়ান হোসেন, রেজোয়ানের ছেলে রিয়াদ ও তার দুই ম্যানেজার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারাও স্থানীয়দের মধ্যে গুজব ছড়ানোয় যোগ দেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুল আমাকে বলছিলেন সেদিনের কথা। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পেছনে কী বা কারা আছে তা হয়ত তদন্তের পর জানা যাবে। কিন্তু একটা কাজে ওই সময় বুড়িমারী গিয়েছিলাম। তখন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি আমাকে বলেন একজন মসজিদে গিয়ে কোরআন ছিড়ে পদদলিত করেছে। সে সময় তাদের বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল।’
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেসব মানুষ হামলায় অংশ নিয়েছে, তাদের বেশিরভাগকেই আমি চিনি না। কারণ এরা বহিরাগত। এরা স্থল পোর্ট ও পাথর শ্রমিকও হতে পারে। এখানে হাজার হাজার পাথর শ্রমিক কাজ করে। আসরের টাইমে কাজ শেষ হয়। ঘটনা আসরের পর হওয়ায় এরাও বিক্ষোভে অংশ নেয়।’
উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল বলেন, “আমরা কিন্তু সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই ‘নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবার’ এবং ‘আল কোরআনের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো’ স্লোগান আসতে থাকে, তখনই ইউএনওসহ সবাইকে বলি, এটা ২০১৪ সালের মতো ঘটনা। সামলানো যাবে না। তখন ইউএনও আমাকে ঘরে যেতে বলেন। কিন্তু আমি বলি দেখি। এরপর মাগরিবের আজান হলো, মানুষ বাড়তে থাকল। স্লোগানে প্রকম্পিত হতে থাকল। তখন আমরা ভিতরে গিয়ে কলাপসিবল আটকায়ে দেই।”
পাটগ্রামের ইউএনও কামরুন নাহারের কাছে জানতে চাই, এত সময় নেয়া হলো, অথচ রোষানল থেকে শহীদুন্নবীকে কেন বাঁচানো গেল না?
তিনি বলেন, ‘সময় আসলে বেশি নেয়া হয়নি। জনবল দিয়ে জনরোষ থামাতে হয়। আমার এত জনবল নেই। অন্য উপজেলা থেকে আনতেও তো সময় লাগে।’
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে, আসামিরা সনাক্ত হচ্ছে, ছয়জন আটকও হয়েছেন। তারপরেও সেদিনের ঘটনার জট এখনো সেভাবে খোলেনি, কেন?
পাটগ্রাম থানায় ওসির কক্ষে এ বিষয়ে কথা হয় লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার সঙ্গে।
তার মনেও রয়েছে অনেক প্রশ্ন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘যে মসজিদে ঘটনা, সেখানকার সভাপতি, সেক্রেটারি ঘটনাস্থলে ছিলেন। শুনেছি তারা বুড়িমারী বাজার ও এলাকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা থাকতে এটা কীভাবে হয়! তারা হাত উঠালেই তো সবার থেমে যাওয়ার কথা।’
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের কাছে প্রশ্ন ছিল, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় মৌলবাদী শক্তির কোনো ইন্ধন ছিল কিনা?
তিনি বলেন, ‘এটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়।’
অল্প সময়ের মধ্যে এত মানুষ জড়ো হওয়া, জনপ্রতিনিধি ও সমাজ পরিচালকদের সামনে ঘটনাটি ঘটায় এর পেছনে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।
সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজুল ইসলাম। বুড়িমারী বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে।
প্রাণ হারানোর আগে প্রায় দুই ঘণ্টা হাফিজুলের তত্ত্বাবধানে ছিলেন শহীদুন্নবী।
হাফিজুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে হোসেন আলি কল করে মসজিদে আনে। এসে দেখি শহীদুন্নবীর সঙ্গী (সুলতান জোবায়ের আব্বাস) হতভম্ভ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। এর আগে তিনি প্রচণ্ড মার খেয়েছেন। ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। কয়েকবার কী হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি কেবল বলেন- আমরা নামাজ পড়েছি। এরপর উনি কী করলেন, আমাদের মারা শুরু করল এরা।’
‘এরপর তার (জোবায়ের) হাত ধরে টেনে আসেন বলে নিয়ে যাই ওজুঘরের ওখানে। সেখানে শহীদুন্নবীকে দেখি হাউজ থেকে দুই হাতে পানি নিয়ে মাথায় দিচ্ছেন। তার মাথায় বড় আঘাতের চিহ্ন। ক্ষতস্থান লাল ও ফোলা। এ সময়েও শহীদুন্নবীকে পেটাচ্ছিল একদল মানুষ। আমি সবাইকে বলি সে দোষ করলে প্রশাসনের হাতে তুলে দেব। কিন্তু কোনো অঘটন ঘটতে দেয়া যাবে না। এই বলে দুজনকে ধরে নিয়ে আড়াআড়ি মার্কেটের মধ্য দিয়ে ৫০ গজ দূরের ইউপি ভবনে যাই। পেছনে পেছনে কয়েকশ মানুষও আমাদের সঙ্গে যায়।’
হাফিজুল বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গিয়ে ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, ওসিসহ সবাইকে ফোন করি। তারা অনেকেই সেদিন, সেই সময় বুড়িমারীতে ছিলেন। তারা ইউপি চত্ত্বরে প্রবেশের পরপরই কী হলো, বুঝতে পারলাম না। প্রশাসনের লোক দেখেই সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। নারায়ে তকবির স্লোগান দিতে থাকে। তারা ইট পাটকেল, এমনকি বালু পর্যন্ত ছুড়তে করতে থাকে। সবাই দলবদ্ধভাবে গ্রিল টেনে দেয়ালসহ ভেঙে ফেলে।’
বুড়িমারীর বাসিন্দা ও পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম সেদিনের উন্মত্ততার বর্ণনা দেন।
ভারী কণ্ঠে আমাকে বলেন, ‘তারা একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরেই কেবল থামল না, গলায় ও পায়ে রশি বেঁধে টানতে টানতে ৩০০ মিটার দূরের বাঁশকল এলাকায় নিয়ে গেল। এরপর শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দিলো। মৃত দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার সময়েও তারা আঘাত করছিল।’
শহীদুন্নবীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার গুজব প্রথম যিনি ছড়ান, সেই আবুল হোসেনের বাড়িতে শনিবার রাতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি বা পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি এলাকাবাসী।
গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড SRO No-404-Law/2025 এর মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩ এর Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর হতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের Authentic English Text প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text না থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।
আয়কর আইনের Authentic English Text সরকারী গেজেটে প্রকাশ হবার ফলে দেশী-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন বিধায় করদাতাগণের আস্থা অধিকতর বৃদ্ধি পাবে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর Authentic English Text সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অচিরেই এই দুটি আইনের Authentic English Text সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগকারীগনের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাশলেস, টোল কালেক্টর ব্যতীত ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টোল পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ডিজিটাল ব্যবস্থার আওতায় এসেছে।
বর্তমানে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপ এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে “টোল” অপশনের অধীনে “মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন” এ প্রবেশ করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ ৪ (চার) ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর ফিরতি এসএমএসে একটি Ekpass ID প্রেরণ করা হবে।
এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপের “Pay Bill” অপশনের “D-Toll Top-Up” সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ প্রথমবারের মতো যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে ETC লেন ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবে।
১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করেন এবং ইটিসি সেবা ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পারাপার করেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই সেবার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ETC সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১,৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট ৩৪,৯১,৭০০ টাকা টোল আদায় সম্পন্ন হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয়ের বিশেষ নির্দেশনা ও দিকনির্দেশনায় পদ্মা সেতুতে এই ETC সিস্টেম বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি দেশের টোল ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি ও মানবসম্পদের অপচয় হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ এই সেবার আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর a2i (এটুআই) কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এই টোল কালেক্টর ব্যতীত নন স্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন—যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।" শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন ইতিহাস থেকে যেনো কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,"শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।" এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জনাব মোঃ শাহজাহান মিয়া।
‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংস্কারের পথে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
তিনি আরও বলেন, এটি ২০২৬ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে মিলার লেখেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এই দলিল মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা ব্যাপক ঐকমত্যের প্রতিফলন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে দেশটি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে মিলারের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত বহন করে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ লক্ষ্যে ইইউ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। এসব উদ্যোগ গণতান্ত্রিক চর্চা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি ইইউর প্রতিশ্রুতির অংশ। সূত্র: বাসস
ইতালির রোমে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব খাদ্য ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি উইং) ড. মো. মাহমুদুর রহমান।
উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ফোরামে দেশের কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সদস্য দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করবে। সফরকালে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা ইতালির ইন্টেরিয়র মিনিস্টার এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতালির রোমস্থ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য এ ফোরাম ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্র: বাসস
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ করে মোট ১২ টি নতুন কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক গতকাল একটি সরকারি আদেশ জারী করা হয়েছে। কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগ দু’টির বিদ্যমান কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস এবং বিশেষায়িত ইউনিটসমূহে জনবল বৃদ্ধি এবং নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস এবং বিশেষায়িত ইউনিটসমূহে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩,২২৪ টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ৩,৫৯৭টি পদ নতুনভাবে সৃজন করা হয়েছে।
কর জাল সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন, সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি পরোক্ষ কর ব্যাবস্থাকে অধিকতর গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং মন্ত্রি পরিষদ বিভাগসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রশাসনিক অনুমোদন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক উক্ত আদেশ জারী করা হয়। উক্ত আদেশ অনুযায়ী ৩ পর্যায়ে ৫টি নতুন মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেট, ৪টি নতুন কাস্টমস হাউস এবং ৩ টি বিশেষায়িত দপ্তর সৃজন করা হলো।
নতুন ১২ টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট সৃজন ছাড়াও উক্ত সরকারি আদেশের মাধ্যমে বিদ্যমান কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিটসমূহের সম্প্রসারণ, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাস্টমস কার্যক্রম এবং কাস্টমস ও ভ্যাট গোয়েন্দা কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ও বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের ফলে পরোক্ষ কর আহরণ কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি পাবে, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে।
-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আগামীর স্বপ্নপূরণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রস্তুতি লাগবে।
তিনি বলেন, যোগ্য হয়েই সুযোগ্য স্থানে অধিষ্ঠিত হতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
গতকাল সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র সংসদের আয়োজনে ১ম এমডিসি জাতীয় স্কুল, কলেজ ও আন্তঃমাদ্রাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমাদেরকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা একটি স্থানে আসতে পেরেছি। এখানেই শেষ নয়, আরো বহুদূর যেতে হবে। এই পথ পাড়ি দিতে কোনো বাঁধা আসলে আমাদেরকে থেমে গেলে চলবে না। সকল বাঁধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, সকল ভেদাভেদ ও মতপার্থক্য ভুলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে সুযোগ এসেছে সেটাকে পরিপূর্ণ কাজে লাগাতে হবে। এ সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে আমাদেরকে বহুবছর সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তিনি সকলকে কালেমা তায়্যেবার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুরোধ জানান।
পরে উপদেষ্টা চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী দলের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, তিন মাসব্যাপী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ক্যাটাগরিতে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৫৪টি প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
স্কুল ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুগদা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রানারআপ হয়েছে বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
কলেজ ও উন্মুক্ত ক্যাটাগরিতে নটর ডেম কলেজ চ্যাম্পিয়ন এবং মনিপুর স্কুল ও কলেজ রানারআপ হয়েছে।
মাদ্রাসা ক্যাটাগরিতে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা চ্যাম্পিয়ন এবং বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান মাদানীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. শামসুল আলম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মনিরুজ্জামান ভূইয়া, আল ফাতাহ পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সাঈদ, ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি আবু সাদিক কায়েম, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুন্নবী মানিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য