সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাসায় অবৈধ ওয়াকিটকি ও মদ রাখায় তাদের এ দণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় ইরফানকে আটকের পরই পুরান ঢাকার দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে দুজনকে দণ্ড দেয়ার তথ্য সাংবাদিকদের জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
নয় তলা ভবনটির তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকেন ইরফান।
এর আগে ‘মারধরের’ ঘটনায় সোমবার সকালে ইরফানসহ চার জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষুধা কোনো অভাবের কারণে নয়, এটি আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতা। আমাদের এই ব্যবস্থা বদলাতে হবে।’
সোমবার ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য ফোরাম (ডব্লিউএফএফ) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারের ছয় দফা প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস প্রথমেই বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন, সংলাপ শুরু করুন এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন’—এর মাধ্যমে ক্ষুধা ও সংঘাতের দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অর্থায়নের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে, জলবায়ুুসংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকে থাকার সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করতে হবে।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক গঠন করে খাদ্য সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল রাখতে হবে।
চতুর্থ প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অর্থায়ন, অবকাঠামো ও বৈশ্বিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে সহায়তা দিতে হবে।
পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাণিজ্যনীতিকে খাদ্য নিরাপত্তার সহায়ক হতে হবে, বাঁধা নয়।
ষষ্ঠ প্রস্তাবে তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের তরুণ কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, অথচ আমরা যথেষ্ট খাদ্য উৎপাদন করেছি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়— এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা, নৈতিক ব্যর্থতা।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা দূর করতে যেখানে কয়েক বিলিয়ন ডলার জোগাড় করা যায়নি, সেখানে অস্ত্র কিনতে বিশ্ব ব্যয় করেছে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। একে কি আমরা অগ্রগতি বলব?’
অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। পুরোনো মুনাফাভিত্তিক ব্যবসা পদ্ধতি কোটি কোটি মানুষকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন এক নতুন ব্যবসা পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে— সামাজিক ব্যবসা, যা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য নয়, বরং সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্য।’
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর স্বপ্নের ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ (শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ) ধারণা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি কোনো কল্পনা নয়, এটি অপরিহার্য— বিশ্ব বাঁচানোর একমাত্র পথ।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসার সাফল্য আমরা দেখেছি। গ্রামীণ ব্যাংক দেখিয়েছে, দরিদ্র নারীরাও উদ্যোক্তা হতে পারেন। গ্রামীণ দানোন শিশু অপুষ্টির বিরুদ্ধে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে এমন বহু সামাজিক ব্যবসা মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তরুণ, নারী, কৃষক, কৃষিুউদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের সহায়তায় সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠন করতে হবে। এই ধরনের উদ্যোগের জন্য আইনগত ও আর্থিক কাঠামো তৈরি করতে হবে, বাঁধা নয়।’
তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আজকের তরুণ প্রজন্ম আগের তুলনায় অনেক বেশি সংযুক্ত, সৃজনশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর। তাদের চাকরি খোঁজার কথা বলবেন না, বরং চাকরি সৃষ্টির ক্ষমতায়ন করুন।’
তিনি বলেন, ‘তরুণদের বিনিয়োগ তহবিল ও সামাজিক ব্যবসা তহবিলের মাধ্যমে মূলধনে প্রবেশাধিকার দিতে হবে। কৃষি-উদ্ভাবন কেন্দ্র, কৃষিুপ্রযুক্তি, চক্রাকার খাদ্য ব্যবস্থা ও জলবায়ুুস্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা দিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘যুব সমাজের ওপর বিনিয়োগ করলে শুধু বিশ্বকে খাদ্য দিতে পারব না, বিশ্বকেই বদলে দিতে পারব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্েযর বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোটের (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমরা এফএও ও জি-২০-এর সঙ্গে মিলিতভাবে প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও নৈতিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন, একটি তিন-শূন্য বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই ফোরামের তিনটি স্তম্ভ—যুব, বিজ্ঞান ও বিনিয়োগ—শুধু স্লোগান নয়, এটি আমাদের খাদ্যব্যবস্থা ও সমাজ রূপান্তরের প্রধান হাতিয়ার।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সম্পদ ও প্রযুক্তি রয়েছে, ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি আসবে। এখন দরকার সৃজনশীল চিন্তা ও সঠিক ব্যবসা কাঠামো—যার মাধ্যমে আমরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব। আমরা যদি কল্পনা করতে পারি, আমরা তা বাস্তবেও সৃষ্টি করতে পারব।’
বক্তৃতার শুরুতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এফএও’র ৮০ বছর পূর্তি শুধু উদযাপন নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির আহ্বান।’
তিনি বলেন, ‘এ বছরের প্রতিপাদ্য— ‘হাত ধরে হাতে, উন্নত খাদ্য ও উন্নত ভবিষ্যতের পথে’—আমাদের মনে করিয়ে দেয়: খাদ্য শুধু ক্যালরির ব্যাপার নয়, এটি মর্যাদার, ন্যায়ের এবং আমরা কেমন পৃথিবীতে বাস করতে চাই তার প্রতিচ্ছবি।’
তিনি এফএওুর নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী খাদ্য নিরাপত্তা ও শান্তি জোটের প্রশংসা করে বলেন, এটি ভবিষ্যতেও বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তরুণরা সাহস ও আশায় ভরপুর হয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তাদের দাবি ছিল ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া, ন্যায়, অন্তর্ভুক্তি ও আস্থার ভিত্তিতে সমাজ গঠন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এ তরুণরাই এখন নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে—যেখানে জনগণ শাসনের কেন্দ্রে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে আমরা ন্যায় ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করছে এবং মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছি ধান, সবজি ও স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে। কৃষকরা ফসলের নিবিড়তা ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন এবং আমরা জলবায়ুুসহনশীল ১৩৩ প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করেছি, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছি, শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, অপুষ্টি কমিয়েছি, খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য এনেছি এবং কৃষিকে সবুজ করেছি— মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছি।’ সূত্র: বাসস
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলকে (আইএফএডি) বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা, নারী, কৃষক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের সহায়তার জন্য একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার ইতালির রোমে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ইভেন্টের ফাঁকে আইএফএডির প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিওর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের আহ্বান জানাই। এমন তহবিল দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, তরুণ, কৃষক, নারী ও মৎস্য খাতের উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেবে।’
বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে ছিল বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিল্প গড়ে তোলা, আম ও কাঁঠালের রপ্তানি সম্প্রসারণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং মহিষের দুধ দিয়ে মোজারেলা চিজসহ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সহায়তা।
অধ্যাপক ইউনূস আইএফএডি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং কৃষি, সামাজিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা যাচাইয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর অনুরোধ করেন।
প্রত্যুত্তরে আইএফএডি প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথভাবে সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগে কাজ করার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বর্তমানে আইএফএডি বাংলাদেশের কৃষিখাতে অর্ধডজনেরও বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ফল প্রক্রিয়াকরণ, কোল্ড স্টোরেজ, গুদাম সুবিধা ও আম-কাঁঠালের বৃহৎ পরিসরে রপ্তানিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আম রপ্তানি শুরু করেছি, তবে পরিমাণ এখনো কম। চীন বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ আম ও কাঁঠাল আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি জানান, বাংলাদেশের নারী দুগ্ধ খামারিরা মহিষের দুধ দিয়ে মোজারেলা চিজ তৈরি করছেন। তিনি এ খাত সম্প্রসারণে আইএফএডির সহায়তা চান।
বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ নিয়ে আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশের জেলেরা এখনো অগভীর পানিতেই সীমাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো গভীর সমুদ্রে যেতে সাহস পাই না। আইএফএডি এই খাতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’
বাংলাদেশে ১৯৭৮ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে আইএফএডি ৩৭টি প্রকল্পে অংশীদার হয়েছে, যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার সরাসরি আইএফএডি অর্থায়ন করেছে। বর্তমানে ৪১২ মিলিয়ন ডলারের ছয়টি প্রকল্প চলমান এবং আরও একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।
অধ্যাপক ইউনূস স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে রোমে পৌঁছেন। তিনি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে অংশ নেবেন এবং সেখানে মূল অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম এবং আইএফএডির এসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট ডোনাল ব্রাউন। সূত্র: বাসস
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
লুকানো নয়, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চান উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই, রাতের অন্ধকারে গোপন কোনো নির্বাচন দিতে চাই না। আমরা চাই এমন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, যা সবাই নিজের চোখে দেখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভোটারদের জন্য এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভোট দিতে পারে। প্রবাসে যারা আছেন, তাদের জন্যও আমরা ভোটের ব্যালটের ব্যবস্থা করেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজেই ভোট দিতে পারেন না— এটা কেমন কথা ? তিনি ভোট সংগ্রহ করবেন, কিন্তু দিতে পারবেন না, এটা তো যুক্তিসঙ্গত নয়। এবার আমরা তাদেরও ভোট দেওয়ার সেই ব্যবস্থা করছি।’
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
সিইসি এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেন, একটি জিনিস ধরে রাখেন—আমাদের নিয়তের মধ্যে কোনো গলদ নেই। আমরা অতি স্বচ্ছ একটি নির্বাচন চাই। সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করতে চাই না। বরং আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, পার্টনার হিসেবে পাশে পেতে চাই। সিইসি হিসেবে যেমন আমার দায়িত্ব আছে, আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এখানেও আপনাদেরও অবদান রাখতে হবে। আমি যেমন সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি, তেমনি নাগরিক হিসেবেও আমাদের সবার একটি দায়িত্ব আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি এবং পাশে পেতে চাই।
এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। দেখেন, ২০২৪-এর আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যারা ছিল, তারাই কিন্তু এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন এটা আমি মনে করি না। কোনো অংশে তাদেরকে আমরা কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। এনসিপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪-এর অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, গণতন্ত্র চান, ভালো চান। আমার বিশ্বাস, গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা যাতে সুন্দর হয় সেরকম একটা পরিবেশের তারা সম্মতি দেবে।
চট্টগ্রামের ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা চট্টগ্রামের ভোটের ইতিহাস বদলাতে চাই। আগের মতো যেন না হয়, সেই নিশ্চয়তা আমি এখানে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। ইনশাল্লাহ আগের মতো হবে না। আমি সাংবাদিকদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে চাই, যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সুন্দরভাবে নিজের ভোট দিতে পারে নিরাপদ পরিবেশে। যাতে নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হতে না পারে সেই লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন বলেন, যখন আপনারা আমাদের সম্পর্কে প্রচার বা অপপ্রচার যা শুনবেন, দয়া করে আগে ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন। আমরা এজন্য একটি ফ্যাক্ট চেক সেল গঠন করছি। যাতে তথ্য পেলে আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা হয়। সত্য হলে প্রচার করবেন।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি সমস্যা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, এআই সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। এটি বিশ্বের একটি সমস্যা। এআই-এর ৫০ শতাংশ সোর্স শনাক্ত করা যায় না। আলোচনায় কেউ কেউ বলেছে ইন্টারনেট বন্ধ করতে। আমরা ইন্টারনেট বন্ধের পক্ষে নই।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের চুক্তিতে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের শতকোটি টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ছয় মন্ত্রী ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বাসসকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)-কে একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পূর্বের বৈধ টেন্ডার বাতিল করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই চুক্তিটি সম্পাদন করা হয়।
দুদক জানায়, সিএনএস লিমিটেডকে টাকার অংকে নয় বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি বিল গ্রহণ করে। অথচ ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
২০২২-২০২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড একই ধরনের প্রযুক্তিতে তিন বছরের জন্য ৬৭ কোটি টাকায় চুক্তি পায়, যা পাঁচ বছরে রূপান্তর করলে প্রায় ১১২ কোটি টাকা হয়। ফলে সিএনএস লিমিটেডকে একক উৎসভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়ায় সরকারের ৩০৯ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম, এবং সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের বা অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও আত্মসাৎমূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই।
শনিবার বাসসকে প্রেস সচিব বলেন, দআমরা আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানতে পেরেছি যে এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।’
শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গুজব।’
তিনি জনগণকে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই এসব অসৎ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
প্রেস সচিব স্পষ্ট করে জানান, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) বিলুপ্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্থাটির সীমান্তবর্তী ও বহিঃদেশীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে সরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে।’ সূত্র: বাসস
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৫ অক্টোবরের (বুধবার) পরিবর্তে ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠক শেষে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানান, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আগ্রহী জনগণের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে অনুষ্ঠানটি ১৭ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এর আগে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে ১৫ অক্টোবর বুধবার বিকেলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিদের এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সূত্র: বাসস
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, আমরা সেইফ এক্সিট চাইনা, স্বাভাবিক এক্সিট নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী এদেশেই থাকতে চাই। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং সুষ্ঠুভাবেই হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচিত সরকারের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা চলে যাবো। তিনি বলেন, সেইফ একজিট বলতে আমি কিছু জানিনা। আমার কোন সেকেন্ড হোম নেই। এমনকি ঢাকায় আমার থাকার কোন বাড়ীও নেই। বর্তমানে আমি সরকারী বাড়ীতে থাকি আর চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকি। আমি এই দেশেরই মানুষ,এই দেশ আমার আপনার, এখানেই আমি থাকব। তিনি আরো বলেছেন আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে থাকতে চাই এবং সম্প্রীতিই একমাত্র মৌলিক বিষয়। এটা নিয়েই পার্বত্য এলাকাসহ পুরো দেশে আমরা সকলে একসাথে থাকতে পারব বলে আমি আশাবাদি।
তিনি শনিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
ধর্ম উপদেষ্টা ড, আ ফ ম খালিদ হোসাইন আরো বলেন, ‘কাউকে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমাদের সকলের মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার, কারণ এটিই আসল।’ দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমি সকল সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা। আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সকল ধর্মের জন্য বরাদ্ধ আছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরীয়ত উল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাদেক হোসেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিব উল্লাহ মারুফ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সম্প্রীতির এসভায় জেলা উপজেলার মসজিদ, মন্দির, বিহারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে বৈধ কাগজপত্রবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ায় অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ইরফান সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হাতকড়া ও বিশেষ ধরনের ব্রিফকেস
নয়তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকতেন ইরফান সেলিম। র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৮টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যেসব ব্রিফকেস, ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণ মানুষ বা বেসরকারি সংস্থার ব্যবহারের সুযোগ নেই।
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় পাওয়া গেছে বিদেশি মদ
র্যাবের অভিযানে হাজী সেলিমের ছেলে এরফানের বাসায় মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র
র্যাবের অভিযানে বাসার ভিতরে পাওয়া গেছে একটি পিস্তল, বেশকিছু ওয়াকিটকি ও মদের বোতল।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব।
রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের সময় তারা দুজনেই সেখানে ছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এবং র্যাব ৩ ও র্যাব ১০ এর সদস্যরা হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম নিউজবাংলাকে জানান, গত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে সস্ত্রীক পেটানোর ঘটনায় এ অভিযান চলছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
এই মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিমকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ির নাম ‘দাদা বাড়ি’।
চকবাজারের দেবীদাস লেনের এই বাড়িতে বাবার সঙ্গেই থাকেন ইরফান সেলিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের অবস্থান।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, তার সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু, জাহিদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজীব হাসান এর আগে সোমবার সকালে জানান, গাড়িটির চালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, হাজী সেলিমের গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় রাখা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যাল সংলগ্ন রাস্তায় হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ।
ঘটনার পর তিনি ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় হাজী সেলিমের গাড়িতে তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিফকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বই কিনে আসছি। বই, পড়ার বই। আই ওয়াজ অন দ্য ওয়ে। এই গাড়িটা আমাকে হিট করছে। হিট করার পর আমি ব্রেক করছি।
‘আমি পরিচয় দিছি। আমি লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এতগুলা লোকের সামনে আমাকে মারল। আমার গায়ে হাত তুলল। আমার ওয়াইফের গায়ে হাত তুলছে। মারছে তো মারছেই। থ্যাংক গড, আমার মধ্যে মিনিমাম একটু...ছিল, আই কুড সারভাইভ।’
একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হলে হাজী সেলিমের গাড়ির আরোহীরা সরে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
মন্তব্য