দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮০ জনে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১১টি ল্যাবে ১০ হাজার ৯৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮৬টি নমুনা।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯.৯৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। শনাক্তের মোট হার ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত এক মাসে এ হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
করোনা শনাক্তের হার নিয়ে সরকারের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বলেন, এ হার যখন ৫ শতাংশের নিচে আসবে, তখন বলা যাবে দেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪৯৮ জন। এর মধ্য দিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ৫৬৩ জন।
এতে উল্লেখ করা হয়, এক দিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৯৪ জন। এ নিয়ে শনাক্ত হলেন তিন লাখ ৯৭ হাজার ৫০৭ জন।
করোনায় মৃতদের মধ্যে চার হাজার ৪৫২ জন পুরুষ (৭৭ দশমিক ০২ শতাংশ) ও এক হাজার ৩২৮ জন নারী (২২ দশমিক ৯৮ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৯ জনের মধ্যে ২০ বছরের উপরে একজন, ৩০ বছরের উপরে একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চার জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিন জন ও ষাটোর্ধ্ব ১০ জন।
ঢাকা বিভাগে ১৩, চট্টগ্রামে তিন, খুলনায় এক ও ময়মনসিংহে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শনাক্তের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। আর মৃত্যুর দিক থেকে ৩১তম।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে দেশে দশজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪ জন ও উত্তর সিটিতে একজন রয়েছেন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে তিনজন এবং খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৯, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৭২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৮০ এবং খুলনা বিভাগে ৮১ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০, রংপুর বিভাগে ২ ও সিলেট বিভাগে ৫ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৭৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৭২৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬৩ হাজার ১৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩১০ জনের। প্রসঙ্গত, গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনশ’।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮২ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১১ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৭১ জন রোগী।
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬২ হাজার ১৯৯ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মারা যাওয়া সাতজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন বরিশাল বিভাগের, দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, একজন খুলনা বিভাগের, দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন রংপুর বিভাগের।
দেশে এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৯৭ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৭ জন।
দেশের প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশে হেপাটোলজির জনক হিসেবে খ্যাত অধ্যাপক ডা. মবিন খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মবিন খান লিভার সেন্টার কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, অধ্যাপক ডা. মবিন খান শারীরিক নানা অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বার্ধক্যজনিত রোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস ও পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
হেপাটোলজি সোসাইটির ওয়েবসাইটে ডা. মবিন খানকে ‘ফাদার অফ হেপাটোলজি ইন বাংলাদেশ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মবিন খানের জন্ম ১৯৪৯ সালে। লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি তিনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লিভার রোগ গবেষণায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে।
আরও পড়ুন:এইচপিভি টিকার সঙ্গে বন্ধ্যত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসনেরও কোনো নেতিবাচক সম্পর্ক নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এমন তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে চলমান এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ নিয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) একটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলাকালে হঠাৎ টিকা নেয়ার পর দুজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের অসুস্থ হওয়া দেখে পরবর্তীতে আরও কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
‘বর্তমানে এদের সবাই সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। আর পাঁচজন ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হলেও তারা কোনো টিকা নেননি। প্রাথমিকভাবে রোগটি ম্যাস সাইকোজেনিক ইলনেস ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সাধারণত যে কোনো টিকা দেয়ার পর খুবই নগণ্যসংখ্যক টিকাগ্রহণকারীর শরীরে সাময়িক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তখন টিকা গ্রহণকারী শুয়ে বিশ্রাম নিলে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভালো বোধ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ৬২ লাভ ১২ হাজার ৫৩২ জনকে এইচপিভি টিকাদানের টার্গেট রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৩২৬ জনকে টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে, যা মোট টার্গেটের ৩১ শতাংশ। এর মধ্যে সাতটি বিভাগে মাত্র ২৭১ জনের শরীরে জ্বর, ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে, যেটা সংখ্যার বিচারে খুবই নগণ্য।
ডা. মো. আবু জাফর আরেকটি বিষয়ের উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে এই টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা- cervarix (GSK, Belgium) বেলজিয়ামে উৎপাদিত হয়। সারা পৃথিবীতে ১৪০টি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে। তার মধ্যে ১৪টি মুসলিম দেশ (সৌদি আরব, কাতার, ইউএই, মালয়েশিয়া, মরোক্ক, কুয়েত, মালদ্বীপ উল্লেখযোগ্য) অন্তর্ভুক্ত।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের অন্যতম সফল কার্যক্রম-ইপিআই এর মাধ্যমে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা ও চারটি সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথম পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৩ অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, অবশিষ্ট অন্য সাতটি বিভাগ এবং আটটি সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত ১০-১৪ বছর বয়সী সব কিশোরীর মাঝে অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ কার্যক্রম ২৪ অক্টোবর শুরু হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ডা. মো শিব্বির আহমেদ ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. রিজওয়ানুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. এ বি এম আবু হানিফসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪৯ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৬৩ জন রোগী।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ ও ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৯ হাজার ৪২০ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৯৭ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২১ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৭৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫৩ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৮ হাজার ১০৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
মন্তব্য