× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

আগুনেই শেষ হলো 'স্বীকৃতি না পাওয়া' আল আমিন 

আগুনেই-শেষ-হলো-স্বীকৃতি-না-পাওয়া-আল-আমিন 
প্রতীকী ছবি
গত ৮ অক্টোবর গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আল আমিনকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরও অবনতি হলে তাকে বাড়ি নিয়ে যান তার নানী।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাঁকুড়া গ্রামে ৭ অক্টোবর অগ্নিদগ্ধ শিশু আল আমিন (৫) শুক্রবার সন্ধ্যায় তার নানীর বাড়িতে মারা গেছে।

৮ অক্টোবর গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আল আমিনকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরও অবনতি হলে তাকে বাড়ি নিয়ে যান তার নানী।

বাঁকুড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি আগুনে পুড়ে মারা গেছে। মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।

৭ অক্টোবরের ঘটনার পরে শিশুটির পিতা দাউদ সরদার বাদী যশোর জজ কোর্টে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন নানী সাকিরন নেছাকে আসামি করে।

তবে শিশুটির মা ও নানীর দাবি, সেদিন রাতে পাটকাঠি দিয়ে মশারিতে আগুন ধরিয়ে আল আমিনকে হত্যার চেষ্টা করেন দাউদ সরদার ও তার লোকজন।

আর শিশুটির বাবার দাবি, এ ঘটনায় তারা জড়িত নন। ‘অতিরিক্ত’ ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

শিশুটির মাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৫ সালে সাকিরন নেছার করা মামলায় দাউদ সরদার ৮ মাস ও তার স্কুল শিক্ষিকা মেয়ে রোকেয়া খাতুন ২৩ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন।

জামিনের শর্ত হিসেবে সেসময় শিশুটির মাকে বিয়ে করলেও পরে ডিভোর্স দিয়ে দেন দাউদ সরদার। সেই মামলার রায় হওয়ার কথা আগামী ১ নভেম্বর।

সাকিরন নেছা জানান, দাউদ সরদারের বয়স ৬৫ বছর। ছেলেমেয়েরা অনেক বড়, উচ্চ শিক্ষিত ও বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেন।

তিনি বলেন, ‘৫ বছরের ছোট বাচ্চা যখন তাকে আব্বা-আব্বা করে ডাকেন, তখন তাদের সম্মানে বাধে। এজন্য তারা বাচ্চাটাকে তারা মেরে ফেলতে চেয়েছে। বুধবার (৭ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত আল আমিনের মশারিতে পাটকাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন দাউদ সরদার ও তার পরিবারের লোকজন।

‘তখন আমরা অন্য ঘরে ছিলাম। পরে আল-আমিনের চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।’

শিশুটির নানী বলেন, তিনি অত্যন্ত অভাবী মানুষ। এ কারণে দাউদ সরদারের বাড়িতে কাজ করতেন। কাজ করার সুবাদে তার কিশোরী কন্যার যাওয়া-আসা ছিল দাউদ সরদারের বাড়িতে। এ সুযোগে দাউদ সরদার তার কন্যাকে ধর্ষণ করেন। এতে তার কিশোরী কন্যা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। আল আমিন সেই সন্তান।

সাকিরন নেছা জানান, এ ঘটনায় তিনি ২০১৫ সালে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষায় শিশুটি দাউদ সরদারের বলে প্রমাণিত হয়। তখন আদালত তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়।

গ্রেফতার হওয়ার পর মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হওয়ার শর্তে জামিন পান দাউদ সরদার। তবে আদালতের নির্দেশে বিয়ে করলেও বাচ্চা ও স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেননি তিনি। মেয়েটিকে ডিভোর্স দিয়ে দেন দাউদ সরদার। তাই মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। এক পর্যায়ে অন্য এক জায়গায় তার বিয়ে হয়।

ডিএনএ পরীক্ষায় দাউদ সরদার শিশুটির পিতা প্রমাণিত হলে আদালত তাকে স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ১২ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দেয়।

সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনেছেন জানিয়ে দাউদ সরদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাকিরনকে আমি ওই ১২ লাখ টাকা দিয়েছি আদালতের মাধ্যমে। কিন্তু সাকিরন আমার কাছে আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আল-আমিনকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
65000 children and 4500 mothers die annually during maternity
পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মাতৃত্বকালে বছরে মারা যাচ্ছে ৬৫ হাজার শিশু ও সাড়ে ৪ হাজার মা

মাতৃত্বকালে বছরে মারা যাচ্ছে ৬৫ হাজার শিশু ও সাড়ে ৪ হাজার মা ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন সিজারিয়ান বাচ্চা জন্মের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কাম্য নয়। একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে।’

মাতৃত্বকালে প্রতিবছর দেশে ৬৫ হাজার শিশু এবং সাড়ে ৪ হাজার মা মারা যায় জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এই সংখ্যা অনেক। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার আমরা অন্তত ৫ ভাগ মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হয়েছি। তবুও এখনও বছরে এত মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে বিগত বিএনপি-জামাত সরকারের তুলনায় এ মৃত্যুহার এখন অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রী বলন, ‘এখন আমাদের আগামীর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার ৭০ শতাংশ কমাতে হবে ও শিশুমৃত্যু হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। তবে, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে, মায়েদের হোম ডেলিভারির পরিবর্তে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস ব্যবস্থায় কাজ করতে হবে। মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে আমরা ইতোমধ্যেই সারা দেশের ৫০০টি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে আরও ৪০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু করা হবে।

‘বর্তমানে প্রাইভেট স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আশংকাজনক হারে সিজারিয়ান ব্যবস্থা বেড়ে গেছে’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘দেশে এখন সিজারিয়ান বাচ্চা জন্মের হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনা কারণেই অনেক মায়েরা সিজার করে বাচ্চা নিতে আগ্রহী থাকেন। এটি কাম্য নয়।

‘একবার সিজার করে বাচ্চা নিলে ওই মায়ের পরবর্তীতে বাচ্চা ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া সারা জীবনের জন্য অন্যান্য সমস্যা নিয়ে চলতে হতে পারে। এটি এভাবে চলতে পারে না। দেশে হোম ডেলিভারি এবং সিজার করে বাচ্চা নেয়া অর্ধেকে নামাতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ৬ দিনব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য, অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক শিক্ষা প্রফেসর টিটু মিয়া, মহাপরিচালক নার্সিং, মহাপরিচালক নিপোর্ট এবং ইউএনএফপিএ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোকসসহ আরও অনেকে। এ ছাড়া জুম অনলাইনে দেশের ৮০টি উপজেলা হাসপাতাল স্বাস্থ্য প্রতিনিধি আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Appointment of 83 people from non cadre as upazila election officers

নন-ক্যাডার থেকে ৮৩ জনকে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ

নন-ক্যাডার থেকে ৮৩ জনকে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি
ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের বিষয়টি জানান।

৪০তম বিসিএস পরীক্ষার নন-ক্যাডার পদের প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৮৩ জনকে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার নন-ক্যাডার পদের প্রার্থীদের মধ্য হতে ৮৩ জনকে ‘উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ দিয়ে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রার্থীদেরকে আগামী ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করার জন্য নিয়োগপত্রে বলা হয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এই নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের কাজে বড় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

আরও পড়ুন:
গুলশানে গোপনে বৈঠক করল আওয়ামী লীগ ও জাপা
সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শনের ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি, ভিডিও ভাইরাল
হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনি সভায় এমপি প্রার্থী, গুনতে হলো জরিমানা
নৌকা না পাওয়ায় ক্ষোভ, এমপির সমর্থকদের হামলায় আহত ৩

মন্তব্য

জাতীয়
Labor rights crucial to sustainable growth of garment sector Peter Haas

পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি স্থায়িত্বে শ্রম অধিকার গুরুত্বপূর্ণ: হাস

পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি স্থায়িত্বে শ্রম অধিকার গুরুত্বপূর্ণ: হাস ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূত পিটার হাস। ফাইল ছবি
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা যখন তৈরি পোশাক খাতের দিকে তাকাই, বাংলাদেশে আমাদের মিশনের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো উন্নত শ্রমমানের মাধ্যমে উপলব্ধ টেকসই এবং বিস্তৃতভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধি।’

তৈরি পোশাকশিল্প ও এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ আরও গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির দূত পিটার হাস।

বাংলাদেশ তুলা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করেছে, যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের সামনে থাকা গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করবে।’ খবর ইউএনবির।

রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল ও প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও তাদের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা যখন তৈরি পোশাক খাতের দিকে তাকাই, বাংলাদেশে আমাদের মিশনের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো উন্নত শ্রমমানের মাধ্যমে উপলব্ধ টেকসই এবং বিস্তৃতভাবে ভাগ করা সমৃদ্ধি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি আমাকে শ্রম অধিকারের দিকে মনোনিবেশ করায়।’

রাষ্ট্রদূত স্মরণ করিয়ে দেন, গত ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ‘অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এম্পাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি’ শীর্ষক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নতুন স্মারকলিপি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘নতুন এ বৈশ্বিক শ্রম কৌশলটি সব আমেরিকান সরকারি সংস্থাগুলোকে সরকার, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রচার ও সুরক্ষার জন্য সম্পৃক্ততা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বিদেশি ক্রেতারা কার্যাদেশ বন্ধ রেখেছে: বিজিএমইএ
গাজীপুরে গুলিতে আহত পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু
পোশাকের বাড়তি দাম দিতে রাজি বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো
পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির ‘উসকানি’ দেখছেন কাদের
পোশাক শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক, বললেন নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা

মন্তব্য

জাতীয়
Unique Group MDs daughter dies in road accident in USA

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ের মৃত্যু প্রাণ হারানো নাদিহা আলী। ছবি: সংগৃহীত
নাদিহার পরিবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে জানাজার পর সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপ ও নতুন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) মেয়ে নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিমানবন্দরের কাছে স্থানীয় সময় বুধবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ৩৭ বছর বয়সী নাদিহা আলী মো. নূর আলী ও সেলিনা আলী দম্পতির মেয়ে।

নাদিহার পরিবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে জানাজার পর সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

নাদিহা আলীর অকাল মৃত্যুতে ইউনিক গ্রুপের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ট্রাক ও কাভার্ড ভ‍্যানের চাপায় যুবকের মৃত্যু
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত ৩
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে যুবক নিহত
অবরোধের মাসেও রেল, নৌ ও সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৩ প্রাণহানি
দুই ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে চালক-সহকারী নিহত

মন্তব্য

জাতীয়
Prime Minister pays respects at the tomb of the Father of the Nation in Tungipara

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।

পরে সরকারপ্রধান ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের শহীদ সব সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া আসেন। বেলা পৌনে একটার দিকে তিনি ঢাকার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। পদ্মা সেতু হয়ে তিনি নিজ এলাকায় যান।

নিজ বাসভবনে সন্ধ্যায় নির্বাচনি এলাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার।

সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দলীয় একটি সূত্র আরও জানায়, নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে বেশ উৎফুল্ল ও তার নির্দেশনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছেন। যদিও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রধানমন্ত্রী এবার কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনার সঙ্গে দুটি ইসলামিক দলের নেতাদের বৈঠক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

জাতীয়
It is raining and cold is slowly increasing throughout the country

বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশেই, ধীরে বাড়ছে ঠান্ডা

বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশেই, ধীরে বাড়ছে ঠান্ডা ফাইল ছবি
ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছি কদিন ধরে, এই ছিটেছোঁটা বুধবার থেক গুঁড়ি গুঁড়িতে রূপ নিয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে এখনও। এই বৃষ্টিতে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীত। অবহাওয়ার এমন অবস্থা সামনে অন্তত পাঁচদিন থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শীতের মৌসুমে এসেও তেমন একটা ঠান্ডা পড়ছে না রাজধানী ঢাকায়। রাতে হালকা শীত শীত ভাব হলেও দিনের আলোয় তার অস্তিত্ব বোঝা যায় কমই। তবে ঢাকার বাইরে শীত এসে গেছে বেশ আগেই। এবার অবশ্য রাজধানীর বুকেও শীতের আভাস, এই অভাস বয়ে এনেছে আকাশ থেকে নেমে আসা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছি কদিন ধরে, এই ছিটেছোঁটা বুধবার থেক গুঁড়ি গুঁড়িতে রূপ নিয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে এখনও। এই বৃষ্টিতে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীত। অবহাওয়ার এমন অবস্থা সামনে অন্তত পাঁচদিন থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বভাসে এসব তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেরে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে এটি গুরুত্বহীণ হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় সারা দেশেই। এতে তাপমাত্রাও কমেছে। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে যশোরে ২৬ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৭. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন:
সংকেতমুক্ত বন্দর, নেই ঝড়ের সম্ভাবনাও
মিগজাউমের প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’: ভারি বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ে পাঁচজনের মৃত্যু

মন্তব্য

জাতীয়
EC has given permission to transfer the OC of 338 police stations

৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমতি ইসির

৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমতি ইসির ফাইল ছবি
সারা দেশে সব থানার ওসিদের পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির তালিকা পাঠানো হয় ইসিতে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দেশের ৩৩৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) এবং ১১০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই অনুমোদন দেয়া হয় বলে একটি সূত্র নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছে।

এর আগে সারা দেশে সব থানার ওসিদের পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির তালিকা পাঠানো হয় ইসিতে।

একই সঙ্গে ১১০ জন ইউএনওকে বদলি করতে নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন পাওয়া গেল।

ইসির অনুমতির পর এখন এসব ওসি ও ইউএনওকে বদলির আদেশ জারি করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে