× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

করোনায় আরও ২৪ মৃত্যু

করোনায়-আরও-২৪-মৃত্যু
এক দিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৬৯৬ জন। এ নিয়ে শনাক্ত হলেন তিন লাখ ৯৪ হাজার ৮২৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৭৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এক দিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৬৯৬ জন। এ নিয়ে শনাক্ত হলেন তিন লাখ ৯৪ হাজার ৮২৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৮৭ জন। এর মধ্যে দিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ৫৩২ জন।

অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ লাখ ২১ হাজার ৩৬৯টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শনাক্তের মোট হার ১৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ। করোনায় চার হাজার ৪২২ জন পুরুষ (৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ) ও এক হাজার ৩২৫ জন নারীর (২৩ দশমিক ০৬ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৪ জনের মধ্যে বিশের উপরে একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুই জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আট জন ও ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪, চট্টগ্রামে ছয়, খুলনায় তিন ও সিলেট বিভাগে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শনাক্তের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। আর মৃত্যুর দিক থেকে ৩১তম।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
Dab water or saline which one is more effective in reducing insight?

ডাবের পানি নাকি স্যালাইন—পানিশূন্যতা কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর?

ডাবের পানি নাকি স্যালাইন—পানিশূন্যতা কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর?

ভরা শরতে হঠাৎ বৃষ্টি আর রোদের পালা বদলে ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যা। এর সঙ্গে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা, যা হতে পারে রোদের তাপে ঘাম, শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত পানি না খেলে। গুরুতর ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীর থেকে শুধু পানি নয়, হারিয়ে যায় প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ক্লোরাইড। এর ফলেই দেখা দেয় ক্লান্তি, মাথা ধরা, দুর্বলতা— এমনকি শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

ডাবের পানি: প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়
পুষ্টিবিদরা বলেন, ডাবের পানি হলো একেবারে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম, যা অল্প পানিশূন্যতা দূর করতে কার্যকর। রোদে দীর্ঘক্ষণ হাঁটা, শরীরচর্চা বা উপবাসের পর এক গ্লাস ডাবের পানি শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে চাঙ্গা রাখে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।

স্যালাইন: গুরুতর অবস্থার নির্ভরযোগ্য সমাধান
তবে বমি, ডায়রিয়া বা আন্ত্রিকের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের হয়ে গেলে তখন প্রয়োজন হয় স্যালাইন। এতে নির্দিষ্ট মাত্রায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও গ্লুকোজ থাকে, যা দ্রুত শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে।

কতটা খাওয়া উচিত?

  • সাধারণভাবে দিনে এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।
  • বেশি পরিশ্রম বা রোদে থাকার পর দুই গ্লাস খাওয়া যেতে পারে, তবে একসঙ্গে নয়।
  • বমি বা আন্ত্রিকের ক্ষেত্রে দিনে ২০০–৪০০ মিলিলিটার স্যালাইন অল্প অল্প করে খেতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে চামচে করে দেওয়া যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
হালকা পানিশূন্যতায় ডাবের পানি যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের হতে থাকলে স্যালাইনই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। এছাড়া লবণ–চিনি–দইয়ের পাতলা ঘোল বা পাতিলেবুর শরবতও শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক।

পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বেছে নিলেই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

মন্তব্য

যেসব খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে

যেসব খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে

প্রকৃতিতে হেমন্তের বাতাস বইতে শুরু করেছে। এর হাত ধরেই আসবে শুষ্কতার দিন। কারণ দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে শীতকাল। আবহাওয়ার পরিবর্তনে এমন সময় বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রাও। বিশেষ করে কমতে থাকে বাতাসের মান। যে কারণে তা আমাদের শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার ও খাদ্যাভ্যাস ফুসফুসের পরিশ্রম কমিয়ে আপনাকে সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. হাইড্রেশন বজায় রাখুন

সুস্থ ফুসফুস বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাস শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা পাতলা রাখতে সাহায্য করে, যা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া সহজ করে তোলে। ভেষজ চা, মধু দিয়ে গরম পানি এবং গ্রিন টি এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমেরিকান জার্নাল অফ রেসপিরেটরি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করুন

ভিটামিন সি এবং ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি দূষণের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে আপনার ফুসফুসকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। কমলা, বেরি, পালং শাক এবং বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ বৃদ্ধি করলে তা ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই স্বাস্থ্যকর চর্বিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি প্রদাহ কমিয়ে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদরা স্যামন, ম্যাকেরেল, তিসি এবং আখরোটের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৪. প্রতিরক্ষার জন্য মসলা

হলুদ, মৌরি, হলুদ এবং আদার মতো মসলা শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এগুলো শ্বাসনালীতে দূষণকারী পদার্থের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। আদার মতো মসলা শ্লেষ্মা ভেঙে দেয়, যা আমাদের শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে। মসলা ফুসফুসে রক্ত ​​সঞ্চালনও উন্নত করে এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত আদা, রসুন এবং হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৫. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে পরিষ্কার করতে এবং টক্সিন অপসারণে সাহায্য করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখে। আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রাপ্তবয়স্কদের ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

মন্তব্য

জাতীয়
To keep the liver good to keep

লিভার ভালো রাখতে যা খাবেন

লিভার ভালো রাখতে যা খাবেন

লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ অঙ্গের মধ্যে একটি। এর কাজ হলো ডিটক্সিফাই করা, চর্বি ভেঙে ফেলা, পুষ্টি প্রক্রিয়াজাত করা এবং সিস্টেমকে সচল রাখা। আমাদের খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশগত কারণ ইত্যাদি অনেক সময় লিভারকে অতিরিক্ত চাপে ফেলে। তবে লিভার সঠিকভাবে পরিষ্কার করার জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন হয় না। প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে সাধারণ কিছু খাবার প্রতিদিন খাওয়া হলে তা লিভারকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, লিভার ভালো রাখতে কোন ৫ খাবার প্রতিদিন খেতে হবে-

১. পেঁয়াজ

পেঁয়াজ সালফার যৌগ দিয়ে পূর্ণ যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, বিশেষ করে যখন লিভারের কথা আসে। এতে কোয়ারসেটিন নামে একটি উপকারী যৌগ রয়েছে, যা একটি উদ্ভিদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে যেকোনো ধরনের অক্সিডেটিভ ক্ষতি এবং যেকোনো অঙ্গের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে তা লিভারকে বর্জ্য বিপাকে সাহায্য করে এবং ডিটক্সিফিকেশন উন্নত করে।

২. বাঁধাকপি

বাঁধাকপির উপকারিতা জেনে আপনি অবাক হবেন। এটি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য সেরা সবজির মধ্যে একটি। বাঁধাকপি একটি ক্রুসিফেরাস সবজি যা ডিটক্সিফাইং এনজাইম বৃদ্ধি করে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। এতে গ্লুকোসিনোলেট রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়া এবং লিভারকে পরিশোধনকারী এনজাইম নিঃসরণে সহায়তা করে। যদি প্রতিদিন এক বা অন্য আকারে খাওয়া হয় তবে এটি ফ্যাটি লিভার তৈরিতে বাধা দেবে এবং প্রদাহ কমাবে।

৩. বিটেরুটের রস

লিভারের জন্য শক্তিশালী অস্ত্র বিটরুট পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং লিভারকে ডিটক্সিফাইং করতে সহায়তা করে। বিটের রসে উপস্থিত বিটালাইন এবং নাইট্রেট রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং লিভারের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এই যৌগগুলো লিভার দ্বারা বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ নিরাময়ে সহায়তা করে। প্রতিদিন বিটের রস খেলে পিত্ত উৎপাদনও ভালো হয়, যা হজম এবং চর্বি বিপাকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. গ্রিন টি

আমরা সবাই গ্রিন টি-এর ওজন কমানোর উপকারিতা সম্পর্কে জানি, কিন্তু আমরা হয়তো যা জানি না তা হলো, এর মৃদু কিন্তু শক্তিশালী লিভারের স্বাস্থ্য উপকারিতা। এতে ক্যাটেচিন রয়েছে, এই্ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারে চর্বি জমা কমায় এবং লিভারের এনজাইমের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। গ্রিন টি শক্তিও বাড়ায় এবং বিপাকক্রিয়ায় লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখে।

৫. কুমড়া

​কুমড়া বিটা-ক্যারোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা লিভারের টিস্যুকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর কোমল পুষ্টি উপাদান খাবার হজমে সাহায্য করে যার ফলে শরীর সহজেই বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারে। কুমড়ায় থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এবং লিভারে চর্বি জমা কমায়। কুমড়া পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেটের একটি ভালো উৎস, এগুলো সবই লিভার-বান্ধব পুষ্টি, যা লিভারের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।

মন্তব্য

জাতীয়
Due to heavy rains the incidence of dengue is increasing

অতিবৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে

এবারের ভয়াবহতা ২০১৯ সালের মতো হওয়ার আশঙ্কা
অতিবৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে

বিগত বছরগুলোর চেয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। গত তিন মাসের তুলনায় এ মাসের ৯ দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রন্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ‘এই রোদ, এই বৃষ্টি’- এমন অস্থিতিশীল আবহাওয়া এডিস মশার বিস্তারে খুবই সহায়ক। এ কারণে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগী বাড়লে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ে।
এবারের ভয়াবহতা ২০১৯ সালের মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুরোগী বাড়তে শুরু করে মে থেকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জুন মাসে ৫হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ১৯ জনের। জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ৪১ জনের। আগস্ট মাসে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৪৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ মাসে মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। অক্টোবর মাসে মাত্র ৯ দিনে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২২৪ জনে অপরিবর্তিত রইল।
গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০৮ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২১ জন ভর্তি হয়েছেন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫৩ হাজার ১৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থেমে থেমে বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। রাস্তায় কিংবা বাসাবাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা পলিথিন, বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন আধারে পানি জমে যায়। এখন সেখান থেকেই এডিস মশার বিস্তার হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মাঝে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছু কম ছিল। বৃষ্টির কারণে এখন বাড়ছে। অক্টোবরেও বাড়বে।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মতো পরিস্থিতি না হলেও ২০১৯ সালের মতো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের এখন (৯ অক্টেবার) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৫ জন।
মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের। এবার ১৯ সালের মতো আক্রান্ত না হলেও বছরের ৯ মাসে মৃত্যু প্রায় তখনকার সমান।
২০২১ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সে বছর আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত আক্রন্ত হয়েছে ৫২ হাজার ৮৮৫ জন আক্রন্ত ও ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা।
এ সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৫০০। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বয়সসীমার মানুষ কর্মজীবী ও চলাফেরায় বেশি সক্রিয় হওয়ায় তারা বেশি মশার সংস্পর্শে আসছেন।
ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সারাদেশে যদি ছাত্রদের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা যেত, তাহলে হয়তো একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন আসত। সে ধরনের কিছু হচ্ছে না। বাসাবাড়িতে ফুলের টবে যাতে পানি জমে না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান জ্বর হওয়ার সাথে সাথে সবাইকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সকল জ্বরের রোগীকে জ্বর হওয়ার সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো এবং ডেঙ্গুরোগ শনাক্ত হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

মন্তব্য

জাতীয়
The typhoid immunization campaign begins on October 12

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

দেশব্যাপী প্রেস ব্রিফিং
টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

দেশে আগামী রোববার ১২ অক্টোবর থেকে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। সরকার প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনামূল্যে এই টিকা দেবে। জন্ম সনদ নেই এমন শিশুরাও এই টিকা পাবে। ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

শেরপুর প্রতিনিধি জানান: টাইফয়েড জ্বরের প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআইর) আওতায় দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে শেরপুরে গত বুধবার সন্ধ্যায় শেরপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ শাহিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাঁকন রেজা, কার্যনির্বাহী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ১৫ বছরের কম বয়সি শিক্ষার্থীকে তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের বিদ্যমান ইপিআইয়ের স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।

শেরপুর জেলায় টাইফয়েড টিকার মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৪ জন শিশু। শেরপুর জেকায় এখন পযন্ত ৫৮ শতাংশ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৪ জন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৫৬ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডা. শাহিন বলেন, টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। শিশুদের সুরক্ষায় সরকার বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।

তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ থেকে জানান: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সম্মেলন কক্ষে ইউ এন সি ইএফ, হো, এবং গেবি সংস্থার সহযোগিতায় টাইফয়েড (টিসিবি) টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিক দের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

১ ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন টিসিবি টিকা নিন টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে টিকা পেতে নিবন্ধন করুন এই স্লোগান কে নিয়ে

বৃহস্পতিবার সকালে সিটি করপোরেশনের ইপিআই টেকনোলজিস্ট মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন আল রশিদসহ কুমিল্লার সি. সাংবাদিকরা। আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ১২২০৫৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই টাইফয়েড( টিসিবি) টিকাদান কর্মসূচী শুরু হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত এই টিকা দেওয়া হবে। ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৫টি টিকাদান কেন্দ্রর নির্ধারন করা হয়। অধিকতর প্রচারের লক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের প্রধান অতিথি ব্যাখ্যা দেন।

ফেনী প্রতিনিধি জানান: ‘এক ডোজ টাইফয়েড টিকা নিন। আপনার সন্তানকে টাইফয়েড ঝুঁকি থেকে মুক্তি দিন।’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ফেনীর কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিমের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমাম হাসানের সঞ্চালনায় টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাঃ আমির খসরু তারেক।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর শিশুদের এই টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম জানান, ফেনীর ৬ উপজেলায় টিকাদানের স্থায়ী কেন্দ্র ০৭টি, অস্থায়ী কেন্দ্র ১ হাজার ৯৮ টি, মিলে মোট ১১০৫ টি কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হবে।

টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ১শ ২৭ শিশু, কমিউনিটি লক্ষমাত্রা ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৩শত ১০জন শিশু মিলে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৪ শত ৩৭জন শিশু ।

ইতোমধ্যে ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৮শত ৮ জন, যার শতকরা হারে ৭৪ জন শিশুকে এই টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফেনীতে কর্মরত বিভিন্ন পিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিনিধি বৃন্দ অংশ নেন।

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি জানান: টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম জেলাতেও শুরু হচ্ছে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন (টিসিভি)-২০২৫’। আগামী ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে চলবে এ কর্মসূচি।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি বা প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে এক ডোজ টিসিভি টিকা প্রদান করা হবে। টিকা গ্রহণে জন্মনিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের তথ্য দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে। তবে নিবন্ধন না করলেও টিকা পাওয়া যাবে। জেলায় এবার ৬ হাজার ৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৪১ জন শিশুকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল ও মাদ্রাসায় ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৭১ জন এবং কমিউনিটিতে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০ জন। আগামী ১২ অক্টোবর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে পটিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্স ক্যাম্পেইন সফল করতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুল আনোয়ার, ডা. মো. নুরুল হায়দার (এমওডিসি), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ.এম. জাহিদুল ইসলাম এবং কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন।

সিভিল সার্জন জানান, জেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ১,২১৫ জন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, ১,৮০০ জন ভলান্টিয়ার, ৬০০ জন প্রথম সারির পরিদর্শক এবং ৬০ জন দ্বিতীয় সারির পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ মপ-আপ টিমও মাঠে থাকবে।

তিনি বলেন, “টাইফয়েড টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। টিকা নেয়ার পর টিকাদান স্থানে সামান্য লালচে দাগ, হালকা জ্বর বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে—যা স্বাভাবিক ও অল্প সময়েই সেরে যায়। তাই কোনো গুজবে কান না দিয়ে অভিভাবকদের নির্ধারিত দিনে শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। নিবন্ধন ও সময়সূচি ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮১ জন শিশু অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৬১ শতাংশ। এর মধ্যে রাউজান উপজেলায় নিবন্ধনের হার সর্বোচ্চ ৭৬ শতাংশ। টিকাদান কার্যক্রম চলবে শুক্রবার ও সরকারি ছুটি বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে এ উদ্যোগ কেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ২০১৯ সালের তথ্যানুসারে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার জন মৃত্যুবরণ করে। আক্রান্তদের অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকার জনগোষ্ঠী।

উন্নত দেশে টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব কমে এলেও বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে এটি এখনও গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা। সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী এই টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে ১২ অক্টোবর থেকে, যার মাধ্যমে শিশুদের টাইফয়েড জ্বর থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।

সচেতনতায় সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “প্রতিটি পরিবার, শিক্ষক, মসজিদ-মন্দিরের ইমাম ও পুরোহিত, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী সবাইকে টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব জানাতে হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি প্রতিটি শিশুকে নিরাপদ এই টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করুন।’

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান: আগামী ১২অক্টোবর থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাওয়া টাইফয়েড জ্বরের টিকাদান কর্মসূচি সফল করণে নীলফামারীতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে অ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন নীলফামারী কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলা মডেল মসজিদ হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোছাদ্দিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বায়েজিদ হোসেন। এসময় টিকাদান কর্মসুচির চিত্র উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আতাউর রহমান শেখ।

সভায় জানানো হয়, ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি কোনো শিশু যাতে টিকাদান থেকে বাদ না যায় সেজন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি পারিবারিক ভাবে সকল শিশুকে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, টিকাদান কর্মসূচি সফল করণে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। বিশেষ করে মসজিদের নামাজের সময় এনিয়ে প্রচারণা চালানো হলে কোন শিশু বাদ পড়বে না। তিনি বলেন, অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে এই টিকা গ্রহণ করা যাবে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান: দেশব্যাপী টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম সম্পর্কে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

ঝালকাঠির ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (প.প.)কর্মকর্তা ডা. রিফাত আহম্মেদ তার বক্তব্যে বলেন, 'ঝালকাঠি জেলায় মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি দের লক্ষাধিক শিশুকে বিনামূল্যে একটি করে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এক ডোজ টাইফয়েড টিকাই জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে।

তিনি আরো বলেন, 'টাইফয়েড জ্বর শিশুদের জন্য এক নীরব ঘাতক। প্রতি বছর অনেক শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, অনেকে স্থায়ী জটিলতায় ভুগছে। অথচ একটি মাত্র টিকা এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই আগামী ১২ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী শিশুদেরকে নিরাপদ ও কার্যকর টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

তিনি আরো জানান, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি (মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমসহ) শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে টিকা পাবে। স্কুলবহির্ভূত শিশুদের দেওয়া হবে কমিউনিটি পর্যায়ে ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের (যেমন পথশিশু, বেদে পল্লী, চা বাগান, যৌনপল্লী, এতিমখানা, উন্নয়ন কেন্দ্রের শিশু) জন্য থাকবে বিশেষ টিকাদান ব্যবস্থা।’ প্রেস বিফিং চলাকালে টাইফয়েড জ্বরের প্রভাব, এ জ্বর কীভাবে ছড়ায়, জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা হয়।

পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান: দেশব্যাপী টাইফয়েড নিয়ন্ত্রণে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুর এর সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান, সিভিল সার্জন জানান, মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুকে বিনামূল্যে একটি করে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে সিভিল সার্জন পিরোজপুর ডা. মো. মতিউর রহমান এর সভাপতিত্বে ও মেডিকেল অফিসার পিরোজপুর সদর অনিন্দিতা কর্মকারের সঞ্চালনায় পিরোজপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ওই প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন রভিল্যান্স অ্যান্ড ইস্যুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. সাজিয়া নওশীন, পিরোজপুর জেলা ব্র্যাকের সমন্বয়ক মো.হাসিবুল ইসলাম,

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু ১২ অক্টোবর

জেলা প্রেসক্লাব পিরোজপুর এর সভাপতি এম এ জলিল,সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু জাফর, সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম সোহেল বিল্লাহ, মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহীন ফকির, দপ্তর সম্পাদক, এম এ নকিব নাসরুল্লাহ,কোষাধ্যক্ষ টি এম মনোয়ার হোসেন পলাশ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শামীম রেজা সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন,

‘টাইফয়েড জ্বর শিশুদের জন্য এক নীরব ঘাতক। প্রতি বছর শত শত শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, অথচ একটি মাত্র টিকা এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে।তাই সরকার আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে ৫ কোটি শিশুকে নিরাপদ ও কার্যকর টিকা বিনামূল্যে প্রদান করতে যাচ্ছে।”

দূষিত পানি,খাবার এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এ রোগ বিস্তারে ভূমিকা রাখে ‘টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অনেক অ্যান্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করছে না। ওষুধ প্রতিরোধী টাইফয়েড একটি বৈশ্বিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই টিকাই এখন সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি (মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমসহ) শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে টিকা পাবে। স্কুলবহির্ভূত শিশুদের দেওয়া হবে কমিউনিটি পর্যায়ে ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে।’

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য থাকবে বিশেষ টিকাদান ব্যবস্থা।অন্যান্য টাইফয়েড টিকার তুলনায় এটি উন্নততর, অধিক কার্যকর ও নিরাপদ,

তিনি আরও বলেন, ‘টিকা দেওয়ার পর হালকা জ্বর, ক্লান্তি, বা ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা হতে পারে। তবে এটি অস্বাভাবিক নয় এবং দ্রুত সেরে যায়। ‘টিকার কারণে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়েছে, হাম-রুবেলা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ধনুষ্টংকার নির্মূল হয়েছে। কিছু গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তাই গুজবে কান না দিয়ে, টিকা সম্পর্কে তথ্য পেতে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। উক্ত প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দরা টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন এবং সেই প্রশ্নের উত্তর দেন পিরোজপুরের সিভিল সার্জন। উল্লেখ্য পিরোজপুর জেলায় সর্বমোট ৩,২৯,৮৬৯ জনকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য

জাতীয়
The Dengue Exam Request of Fever If the Department of Health

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জ্বর হলেই ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জ্বর হওয়ার সাথে সাথে সবাইকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘সকল জ্বরের রোগীকে জ্বর হওয়ার সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো এবং ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

মঈনুল আহসান বলেন, এক দিনে ডেঙ্গু রোগে ৯ জনের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্যালোচনায় দেখা যায় ৯ জনের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তির দিনই মৃত্যুবরণ করেছেন।

মূলত হাসপাতালে আসতে দেরি করার কারণে ডেঙ্গু রোগ জটিল আকার ধারণ করেছিল বিধায় তাদের চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল না। বাকি ২ জনের ১ জনও ভর্তির পরদিনই মৃত্যুবরণ করেছেন। দেরিতে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হওয়ার কারণে জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে।

ডেঙ্গু চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, স্যালাইন এবং ওষুধ মজুত আছে।

তবে মৃত্যু কমানোর জন্য একইসাথে দ্রুত ডেঙ্গু শনাক্তকরণ, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসাদান এবং মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

জাতীয়
Dengue incidence in October is feared to increase

অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা

ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৭৪
অক্টোবরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে চলতি বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ অতিক্রম করেছে।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই। থেমে থেমে রোদ ও বৃষ্টির এমন আবহাওয়া এডিস মশার বংশ বিস্তারে উপযুক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দেন। পাশাপাশি পূজোর ছুটিতে বাসাবাড়ি, অফিসে বংশবিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফলে চলতি অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে সারাদেশে ৩৭৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন এবং মোট ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই মোট রোগীর ৩৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর উভয় দিক থেকেই সেপ্টেবর মাস চলতি বছরে আগের সব মাসকে ছাড়িয়ে গেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এক হাজার ১৬১ জন এবং মারা যান ১০ জন। ফেব্রুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩৭৪ জন এবং মারা যান তিন জন। মার্চ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩৩৬ জন। এপ্রিলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৭০১ জন এবং সাতজন মারা যান। মে মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৭৩ জন এবং মারা যান তিন জন। জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন পাঁচ হাজার ৯৫১ জন এবং মারা যান ১৯ জন। জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ১০ হাজার ৬৮৪ জন এবং মারা যান ৪১ জন। আগস্ট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং মারা যান ৩৯ জন।

ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জরুরি ১২ নির্দেশনা প্রদান করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সহজেই বিভিন্ন পাত্রে পানি জমে ডেঙ্গুর বংশ বিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। বাসা বাড়ির ছাদে কিংবা বেজমেন্টে, সড়কে, বাড়ির আনাচে কানাচে পড়ে থাকা পলিথিন, প্লাস্টিকের পাত্র, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন পাত্রে যে পানি জমে সেসব জায়গা থেকে এডিস মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু বাড়ছে।

বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ চলমান আছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর আরও দুই মাস আমাদেরকে ডেঙ্গুর ধকল পোহাতে হবে। এখন বৃষ্টি হচ্ছে, আবার রোদও আছে, এমন হলে ডেঙ্গু উৎপাদন হতেই থাকবে। ফলে এখন যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আছে, সেটা কমার লক্ষণ নেই, বরং বাড়ার আশঙ্কা আছে।

বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে ডেঙ্গু বেড়ে যাবে। অনান্য বছর যেমন নভেম্বর ডিসেম্বরে ডেঙ্গুরোগী অনেক কমে যায়, সেটা এ বছর হবে না। চলতি মৌসুমের ডেঙ্গু আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বেশ ভালো থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ডেঙ্গু প্রকট আকার ধারণ করবে। কারণ পূজার ছুটির একটা বিষয় আছে, দীর্ঘ সময় ছুটি ছিল। সব বন্ধ থাকার কারণে বৃষ্টির মধ্যে এডিস মশা জন্মানোর সুযোগ পেয়েছে। ছুটির পর মানুষ যখন ফিরবে তখন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।

সর্বোচ্চ সংক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের ৭-৮ তারিখ কিংবা ১৫ তারিখ থেকে পিকে ওঠা শুরু করবে এবং সেটা নভেম্বরে গিয়ে ঠেকবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে, স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ে পরিষ্কার পরিছন্নতার জন্য যেভাবে কাজ করা দরকার, সরকার সেই দিকে যাচ্ছে না। গতানুগতিক পন্থায় কিছু রাসায়নিক ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। ধোঁয়া নির্ভর মশা নিয়ন্ত্রণ কোনো দেশে কখনও সফল হয় না। কিছু মশা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, আবার বাড়ছে, এভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে