সৌদি প্রবাসীদের মতোই এবার কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে ইতালি প্রবাসীরা। চাহিদা অনুযায়ী টিকিট দিতে পারছে না টার্কিশ এয়ারলাইন্স। ঘুরে ঘুরে হয়রান হচ্ছে ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসীরা।
রোববার সকাল থেকে রাজধানীর গুলশানে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে এসে জমায়েত হতে শুরু করে প্রবাসীরা। একটা পর্যায়ে ভিড় সামলাতে পুলিশের সহযোগিতা নেয় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এ সময় অফিসের প্রবেশদ্বার বন্ধ রেখে ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের কাছ থেকে একটি ফরমে তথ্য নিতে দেখা যায় এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের।
ফরমে টিকিট নম্বর, মোবাইল ফোন নম্বর, সৌজন্য কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখে জমা দিতে বলা হয়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে টিকিট প্রত্যাশীদের।
টার্কিশ এয়ারলাইন্সের সেলস অ্যান্ড ট্রাফিক কর্মকর্তা ইজাজ কাদির নিউজবাংলাকে জানান, যাদের কার্ডের মেয়াদ আগে শেষ হবে তাদের আগে টিকিট দেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা মলাই সরকার জানান, গত বছরের শেষ দিকে তিনি ইতালি থেকে ঢাকায় আসেন। এপ্রিলে ফেরার টিকিট কনফার্ম করা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেতে পারেননি। এখন সবাইকে টিকেট দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
সিলেট থেকে আসা মাহমুদ হোসেন জানান, তিনি এসেছেন দ্বিতীয়বারের মতো। সকালেই চার থেকে পাঁচশ লোক ভিড় দেখে টিকিট পাবেন কি না এ নিয়ে মনে জাগে শঙ্কা।
মাহমুদ বলেন, ‘ফিরতি টিকেটের মূল্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু এই নিয়ে আমরা দুই ভাই ঢাকা-সিলেট যাওয়া আসা করতে করতে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ করে ফেলেছি।’
যাত্রীদের ভিড়ের কারণে একই ভবনে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শাখার লেনদেন সাময়িক বন্ধ রাখতে হয় কয়েক ঘণ্টা।
কয়েক মাস বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশিদের ইতালি যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সে দেশের সরকার।
গত মার্চে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে আগে কয়েক হাজার মানুষ বাংলাদেশে আসে।
গত ৬ জুলাই বাংলাদেশ থেকে রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয় ইতালি।
এ ঘোষণার পরও ৮ জুন বাংলাদেশ থেকে কাতার হয়ে ইতালিতে যাওয়া দুটি ফ্লাইটের ১৬৮ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দেয় দেশটি।
শুরুতে ৭ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয় ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
ফ্লাইট চালু ও ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে গত ১১ অক্টোবর ঢাকায় ইতালি দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন করেন কয়েকশ ইতালি প্রবাসী।
আরও পড়ুন: সৌদির বিমান টিকিট ভিসার মেয়াদের ওপর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবুল মোমেন ১৫ অক্টোবর জানান, বাংলাদেশি ফ্লাইটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে ইতালি। সেই সঙ্গে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশে আসা প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছেন সৌদি আরব ফেরতরা। ফেরার টিকিদের দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে আসছেন। বাংলাদেশের অনুরোধে সৌদি আরব কর্মীদের দেশে ফেরার মেয়াদ বাড়িয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সচিবালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেয়া হয়েছে। মেয়েদের আমরা এই কারণে দিয়েছি যে, মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয় না।
‘ফ্যামিলি অবগিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না এখনও।’
কমিটি অবসরের বিষয়ে কোনো সুপারিশ করেনি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক এবং সাম্প্রতিক গণহত্যায় উস্কানি ও মদদদাতাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আন্দোলনের সময় আহতদের হাতে রোববার অনুদানের চেক তুলে দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কোনো মামলা হলে সেগুলো তদন্ত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করবে।
নাহিদ জানান, শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে আহত এবং যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
আহতদের বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, যারা গণহত্যায় উস্কানি ও সমর্থন দিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
‘যদি কোনো সাংবাদিক বা তাদের পরিবার মনে করেন যে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে, তাহলে আমরা তাদের উৎসাহিত করব তারা যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’
আন্দোলনে হতাহতদের বিষয়ে বর্তমানে একটি আইনি দল কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এই মামলাগুলো বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করা নিশ্চিত করব। অভ্যুত্থানের সময় যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তারা আমাদের জাতির বীর এবং আমরা বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই।’
‘শহীদ ও আহতদের যেন আমরা দল-মত বা রাজনৈতিক ব্যানারের ভিত্তিতে ভাগ না করি। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তাদের আত্মত্যাগকে কাজে লাগানো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।’
ঢাকা মেডিক্যালে আসার আগে যারা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের খরচও বহন করা হবে বলে নিশ্চিত করেন নাহিদ ইসলাম।
এ সময় ফাউন্ডেশনের সচিব মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে আহতদের অনুদানের একটি হিসাব সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র: বাসস
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় সেনাপ্রধানকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের অর্থ সহায়তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মোহাম্মদ সজিব ভুঁইয়া এবং তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তারা আহত প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় তারা আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
রোববার ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ৫০২-৬১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও অর্থ সহায়তা প্রদান শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোগীদের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদদের পরিবারকে এ পর্যন্ত এক কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা দেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৩০ জনকে এক লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর আগে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৩৩ জনকে ৩৩ লাখ টাকা এবং পঙ্গু হাসপাতালে ৫৯ জনকে ৫৯ লাক টাকা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে ২১ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া শেষ টেস্ট খেলতে দেশে ফিরবেন তিনি।
তবে গত আগস্টে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে সাকিবের সম্পৃক্ততার জন্য তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
সম্প্রতি একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারী জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের সময় সাকিবের কর্মকাণ্ডের জন্য তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাফিতি প্রদর্শন করেছে। মিরপুরের ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় সাকিবের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে দেয়াল লিখনও করেছেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, আন্দোলনের সময় দেড় হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। তারা বলছেন, আমরা চাই না সাকিব আবার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ান। কারণ, তার সঙ্গে ফ্যাসিবাদী সরকারের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
এদিকে সাকিবের দেশে ফিরে আসা কিংবা টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। রোববার গণমাধ্যেমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন অভিমত জানান।
সাকিবের উল্লেখ করে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি একজন ক্রিকেটার, তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে কোনো বাধা দেখছি না। ক্রিকেট দলসহ প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমরা সেটা নিশ্চিত করব।’
মিরপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাকিব ও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার জার্সি পোড়ানোর বিষয়ে আসিফ মাহমুদ এই ক্ষোভকে আবেগের বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই দুই ক্রিকেটার শেখ হাসিনা সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সাকিব ফ্যাসিবাদী সরকারের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আমরা অনেক বড় আন্দোলনের পর এখানে এসেছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তবে এখনও কিছু আবেগ জড়িত রয়েছে।’
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে সাকিব আন্দোলনের সময় নিশ্চুপ থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নিজ শহর মাগুরার অগ্রগতির জন্য আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং কেবল অল্প সময়ের জন্য সংসদ সদস্য ছিলাম।’
আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে এবং সাকিবসহ তার দল আওয়ামী লীগের আরও অনেকের বিরুদ্ধে বেশকিছু হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সাকিব জড়িত না থাকলে মামলার ফাইল থেকে তার নাম বাদ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয় গেছে। তা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য বিভাগ।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার একশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সব রকমের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এই জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৩ হাজার।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে নদীতে অভিযান চলছে।
‘নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে তর্কের মধ্যে ঘি ঢেলেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
তিনি বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এ আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার রাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ফেসবুকে লেখেন, “আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না যদি কয়েক দিন পর শোনা যায় যে, আসল ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়।”
সম্প্রতি সরকারের পতনের আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড কে তা নিয়ে নানা পক্ষ থেকে কৃতিত্বের দাবি উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বমঞ্চে তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে ‘ব্রেইন বাহাইন্ড দ্য হোল রেভ্যুলুশন’ তথা গোটা বিপ্লবের নেপথ্যের ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। মূলত এর পর থেকেই ‘মাস্টারমাইন্ড’ শব্দটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু শনিবার দাবি করেন, “এই আন্দোলনের একমাত্র ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার, সবই করেছেন তিনি।”
ফেসবুক পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, “আজকে পত্রিকায় পড়লাম বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন যে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ তারেক রহমান। আবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাহেব বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়। আবার কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে মাহফুজ।”
তিনি আরও লেখেন, “আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না যদি কয়েকদিন পর শোনা যায় যে আসল ‘মাস্টারমাইন্ড’ হচ্ছে সজীব ওয়াজেদ জয়।”
সোহেল তাজ স্মরণ করিয়ে দেন, ‘আমাদের সবার নিশ্চই মনে আছে, বেচারা প্রিন্স চার্লসের কত বছরই না অপেক্ষা করতে হয়েছিল রাজা হওয়ার জন্য।’
তার পোস্টে আবদুর রহিম খাঁন বাবু নামের একজন কমেন্ট করে লেখেন, ‘পচানোর একটা ডিপ্লোমেটিক সিস্টেম থাকে, কিন্তু আপনি সজীব ওয়াজেদ জয়কে পচাতে এসে আপনি নিজেই চরম হীনমন্যতায় ভুগছেন তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট করে দিলেন।’
তার মতো অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী সোহেল তাজের এ পোস্টের পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য