× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

ব্যবসায়ী খুন, ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ব্যবসায়ী-খুন-২-জনের-বিরুদ্ধে-মামলা
ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যবসায় রশিদুল ইসলামের ফাইল ছবি।
মঙ্গলবার দুপুরের দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রশিদুল খুন হন। এ ঘটনায় তার ভগ্নিপতি বছিরও আহত হন।

বগুড়ার রহমাননগরের ব্যবসায়ী রশিদুল ইসলাম খুনের ঘটনায় দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে নিহতের স্ত্রী কেয়া খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় এই মামলা করেন।

আসামিরা হলেন, মালতিনগরের বাসিন্দা সামাইল মাহাদী ভুইয়া ও মো. সিয়াম।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম জানান, এ হত্যার ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে অভিযান চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে এক জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সামাইল মাহাদী ভুইয়া উশৃঙ্খল যুবক হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের একটি মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরের দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রশিদুল খুন হন। এ ঘটনায় তার ভগ্নিপতি বছিরও আহত হন।

রশিদুল ইসলাম রহমাননগরের জব্বার ক্লাব মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন। রহমাননগরে তিনি ও তার বোন ভাড়া থাকতেন। তাদের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুঘুমারি এলাকায়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জাতীয়
6 congressmens letter to Biden on Bangladesh issue

বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি

বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে কংগ্রেস ভবন। ছবি: সংগৃহীত
কংগ্রেস সদস্য বব গুড ২৫ মে লেখা চিঠিটিসহ একটি বিবৃতি নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ২ জুন প্রকাশ করেন। চিঠিতে সরকারের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বন্ধ এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ তৈরিতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বন্ধ এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের সুযোগ তৈরিতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ছয় সদস্য।

কংগ্রেস সদস্য বব গুড ২৫ মে লেখা চিঠিটিসহ একটি বিবৃতি নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ২ জুন প্রকাশ করেন। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অন্য কংগ্রেস সদস্যরা হলেন- স্কট পেরি, ব্যারি মুর, টিম বারচেট, ওয়ারেন ডেভিডসন ও কিথ সেল‌্ফ। তারা সবাই বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির সদস্য।

চিঠিতে বাংলাদেশকে অবাধ নির্বাচনের একটি সর্বোত্তম সুযোগ করে দেয়ার জন্য কঠোর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সেনাদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউস ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ক্রমাগত প্রত্যাখ্যান করে আসা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন, বাক-স্বাধীনতার জায়গা সংকুচিত হয়ে আসা এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের ওপর হামলার’ কথা বলেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তার সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শত শত উদাহরণ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউস, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও তাদের প্রতিবেদনে নথিভুক্ত করেছে। যাতে দেখা যায়, শেখ হাসিনার সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অস্বীকার করেছে।

‘সরকার তার নাগরিকদের ওপর নির্যাতন করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সাংবাদিকদের কারাগারে বন্দি করেছে, বিরোধীদের গুম করেছে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের লাঞ্ছিত করেছে বা হত্যা করেছে। এ ঘটনা শুধু তার রাজনৈতিক বিরোধীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; জাতিগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাজার হাজার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বিক্ষোভ করেছে, যা হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের জন্য জনগণের একমাত্র আশা। এর জবাবে বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করেছে, এমনকি হত্যা করেছে।

‘জার্মানির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ডয়চে ভেলে এবং সুইডেনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্রা নিউজের সাম্প্রতিক তদন্তে বলা হয়েছে, র‍্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও বলপূর্বক গুমের এসব ঘটনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া সম্ভব ছিল না।’

কংগ্রেস সদস্যরা চিঠিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এক বছরেরও বেশি সময় আগে র‍্যাবকে একটি ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য নৃশংসতার জন্য দায়ী একাধিক আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনার সরকারের সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণকে ধীর করার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি। উল্টো তারা আমেরিকার জাতীয় স্বার্থে আঘাত করার জন্য চীন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
সুষ্ঠু ভোটের সমর্থকদের ভিসা নীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই: পিটার হাস
৪ ক্ষেত্রে জড়িতদের পরিবারও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায়: ডোনাল্ড লু
গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি: পিটার হাস
বাংলাদেশে নির্বাচনে বাধা দিলে বন্ধ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা

মন্তব্য

জাতীয়
Scarcity must be affordable in global electricity use PM

অভাব বিশ্বব্যাপী, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

অভাব বিশ্বব্যাপী, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে রোববার বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব বিশ্বব্যাপী। এখন তো কেনাটাই অনেকটা মুশকিল। ক্রয় করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সই হয়ে গেছে। আমরা জলবিদ্যুৎও আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। কয়লা কেনার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আমরা আবার চালু করতে পারি।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লাসহ অন্য উপকরণগুলোর অভাব এখন বিশ্ববব্যাপী জানিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে একটু সাশ্রয়ী হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এক শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আফসারুল আমীনের মৃত্যুতে সংসদে এই শোক প্রস্তাব তোলা হয়। পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে সরকারপ্রধান বর্তমান বৈশ্বিক সংকট নিয়ে কথা বলেন। সরকার জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের অভাব বিশ্বব্যাপী। এখন তো কেনাটাই অনেকটা মুশকিল। ক্রয় করাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সই হয়ে গেছে। আমরা জলবিদ্যুৎও আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। কয়লা কেনার জন্য ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আমরা আবার চালু করতে পারি।

সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অনুরোধ করব, বিদ্যুৎ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হতে হবে। সব জিনিস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের খাদ্য উৎপাদনও বাড়াতে হবে। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আর কতদিন চলতে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো বিশ্ব পরিস্থতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। তবে আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য তাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমাদের যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। যদিও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি তেলের অভাব, যার জন্য এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে কিন্তু জ্বালানির অভাব হচ্ছে। সেখানে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশেও বহু মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এমন একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বব্যাপী। আমি জানি না আর কখনও এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল কি না। হয়তো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তো দুর্ভীক্ষ, মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের অতিমারি আর এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সমগ্র বিশ্বে যে খাদ্যমন্দা, মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালনা ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি- এগুলো প্রত্যেকটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। বাংলাদেশে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।

শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সরকারি দলের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু, মসিউর রহমান রাঙা বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

জাতীয়
Budget means another round of price hike
সাধারণের বাজেট ভাবনা

‘বাজেট মানেই আরেক দফা দাম বৃদ্ধি’

‘বাজেট মানেই আরেক দফা দাম বৃদ্ধি’ ফাইল ছবি
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মারিয়া রহমান বলেন, ‘বাজেট হলো ঘোষণা দিয়ে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বাড়ানোর প্রক্রিয়া। আমার কাছে অন্তত তা-ই মনে হয়। সারা বছরই বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ে। আর বাজেট ঘোষণা হলে সব জিনিসের দাম একসঙ্গে বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরাও একটা অজুহাত পেয়ে যান। আবার যেসব পণ্যের দাম কমার কথা সেগুলোর দামও কমে না।’

‘সরকার কবে বাজেট দেয় হেইডা জানি না। তয় সিগারেটের দাম বাড়লেই বুঝি বাজেট আইতাছে। গত ১ মাস আগে থাইকাই সিগারেটের দাম বাড়ছে। তহনই বুঝছি সরকার সামনে বাজেট দিবো। শুধু সিগারেটই না, বাজেট অইলেই সব জিনিসের দাম বাড়ে। এহন তো সব জিনিসেরই দাম বাড়ছে।’

জাতীয় বাজেট নিয়ে এভাবেই নিজের ভাবনা নিউজবাংলার কাছে তুলে ধরেছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চা-সিগারেট বিক্রেতা সুমন মিয়া।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

প্রস্তাবিত এই বাজেট নিয়ে নিউজবাংলার কাছে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মারিয়া রহমান বলেন, ‘বাজেট হলো ঘোষণা দিয়ে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বাড়ানোর প্রক্রিয়া। আমার কাছে অন্তত তা-ই মনে হয়। সারা বছরই বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ে। কিন্তু বাজেট ঘোষণা হলে সব জিনিসের দাম একসঙ্গে বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরাও একটা অজুহাত পেয়ে যান। আবার যেসব পণ্যের দাম কমার কথা সেগুলোর দামও কমে না।

‘তবে নিউজে দেখলাম এবার সরকার বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়িয়েছে। যেমন প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। এটা একটা ভালো পদক্ষেপ।’

আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গণমাধ্যমে নিউজ দেখে যতটুকু বুঝলাম তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে এই বাজেটের একটা ইতিবাচক দিক হলো, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম কমছে। আর বিদেশ থেকে আমাদানি করা পণ্যের দাম বাড়ছে। এটা ভালো দিক। কারণ বিদেশি পণ্যের দাম বাড়লে, দেশি পণ্যের ব্যবহার বাড়বে। তাতে দেশে কলকারখানা প্রতিষ্ঠা হবে। কর্মসংস্থানও বাড়বে।

বেসরকারি চাকরিজীবী আতাউর রহমান বলেন, ‘এবারের বাজেট হলো সরকারের ইনকামের বাজেট। সবকিছু থেকেই সরকার আয় করতে চাচ্ছে।

আরেকটি বিষয় হলো, ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বাজেটের যেটুকু সুফল জনগণ পাওয়ার কথা সেটুকুও পাবে না। কারণ একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে বাজেটে যেগুলোর দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলোর দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে। আবার যেসব পণ্যের দাম কমানোর কথা প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলোর দাম কবে কমবে বা আদৌ কমবে কিনা আমরা জানি না। এসবই ব্যাবসায়ীদের কারসাজি।’

মোবাইল ফোন সেটের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নিউজে দেখলাম মোবাইল ফোন সেটের দাম বাড়ছে। অথচ সরকার ঘোষণা দিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার, স্মার্ট বাংলাদেশ করার। এই দুটোর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মোবাইল ফোন। সেখানে মোবাইল সেটের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি অন্তত আমি খুঁজে পাই না। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের বক্তব্যের সঙ্গে যায় না।’

রিটার্ন জমার প্রস্তাব নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি

বিশেষত নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো এই রিটার্ন জমা দিলেই বাধ্যতামূলকভাবে ২ হাজার টাকা আয়কর দেয়ার বিষয়টি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি।

চাকুরিজীবী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবরে দেখলাম রিটার্ন জমা দিলেই দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। করযোগ্য আয় না থাকলেও কর দিতে হবে- এটা কোনো কথা হতে পারে না। আমি চাকরি করি, আমার একটা টিআইএন আছে।

‘বাধ্যতামূলকভাবে রিটার্ন জমা দেই তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ধরুন কাল আমার চাকরি চলে গেল। পরবর্তী এক বছর আমাকে বেকার থাকতে হলো। এ অবস্থায় উপার্জন না থাকলেও টিআইএন থাকার কারণে আমাকে ২ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। এটা সম্পূর্ণ বাস্তবতাবর্জিত প্রস্তাব।’

জাহাঙ্গীর আলম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘লেখাপড়া শেষ করে ব্যবসা করার জন্য টিআইএন সার্টিফিকেট খুলেছিলাম। কিন্তু তার কিছুদিন পরই করোনা সংক্রমণ চলে আসায় আমার আর ব্যবসা করা হলো না। এখনও আমি বেকার। অথচ যেহেতু টিআইএন আছে তাই আমাকে বাধ্যতামূলক ২ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। সরকার এটা কী করলো বুঝলাম না। আমার কোনো আয় নেই অথচ আয়কর দিতে হবে!’

তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন বেসরকারি চাকুরে ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রতিটি সক্ষম ব্যক্তিরই উচিত আয়কর দেয়া। যে ব্যক্তির টিআইএন আছে তার কাছে বছরে ২ হাজার টাকা আয়কর দেয়া বড় কোনো বিষয় নয়।

‘বিষয়টি নিয়ে শুধু শুধুই বিতর্ক করা হচ্ছে। টিআইএন তো রিকশাওয়ালারা করে না, যাদের সামর্থ্য আছে তারাই করে। বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বছরে ২ হাজার টাকা তো আমাদের রিকশাওয়ালারাও দিতে পারে। সেখানে টিআইএনধারীরা দিতে পারবে না কেন?’

আরও পড়ুন:
বাজেটে পুঁজিবাজার উপেক্ষিতের পক্ষে নন পরিকল্পনামন্ত্রী
রিটার্ন দিলেই ২ হাজার টাকা দিতে হবে, এটা সাংঘর্ষিক: ড. সালেহউদ্দিন
বাজেটে কলমের দাম না বাড়ানোর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী
‘বাইসাইকেলে কর আরোপে চাপে পড়বে নিম্ন-মধ্যবিত্ত’
বাজেট গরিববান্ধব গণমুখী, সমালোচনা গৎবাঁধা: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

জাতীয়
Raindrops may fall but the heat is unlikely to drop

বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে পারে, তবে গরম কমার সম্ভাবনা কম

বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে পারে, তবে গরম কমার সম্ভাবনা কম ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বৃষ্টি হতে পারে।

টানা তাপপ্রবাহে ঘরে-বাইরে অস্বস্তিতে মানুষ। কোথাও বসে থাকলেও ঘাম পড়ছে গা বেয়ে। রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষই তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে, কখন পড়বে বৃষ্টির ফোটা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা আছে। এতে অবশ্য তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ নেই। অর্থাৎ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর যে তথ্য দিয়েছে, তাতে শিগগিরই গরম কমার সম্ভাবনা নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে জানিয়ে এতে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝাারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৩ মিলি মিটার করে বৃষ্টি হয়েছে রংপুর ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে দিনাজপুরে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মন্তব্য

জাতীয়
The price has increased but the charger fan does not match
দাবদাহে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও রোববার গুলিস্তানে সুন্দরবন মার্কেটে এক দোকানে চার্জার ফ্যানের জন্য ক্রেতার ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
দেশজুড়ে দাবদাহের মধ্যে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং। এ অবস্থায় চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। বেড়েছে এসি, আইপিএস, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারির বিক্রিও। চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন দোকানিরা। তারপরও মিলছে না চার্জার ফ্যান। বলা হচ্ছে, সব বিক্রি হয়ে গেছে।

বেলাল উদ্দিন পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর শান্তিনগরে। চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে রোববার সকালে গেলেন এলাকার ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে। উদ্দেশ্য, চার্জার ফ্যান কেনা। একে একে ৪-৫টি দোকান ঘুরেও কোন দোকানেই মিললো না চার্জার ফ্যান। দোকানিদের বক্তব্য, ক্রেতার চাপ বেশি। স্টকে থাকা সবই বিক্রি হয়ে গেছে।

বেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৪-৫ দোকান ঘুরে না পেয়ে অবশেষে তিনি যান ওয়াল্টনের শো-রুমে। শান্তিনগর মোড় থেকে মালিবাগের দিকে এগুতেই রাজিয়া মঞ্জিলে ওই শো-রুমে যাওয়ার পরও হতাশ হতে হলো। শো-রুমের এক কর্মী বললেন- গতকালই (শনিবার) আমাদের এখানে অন্তত একশ’ চার্জার ফ্যান বিক্রি হয়েছে। স্টক শেষ। কোম্পানিতে অর্ডার পাঠানো হয়েছে। দুই/তিন পর এল পেতে পারেন।’

‘তবে ওই বিক্রেতা ১২ ইঞ্চি চার্জার ফ্যানের দাম বললেন ৩ হাজার ৯৯০ টাকা। আর ১৪ ইঞ্চি আকারে ফ্যানের দাম ৪ হাজার ৩৯০ টাকা। এটা আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা চার্জার ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’

বাজার ঘুরে অবশ্য চার্জার ফ্যানের দাম নিয়ে বেলাল উদ্দিনের বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে। কোম্পানিভেদে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম ১০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

গুলিস্তানের সুন্দরবন মার্কেটের পাইকারি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রেতা রাজিব খানও দাম বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

রোববার দুপুরে রাজিবের ‘খান এন্টারপ্রাইজ’ নামের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতার ভিড়। ওই মার্কেটের অন্য সব ইলেক্ট্রনিকসের দোকানেও ক্রেতার ব্যাপক আনাগোনা দেখা গেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই এসেছেন তার দোকানে। সবার একটাই চাহিদা- চার্জার ফ্যান।

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

রাজিব খান বলেন, ‘গত ৪-৫ দিন ধরে চার্জার ফ্যানের চাহিদা অনেকটা বেড়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। এগুলো আমদানি করা পণ্য। মার্কেটে সরবরাহে ক্রাইসিস দেখা দিলেই দাম বেড়ে যায়। আমদানিকারকরা যে পণ্য এক মাস ধরে বিক্রি করবেন, চাহিদা বাড়ায় সেই পণ্য ১-২ দিনেই শেষ হয়ে গেছে।

‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ানোর কারণে আমাদেরও দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গত ৪-৫ দিনে ফ্যানের সাইজ ও কোয়ালিটি ভেদে ১০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে।’

মহল্লার দোকানেও একই চিত্র

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায়ও মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডে ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানগুলোতে চার্জার ফ্যান কেনার হিড়িক দেখা যায়।

এখানে চার্জার ফ্যান কিনতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমার বাসা মোহাম্মদপুর হাউজিং লিনটেডে। লোডশেডিংয়ের কারণে গরমে দিনে রুমে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণ পর পরই কারেন্ট চলে যায়। তাই চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছি। কিন্তু দোকানিরা দাম অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। যে ফ্যান আগে ৫ হাজার টাকায় কিনেছি, সেই ফ্যান এখন সাড়ে ৬ হাজার টাকা চাচ্ছে। দোকানি বলছে- ফ্যানের সাপ্লাই কম অনেক, তাই দাম বেশি।’

নোমানের মতো আরও বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার এই প্রতিবেদকের। তাদের কেউ চার্জার ফ্যান কিনেছেন, কেউবা কিনতে এসেছেন। সবার একটাই কথা, মনের মতো চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। আর পেলেও দাম অনেক বেশি।

সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির দাম বেড়েছে

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে চার্জার ফ্যানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হলেও এই মার্কেটে এসি, আইপিএস, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারির বিক্রি বেড়ে গেছে। প্রভাব পড়েছে দামেও।

এ অবস্থায় ঢাকার বাইরে থেকে আসা ক্রেতাদের এসব পণ্য কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

মার্কেটটির ফারহানা ইলেক্ট্রনিকসের বিক্রেতা রবিউল আলম বলেন, ‘সোলার আইটেমের সঙ্গে এসি/ডিসি লাইটের বিক্রিও খারাপ না। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা চার্জার ফ্যানের। তবে সরাসরি বিদ্যুৎনির্ভর ফ্যানের চাহিদা নেই।’

কেরানীগঞ্জ থেকে আসা মো. সুমন বলেন, ‘গরম বেড়ে যাওয়ার কারণে সোলার আইটেম ও আইপিএসের চাহিদা বেড়েছে। দোকানের জন্য আজ মাল কিনতে এসে দেখি দাম অনেক বাড়তি।’

সুন্দরবন মার্কেটের দোতলায় ওয়ার্ল্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেদের মালিক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমের কারণে আইপিএসের চাহিদা ও দাম দুই-ই বেড়েছে। সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির বিক্রি বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে দামও। সোলার প্যানেলে প্রতি ওয়াটে দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে। এছাড়া মানভেদে ব্যাটারির দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা মাল কিনতে এসে দেখছেন দাম বেশি। তারাও মন খারাপ করছেন। আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা যেমন দামে কিনি তেমন দামে বিক্রি করি। তবে দাম বাড়লেও বিক্রি ভালো।’

দাম বেড়েছে চার্জার ফ্যানের, বেড়েছে সংকটও

বেড়েছে এসির চাহিদাও

নুরজাহান রোডের আরবি ইলেক্ট্রনিক্সের ইনচার্জ মঞ্জুর মোর্সেদ বলেন, ‘গত ৩-৪ দিনে এসির বিক্রি বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩-৪ গুণ বেশি এসি বিক্রি হচ্ছে এখন। তবে সমস্যা হচ্ছে এসির সাপ্লাই কম।’

মোহাম্মদপুরের সপ্তর্শী ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক সুমন নন্দী বলেন, ‘রোজার ঈদের সময় গরমে এসি বিক্রি হয়েছিল অনেক। তবে গত কয়েক দিনের গরমেও এসির বিক্রি বেড়েছে, তবে রোজার ঈদের সময়ের চেয়ে একটু কম। এসি, কুলার, চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি। আমাদের সাধারণ দোকান। অন্য সময় দিনে ১-২টা এসি বিক্রি হলেও এখন ৫ থেকে ৭টা এসি বিক্রি হচ্ছে।’

এসির টেকনিশিয়ানের অভাব

এসির বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা পড়েছেন আরেক সংকটে। স্বাভাবিকভাবে দিনে এক থেকে দুটি এসি বিক্রি হয়। সেই চাহিদা মাথায় রেখেই দোকানিরা এসি বাসা বা অফিসে নিয়ে সেট করে দিয়ে আসার জন্য টেকনিশিয়ান রাখেন।

বর্তমানে বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এসি নির্দিষ্ট সময়ে সেট করে দিয়ে আসার মতো টেকনিশিয়ান নেই অধিকাংশ দোকানে। এ অবস্থায় সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে হাতেগোনা টেকনিশিয়ানদের। কোনো কোনো ক্রেতার বাসায় গভীর রাতে গিয়ে এসি সেট করে দিচ্ছেন তারা।

এসি কিনতে আসা ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসায় এয়ার কুলার আছে। কিন্ত এই গরমে তা দিয়ে কাজ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে এসি কিনতে এসেছি। তবে সমস্যা হলো দোকানিরা বলছেন তাদের টেকনিশিয়ানের অভাব। এসি সেট করে দিতে একদিন দেরি হবে।’

মোহাম্মদপুরের এইচ এ ইলেক্ট্রনিক্সের বিক্রেতা ওহিদুর রহমান বলেন, ‘এসি টেকনিশিয়ানের অভাব। গরমের কারণে হুট করে এসির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু টেকনিশিয়ান অর্থাৎ এসি বাসায় গিয়ে সেট করে দেয়ার জনবল তো বাড়েনি। তাই তাদের এখন পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এসি বিক্রি করেও ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘মার্কেটে এয়ার কুলারের অভাব। সাপ্লাই থাকলে এখন প্রতিদিন অন্তত ২০টা এয়ার কুলার বিক্রি করতে পারতাম। এসিরও সাপ্লাই নেই। কারণ এলসি করতে পারছে না কোম্পানি।’

গরমে বেড়েছে রোগবালাই

একে তো ভয়াবহ গরম, তার ওপর চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এ অবস্থায় গরমজনিত রোগবালাই বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে ওষুধের দোকানে ভিড় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা শিশুদের সর্দি-জ্বর, কাশির সিরাপ, ওরস্যালাইন ও গ্লকোজের।

বসিলার রিফাত মেডিক্যাল কেয়ারের মালিক মো. আজাদ বলেন, ‘গত ৪-৫ দিনে এলার্জি ট্যাবলেট, স্যালাইন, ঘামাচি পাউডার, গ্লুকোজ, টেস্টি স্যালাইন, জুস, কোমল পানীয় বিক্রি বেড়েছে। আর শিশুদের সর্দি-জ্বর ও কাশির ওষুধের বিক্রিও অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে এসব ওষুধের সাপ্লাইয়ে কোনো ঘাটতি নেই।’

আরও পড়ুন:
গরম সহসাই কমছে না
গরমে নিয়মিত খাবেন যে ৭ খাবার
গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন
গরম একটু বাড়বে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

জাতীয়
Appeal to the court seeking action against Mayor Tapas

মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে আবেদন

মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে আদালতে আবেদন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ফাইল ছবি
আবেদনটি সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল।  

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল ওই আবেদন করেন।

আবেদনে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম ও সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব’- তাপসের এমন বক্তব্য আদালত অবমনানর শামিল উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে রুল জারির আবেদন করা হয়।

আবেদনটি সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী শাহ আহমেদ বাদল।

তিনি বলেন, ‘মেয়র তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য। তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নজিরবিহীন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাপস পেশি শক্তি ব্যবহার করে আইনের শাসন ব্যাহত করার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানানোর ১০ দিনেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আদালত অবমনানার মামলা করেছি।’

২৪ মে মেয়র তাপসের ওই বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম।

ওই সময় তার সঙ্গে বিএনিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
৪ বছরের আইনি লড়াই শেষে মা হারানো শিশু গেল নানীর হেফাজতে
রোগীর সেবায় রাঁধুনি-মালী, তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
গরমে বিচারিক আদালতে কালো কোট-গাউন পরতে হবে না
ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১ জুন
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিএনপির সাবেক এমপির যাবজ্জীবন

মন্তব্য

জাতীয়
Such load shedding is 2 more weeks

লোডশেডিং আরও ২ সপ্তাহ

লোডশেডিং আরও ২ সপ্তাহ ফাইল ছবি
নসরুল হামিদ বলেন, এটা সাময়িক সময়ের জন্য। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর।

চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও দুই সপ্তাহ বজায় থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, এটা সাময়িক সময়ের জন্য। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর।

তিনি বলেন, আমরা দুই মাস আগে থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেছি। সার্বিকভাবে অনেক কিছুই দেখতে হয় আমাদের। অর্থনৈতিক বিষয় আছে। তেল ও গ্যাসের যোগানের বিষয়ও আছে।

তাপমাত্রা বেড়ে গেছে বিধায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে পরিমাণ মজুত ছিল সেটা দিয়েও আমরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রস্তুত ছিলাম। এই মুহূর্তে আমরা শিডিউল লোডশেডিংয়ে যাচ্ছি না। তবে কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হবে।

কয়লা ও গ্যাসের পর্যাপ্ত যোগান দেয়া যাচ্ছে না বলে এ সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করছি এ মাত্রা অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। সবকিছু মোটামুটি গুছিয়ে ফেলছি। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

আরও পড়ুন:
ধানের বাজারে লোডশেডিংয়ের প্রভাব
লোডশেডিং দু’দিনের মধ্যে কাটার আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর
শীতেও সিলেটে তীব্র লোডশেডিং

মন্তব্য

p
উপরে