করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৫৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৩৭ জনের শরীরে। মোট শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৮১ হাজার ২৭৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ২২১টি। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮১৫টি। এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৮৭৩ জন। প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৭৭.০৭ জনের বেশি সুস্থ হয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এক, ৩১ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত তিন জন, ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত এক, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন রয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৫ জন ও রংপুরে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবাই হাসপাতালে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে শনাক্তের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬তম। মৃত্যুর দিক থেকে ২৯তম।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ ও ৯৮ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮২২ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এই সময়ে ৯৩৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৯৭ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। এই সময়ে ৯৭১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনে নেমেছেন নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরাসহ চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মুমুর্ষু রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার তারা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে পাঁচ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামীকাল বুধবার পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন।
তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ সময় জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি ওটি, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ এবং এইচডিইউ এই কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি হলো- নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সব ক্যাডার প্রত্যাহার করে অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, পরিচালক, কাউন্সিলে প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়ন করতে হবে।’
শরিফুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নার্স ও মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীরা রোগীর সেবা অক্ষুণ্ন রেখে পরিষদ ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা মিছিল, সংবাদ সম্মেলন, প্রতীকী কর্মবিরতি, লাল ব্যাজ ধারণ ও তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি। ওইদিনের কর্মবিরতি চলাকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে আমরা পরবর্তী কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি।
‘উপদেষ্টা বলেছিলেন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন। এর ধারাবাহিকতায় নার্সেস কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্সকে পদায়ন করে, যা আমাদের এক দফা দাবির একটি অংশ মাত্র।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ-সচিব, প্রশাসন) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে মহাপরিচালক পদে এখনও যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়ন করা হয়নি। তাই আমরা আজ এক দফা দাবি পূরণে সংস্কার পরিষদ ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছি।’
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
চলতি বছরে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৬ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৯০ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকার। এছাড়া একজন রাজশাহী ও একজন খুলনা বিভাগের।
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুহীন একটি দিন পার করার পরদিনই এই রোগে মারা গেলেন আরও পাঁচজন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ ডেঙ্গু রোগী।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ জন রোগী।
মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এই সময়ে ৭১৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
সবশেষ মৃত্যু নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। তাদের মধ্যে ৮৯ জন পুরুষ ও ৯৩ জন নারী।
এ ছাড়া একই সময়কালে দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২২৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৬ ও খুলনা বিভাগে ৯২ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪, রংপুর বিভাগে ৩১ ও সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো। আর সারা দেশে মোট ৩২ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১১৩ জন ঢাকার বাইরে। বাকিরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।
মন্তব্য