ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে যে মৃত্যুদণ্ড একমাত্র দাবি নয়, সেটি মনে করিয়ে বাকিগুলোর বিষয়েও সরকারের ঘোষণা চেয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিসভা ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে আইনের সংশোধনে সায় দিয়েছে। সংশোধিত আইন কার্যকর হবে মঙ্গলবার থেকেই। সংসদ অধিবেশনে না থাকায় আইনটি জারি হবে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে। সংসদ বসলে সেটির অনুমোদন নেয়া হবে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারীরা বলেছেন, ঝুলে থাকা মামলার নিষ্পত্তিসহ উঠা অন্যসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সোচ্চার থাকবেন। তবে সড়ক অবরোধ বা এই ধরনের কর্মসূচিতে আর না যাওয়ার কথাও বলেছেন তারা।
একাধিক রাজনৈতিক কর্মী ও শিক্ষার্থী বলেছেন, সর্বোচ্চ সাজার বিষয়টি ছাড়াও নারীর নিরাপত্তা নিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রসঙ্গ আছে। যেগুলো নিয়েও সরকারের পক্ষ থেকে বক্তব্য আসা উচিত।
বর্তমান আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে দলগত ধর্ষণ বা ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হলে প্রাণদণ্ডের বিধান আছে। পাশাপাশি দণ্ডিতের অর্থদণ্ডের বিধান আছে।
তবে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনে ভিডিও ফাঁসের পর গড়ে উঠা আন্দোলনে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবিটি প্রধান হয়ে উঠে।
ফাঁসির দাবি ছাড়াও শাহবাগের কর্মসূচিতে নয় দফা এবং উত্তরার কর্মসূচিতে সাত দফা দাবি জানানো হয়।
নয় দফা দাবি যাদের পক্ষ থেকে এসেছে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, আর সাত দফা দাবি যাদের পক্ষ থেকে এসেছে, তাদের মূল পরিচয়, তারা শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী নয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের একজন বলেছেন, তারা আগে থেকে যেসব দাবি জানিয়েছেন, তার সবগুলো যৌক্তিক নাও হতে পারে, তবে বেশিরভাগের পেছনেই যুক্তি আছে।
রাজনৈতিক কর্মীর প্রতিক্রিয়া
শাহবাগে আন্দোলন করা ছাত্র ইউনিয়নের কে সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি ছিল। সেগুলোর কী হবে? তাছাড়া আইনের মধ্যেই ধোঁয়াশা। সর্বোচ্চ শাস্তির খসড়া করছেন, সর্বনিম্ন শাস্তি কী? বিশেষ করে আমাদের যে প্রচলিত আইন সেখানে ১৮৭২ এর যে সাক্ষ্য আইন সেটা সংশোধনে আমরা বিশেষ জোর দিয়েছিলাম। সেটা কোথায়?’
নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের যে মামলাগুলো জমা হয়ে পড়ে আছে সেগুলো আগে নিষ্পত্তি করা হোক। তার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন, কর্মসূচি চলবে।’
গত শুক্রবার শাহবাগে কর্মসূচিতে যে নয়টি দাবি জানানো হয়, তার মধ্যে আছে ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইনের বিলোপ ও সংশোধন প্রভৃতি।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া প্লাটফর্ম ‘আমরাই বাংলাদেশ- রুখবো ধর্ষণ' এর আহ্বায়ক প্রিয়তা মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা খুশি যে তারা এটা অনুমোদন করেছেন। ধন্যবাদ জানাই তাদের। তবে, বলা হয়েছে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কী? কিছু টাকা বা কয়েক বছরের জেল? তাই এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা মানববন্ধন আকারে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
একই প্লাটফর্মের আরেক আহ্বায়ক লাবিব মুহান্নাদ বলেন, ‘আমাদের সাতটি দাবি ছিল। তারা একটি দাবি মানছেন, তাও পুরো না। আমাদের আরও ছয়টি দাবি আছে যেগুলো তারা আমলেই নেয়নি। তাই আমরা অবরোধ না করলেও মানববন্ধন করছি।’
মিরপুরে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর’ প্লাটফর্মে করা আন্দোলনের আয়োজকদের একজন মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী ইসমাইল অপূর্ব বলেন, ‘অত্যন্ত একজন আসামিকে এই শাস্তি মানে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আগ পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন অব্যাহত রাখব। বাস্তবিকভাবে এর প্রয়োগ দেখেই আমরা ঘরে ফিরব।’
ধানমন্ডিতে 'ডেথ ফর রেইপ' ব্যানারে আন্দোলন করা সাধারণ শিক্ষার্থীর একজন সুপ্রিয় চাকমা বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন তখনই স্থগিত করব যখন আমাদের দাবির অন্তত ৬০ শতাংশ মেনে নেয়। কারণ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী। যা দাবি তার সবকিছু লজিক্যাল নাও হতে পারে। কিন্তু যেগুলো বাস্তবসম্মত, সেগুলো তো মেনে নিতে হবে।’
শাহবাগের আন্দোলনে উঠা দাবি
১. ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ‘ধর্ষণ, নিপীড়ন বন্ধ ও বিচারে ব্যর্থ’ স্বরষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
২.পাহাড়ে সমতলে আদিবাসী নারীদের উপর যৌন ও সামাজিক নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।
৩. সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। সিডো সনদে বাংলাদেশকে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইন ও প্রথা বিলোপ করতে হবে।
৪. ধর্মীয়সহ সকল ধরনের সভা-সমাবেশে নারীবিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞানে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে। পর্নোগ্রাফি নিযন্ত্রণে বিটিসিএল এর কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে।
৫. তদন্ত চলাকালে ভুক্তভোগীকে মানসিক নিপীড়ন-হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তার আইনি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. অপরাধ বিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ট্রাইবুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ঝুলে থাকা মামলা দ্রুত শেষ করতে হবে।
৭. ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন ১৮৭৯-১৫৫ (৪) ধারাকে বিলোপ করতে হবে এবং মামলার ডিএনএ আইনে সাক্ষ্য প্রমাণের ক্ষেত্রে কার্যকর করতে হবে।
৮. পাঠ্যবইয়ে নারীর প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক প্রবন্ধ, নিবন্ধ, পরিচ্ছেদ, ছবি, নির্দেশনা ও শব্দচয়ন বাদ দিতে হবে।
৯. গ্রামীণ সালিশে ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাত দাবি
১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে ধর্ষণের (সকল লিঙ্গের ক্ষেত্রে) সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।
২. ধর্ষণের মামলা সুষ্ঠু নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অভিযোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে লিঙ্গভেদে নারী/পুরুষ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
৩. বৈঠক/শালিসি পদ্ধতির মাধ্যমে ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে এবং ধর্ষণ মামলার বাদীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. পূর্ববর্তী সব ধর্ষণের মামলা আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
৫. ইভটিজিং,সাইবার বুলিংসহ সকল যৌন নির্যাতন বন্ধে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মরক্ষামূলক ও যৌন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং সকল প্রিন্টেড ও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার করতে হবে।
৬. দলীয়/প্রশাসনিক মহলের কেউ ধর্ষণের মতো অপরাধে প্রশ্রয় দিলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং মিথ্যা নারী, শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার মাধ্যমে কাউকে হয়রানি করা হলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৭. দাবিসমূহ নিশ্চিত করতে সরকার প্রধানকে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে, দাবির যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠন করতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করতে ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই মিলে সব রকম চেষ্টা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বেলা তিনটার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস বা অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো। আসুন প্রতিজ্ঞা করি, আমরা যেন গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান না জানাই।
‘যে কারণে তারা আত্মত্যাগ করেছিল, সেটা যেন পরবর্তী সব প্রজন্ম মনে রাখে, তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, তাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সব রকম চেষ্টা করব তাদের সে স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা এ ত্যাগ না করলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকত না। প্রশ্ন আমাদের মনে যতটুকু ছিল, বহু বছর ধরে ছিল, সুযোগ পাইনি। অসংখ্য ছাত্র-জনতা আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সুযোগ পেয়েছি।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেম সেলিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এ ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেবেন।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার, যার সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহসভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
আরও পড়ুন:নির্বাচন কবে হবে, সেটি জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির সামনে শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে। কারণ এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। আর পরে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে, তারা বাস্তবায়ন করবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।’
সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ‘আর যেসব ক্ষেত্রে প্রধান ঐকমত্য প্রয়োজন, সেটার জন্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং এরপরে আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি, কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে, তার জন্য আজকে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা।’
আরও পড়ুন:তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে রবিবার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, রবিবার সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, দিকনির্দেশনা গ্রহণ এবং সমাপনী অনুষ্ঠানসহ ৩৪টি কার্য অধিবেশন থাকবে।
সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘যদি তাদের অপরাধের বিচার না করা হয়, তাহলে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমা করবে না।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটের (ডব্লিউজিএস) এক ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূস এ সাক্ষাৎকার দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তাকে (হাসিনা) বিচারের আওতায় আনব। এটি অবশ্যই করা হবে। অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের মুখোমুখি করা হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের একদলীয় শাসনের অবসান হয়। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পুলিশ ও শেখ হাসিনার দলের লোকজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করে এবং আহত করে ১১ হাজার জনকে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।
হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে ভারতকে নোটিশ
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস দ্য ন্যাশনাল পত্রিকার ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘আমরা ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার বিপুল পরিমাণ প্রমাণ আছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত।
‘জাতিসংঘ এটিকে নথিভুক্ত করেছে এবং আমাদের কাছে শেখ হাসিনা, তার সরকার এবং ঘনিষ্ঠ সমর্থকদের অপরাধের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং আশা করছি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি অবশ্যই করা হবে, অন্যথায় জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন:গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটিকে হৃদয়বিদারক বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক অফিসের প্রতিবেদনটির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে যে ১ হাজার ৪০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে শতাধিক শিশু ছিল। ইউনিসেফ এসব মৃত্যুর অনেকের বিষয়ে ইতোমধ্যে রিপোর্ট করেছে এবং মোট কত শিশু নিহত বা আহত হয়েছে, তা স্পষ্ট করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের প্রত্যেকের জন্য শোক প্রকাশ করছি।’
অভ্যুত্থানে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘এ সময় নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার জন্য শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের হুমকিসহ নানা ধরনের জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার ঘটনার নথি পাওয়া গেছে।
‘শিশুরাও এই সহিংসতা থেকে রেহাই পায়নি; তাদের অনেককে হত্যা করা হয়, পঙ্গু করে দেওয়া হয়, নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়, অমানবিক অবস্থায় আটক করে রাখা হয় এবং নির্যাতন করা হয়।’
বিবৃতিতে শিশুদের ওপর সহিংসতার তিনটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন ফ্লাওয়ার্স।
তিনি বলেন, ‘একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ধানমণ্ডিতে, যেখানে ২০০টি ধাতব গুলি ছোড়ার কারণে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায়। আরেকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জে, সেখানে ছয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশু তার বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।
‘এই বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়ংকর দিন ৫ আগস্ট পুলিশের গুলি চালানোর বর্ণনা দিয়ে আজমপুরের ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে বলে, সব জায়গায় বৃষ্টিপাতের মতো গুলি চলছিল। সে অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল সেদিন।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো অবশ্যই আমাদের সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলছে।’
বাংলাদেশের শিশুদের সঙ্গে আর কখনোই যেন এমনটি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
প্রাপ্ত এসব ফলাফলের আলোকে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা-বিষয়ক ইউনিসেফের আগের বিবৃতিগুলোর জের ধরে বাংলাদেশের সমস্ত নীতিনির্ধারক, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের শিশু, যুবসমাজ ও পরিবারগুলোকে শারীরিক ও মানসিক ক্ষত সারিয়ে ওঠার পাশাপাশি আশা সঞ্চার করে তাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
এ জন্য তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংস্থাটি।
প্রথমত, যেসব শিশু প্রাণ হারিয়েছে, তাদের ও তাদের শোকাহত পরিবারের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, যারা এখনও আটক অবস্থায় আছে এবং যাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে এই ঘটনাগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, তাদের সবার জন্য পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একজোট হওয়া।
তৃতীয়ত ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এ সময়টাকে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য সার্বিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সব রাজনৈতিক নেতা, দল ও নীতিনির্ধারকদের পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একজোট হতে হবে, যাতে বাংলাদেশের কোনো শিশুকে আর কখনও এমন বিচার-বহির্ভূতভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবে আটক থাকতে না হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়ে, যা তাদের অধিকার, তাদের যেন নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হতে না হয়। আর এভাবে বাংলাদেশের শিশুদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের অধিকার সমুন্নত রাখা সম্ভব।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও বাংলাদেশি কর্মী নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আমিরাতের দুবাইয়ে দুই দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বাণিজ্য ও ব্যবসার সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম বন্দরে আমিরাতি বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষা খাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি জানান, আমিরাতি কোম্পানিগুলোকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলে ড. ইউনূস আমিরাতি ব্যবসার জন্য বিশেষ শিল্প পার্ক স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে একটি ‘হালাল পণ্য উৎপাদন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, যেখানে কম খরচে শ্রম সুবিধা পাওয়া যাবে।
এরপর আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও জ্যেষ্ঠ সচিব লামিয়া মোরশেদ।
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে অংশগ্রহণ শেষে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস।
দুবাই বিমানবন্দরে শুক্রবার তাকে বিদায় জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমদ বেলহৌল আল ফালাসি।
আরও পড়ুন:যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শুক্রবার রাতে দেশজুড়ে পালন করা হবে পবিত্র শবে বরাত।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ গভীর রাতটি মুসলমানরা শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। রাতটি লাইলাতুল বরাত হিসেবেও পরিচিত।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে শনিবার সরকারি ছুুটি থাকবে।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘এ সৌভাগ্যময় রজনী মানব জাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদান ও প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।’
পবিত্র এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষণ হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ মহিমাময় রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি; অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, বরকত, নাজাত ও মাগফিরাত।’
পবিত্র শবে বরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’
এ রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য