× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

জলবায়ু ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর চার দফা

জলবায়ু-ন্যায়-বিচার-প্রতিষ্ঠায়-প্রধানমন্ত্রীর-চার-দফা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে বাঁচাতে বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে জলবায়ু ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় চার দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

তিনি বলেন, তার সরকার জনগণের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ নামে একটি নতুন কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘আমাদের এও নিশ্চিত করা উচিত যে-উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রশমন, অভিযোজন এবং দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধারের জন্য বছরে অন্তত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যেন পেতে পারে’, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার ‘মিডনাইট সার্ভাইভাল ডেডলাইন ফর দি ক্লাইমেট’ শীর্ষক ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ)’ এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি হিসেবে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।

পৃথিবীকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষায় শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের জন্য চার দফা প্রস্তাবও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী ।

প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘প্যারিস চুক্তির কঠোর বাস্তবায়নই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বর্তমান হারকে হ্রাস করার একমাত্র উপায়।’

দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘প্যারিস চুক্তির আওতায় সরকারগুলোকে তাদের জাতীয় অবদানকেই কেবল সম্মান জানানো উচিত নয়, তাদের আকাঙ্ক্ষাও যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো দরকার। জলবায়ু ন্যায়বিচারের ধারণাটি জলবায়ু এবং পৃথিবীর স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী তার তৃতীয় প্রস্তাবে বলেন, প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকারের পাশাপাশি এমডিবি এবং আইএফআইসহ বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে (উন্নত দেশগুলো) অর্থের আরও জোরদার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

চতুর্থ প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিকে চিহ্নিত করতে এবং মূলধারায় আনতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

পরিবর্তনের বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে, আমরা কেবল হেরে যাব। আমাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড এটাই প্রকাশ করে যে আমরা সচেতনভাবে জরুরি সহযোগিতার মাধ্যমগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছি যা আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। কাজেই পৃথিবীকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় আজই, আগামীকাল নয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ আমাদের সময়ের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমাদের সভ্যতার ক্ষতি করছে, আমাদের গ্রহকে ধ্বংস করছে এবং আমাদের অস্তিত্বকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। ’

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)- এর সভাপতি বান কি মুন এবং সিভিএফের সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সিভিএফ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা, সিভিএফ নেতৃবৃন্দ এবং আমাদের অংশীদারগণ, ২০২০ সালের এনডিসি বর্ধিত সময়সীমার আগে জলবায়ু জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় তড়িৎ এবং শক্তিশালী বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি।’

বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হয়ে সম্মানিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিভিএফ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ১ বিলিয়নেরও বেশি লোকের প্রতিনিধিত্ব করে।

‘বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে অনুল্লেখযোগ্য অবদানের পরেও সিভিএফ দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সভাপতি হিসাবে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে, অর্থায়ন ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করা এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার আখ্যানগুলো এবং ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি ইস্যু তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য হবে।’

তিনি আরো বলেন, দআমরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয়ে জাতিসংঘে বিশেষ ‘র‌্যাপোটিয়ার’ নিয়োগ এবং একটি সিভিএফ এবং ভি ২০ যৌথ মাল্টি-ডোনার তহবিল গঠনের ওপরও গুরুত্ব দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার ফর অ্যাডাপটেশনের দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক কার্যালয় খুলেছে।

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের সভাপতির সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে এবং এই অঞ্চলে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে দক্ষিণ এশিয়ায় যথাযথ পদক্ষেপে সহায়তা,সাহায্য এবং বিকাশ ঘটাবে।

জার্মান ওয়াচের জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি সূচক ২০১৯ অনুযায়ী তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ৭ম স্থানে রয়েছে।

‘আমার দেশ এই বর্ষায় বারবার বন্যার মুখোমুখি হচ্ছে যা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি এবং বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাস্তুচ্যুত করেছে। গত মে মাসে সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাব এবং বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার নিয়েছে’, বলেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারে আশ্রয় দেয়ায় তারাও মারাত্মক সামাজিক এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির কারণ হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা জলবায়ু সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রশমন ও অভিযোজনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমার সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলের অধীনে নিজস্ব সম্পদ থেকে ৪৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। তিনি বলেন, সারা বছর দেশজুড়ে লাখ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানীরা লবণাক্ততা, বন্যা এবং খরা প্রতিরোধী ফসল এবং ভাসমান কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। আমার সরকার অভিযোজনমূলক কাজের জন্য ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জিডিপির ১ শতাংশ ব্যয় করছে।’

তিনি বলেন, এ বছর তাঁরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছেন। যিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকিকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং মানুষকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত যে অনেক সিভিএফ দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, কোস্টারিকা প্রতি বছর শতভাগ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ইথিওপিয়াতে গত বছর ৪ বিলিয়ন চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে এবং ২০২৪ সাল নাগাদ ২০ বিলিয়ন গাছ লাগানো হবে।

সূত্র: বাসস

আরও পড়ুন

জাতীয়
Vandalism TIB urges the government to take effective role

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির

ভাঙচুর: সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান টিআইবির টিআইবির লোগো। ফাইল ছবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনের ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ও তা প্রতিরোধে সরকারের ‘বিবৃতিনির্ভর নির্লিপ্ততায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশে (টিআইবি)।

সংস্থাটি শনিবার এক বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিকে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করা নয়, সরকারের কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করে টিআইবি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসা-তাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। বহুমাত্রিক অধিকার হরণের শিকার আপামর দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার প্রেক্ষিতে।

‘তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই প্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ সর্ম্পকে দেশ-বিদেশে ইতিবাচক কোনো বার্তা দেবে না।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, “আগে থেকে সহিংস কর্মসূচির ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্বপালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশঙ্কাজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ‘অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত’ এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।”

তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের পুঞ্জীভূত বিশাল জঞ্জাল অপসারণ করে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তবে তার প্রয়োগে সুচিন্তিত ঝুঁকি নিরসন কৌশলের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে।

‘তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন:
বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ
সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ
কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসায় আগুন, গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগ কার্যালয়
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, আগুন নিয়ে সরকারের বিবৃতি
নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর

মন্তব্য

জাতীয়
Conspiracy with the chief adviser Press Secretary

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
শফিকুল আলম বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বে তুলে ধরতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এতে জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘দ্রোহের গ্রাফিতি: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রকাশনা’ শীর্ষক উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওই সময় দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন,‘যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, গ্রাফিতির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফদের দাবির বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা: রেলপথ উপদেষ্টা
কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মন্তব্য

জাতীয়
Benazirs statement is deep conspiracy and sedition BPA

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: বিপিএ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। ফাইল ছবি
বিপিএর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।’

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র করেছেন মন্তব্য করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

সংগঠনটির সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে পুলিশের সকল সদস্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ও দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

‘পুলিশ বাহিনীর যে সকল বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য একমত পোষণ করে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়, যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের গোচরীভূত হয়।

‘ওই বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন মনে করে।’

বিপিএর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। ব্যক্তির দায়ভার কখনও কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও একাধিক দুদকের মামলায় অভিযুক্ত একজন ব্যক্তির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল পুলিশ সদস্য মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।

‘বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এ জাতীয় ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
সদরদপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ
পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ
পরিবর্তন হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক
পুলিশ সদস্যকে গুলি করে পানিতে ফেলে দিল সন্ত্রাসীরা
সারদায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ এসআইয়ের পদায়ন প্রশ্নে রুল

মন্তব্য

জাতীয়
Steps in the ban on Awami League ban Advisor Asif

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ শিগগিরই: উপদেষ্টা আসিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাসস
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, ‌‘প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।’

বার্তা সংস্থা বাসসকে শুক্রবার দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেন, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

আরও পড়ুন:
পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ ক্ষমা না চাইলে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে থাকবে কি না, বলে দেবে সময়: সিইসি
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চলবে ডিসিসির নগর ভবনে
আমাদেরকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে জড়িত কাউকে ছাড় নয়

মন্তব্য

জাতীয়
Botanical Garden will be the place to preserve nature Environment Advisor

প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকৃতি সংরক্ষণের জায়গা হবে বোটানিক্যাল গার্ডেন: পরিবেশ উপদেষ্টা বোটানিক্যাল গার্ডেনের আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ অংশ। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
রিজওয়ানা বলেন, ‘দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কেউ এ সংক্রান্ত কার্যকর প্রস্তাব দিলে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্সের উদ্বোধন অধিবেশনে ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা বলেন, ‘দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করতে হবে।’

উপদেষ্টা জানান, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না। এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও জরুরি।

তিনি আরও জানান, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।

আরও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে সব অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
স্টাফদের দাবির বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা: রেলপথ উপদেষ্টা
পরিবেশ সুরক্ষার প্রত্যয়ে যাত্রা শুরু অ্যাক্ট বাংলাদেশের
অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

মন্তব্য

জাতীয়
Advocate Taufika Karims ban on departure

অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রতীকী ছবি
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তৌফিকা তার অবৈধ আয়ের টাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটিজেনস ব্যাংকে তার নামের অ্যাকাউন্টে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সিটিজেনস ব্যাংকে তার পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের জন্য অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে আনিসুল হকের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি, জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ তদবির বাণিজ্য, দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তৌফিকা তার অবৈধ আয়ের টাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছয় কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটিজেনস ব্যাংকে তার নামের অ্যাকাউন্টে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সিটিজেনস ব্যাংকে তার পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, তৌফিকা অবৈধভাবে অর্জিত এ সম্পদ হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তার বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িক স্থগিত
স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পরোয়ানা সত্ত্বেও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগের ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক পাঁচ এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

জাতীয়
Vandalized and will be firing tightly
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে

ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
পোস্টে বলা হয়, ‌‌‘অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শুক্রবার গভীর রাতে এক পোস্টে এ কথা জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ‌‌‘অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।

‘অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।’

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর
পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইসিবির সহায়তা চান ড. ইউনূস
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা: প্রেস উইং
চুরি হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং

মন্তব্য

p
উপরে