নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্রের পর নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বাদলের সহযোগী মো. দেলোয়ার হোসেনও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশি হেফাজতে আছেন ওই গৃহবধূ।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
গত বছরের ৪ আগস্টের পর সারা দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ওই সময়ে মাজার/দরগাহ এবং ভক্তদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও মাজারে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে।
পুলিশের তদন্তের বরাতে এ তথ্য জানায় প্রেস উইং।
এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০টি ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
‘ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারবার হামলা হয়েছে।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, ৪৪টি হামলার ঘটনার সবকটিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন থানায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে বা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলায় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি জিডির তদন্ত চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশজুড়ে মাজারের (মাজার, দরগাহ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামি নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীলকরণ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে যেকোনো সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে বলে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য এরই মধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ নিতে পুলিশ এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় সংলাপের পরবর্তী কর্মপন্থা হিসেবে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের কাছ থেকে অভিমত চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “আপনাদের সুচিন্তিত অভিমত চিঠি মারফত পাঠাতে পারেন, ‘মাহফুজ আলম, উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়’ এই ঠিকানায়। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত আপনাদের অভিমত জানাতে পারবেন। অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।”
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, গণতন্ত্র মঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, যিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে। কাজটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য কমিটিও গঠন করা হতে পারে।
‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত একটি কর্মকৌশল ঠিক করা হবে।’
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। সবাই বলেছেন, এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে, তবে এখানে অনেক সাজেশন (পরামর্শ) এসেছে।
‘মোটাদাগে হলো ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক বা আইনি প্রকৃতি কী হবে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটার জন্য যতটা সময় লাগা প্রয়োজন, ততটা সময় নেওয়া যেতে পারে, তবে অযথা কালবিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ যেন না হয়।
‘সবাই একমত পোষণ করেছে। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত।’
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির কার্যতালিকায় রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রোববারের শুনানির কার্যতালিকার ১৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রিভিউটি ১৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য ধার্য করেন।
আদালতে সেদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তার আগে এ বিষয়ে রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। এ ছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রিভিউ আবেদন করেন। এসব রিভিউ আবেদনের একসঙ্গে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে।
এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এ সংক্রান্ত গেজেট ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রকাশ করা হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
যুদ্ধবিধস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে পৌঁছান তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ফেরত আসা এসব নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম কর্মকর্তারা।
আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের খোঁজ নেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এ পর্যন্ত ১৯ ফ্লাইটে ১ হাজার ২৪৬ বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ২২ হাজার টন আতপ চাল নিয়ে ‘এমভি গোল্ডেন স্টার’ নামের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান। জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের কাজ শুরু হবে। এ জন্য এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে পাকিস্তান থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৪ জানুয়ারি খাদ্য অধিদপ্তর ও ট্রেডিং করপোরেশন অফ পাকিস্তানের (টিসিপি) মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল খালেক ও টিসিপির চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিউ বশির শাহ নিজ নিজ পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরকারের ক্রয় কমিটির অনুমোদনের পর চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। ওই চাল আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে আসতে শুরু করবে।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে এ সমঝোতা স্মারক এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান চলাকালীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে থাকা সব তথ্য (ডাটা) আলাদাভাবে অক্ষুণ্ন অবস্থায় সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে তদন্তকাজে সহযোগিতা করতে দেশের সব মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট প্রভাইডারদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় ৭৫ জনের সম্পদ বিবরণী ট্র্যাইব্যুনাল থেকে চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আজ একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ ট্রাইব্যুনাল থেকে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে সংবাদটির প্রতিবেদক আলী ইব্রাহিমকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ২০ জানুয়ারি হাজির হতে স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল বৃহস্পতিবার এসব আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এসব আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
ওই সময় তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আদেশ ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষকে ডাকতে ও যেকোনো ডকুমেন্টস চাইতে পারার আইনি এখতিয়ার রাখেন। তবুও আজ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে আদেশ নিয়েছেন প্রসিকিউশন।
ব্রিফিংয়ে অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
পরবর্তী সময়ে জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার হচ্ছে।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তার পোস্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোণার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে শুধু শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সরকার।
এ ছাড়া নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে।
পাশাপাশি জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নারায়াণগঞ্জে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখন থেকে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও গোপালগঞ্জের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবিও করে তারা। ৪ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে অভিযানে নামে র্যাব।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেলোয়ার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকতেন এলাকার লোকজন। দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো দুটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করবে র্যাব। অন্যদিকে দেলোয়ারকে হস্তান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. দেলোয়ার হোসেনকে একটি পিস্তল,ম্যাগাজিন ও দুটি গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর দেলোয়ারের তথ্যের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ওরফে বাদলকে।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, নির্যাতনের ঘটনায় নয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। দ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য নির্যাতিত গৃহবধূকে নেয়া হবে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
কর্মসূচি থেকে বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও এজাহারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের নাম না থাকায় ক্ষোভ জানানো হচ্ছে।
বাদল ও দেলোয়ারকে গ্রেফতারের তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে রোববার আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন রহমত উল্লাহ ও আবদুর রহিম। রোববার রাতে গ্রেফতার করা হয় রহমতকে। এর আগে বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রহিমকে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরের দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে। তবে মূল সন্দেহভাজনরা আত্মগোপনে ছিলেন।
ওই নারী ও তার স্বামী এলাকা ছেড়ে গেলেও রোববার গভীর রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ নিউজবাংলাকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে বাদলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি বাদল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা আছে। এছাড়া দেলোয়ার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রহমত উল্লাহ (৪১) ছাড়া সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এলাকায় তারা সবাই বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে এক মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী নিজেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কয়েকজন পুরুষ তাকে ক্রমাগত মারধর করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী বেশকিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর বাদল ও তার সহযোগীরা তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর এক মাস পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল জড়িতরা। এ জন্য পরিবারটি থানায় অভিযোগও জানাতে পারেনি।
মন্তব্য